Friday, September 8, 2017

গল্প :- পাগলির পাগলামি

গল্প :- পাগলির পাগলামি
,
,
,
-এই তুই উঠবি নাকি
এক বালতি গরম গরম পানি
ঢালব হা
- এই না না
কি বলিস তুই
মাথা ঠিক আছে তোর
-না নাইই
থাম ঢালছি গরম পানি
-এই না না
এইত উঠে পড়ছি আমি
-হুম দেখতেই পাচ্ছি আমি
যা এখন ফ্রেশ হয়ে টেবিলে
আয়। আমি
নাস্তা রেডি করছি
,,,,,,,
,,,,
উফফফ আল্লাহ রহম কর আমাকে
এই পাগলিটা হাত থেকে
এই হচ্ছে আমার পাগলি যাকে আমি অনেক ভালবাসি কিন্তু ভয়ে বলতে পারি না। একদম গুন্ডি টাইপসের।
দেখলেনি তো মানুষ ঠান্ডা পানি ঢালে
কিন্তু এই পাগলি এই গরমে আমার উপড়
নাকি ঢালবে গরম পানি
ওহ আমাদের পরিচয়টা তো আপনাদের
বলাই হয় নি,,,,,
আমি আকাশ লেখা পড়া শেষ এখন একটা প্রাইভেট কোম্পানি তে জব করছি
আর আমার পাগলি আরাধনা
পড়ছে দিনাজপুর
হাজী দানেশে অনার্স ফাস্ট ইয়ারে
,,,,,,
আপনাদের সাথে অনেক কথা বলা হইছে
এখন ফ্রেস হয়ে নাস্তা খাইতে যাই
নাহলে আবার পাগলির
পাগলামি শুরু হবে
,,,,,,,,,
টেবিলে বসে নাস্তা খাচ্চি এমন সময় আমার মায়ের আগমন
-কিরে তুই এত তাড়াতাড়ি আজ
উঠলি যে ঘুম থেকে(মা)
-না উঠে কি কোনো উপায় আছে
অই মহিলাটা যে তান্ডব চালাচ্ছিল
সকালে আমার উপর
-অইইইই তুই আমাকে মহিলা
বললি কেন(আরাধনা)
-তো কি বুড়ি বলব নাকি
তোকে বুড়ি বলতে আমার
কোনো আপত্তি নেই
বয়স তো তোর আর কম হল না
-আন্টি দেখ তোমার ছেলে আমাকে
কি কি সব বলছে
-তোরা যে কিনা
তোদের এই সব ঝামেলায় আমি নেই(মা)
-এই শুন কুত্তি আমি কিন্তু তোর
থেকে বড় সো রিস্পেক্ট দিয়ে
কথা বলবি বুজলি (আমি)
-যা বে যা তুই তো বুইড়া বেডা।
যা যা অফিস যা
(মুখ ভেংচি কেটে আমাকে বল্ল কথাটা)
-হুম হুম যাচ্ছি যাচ্ছি। ভাগ তুই সামনে থেকে,,,,,
,
,কিছুক্ষণ পর অফিসের কাজের ফাকে
ভাবতে লাগলাম আমাদের ছোট বেলার কথা গুলি,,,,
আমি ওর থেকে বড় হওয়ার পরও
আমারা ছোট থেকে পাশাপাশি বাসায়
থাকায় একসাথেই খেলতাম সবসময়।
আর আমার কোনো বোন না থাকায়
আমার বাবা মা ওকে আমার থেকেও বেশি ভালবাসে।
আর ওর ও কোনো ভাই না থাকায়
ওর মা বাবাও আমাকে অনেক ভালবাসে,,,,
,,,,
যাক অফিসের সব কাজ শেষ
এখন একটু বাসায় যাওয়ার পর ওদের বাসায় যাব
বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ওদের বাসায় গেলাম ওদের বাসায়।
ওই পাগলি রুমে ঢুকেই দেখি
পাগলিটা ওর বেডে শুয়ে পা
দূটো দেয়ালের উপর দিয়ে শুয়ে শুয়ে
চিপস খাচ্ছে
পাগল মেয়ে একটা এই বুড়ি বয়সেও চিপস খায়
,,,,
-অই বুড়ি কি করিস রে(আমি)
-রক্ত খাব তোর এখন
-এই মেয়ে বলে কি এই সব
-দে না খাই একটু রক্ত
-ভাগ শাকচুন্নি
-তুই ভাগ, এটা আমার রুম বুজলি
-এহহ ফুটানিতে বাচে না মহারানী
আচ্ছা শুন
-কি বল
-তোর স্টাডি শেষ হলেই আমারা বিয়ে করব বুজলি
-আমরা মানে কারা
মানে কোন দজ্জালনীকে করবি
বিয়ে তুই।
-আমার সামনে একটা বান্দরনি
আছে যে ওর সাথে
-কিহহহহহহহহ(চিৎকার করে)
-অই চিল্লাইস কেন
-তো কি করব।
তোর মত কুত্তা কে আমি করব না বিয়ে
-না করলে নাই
-কি বললি
-না মানে কাউকে না
কাউকে করতেই হবে বিয়ে তাই না
-ওহ হুম
বাট শুন বিয়েটা আমাকেই করিস
