Friday, December 9, 2016

ভয়ঙ্কর বাসর রাত

ভয়ঙ্কর বাসর রাত

# শখের_কবি
......
আজ আমার বিয়ে। বিয়েটা
পরিবারিক ভাবেই হচ্ছে। আমি আবির
আর মহারানির নাম মেঘা। মেঘা
আমার বাবার বন্ধুর মেয়ে। দেখতে
অসাধারন সুন্দর। আমার প্রেম প্রায় ৩বছর।
বিয়েটা ভালোই জমজমাট ভাবে হলো
আমিও বেশ খুশি। কিন্তু এই খুশিতে
বন্ধুরা আমায় ভালোয় বাশ দিয়ে
যাচ্ছে। আজ রাত আমার মহান বাসর
রাত। আল্লায় জানে কপালে কি
আছে। কিন্তে ঢুকতে তো হবে। এই
পাজি বন্ধুরা বড় আব্দার করেছে। শেষ
মেষ সব আব্দার মিটিয়ে ঘরে ঢুকলাম
মানে বাসর ঘরে। ঘরে ঢুকতেই ব্উ আমার
লক্ষি বউ এর মত সালাম করলো। আর
সেখানেই ঘটলো যত বিপত্তি। কারন
আমি বললাম। বেচে থাকো বউ বেচে
থাকো তুমি যেনো হাজার সন্তানের
জননী হও। দেখলাম মেঘা তো ক্ষেপে
গেছে।বলতে লাগলো
- তোমার সাহস তো কম না দাড়াও
তোমার দেখাচ্ছি মজা। এই রে কি
বলতে গিয়ে কি বললাম মনে হয়
কপালে শনির দশা আছে।
-তুমি থাকো তোমার হাজার সন্তান
নিয়ে আমার কাছে আসবে না
-না বউ সরি আর হবে না।
-সত্তি তো?
-হুম
আচ্ছা ঠিক আছে এবার মাফ করে
দিলাম মনে থাকে যেনো

