Monday, October 17, 2016

প্রেম ভালবাসা এরেঞ্জ মেরেজ

প্রেম ভালবাসা এরেঞ্জ মেরেজ

পাশের বাসার খাদিজা নামের
মেয়েটাকে আমার
অনেক ভালো লাগে।তোর ইচ্ছা
থাকলে আমি ওর
বাবার সাথে কথা বলি?
-কিসের ইচ্ছা মা?কি বলছো বুঝিয়ে
বলো?
-মেয়েটাকে তোর বউ করলে কেমন হয়?
পছন্দের খাবারটা ঠিক মতো গলা
দিয়ে নামার আগে
মায়ের মুখে এ কথা শুনে পুরাই টাসকি
খেয়ে গেলাম।
এখন বুঝতে পারছি আজ খাবার
টেবিলে আমার সব
প্রিয় খাবার কেন।মাকে নিয়ে আর
পারা গেলো না।
-মা কি বলছো এসব সবে মাত্র
চাকরীতে জয়েন করেছি
এখনি আমার পক্ষে বিয়ে করা একদমই
সম্ভব না।
আমাকে এসব নিয়ে আর কিছু বলবানা।
-চাকরী করছিস বলেই তো তোকে
বিয়ে দিতে হবে আর
আমারও সারাদিন বাসায় একা একা
থাকতে ভালো
লাগে না।ছেলেমেয়ে বড় হলে
তাদের বিয়ে দেওয়া
বাবা মারই দায়িত্ব।আচ্ছা তুই কি
কোনো মেয়েকে
পছন্দ করিস করলে ঠিকানা দে আমি
গিয়ে মেয়ের
বাসায় কথা বলে আসি।
-না মা তার জন্যে না।আমি এইসময়
পারবোনা বিয়ে
করতে।তুমি এসব চিন্তা মাথা থেকে
বের করে দাও।
-যা ইচ্ছা কর আমি খাদিজার ছবি
নিয়ে এসেছি তোর
টেবিলের ডয়ারে আছে।দেখে ভাল
লাগলে বলিস।
আমি মায়ের কথাগুলো এক কান দিয়ে
ঢুকিয়ে অন্য
কান দিয়ে বের করে দিলাম।না ছুটির
দিনগুলো আর
বাসায় থাকা যাবে না কারন আমার
মা একবার যেটা
বলে সেটা না হওয়া পযন্ত ঘ্যান ঘ্যান
করতেই থাকে।
রাতে অফিস থেকে বাসায় গেলে
অবশ্য তেমন কথা
বলে না ক্লান্ত থাকি বলে তবুও আমি
ছুটির দিন গুলো
বাইরে ঘুরে ঘুরে কাটাতে লাগলাম।
দুই
একদিন কাজ শেষে বাসায় যাওয়ার
সময় মায়ের জন্যে
ফল নেওয়ার জন্যে ফলের দোকানে
গেলাম
-এই যে এই ব্যাগটা একটু ধরুন তো?
-কিসের ব্যাগ আর আমিই বা কেন
ধরবো আপনার ব্যাগ?
-এতো প্রশ্ন না করে যা করতে বলছি
তা করেন।
মেয়েটা আমাকে একটা ফলের ব্যাগ
হাতে ধরিয়ে
দিয়ে
টাকার ব্যাগ থেকে টাকা নিয়ে
দোকানদারকে
দিলো।
-হ্যা এখন চলুন?
-কোথায় যাবো?
-আপনার কি মনে হয় এই ভারী ব্যাগটা
আমি নিতে
পারবো?আমাকে রিকশা ঠিক করে
দেন
-কিন্তু আমিই কেন?
-হায়রে আচ্ছা আপনি এখানে দাড়ান
আমি আসতাসি
কিছুখন পরে মেয়েটা একটা রিকশায়
উঠে এসে বলল
-দিন ব্যাগটা এখন আর শুনেন মানুষ কে
সাহায্য করতে
শিখেন।ধন্যবাদ।বাই।
মানে কি মেয়েটা এভাবে কথা
বলে গেলো কেন?
আমি তো মেয়েটাকে সাহায্যঈ
করলাম তাও কথা
দিয়ে নাকে ঘুসি মেরে গেলো।
কথার মার সহ্য হয় না
কারন কথার মার সহজে ভুলা যায় না।
মেজাজটাই গরম
হয়ে গেলো।তাই কোনো মতে ফল
কিনে নিয়ে বাসায়
চলে আসলাম।
-কিরে আজ আসতে এতো দেরি হলো
কেন?কি হয়েছে?