কেমন বাবু
-তাই নাকি
তুই না বললি করবি না
আমাকে
-আমার অত্যাচার তুই ছাড়া
আর কেউ ঝেলতেও পারবে না
সেটা আমি জানি।
-এই প্রথম তুই একটা সত্যি কথা
বললি তুই
-যা তো ভাগ যা মেজাজ টা খারাপ করাইস নাহ আমার
-আচ্ছা যাই আমাদের বিয়ের ব্যাবস্থা টা করে আসি
-আচ্ছা ওগির আব্বু যাও
-এই মেয়ে বলে কি
-হুম হুম আমাদের ছেলের নাম রাখব ওগি
আর বাবুর খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো, ডায়পার চেঞ্জ করা
থেকে শুরু করে সব কাজ
তুই করবি
,,,,,,
,
,
দেখলেন তো কত্ত বড় পাগল
এই মহিলা। খালি তো বিয়ের
কথা বললাম আর তাতেই বাচ্চার ও নাম ঠিক করে নিল।
এখনও তো প্রপোসও করি নি
প্রোপোস করলে যে কি তান্ডব শুরু করবে আল্লাহ ই জানেন.
না থাক এখন আর প্রোপোস করব না
একদম বাসর রাতে করব.
,,,,
এখন বাসায় যাই,
বাসায় গিয়ে আব্বু আম্মুকে
আমার আর বিয়ের প্রস্তাবটাও দিতে হবে
,
,
-মা মা কই তুমি (আমি)
-কিরে এত চিল্লাইস কেন?(মা)
-শুন না আমার পেয়ারি মা
-বল তো কি হইসে
-বলছিলাম যে আমি না
প্রেম করব একটা মেয়ে খুজে
দাও তো
-আরে বাবু তোর কি
আর প্রেম করার বয়স আছে
নাকি রে
-ওমা তুমি কি বল এই সব।
আমি তো ছোট বাবু
-এই যে ছোট বাবু তোর
বিয়ের বয়স তো হয়ে
গেল রে. জলদি জলদি
একটা বউ মা নিয়ে আয়
নাহলে আর দু দিন পর
আর বৌ পাবি না
তুই বাবু।-তো বাসায় একটা বৌ মা আনলেই পারো
তোমার জন্য
-এই হারামজাদা লজ্জা
লাগে না নিজের বিয়ের কথা নিজে বলতে
-তোমারা তো বিয়ে দাও না তো আমি কি করব বল
-যা তো এখন আমাকে
কাজ করতে দে
,,,,,,
,
বিকেল বেলা খুব গভীর ঘুমে
মগ্ন ছিলাম
হঠাত আম্মুর ডাকে ঘুম ভাংল
,,,,
-এই হারামজাদা তারাতারি
রেডি হয়ে নে
-কেন কি হইসে
-বিয়ে তে যাব চল
-কার বিয়ে?
-ওটা তোর না শুনলেও চলবে
যা ফ্রেশ হয়ে এই পাঞ্জাবিটা
পড়ে আয়
-উফফ কি অত্যাচার
-কথা কম বল
*
*
*
কিছুক্ষণ পর রেডি হয়ে এলাম। রুম থেকে বের হয়ে দেখি আম্মু আব্বু আর আরাধনার বাবা -মা বসে কি জানি বকবক করছে
*
*
*
একটু পর দেখি আরাধনা টুকটুকে নীল রঙের বেনারসি
শারি পড়ে সুন্দর করে সেজেছে
আমি তো দেখে পুরাই থ হয়ে গেলাম, যা সুন্দর লাগছিল ওকে, এক কথায় ডানাকাটা পরি,
কিন্তু সবাই সামনে থাকার কারণে কিছু ওকে মুখ
ফুটে বলতে পারলাম না।
কিন্তু ও বৌদের মত
সেজেছে কেন?
তার মানে আজ কি ওর বিয়ে?
কিন্তু কার সাথে?
,,নাহ আমি ওকে কারো হতে দিব না,,, ও শুধু আমার,,
,
-কি রে তুই মুখটা এমন কেন বানিয়েছিস, মনে তো হচ্ছে
কারো খুন করে ফেলবি(আরাধনা)
-হুম করব তো।
তুই বৌ কেন সেজেছিস
কার সাথে তো বিয়ে হা?
তুই শুধু আমার বুজলি
তোরে আমি কারো হতে দিব
নাহ। তুই জানিস না
আমি তোকে কতটা ভালবাসি। তোকে ছাড়া
আমি কি ভাবে থাকব তুই বল
--এহেম এহেম,,,,, এখানে আমরাও আছি। তোরা কি ভুলে গিয়েছিস সেটা (মা)
-(দিলাম জিব্বায় একটা কামড়।আমি তো রাগের মাথায় সব ভুলেই গিয়েছিলাম। ছি ছি কি লজ্জা আমার)
-আরে কাজী সাহেব এত দেরী হল কেন আসতে( বাবা)
,,,,,
এই সব ক হচ্ছে, সাথে সাথে দেখি সব মেহমানরাও চলে আসছে। আমার মাথায় তো কিছুই ঢুকছে না
.

