Friday, September 23, 2016

★এক লুজার ছেলের গল্প★

★এক লুজার ছেলের গল্প★

এই শোন তুই কি কোন দিন পাল্টাবি না...?
::. কেন আমি আবার কি করলাম।
::.কি করলাম মানে কি করিস নাই সেটা
বল.. আজব তো। তুই যে মেয়েটা কে ইশারা
করলি তুই তা কে চিনিস।
::. চিনলে কি আর ইশারা করতাম
গাধী...ডাইরেক্ট গিয়ে কথা বলতাম।( কথা
টা বলার আগেই কানের গোড়ায় একটা
দিয়ে চলে রিমি)
:: :: ::
বেচেরা অভ্র বুঝে ওটার আগেই চলে গেলো
রিমি।অভ্র আর রিমির পরিচয় সেই ছোট
বেলা থেকে... খুব ভালো বন্ধু তারা।কিন্ত
স্বর্তেও আজ পযর্ন্ত রিমি কে ভালো ভাবে
চিনে ওঠতে পারলো না।
অঃতপর
অভ্র ভেবেই নিলো যে রিমির সাথে আর
কথায়ই বলবে না.. বড়লোক বলে কি মাথা
কিনে নিলো..
আজ ৩দিন হয়ে গেলো রিমি অভ্রকে একটা
ফোন পযন্ত দিলো না..
যাক ডাইনি থেকে বাঁচা গেল..( কথা টা
ভাবতে ভাবতে দেখে রিমির ফোন)
রিমি: হ্যালো এই তুই কই ??
অভ্র: কেন যেখানে থাকার কথা সেখানেই
আছি।
রিমি: প্যাঁচাল রাখ তোর ।কোথায় বল ??
অভ্র: এইতো বাসাই।
রিমি:: ওকে কাল ৫:০০ পার্কে তোর
অপেক্ষায় থাকবো ইচ্ছে হলে আসিস..
( কথাটা বলেই ফোন টা কেটে দিলো
রিমি)
দূর কি বিপদেটা তে পরলাম বাবা...
আরে
পার্কে বসে থাকা মেয়েটা রিমির মতন
না.. আরে হা এতো রিমি।
অভ্র: হু বল কি বলবি..
রিমি: কেমন আছিস ??
অভ্র: এইটা বলার জন্য এখানে ডাকলি।
রিমি: আরে না ( কেঁদে কেঁদে)
অভ্র: তো..
রিমি: এইনে কার্ড।
অভ্র: কার বিয়ের ??
রিমি: গেলেই দেখতে পাবি।আর শোন
প্লিজ আমার দেওয়া নীল পাঞ্জাবি পড়ে
আসিস।
আমার কোন কথায় তো রাখিস না।পারলে
এইটা রাখিস প্লিজ...
অভ্র: আচ্ছা ঠিক আছে।( কথাটা বলতে
অভ্রের কেমন জানি কষ্ট হচ্ছে)
মনে হচ্ছে তার জীবন থেকে কি যেন
হারিয়ে যাচ্ছে।অভ্র ভাবে চাইলে ও আর
কিছুই করার নাই।
::::: বাড়িটা খুব সুন্দর করে সাজানো
হয়েছে।সবার এই হাসির মুহূর্ত দেখে অভ্রের
কেন জানি খুব হিংসা হচ্ছে।তাই
বেলকনির রেলিং ধরে দড়িয়ে আছে অভ্র!
হঠ্যাৎ তার কাঁদে কারো হাত অনুভব করল।
::-আরে রিমি তুই..
::-কেন আর কারো অপেক্ষায় ছিলি ??
::- আরে না।কিন্ত স্টেজে এএএএ??
::- আরে যার বিয়ে সে আর কি দিভাই।
::- ও হা।
::- তুই কি রে বিয়ের কার্ড না দেখেই
বিয়েতে চলে এলি।
::-আরে বাদ দে তো।আর যাই বল না কে আজ
তোকে কিন্ত হেব্বি লাগছে।একদম বৌ বৌ।
::- আর তোকে ও...
::- ও তোর দেওয়া পাঞ্জাবি টা পড়ে
আসলাম তাই বললি??
::- বিয়ে বাড়ি তে ও খাওয়ার ইচ্ছে আছে
( মানে তাপ্পর)
::-আরে না ( মাথা বিলি কাটতে কাটতে
বলল)
::- রিমি শোন না ঐ দেখ নীল শাড়ি পড়া
মেয়েটা একটু ইয়ে করে দিতে পারবি।
( ভয়ে ভয়ে)
::- তুই আসলেই একটা লুইচ্ছা।আরে তুই এইটা
কেন পৃথিবীর যে কোন মেয়ে দেখলেই তো
তোর ইয়ে করতে ইচ্ছে করে।
::- এ মা ছিঃ ছিঃ.. এই সব কি বলছিস
ভালো করে দেখ মেয়েটা নীল শাড়ি আর
আমিও নীল পাঞ্জাবি; দু' জন কে কেমন
ভালো মানাবে দেখ??