-কিছু না মা খেতে দাও।
খাওয়া শেষে নিজের ঘরে গিয়ে
শুয়ে ছিলাম।তখন
মেয়ের কথা গুলো ভাবনায় আসলো।
মেয়েটা যাই বলুক
দেখতে অসাধারন ছিল।আর মেয়ের চুল
গুলা এতোই
সুন্দর যে যতো সুনাম করবো ততই কম মনে
হবে।আর
মেয়ের ঠোটের কোনে তিলটা তো
আরও জোশ।এরকম
একটা মেয়েকে বউ করলে খারাপ হয়
না।কিন্তু
মেয়েটার কথা একদমি ভালো লাগে
নাই।এরকম মেয়ে
কখনো বউ করা যাবে না পরে দেখা
যাবে সব কাজ
আমাকে দিয়ে করাবে আর কাজ করা
ঠিক আসে কাজ
শেষে আবার বড় বড় কথাও বলবে।এরকম
ভাবতে ভাবতে
কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি মনে নেই।
তিন
আজ ছুটির দিন বলে বন্ধুদের সাথে
আড্ডা দিতে বের
হলাম।চায়ের দোকানে চা খাচ্ছি আর
কামরুল এর
সাথে কথা বলছি
-কিরে আজকাল তো তোকে দেখাই
যায় না।আমাদের
ভুলে গেলি নাকি??
-আরে নারে কাজের অনেক চাপ।
-বুঝেছি।সেদিন তোর বাসায় গেলাম
তোর মা তোকে
বুঝাতে বলল।
-কি নিয়া?
-তোর বিয়া নিয়া।
-হা হা হা।ওনার কোথা কান দিস না
আমাকে
প্রতিদিনই বলে।
-ঠিকঈ তো বলে আর তুই তো কোনো
মেয়েকে পছন্দ
করিস না তাহলে বিয়ে করতে সমস্যা
কি?
-আরে তা না আমার অনেক দিনের
ইচ্ছা কেউকে
ভালবেসে তারপর বিয়ে করবো কিন্তু
আফসোস সেই
ফিলিংসটাই এখনো কেওর জন্যে এল
না।
-এভাবে যেন হচ্ছে না তাহলে বিয়ে
করে বউকে
ভালোবাসিস তাহলেই তো হয়।
-বেশি বুঝিস কেন।আচ্ছা আমি যাই
রে দেরি করলে মা
আবার যা ইচ্ছা বলতে থাকবে।
চা এর দোকান থেকে বের হয়ে
সোজা বাসায় দিকে
রওনা দিলাম।পেছন থেকে মনে হচ্ছে
কেও একজন
ডাকছে
-এই যে,এই যে মিস্টার শুনছেন?
পেছনে তাকিয়ে দেখি সেদিনের
সেই মেয়েটা।
আজকে আবার কি মনে করে ডাকছে।
নাহ আজকে আর
সামনে যাওয়া যাবে না।না দেখার
ভান করে চলে
যেতে লাগলাম।কিন্তু মেয়েটা
সোজা হেটে সামনে
এসে দাড়ালো।
-সমস্যা কি? এতখন ধরে ডাকলাম শুনেও
না শুনার ভান
করে চলে যাচ্ছেন কেন?
-ক ক ক কই না তো আমি আপনার ডাক
শুনতে পাই নাই।
আর এ এ এতো চেচামেচিতে কিছু শুনা
যায় নাকি?
কি হলো এইভাবে তাকায়া আছেন
কেন?আমি সত্যি
শুন্তে পাইনি।
-আমতা আমতা করছেন কেন?
মিথ্যাটাও ঠিক মতো
গুছিয়ে বলতে শিখেন নাই।আপনাকে
দেখেই বুঝা
যাচ্ছে আপনি মিথ্যা বলছেন।আগে
মিথ্যা ঠিকমত
বলতে শিখেন।যাই হোক চলেন।
-কোথায়?
-যেখানে নিয়ে যাবো সেখানে।
এই বলে মেয়েটা একটা রিকশাতে
উঠে আমাকেও
জোর করে উঠালো।আমি তখনও বুঝতে
পারছি না
আমার আশে পাশে এসব কি হচ্ছে।আর
কে এই মেয়ে
আর আমিই বা এই মেয়ের কথা বাধ্য
ছেলের মতো কেন
শুনছি।রিকশাতে বসে বসে ভাবছি।
-কি হলো চুপ করে বসে আছেন কেনো?