আমি মেঘার পাশে বসতে যাবো এমন
সময় দেখলাম ফোন আসলো। ফোনটা বের
করে দেখলাম পাজি ফারিহা ফোন
দিয়েছেফোনটা হাতে নিয়ে ভয়ে
ভয়ে রিসিভ করলাম
-হ্যালো
-কিরে তোর গলা কাপছে কেনো কাজ
হয়ছে
(আমি আমার জালায় মরছি আর হালা
কি কয়)
-আরে ভাই কিছু হয়নাই বউকে জড়িয়ে
ধরে আদর করতেছি তো তাই
-ও তবে ঠিক আছে দেখিস ভয় করিস না
-ওকে বাই
মেঘা আমার দিকে এগিয়ে আসলো
আর ফোনটা চেক করলো। তারপর
ফারিহার নাম্বার দেখে তো আরও
ক্ষেপে গেলো আর বলতে লাগলো
-এই ডাইনির সাথে তোমার কি হ্য
------------
-অন্যের সাথে প্রেম করবা আর আমার
সাথে বিয়ে তোমার দেখাচ্ছি মজা
আজকে তোমার ঘরে জাইগা নাই
বাইরে যাও।
(ধমক দিয়ে)
-তাহলো শোবো কোথায়?
-তুমি জাহান্নামে যাও
বন্ধুরা একের পর এক ফোন দিচ্ছে যে
বাসর রাতের অবস্থা কেমন জানার
জন্যে। আরে সালারা আমার ফাটছে
আর তোদের আনন্দ। যদি হাতের কাছে
পেতাম না তাহলে দেখাতাম মজা।
কি আর করা বাইরে বসে চাদ দেখছি।
বাসর রাতে আমার ভালোই বাশ
গেলো। আগে তো ঘরে জাইগা
দিয়েছিলো কিন্তু এখন তো সোজা
বাইরে বের করে দিলো। চাদের
সাথে না হয় বাসর রাত হোক। তাই বলে
মনকে সান্তনা দিচ্ছি। আর পাগলিটার
কথা ভাবছি। মেঘাকে যেদিন প্রথম
দেখি সেদিনই ক্রাশ খাই। কিন্তু যে
রাগি বলার সাহসই হতো না। মেঘাকে
আমাদের বাসাতেই দেখেছিলাম
প্রথম। সেদিন রাতে আমি গিটার
বাজাচ্ছিলাম। হঠাৎ কখন যে একটি
মেয়ে আমার পাশে এসে বসেছে আমি
খেয়াল করি নি।তখন আমি
ভেবেছিলাম মনে হয় আমি স্বপ্নে
আছি তাই জড়িয়ে ধরেছিলাম। তখন
মেয়েটি চিললিয়ে গা মাথায়
করেছিলো। বাড়ির সবাই ছুটে এসে
জিজ্ঞেস করে আর আমি বাস্তবে
ফিরে এসে তো ভয়ে শেষ কারন
আব্বুকে ভয় পাই। তখন মেঘা কিছুই বলে
না শুধু তেলাপোকার নাম
দিয়েছিলো। তখন মা আমার সাথে
মেঘার পরিচয় করিয়ে দেয়। মেঘা নাম
শুনেই তো আমার ক্রাশ। কারন মেঘা
নামটা আমার প্রিয়।তারপর থেকে
মেঘার সাথে সময় কাটানো মেঘার
শেয়ারিং আর কেয়ারিং আমাকে
মুগ্ধ করেছিলো অবশেষে মেঘাকে
ভালোবেসে ফেলি। কিন্তু মেঘা খুব
রাগি। আর খুব জেদি যেটা বলে
সেটাই করে। আমাকে কোনো মেয়ের
সাথে কোনো কথা বলতে দেখলে তো
মহারানী রেগে আগুন। তাই আমার
নিষেধ ছিলো। কিন্তু আমায় খুব
ভালোবাসে আমিও অবশ্যয়
ভালোবাসি। আর একটু আগে যে
ফারিয়া ফোন দিয়েছিলো না
সেটা আমার ফ্রেন্ড বলতে জিগারের
দস্ত। ফারিহা শুধুই আমার বন্ধু তাও
মেঘা ওকে দেখতে পরে না কারন ও
ভাবতো আমাদের মধ্যে হয়তো ইটিস
পিটিশ মানে প্রেম আছে কিন্তু
বিশ্বাস করুন মেঘা শুধুই আমার ফ্রেন্ড।
আজ এই বজ্জাত মেয়েটার কারনে বাসর
রাতে বউ এর ভয়ংকর রাগ। তাই মন
খারাপ করে বাইরে তাকিয়ে আছি।
এমন সময় কারো স্পর্শ অনুভব করলাম।
খেয়াল করলাম মেঘা। আমিকিছু না
বলে অভিমান করে দাড়িয়ে আছি
মেঘা বলছে
-বাবুটার রাগ হয়েছে
-___________^
-বাবুটার মন খারাপ
.....................
*বাবুটাকে কে বকেছে?
-বউ!
-এই তুমি কি কিচ্ছু বোঝ না হ্যা?
(ধমক দিয়ে)
আমি নিচের দিকে তাকিয়ে আছি।
দেখলাম মেঘা আমায় শক্ত করে
জড়িয়ে ধরেছে।আমি তাও কিছু বলছি
না কারন দেখিনা পাগলিটা কি করে
মেঘা আমার মুখের দিকে তাকালো
তারপর ামার হাত ধরে টানতে টানতে
নিয়ে গেলো ঘরের ভিতরে। আমায়
খাটের উপর ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল।
তারপর আর কি আপনাগো বলবো
কেনো? বড়দের কথা শুনতে নেয়
.
অতপর শুরু হলো এক ভয়ংকর বাসর রাত
_________সমাপ্ত_______
বি:দ্র:-বন্ধুরা গল্পটির হয়তো শেষটি
ভালো হয়নি কিছু প্রতিবন্ধকতার
কারনে তার জন্য দু:খিত