::-অভ্র তুই আমাকে দেখ আমিও তো নীল
শাড়ি। ( নরম সুরে অভ্রের গালে হাত
দিয়ে)
::-কিন্ত তুই তো আমার ভালো বন্ধু।
::- অভ্র তুইই তো বলতি যে বন্ধুত্বের পরে
তাকে ভালোবাসা যাই কিন্তু
ভালোবাসার পরে তার সাথে বন্ধুত্ব করা
সম্ভব না।
::- রিমি দেখখ
::- থাম অভ্র আমি আর তোর কোন কথাই
শুনতে চাই না।আমি শুধু তোরই বাবুনির মা
হতে চাই।
::- অভ্র মাথা নিচু করে দাড়িয়ে রইলো।
::- এই লুইচ্ছা তুই যদি আর কোন মেয়ের দিকে
দেখিস তাইলে তোরে আমি মেরেই
ফেলবো।( শার্টের কলার ধরে।)
::- তাইলে তো বাবুনি আর বাবা ডাকতে
পারবে না।
::-বেচেরি রিমি কথাটা শুনার সাথে
সাথে অভ্রের পাজরে লাল হয়ে যাওয়া
মুখটা লুকিয়ে নিলো।
::- অভ্র ভাবে থাক না এই ভাবে ভালোই
তো লাগতেচে...............

""রাগের পাহাড়""

""রাগের পাহাড়""
.
লেখকঃ (অনিকেত প্রান্তর)
.
.
"রাস্তায় কোন মেয়ের সাথে মাখামাখি
করে আসছ বলো?"
একপ্রকার চিৎকার করেই কথা গুলো
বললো সোহানা।
.
প্রতিদিন কার মতো অফিস করে ক্লান্ত
শরীর নিয়ে বাজার থেকে সোহানার
প্রিয় ইলিশ মাছ নিয়ে বাসায় ফিরতেই।
সোহানা প্রতিদিনকার রুটিন মাফিক
আমার গায়ে থেকে ব্লেজার খুলে
দিচ্ছিল। আর তখনি বাধলো বিপত্তি।
আমার ব্লেজার খুলতে এসে আমার
শার্টের বোতামের সাথে কয়েকটা
মেয়েলী সোনালী চুল আবিষ্কার করে।
চুল গুলো হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ বড় বড়
করে আমার দিকে তাকিয়ে উপরের কথা
টি বললো..
.
"রাস্তায় কোন মেয়ের সাথে মাখামাখি
করে আসছ?"
.
চুল টা দেখে আমি নিজেও কিছুটা
ঘাবড়ে গেছি, এই চুল কোথায় থেকে
আসলো।
আমার মুখ দিয়েও কোন শব্দ বের হচ্ছেনা
একদৃষ্টিতে ভিতু মুখে সোহানার দিকে
তাকিয়ে আছি। সোহানা আবার বললো..
.
"কি বলেছি কানে যায়না? "
.
আমি একপ্রকার আমানতা আমানতা করে
জবাব দিলাম।
.
"মনে হয় রাস্তায় ধুলোবালির সাথে উড়ে
এসে বোতামের সাথে জড়িয়ে গেছে"।
.
"রাস্তায় ধুলোবালির সাথে চুল উড়ে এসে
তোমায় গায়ের উপরে এসে পড়লো? তাও
আবার বোতামের সাথে জড়িয়ে গেলো।
কেন রাস্তায় কি তুমি ছাড়া দ্বিতীয়
কোন মানুষ ছিলোনা? "
.
"আমি চুপচাপ নিচের দিকে তাকিয়ে
আছি। এই মেয়েটা রেগে গেলে তার
উপড়ে কথা বলার দূর সাহস আমার নেই।
এই মেয়েটা এমনিতে খুব শান্ত কিন্তু
রেগে গেলে হাতের কাছে যেটা পাবে
সেটা ছুড়ে মারতে দ্বিধা করেনা। ভেবে
দেখলাম চুপ করে থাকাটা সোহানার
রাগের মাত্রা টা আরও বাড়িয়ে দিবে।
তাই মিনমিনে শুরে বললাম!
.
"বাসে ঠেলাঠেলি করে উঠতে যেয়ে
মনে হয় কোন মেয়ের সাথে ধাক্কা
লেগে চুল জড়িয়ে গেছে। আর এখন ঢাকার
শহুরের যে অবস্তা বাসে উঠতে যেয়ে কে
ছেলে কে মেয়ে কিছুই বুঝা যায়না।"
.
সোহানার দিকে তাকাতেই দেখি। দাত
কিড়মিড় করে ব্লেজার টা হাতে নিয়ে
ছেড়ার চেষ্টা করছে। আমি সোহানার
দিকে তাকিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো
ভয়ে চুপসে গেলাম। সোহানা প্রায়
চিৎকার করে বললো!
.
"ছিঃ! বাসের মেয়েদের সাথে মাখা....
.