-না এর আগে কখনো কোনো মেয়ের
সাথে এভাবে
রিকশায় উঠিনি তো
-আমি মনে হয় অনেক ছেলের সাথে
উঠেছি রিকশায়?
-না তা না। আচ্ছা আপনি কে?
আমাকে কি চিনেন
আপনি?
-না চিনি না।
-তাহলে অচেনা একজনকে রিকশায়
উঠাইলেন যে?
-এমনি আপনাকে দিয়ে কাজ আছে
তাই।
আমি আর কিছু বললাম না চুপ করে বসে
থাকলাম।
মেয়েটা একটা খেলনার দোকানের
সামনে নামলো।
-এই যে নামুন আর ভাবনার জগত থেকে
বের হন আর
মামা আপনি এখানে দাড়ান।আমরা
এখুনি চলে আসবো।
দোকানের ভেতরের ঢুকে দেখি
মেয়েটা অনেকগুলা
খেলনা আর চকলেট নিলো
-এই যে বিলটা দিয়ে দিন?
-মানে কি আমি খেলনা দিয়ে কি
করবো আমাকে
দেখে কি বাচ্চা মনে হয়?
-গাধা এগুলা আপনার জন্যে না
আপনাকে শুধু বিলটা
দিতে বলছি।এগুলা আমিই নেবো।
-আপনার বিল আমি দেবো কেন?
-কিপ্টামি ছাড়েন যা করতে বলছি
করেন।
আমি আর বেশি দেরি না করে পকেট
থেকে
মানিব্যাগটা বের করে টাকাটা
দিয়ে দিলাম কারন
বলা যায় না এই মেয়েটা কখন আবার
কি বলে দেয়
আল্লাহ্ ভালো জানেন
কিন্তু আমার কেন যেন ভালোই
লাগছে।এই প্রথম একটা
মেয়ের সাথে রিকশায় তাও আবার
এতখন।এগুলো
ভাবতে ভাবতে রিকশাটা এসে একটা
বস্তির সামনে
থামলো।বরাবর এর মতো এইবারও
মেয়েটা আমাকে
নিয়ে বস্তির ভেতরে ঢুকলো।
-আপনি কি এখানে থাকেন?
-হ্যা থাকি কেন যারা এখানে
থাকে তারা কি মানুষ
না?
-আরে আমি কি তা বলেছি নাকি?
জানার জন্যে বলসি।
মেয়েটাকে দেখে অনেক গুলো
ছেলে মেয়ে মেয়েটার
সামনে আসলো।ওদের দেখেই মনে
হচ্ছে ওরা আগে
থেকে মেয়েটিকে চিনে।আর
মেয়েটাও ওদের খেলনা
চকলেটগুলা ভাগ করে দিয়ে ওদের
সাথে বাচ্চাদের
সাথে মিশতে লাগলো।কেন জানি
মেয়েটাকে দেখে
তখন অনেক সুন্দর লাগছিল তাই এই সুন্দর
সময়টাকে
মোবাইলের ক্যামরাতে বন্দি করে
নিলাম কয়েকটা
ছবি তুলে।
মেয়েটাকে দেখতে দেখতে এক
কল্পনার রাজ্যে
হারিয়ে গেলাম আমি।
-ও হ্যালো কোথায় হারিয়ে গেছেন?
মেয়েটার ডাকে কল্পনা থেকে
ফিরে আসলাম।
-কি হয়েছে খেলা শেষ?
-হ্যা চলুন।
-চলুন মানে আপনি না এখানে থাকেন।
-গাধা একটা চলেন।
রিকশায় বসে বসে ভাবছি ওর নামটা
জিজ্ঞেস করবো
কিনা।
-কিছু বলবেন?
-কই নাতো
-না আমার মনে হলো কিছু বলবেন।
-আচ্ছা আপনার নাম কি?
-আমার নাম জেনে কি করবেন?