-কিরে হাবার মত দাড়ায়ে আছিস কেন?
আজ তোর আর আরাধনার বিয়ে(মা)
-আরাধনার দিকে তাকিয়ে দেখি ও মিটিমিটি হাসছে
তার মানে ও সব কিছু জানত,
কুত্তিটা রে,
*
*
*
বিয়েটা হয়েই গেল শেষমেশ আমাদের। ভাবতেই পারি নি এই ভাবে বিয়েটা হবে আমাদের।
রুমে ঢুকতেই দেখি পাগলিটা
ইয়া বড় ঘোমটা দিয়ে বসে আছে।
আমাকে দেখে নিচে নেমে আমাকে সালাম করল
ফাস্টে একটু ভয়ই পেলাম
কারণ ওর এমন নিরীহ
রুপ কখনো দেখি নি
,
-অই চামচিকা প্রপোস কর আমাকে (আরাধনা)
-কি বললি তুই
-যা,শুনলি
-অই মহিলা বর কে কেউ এই ভাবে বলে
-যা বলসি তাই কর বুজলি
-পারব না করতে
-পারবি না মানে তোর ঘার করবে
-ধুর পাগল মহিলা খালি হুমকি দেয়
-প্রপোস না করলে কিন্তু আমি
পুলিশ ডাকব
-থাম থাম করছি করছি
এই সব পুলিশ আমার
অনেক ভয় লাগে
*
*
-"এই অসভ্য পাগল মহিলা
তুমি কি আমার কোল বালিশ হবা......
হবে কি আমার বাবু আম্মু.....
প্রতিদিন তোমার লিপ্সটিক নষ্ট করার অধিকার টুকু দেব
আমায়,,,,,,,,,
সত্যি বলছি তোমার অই কাজল কখনও নষ্ট
হতে দেব নাহ সত্যি,,,,,
.....
.
হাটু গেড়ে ওর সামনে একটা
মাউন্টেন দিউর বোতল নিয়ে
কথা গুলো বললাম, দেখি পাগলিটা মুচকি মুচকি হাসছে
..
-এখন কি করি তাহলে(আরাধনা)
-কি আবার করব। ঘুমাব
-কি বল্ললা তুমি ঘুমাবা এখন
বাসর রাতে কেঊ ঘুমায় নাকি হা
-না না ভুতনু ঘুমাব কেন
আমি তো এখন তোমার লিপ্সটিক খাব,
-আগে লাইটটা অফ কর হনুমান
-থাম ভুতনি করছি,,,,,,,,,
.
.
.
লাইট তো অফ হয়ে গেল
এখন আপনারা হা করে কি দেখছেন।
ছি ছি এটা কিন্তু খুব খারাপ অভ্যাস অন্যের রোম্যান্স দেখা। যান যান
আপনারা এখন ঘুমান যান তো
.
.
.
লেখা:aonkkon chowdhury aradhona(চান্দের আরাধনা)

No comments:

Post a Comment