কথা টা শেষ না করেই ব্লেজার টা
আমার মুখের উপড়ে ছুড়ে মেড়ে রাগে
দাত কিড়মিড় করতে করতে বেড রুমের
দিকে হন হন করে চলে যায়। আমি বাকা
চোখে সোহানার গমন পথের দিকে
তাকিয়ে রইলাম। আমি একপা দুপা করে
ড্রইং রুমে সোফায় বসে টিভি দেখতে
লাগলাম।
ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখলাম রাত নয়টা
বাজে। পেটের ভিতরের ক্ষুধার রাক্ষস
জানান দিচ্ছিল। পেটে পর্যাপ্ত পরিমান
খাবারের প্রয়োজন।
ভাবছি একবার গিয়ে কি দেখে আসবো
সোহানা কি করে। ভাবতে ভাবতে পা
টিপে টিপে বেড রুমে প্রবেশ করলাম।
দেখি সোহানা ঘুমিয়ে আছে, ডাকবো
কিনা দ্বিধা দ্বন্দ্বে পরে গেলাম। মনের
ভিতরে সাহস সঞ্চয় করে বললাম..
.
"সোহানা কি ঘুমিয়ে পড়েছ? "
.
সোহানার কোন সারা শব্দ নেই। আগের
মতো গাপটি মেড়ে আছে।
.
"সোহানা আমার খুব খুধা লেগেছে। আজ
বাজার থেকে তোমার প্রিয় ইলিশ মাছ
নিয়ে এসেছি। সেটা কিন্তু নষ্ট হয়ে
যাচ্ছে।"
.
সোহানা আস্তে করে চোখ খুলে আমার
দিকে বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। চোখ
দুটো রক্তবর্ণ ধারণ করে আছে। আমি আর
কিছু বলার সাহস পেলাম না আস্তে করে
সামনে থেকে সরে আসলাম। পেটের
ভিতরের দানব গুলা যেন আর বাধা
মানছে না। ফ্রিজ খুলে পাউরুটি আর কলা
দেখতে পেলাম। পেট কে শান্তি দেবার
জন্য দুটা পাউরুটি আর দুটা কলা খেলাম।
খুধা রাক্ষস এবার একটু বিশ্রাম নিয়েছে।
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত দশটা
বেজে গেছে। আরেক বার সোহানা কে
দেখার জন্য রুমে প্রবেশ করলাম। দেখি
সোহানা আগের মতো চোখ বন্ধ করে শুয়ে
আছে। আমি জানালার কাছে দাঁড়িয়ে
বললে শুরু করলাম..
.
"কেউ আমাকে ভালবাসে না। কেউ
আমাকে বিশ্বাস করেনা, আমি যে তাকে
কতো ভালবাসি সেটা কেউ বোঝেনা।
সে কি জানে তার জংলী বিল্লির মতো
চোখ কে আমি কতো ভয় পাই।"
.
কথা টা বলে দিলাম জিব্বায় কামড়। এই
রে আগুনের ভিতর ঘি ঢেলে দিলাম
বাসায় আজ নিশ্চিত আগুন লাগিয়ে
দিবে। ভয়ে ভয়ে সোহানার দিকে
তাকিয়ে দেখি সোহানা অগ্নিমূর্তি রূপ
ধারণ করে জংলী বিল্লির মতো বড় বড়
চোখ করে তাকিয়ে আছে। সোহানার
চোখের দিকে তাকিয়ে আমার জীবনের
ভয়াবহ বাসরশয্যা রাতের কথা মনে পড়ে
গেল। বাসরঘরের দরজার সামনে বন্ধু দের
সাথে টানা টানিতে বাসরঘরে প্রবেশ
করতে দেরী হয়ে যায়। বাসরঘরে প্রবেশ
করে দেখি লাল লম্বা একটা ঘোমটা
টেনে একটা মেয়ে বসে আছে। বন্ধুরা
শিখিয়ে দিয়েছে বাসরঘরে প্রবেশ করে
আগে বউ এর সামনে যেয়ে দাঁড়াবি। বউ
নাকি পায়ে সালান করতে আসবে আর
অমনি বউ রে হাত ধরে বলতে হবে তোমার
স্থান আমার পায়ে নয় আমার বুকে। কিন্তু
এই মেয়ের তো দেখছি খাট থেকে নামার
নাম গন্ধ নেই। আমি ভয়ে ভয়ে মেয়েটার
পাশে বসে একটা কাশি দিলাম। কিন্তু
মেয়েটা আগের মতো চুপ করে বসে আছে।
আমি বুকে সাহস সঞ্চয় করে কাপা কাপা
হাতে ঘোমটা শরাতেই চিৎকার দিয়ে
তিন হাত পিছিয়ে গেলাম। কারণ
মেয়েটা চোখের পাতা উল্টিয়ে জংলী
বিল্লির মতো করে রেখেছে। আমি
আবার চিৎকার করতে যেয়ে আর পালাম
না একটা নরম হাত আমার মুখটা ছেপে
ধরেছে। তাকিয়ে দেখি মেয়েটি রেগে
মুখ লাল করে আছে। মেয়েটার রাগী
মুখটার দিকে তাকিয়ে স্বপনের রাজ্যে
পাড়ি জমালাম। রাগলে একটা মেয়েকে
এতো সুন্দর লাগে জানা ছিল না। মুখ
থেকে হাত টা সরিয়ে বললো..
.
"আসতে এতো দেরী হলো কেন?
গার্লফেন্ডের সাথে ফোনে কথা শেষ
করে আসলে নাকি?
.
"না মানে, বন্ধুদের বিদয় দিয়ে আসতে
দেরী হয়ে গেলো। "
.
"তাহলে বন্ধুদের সাথে থাকতে এখানে
কি?
.
আমি কিছু না বলে চুপ করে নিচের দিকে
তাকিয়ে আছি। মেয়েটা আমার হাতে
একটা হাত পাখা দিয়ে বললো..
.
"এই নাও হাত পাখা আজ সারারাত এটা
দিয়ে আমাকে বাতাস করবা, এটা
তোমার দেরী করে আসার শাস্তি। "
.
"কেন হাত পাখা কেন? আর তাছাড়া তো
কারেন্ট আছে। হাত পাখার কি
প্রয়োজন? "
.
"আমি বলেছি তাই।"
.
মেয়েটার দিকে তাকিয়ে দেখি। আগের
সেই ভয়াল রূপ ধারণ করে আছে। আমি আর
কিছু বলার সাহস পেলাম না, আমি হাত
পাখা টা হাতে নিয়ে দেখছিলাম।
মেয়েটা আমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে
বললো..
.
"কি বাতাস করতে বলেছিনা?"
.
আমি আর কিছু না বলে হাত পাখা দিয়ে
বাতাস করতে থাকি। মেয়েটা একটু পর
ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে যায়। মেয়েটার
দিকে চোখ পরতেই অবাক হয়ে গেলাম।
ঘুমন্ত মেয়েটাকে একদম সর্গের মায়াবী
অপ্সরীর মতো লাগছে। মেয়েটা কে
দেখে এখন কেউ বলতে পারবেনা এই
মেয়েটা একটু আগে রেগে আগুন হয়েছিল।
মেয়েটার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেই
খেয়াল করলাম ঠোটের কণে হাসির
ঝিলিক লেগে আছে, মেয়েটা আর কেউ
নয় আমার সোহানা।
কাচ ভাঙার শব্দে ভাবনার ছেদ পরলো..
.
দেখি আমার সামনে একটা কাচের গ্লাস
ভেঙে টুকরাটাকরা হয়ে আছে। আর
সোহানা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রাগে
ফোঁসফোঁস করছে। আমি কিছু না বলে
চুপচাপ কাচ গুলো পরিষ্কার করতে
লাগলাম। কাচ গুলো ফেলে দিয়ে
সোহানার প্রিয় ইলিশ মাছ ফ্রিজে
ঠুকিয়ে রেখে রুমে ফিরে এসে দেখি
সোহানা শুয়ে আছে। আমি লাইট টা বন্ধ
করে দিয়ে সোহানার পাশে শুয়ে
পড়লাম। সোহানা আমার বিপরীত দিকে
মুখ করে শুয়ে আছে। আমি আর কথা বলার
চেষ্টা করলাম না। ছাদের দিকে মুখ
কিরে শুয়ে আছি। ভিতরটা খুব ছটফট
করছে কিছুতে ঘুম আসছে না। ঘরিতে টং
টং শব্দ করে জানান দিলো বারোটা
বাজে। সোহানা মনে হয় ঘুমিয়ে পরেছে,
আস্তে করে আমার ডান হাতটা
সোহানার কোমরের উপড়ে রাখলাম। আর
সাথের সাত সোহানা ঝামটা মেড়ে
আমার হাতটা সরিয়ে দিল। আমি অসহায়
এর মতো হাতটা গুটিয়ে নিলাম।
তারমানে সোহানা ঘুমায়নি, একটু পর
সোহানার ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্নার শব্দ
পেলাম। আমি কোন কিছু বোঝে উঠার
আগেই সোহানা লাফ দিয়ে এসে আমার
টি-শার্টের কলার চেপে ধরে ঝাঁকাতে
ঝাঁকাতে বললো..
.
"এখনো সময় আছে বললো বলছি। কোন
মেয়ের সাথে মাখামাখি করে এসেছ?"
.
আমি অসহায় দৃষ্টিতে সোহানার মুখের
দিকে তাকিয়ে আছি। আমি কি বলবো
ভেবে পাচ্ছিনা, কারণ আমি নিজেই তো
জানিনা এই চুল কোথায় থেকে আসলো।
সোহানা আমার অসহায় মুখের দিকে
তাকিয়ে বললো..
.
"তুমি শুধু আমার, শুধু আমার। অন্য কোন
মেয়ের দিকে তাকিয়েছ তো তোমাকে
খুন করে আমি নিজেও মরে যাব।"
.
"বিশ্বাস করো সোহা...."
.
কথা টা শেষ করতে পারলাম না। একটা
উষ্ণ ঠোটের ছোঁয়ার আবেশে নিজে কে
বিলিয়ে দিলাম। যেটার মায়া অবহেলা
করার মতো শক্তি এই অধমের নেই।

Thursday, September 15, 2016

"ঝগড়া,রাগ,অভিমান খুনসুটি অন্তঃপর প্রেম"

"ঝগড়া,রাগ,অভিমান খুনসুটি অন্তঃপর
প্রেম"

........লিখা:মোঃ মাসুদ রানা
(অপরাজিত আমি)........

__এভাবে আমার পিছু নিয়েছেন কেন?
(মেয়ে)
__কাকে বলছেন?(ছেলে)
__এখানে আপনাকে ব্যাতিত আর
কাউকে দেখতে
পাচ্ছেন কি?
__ নাহ!আপনি একটু থামুন।
__কেন?
__আমি আপনার সামনে যাবো।
__মানে কি?
__মানে আবার কি তখন আর আপনার পিছু
নিতে
পারবো না।(কিছুটা রাগের স্বরে)
__আমি আপনার খাই না পরি যে আপনি
যা বলবেন তাই
শুনতে হবে।(খুব একটা রাগের স্বরে)
__তা আপনি আমায় খাওয়ান না পরান?
আপনি আমাকে বলার
কে?রাস্তাটা কি আপনার বাপ দাদার
নাকি? (রাগের
স্বরে)
__ অভদ্র,অসভ্য কোথাকার সুন্দরী মেয়ে
দেখলে ওমনি পিছু নিতে শুরু করেন।
(রাগের
স্বরে)
__ও হ্যালো...আপনি সুন্দরী কে বলেছে
আপনাকে? আয়নায় নিজের মুখটা
দেখেছেন
কখনো ভালো করে?আপনার থেকে চড়
এলাকার
জরিনা,সখিনা রাবেয়া ওরা দেখতে
অনেক অনেক
সুন্দর।(রাগের স্বরে)
__আরে ধূর আপনার থেকে জঙ্গলের
বানরগুলোও অনেক সুন্দর দেখতে।(রাগের
স্বরে)
__ব্যায়াদব মেয়ে সহজ সরল ছেলে
পেলে
ওমনি ঝগড়া শুরু করে দেয়।(রাগের স্বরে)
__ নিজে ঝগরাটে আবার অন্যকে বলে।
(রাগের
স্বরে)
__ আরে ধুর ছোরে দারান আমি তোমার
মত
বেজিমুখা কারো না আমার
গার্লফ্রেন্ডের
দেখা করতে যাবো।
__ও হ্যালো.... আমিও যাচ্ছি আমার
বয়ফ্রেন্ডের
দেখা করতে আপনার মত বান্দরমুখার
সাথে না।(এই
বলে আর কোন কথা না বলে আবার চলতে
শুরু
করলো আদিবা)
__আরে ধূর বলে আবারো আদিবার পিছু
পিছু হাটতে
শুরু করলো অয়নও।(এরপর কেউ কারো সাথে
কথা না বলে কিছুটা হাটতে হাটতে
একই
রেস্তুরেন্টে ঢুকে পড়লো। আদিবাকে
ফলো
করে ঠিক তার পাশের টেবিলটায় বসে
পড়লো
অয়ন) তারপর....
__ কি খাবেন আফা?(আদিবাকে বললেন
সেল্সম্যান)
__ঐ দিকে কি খাবেন ভাই?(অয়নকে
বললেন
সেল্সম্যান)
__ফুচকা নিয়ে আসেন।(বললো আদিবা)
__ঐ দিকে আমাকেও এক প্লেট ফুচকা
দেন।
(বললো অয়ন)
__আমি ফুচকা খাবো না জাষ্ট এক কাপ
কপি নিয়ে
আসেন।(অয়নের দিকে একবার খুর রাগের
দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো আদিবা)
__শুনুন! শুনুন! আমাকেও জাষ্ট এক কাপ কফি
দিবেন
প্লিজ।(বললো অয়ন)
এরপর অয়নের দিকে একবার চোখ বড় করে
তাকিয়ে গলা ঘুরিয়ে নিলো আদিবা।
তারপর চা পান
করতে করতে মানি ব্যাগ থেকে
ফোনটা বের
করলো আদিবা। এবং ও কল করা মাত্র
অয়নের
ফোন বেজে উঠলো.... হ্যালো বলার
আগেই
কল রিসিভ করা মাত্র "হ্যালো আমি
আপনার বলা
রেস্তুরেন্টে বসে আছি! আপনি
কোথায়?"
__আমিও তো... তো... তো
রেস্তুরেন্টে...
.
(দু'জন দু'জনার দিকে তাকিয়ে)
__আরে আপনি কেন এখানে এসেছেন?
যার
আসার কথা সে আসলো না কেন? (বললো
অয়ন)
__ মানে? (বললো আদিবা)
__আমি যার সাথে দেখা করতে এখানে
এসেছি সে
আপনার মত ঝগরাটে আর বদমেজাজী না।

আসেনি কেন?
__ও হ্যালো.... মুখ সামলে কথা বলুন। কোন
চর
থেকে যে আসে এরা। আমি যার সাথে
দেখা
করতে এসেছি সে আপনার মত বানরমুখা
না।
__ওই বদমেজাজী বদের হাড্ডি মেয়ে
তাহলে
তুই আমার নম্বর পেলি কোথা থেকে আর
তুই এই
সময়ে এখানে কেন?
__ওই চরুয়া ছেলে তুই এই নম্বর
দিয়েছিলি। আর,
তুই এ বা এখানে কেন এই সময়ে?
__তাহলে এত দিন কি তোর সাথে চ্যাট
করতাম?
__ চ্যাট করেছিলাম তোকে না চিনে।
এরপর ভাবিছ
না তোর সাথে আবারো চ্যাট করবো।
__ ওই বদমেজাজী, বদের হাড্ডি তুই
কিভাবে ভাবলি
তোর মত অসভ্য মেয়ের সাথে আমি চ্যাট
করবো। আমি রাইটার আমার লিখা
হাজারো মেয়ে
পরে। হাজারো সুন্দরী মেয়ে আমার জন্য
ফিদা।
(এইবলে বের হতে শুরু করলো অয়ন)
__ আরে যা যা তোর মত কত রাইটার
পকেটে
করে ঘুরি সব সময়।
এরপর রাতে অয়ন তার ফ্রেন্ড রাহুলের
কাছে
এসে...
__ওই মেয়ে ঝগরাটে, বদমেজাজী আর
অসভ্য
রে দোষ্ট। ওর সাথে রিলেশনে জড়াবি
না।
তাহলে তোর লাইফটা ফানা ফানা
করে ছাড়বে। মাত্র
আধ ঘন্টা সময়ে আমার যা অবস্থা করেছে
জানিস না।
__তুই যখন না করছিস করবো না। তবে
মেয়েটাকে দেখতে কেমন রে?(বললো
রাহুল)
__ দেখতে কিন্তু অসাম রে। ঠিক যেন
আমার
স্বপ্নে দেখা রাজকুমারীর মত। দেখলে
রাজকুমারী হলে কি হবে খুব
বদমেজাজী রে।
একদিন ওকে উচিৎ শিক্ষা দিয়েই
ছাড়বো।
(ঐ দিকে রাতে আদিবা ওর বান্ধবী
রত্না কে গিয়ে
ঠিক একই কথা বলেছিলো যা
বলেছিলো অয়ন
রাহুল কে)
__তুই ঐ ছেলের সাথে রিলেশন করবি না।
কারন, ও
খুব বাজে টাইপের একটা ছেলে। (বললো
আদিবা)
__তুই যখন না করছিস করবো না। (বললো
রত্না)
__ছেলেটা আর যাহোক কিউট আছে
কিন্তু রে
রত্না।
তবে ও আমাকে যেভাবে অপমান করছে
এর
যতেষ্ঠ জবাব দিবো একদিন।
__তাই নাকি তুই যা ভালো মনে করিছ।
# ফ্লাশ_ব্যাক____
রাহুলের বাড়ি রংপুর বিভাগের
পায়রাবন্দ গ্রামে। ও ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি তে এবার ৫ম
সেমিষ্টার। ও সলিমুল্লাহ হোস্টেলে
থাকে। প্রায় প্রতিদিন কয়েকটা
পত্রিকার সাহিত্য পাতায় ওর লিখা
প্রকাশিত হয়। ওর লিখাগুলোতে আছে
প্রেম, ভালবাসা, বাস্তবতা, বিদ্রহীতা
আর হাস্যকর কিছু। দিন দিন ওর লিখার
পাঠক সংখ্যা বেড়েই চলছে। অনেকবার
বাহবা পেয়েছে ও পাঠকদের কাছ
থেকে। প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন নম্বর
থেকে ওনেকে ফোন করে ওকে বাহবা
জানায়। প্রতিদিনের ন্যায় আজও একটা
নম্বর থেকে ফোন এসেছে........
__ আমি রত্না। আমার বাড়ি কুমিল্লা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় ১ম
সেমিষ্টার এবার। আপনার লিখাগুলো
পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। প্রায় ১৫
দিন পত্রিকায় আপনার কোন লিখা
প্রকাশিত হচ্ছে না। এজন্য বাধ্য হয়ে কল
করলাম। অবশ্য এর আগেও বেশ কয়েকবার
আপনাকে ফোন করেছিলাম।
__ জ্বি গত ১৫ দিন যাবৎ আমি জ্বরে
ভুগছি তাই কোন লিখা দেয়া হয়নি।
__ঔষধ খান নি?
__ খাচ্ছি তো তারপরও কেন জানি জ্বর
কিছুতেই সাড়ছে না। ডাক্তার বলেছে,
আর দু'এক দিনের মধ্যে নাকি সেড়ে
যাবে জ্বরটা।
__সুস্থ হলে আমার সাথে দেখা করতে
পারবেন একদিন? আপনাকে দেখার
আমার খুব ইচ্ছা অনেক আগে থেকেই।
__ঠিক আছে।__ ভালো থাকবেন। আল্লাহ
হাফেজ।
__ আপনিও ভালো থাকবেন। আল্লাহ
হাফেজ।
এরপর কথা কোন এক বিকেলে দেখা হয়ে
গেল দু'জনের। এতসব বাড়িয়ে বলছি না
জাষ্ট এতটুকুই বলবো ১ম বার রাহুলকে
দেখার পর রত্নার মনের বর্ননা ছিলো
ঠিক এরকম, "ও ঠিক যেন আমার স্বপ্নে
দেখা রাজকুমারের মত। যাকে নিয়ে
আমি প্রতিটাক্ষন ভাবি। যে প্রতি
রাতে স্বপ্নে আসে আমার মাঝে।
কিছুক্ষন আমার মাঝে বিচরন করে আবার
চলে যায়। যার জন্য সকাল থেকে সেই
রাত অর্থাৎ স্বপ্নে আসার পূর্ব মহুত্ব পর্যন্ত
আমাকে ভাবুক করে।"
আর রাহুলের মনের কথাটুকু ছিলো এরকম,
"কথাবার্তা, হাসি আর চেহাড়ার সুরৎ
যেন স্বর্গের ঐ হুর পরীকে হার
মানাবে।"
যাহোক আলোচনা একটু ছোট্ট করছি। ১ম
দেখা হওয়ার পর ক্রমে ক্রমে দু'জন দূ'জনের
প্রতি অনেকটা দূর্বল হতে শুরু করে। যারই
ফলোশ্রুতিতে এরপর দ্বিতীয় বার দেখা
করতে হয় দু'জনের। অবশ্য ২য় বারের দেখায়
রত্নাই তার মনের না বলা সব কথা খুলে
বলে রাহুল কে। রাহুল ঔ তার না বলা সব
কথা খুলে বলে। অন্তঃপর দু'জনের মাঝে
প্রেম হয়ে যায়। ক্রমে ক্রমে তাদের
সম্পর্কটা অনেকটা গভীর হতে শুরু করে।
এরেই ধারাবাহিকতায় দু'জন দু'জন
সম্পর্কে জানতে পারে অনেক কিছু।
রত্না এটাও জানতে পারে যে রাহুলের
বন্ধু রাহাত ভূল,,,কারো সাথে প্রেম করে
ধোঁকা খেয়ে তিলে তিলে শেষ করে
দিচ্ছে নিজেকে। এখনও কারো সাথে
ঠিকমত কথা বলে না, সবসময় চুপচাপ আর
একা একা থাকে খুব।এদিকে যাবতীয়
নেশার বস্তু শেবন করে বুকের ভিতরটা
ঝাঝরা করে দিচ্ছে ও। এভাবে নিয়মিত
চললে ও আর বাঁচবে না সেটাও জানতে
পারলো রত্না। রাহুল এতাও বলেছিলো
ওর জন্য খুব দ্রুত এমন কাউকে খুঁজে বের
করতে হবে যে ভালোবাসা দিয়ে
ওকে ভালো করবে। ওর জরাজীর্ন অতীত
কে ভূলিয়ে দেবে। তাই রাহুলের কথামত
খুব ভালো একটা মেয়ে খুঁজতে শুরু করলো
রত্না।
# ফ্লাশ_ইন_____
অবশেষে ওর ই বান্ধবী আদিবা কে
অয়নের জন্য খুঁজে বের করলো। কারন, ওর
থেকে ভালো মেয়ে আর কোথাও খুঁজে
পাওয়া যাবে না।ওর রাগটা একটু বেশি
হলেও মনে ভালোবাসাটা অনেক
বেশি। ওদের মধ্যে কিভাবে দেখা
করানো যায় সেটা ভেবে দু'জন ঐ ছোট্ট
নাটকটার থেকে ভালো উপায় আর খুঁজে
পাইনি।তাই নিজেদের দেখা করার
কথা বলে দু'দিক থেকে
পাঠিয়েছিলো দু'জন দু'জনকে।যদিও
প্রথমে দু'দিক থেকে দু'জনের ইচ্ছা
ছিলো না তারপরও রিকুয়েষ্ট করার পর
রাজি হয়েছিলো।কিছুদিন পর আবারো
দু'জনের দেখা হলো একটু ভিন্ন ভাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন এক সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠান চলছে।আপাতত গান
আর মাঝে মধ্যে দু'একটা নৃত্য চলছে।সব
বন্ধুরা সহ অয়নও অপভোগ করছে অনুষ্ঠানটা।
হঠাৎ, অয়ন একটু অন্যরকম হয়ে গেলে ঐ
ঝগরাটে মেয়ে অর্থাৎ যার দেখা
করতে পাঠিয়েছিলো রাহুল তার গান
শুনে। জীবনে অনেক গান শুনেছে কিন্তু
এমন গান কখনও কোথাও শোনেনি অয়ন।
কি এক মায়াবী কন্ঠ? গান শুনে যে কেউ
মায়ায় পরে যাবে। ঝগরাটে মেয়েটার
এত সুন্দর একটা গুন ছিলো সেটা ও একবার
ভাবেনি। সেদিন সন্ধ্যায় অয়ন রাহুলকে
সব খুলে বললো। এবং শেষে রাহুলকে
রিকুয়েষ্ট করলো প্রেম করার জন্য। তারপর
রাহুল বললো...
__আজ আবার এভাবে বলছিস? কারনটা
কি?
__নারে রে দোষ্ট সেদিন একবারও
ভাবিনি মেয়েটার মধ্যে এরকম গুন
থাকবে। ও সত্যিই খুব ভালো মনের এখন
বুঝতে পেরেছি।
__পছন্দ হয় ওকে?
__খুব।
__প্রেম করবি?
__মানে? ও তোর সাথে প্রেম করার জন্য
তোর দেখা করতে এসেছিলো আর
আমাকে বলছিস?
__সেদিন আমি ইচ্ছা করেই তোকে
পাঠিয়েছিলাম। আমি অন্য কারো
সাথে প্রেম করি।
__তাহলে এটা কেন করলি?
__তোর একটা হিল্লা করে দিতে রে।
__ওহ!
__ভালোবাসিস ওকে?
__অনেক! কিছু একটা করে দে না প্লিজ।
ঐ দিন রাতে ও দিক থেকে রত্নাও সব
খুলে বলেছিলো আদিবাকে।
এর কিছুদিন পর....
আবারো কাজী অফিসে দেখা হলো
অয়ন আর আদিবার...
__আপনি এখানে?(আদিবা)
__কেন এখানে আসা মানা নাকি
আমার?__কারনটা?
__স্যরি,আপনাকে বলতে বাধ্য না।
এরপর রাফির হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে
দিয়ে,আমরা সব ফ্রেন্ডরা মিলে এতটুকু
সংগ্রহ করতে পেরেছি এটা দিয়ে
তোমরা এক বছর খুব ভালোভাবে
কাটাতে পারবো। আমরা দোয়া করি
তোমরা সুখী হও।(রাফি আর রাফির বউ
রিতা কে বললো অয়ন) যাদের দু'পক্ষের
ফ্যামেলি প্রেম মেনে নিবে না তাই
বাধ্য হয়ে পালাতে সাহায্য করলো
বন্ধুরা মিলে। রিতা অবশ্য আদিবার খুব
ভালো বান্ধবী তাই ও এখানে
এসেছিলো পরোক্ষনে বুঝতে পারলো
অয়ন। অয়নের ঝগরাটে আর রাগের
আড়ালের এই গুনটা ভাবুক করে
দিয়েছিলো আদিবাকে।তাই দিন ওর
প্রতি দূর্বল হতে লাগলো আদিবা।কটা
দিন যাবার পর রত্নাকে রিকুয়েষ্ট করলো
আদিবাপ্লিজ ওর সাথে প্রেম করে দে
নাহ।
এর কিছু দিন পর...
কোন এক বিকালে দেখা হলো দু'জনের।
__আপনাকে কিছু বলার ছিলো?(আদিবা)
__আপনাকে কি না করেছি?
__যেদিন রত্নার কাছে সব সত্য শুনতে
পেলাম সেদিন থেকে আপনাকে
একান্ত আপন ভাবতে শুরু করেছি।আপনার
খুব কাছের একজন স্পেশাল মানুষ হতে
চাই।
__ঠিক আছে করে নিলাম। এবার চললাম।
এই বলে চলতে শুরু করলো অয়ন..
__আরে আজব কোথায় যাচ্ছেন?আমাকে
ছেড়ে যাচ্ছেন কেন?
__আপনাকে কি বেধে রাখছি?
এভাবে কিছুক্ষন হাটার পর আবারো সেই
একই রেস্তুরেন্টে ঢুকলো দু'জনে,,,১ম
বারের ন্যায় এবারো অয়ন বসে পড়লো
আদিবার পাশের টেবিলে। তারপর....
__আরে আজব আপনি এখানে বসেছেন
কেন?(অয়নের টেবিলে এসে বসে বললো
আদিবা)
__ যদি আবার চোখ বড় করে তাকান আমার
দিকে সেই ভয়ে।
__অনেক কথা শিখে গেছো না। কি কি
খাবে অর্ডার করো? এর আগের জন মনে হয়
এজন্য ধোঁকা দিছিলো।
__নাহ ওর আমার মনটাকে একটাবারও
বুঝার চেষ্টা করেনি এজন্য এরকমটা
করেছিলো। তুমি আবার এরকম করবে
নাতো?
__এ দিক থেকে চিন্তামুক্ত থাকতে
পারো। যে তার বন্ধুর সুখের জন্য এত কিছু
করতে পারে তার স্পেশাল মানুষটির
জন্য এর থেকে অনেক বেশি কিছু করবে।
এরপর আদিবার হাতে হাত রেখে, কথা
দাও আমাকে কোন দিন একা রেখে
যাবে না তাহলে আমি মরেই যাবো।
অয়নের ঠোটে আঙ্গুল রেখে এরপর পর আর
কখনো এভাবে বলবে না। তুমি ছাড়া
আমি কাকে নিয়ে বাঁচবো। অন্তঃপর
হয়েই গেলো প্রেম...