-কিছুনা জানতে ইচ্ছা হলো তাই।
-জুঁই
-খুব সুন্দর
-কি
-আপনার নামটা।
-হ্যা আমি জানি।আর আমার ছবিগুলা
ডিলিট করে
দিন।অচেনা মেয়ের ছবি রাখা ঠিক
না।
-অচেনা একজনের সাথে রিকশাতে
উঠতে পারলে ছবি
আর কি।
তখন রিকশাটা একটা বাড়ির সামনে
এসে থামলো।
আমি আর দেরি না করে ভাড়া দিতে
লাগছিলাম
-এই যে কি করছেন?
-কি করছি মানে রিকশা ভাড়া
দিচ্ছি।
-রিকশা আমি ঠিক করেছিলাম তাই
ভাড়া আমিই
দেবো।
-মানে কি খেলনা বিল তো আমাকে
দিয়ে দেওয়ালেন
আর ভাড়া আপনি নিজে দিচ্ছেন
ব্যাপারটা কি?
-সেদিন আপনাকে কি বলেছিলাম
মানুষকে সাহায্য
করতে শিখেন।তাই আপনাকে দিয়ে
অনেকগুলা বাচ্চার
খেলনা কিনাতে সাহায্য করালাম।
আর আমি রিকশা
ভাড়া দিয়ে আর আপনার সাথে
থেকে আপনাকে
সাহায্য করলাম ওদেরকে সাহায্য
করাতে।
না মেয়েটার কথা শুনে রাগ হলেও তা
অন্যরকম
ভালোলাগায় কাজ করছিল।যেরকম
ভেবেছিলাম
মেয়েটাকে সেরকম না।
-ওরে কি লজিক তা এটা কি
আপনাদের বাসা?
-না এটা আমার খালামনির বাসা
আমি এখন তার
মেয়েকে পড়াতে যাচ্ছি।
-ও আচ্ছা যান তাহলে।
মেয়েটা চলে যাচ্ছে ওর বেগুনী রং
এর জামা আর
খোলা চুল সব মিলিয়ে ওকে purple
princes এর মত
লাগছে।কেন জানি আমার ওকে ধরে
রাখতে খুব ইচ্ছা
করছে।মনে মনে ভাবছি ওর মোবাইল
নম্বরটা রেখে
দিলে ভাল হতো কিন্তু কি না কি
মনে করে তাই আর
নিতে পারলাম না।আমি বাসায়
যাওয়ার জন্যে রিকশা
ঠিক করছি আর তখনি
-এই যে শুনছেন?
পেছনে ফিরে দেখি মেয়েটা
হাসিমুখে দাড়িয়ে
আছে।মেয়েটাকে দেখে আমার মনে
খুশির হাসি দেখা
দিল।আমার মনে হল ও হয়তো আবার
আমাকে কোথাও
নিয়ে যাবে
-কি হলো আবার আসলেন যে?
-আসলে আপনার নামটাই তো জানা
হলো না?
-ও আপনি আমার নাম জানতে এসেছেন
আমি আবার
মনে করলাম আবার কোথাও নিয়ে
যাবেন হয়ত
-না।আপনার কাজ নাঈ যান বাসায়
যান।
-অকে যাচ্ছি
-আরেহ নামটা তো বলে যান
-শিহরণ।
-ধন্যবাদ আচ্ছা আসি এমনিতেই দেরি
হয়ে গেছে।
এই বলে ও আবার চললে গেলো।আমি ওর
যাওয়ার
দিকে তাকিয়ে আছি।ধুর মনটা আবার
খারাপ হয়ে
গেলো।আমি একটা জিনিস খুব
ভালোভাবেই বুঝতে
পারছি কেন মেয়েটাকে ছেড়ে
আমার যেতে মন
চাচ্ছে না। আমিও বাসায় ফিরে
আসলাম।
চার
বাসায় ফিরে মায়ের হাতে ভালোই
বকা খাওয়া
লাগলো।কিন্তু কেন জানি আমার ওইসব
কিছুতেই মন
বসছে না।আমি শুধু জুঁই এর কথাই ভাবছি।
সেদিন মনে
হয়েছিল ওর চুলগুলা অনেক সুন্দর কিন্তু
আজ
ভালোভাবে দেখে বুঝলাম ওর চুল
গুলোর চেয়ে
চোখদুটো আরও বেশি সুন্দর।ওই মায়া
মায়া চোখদুটো
দেখলে যে কেউ পাগল হয়ে যাবে।
এইরে আমিও কি
হয়ে গেলাম নাকি।মিফতাহ জামান
এর গানের
লাইনটা মনে পড়ে গেল"ডুবেছি আমি
তোমার চোখের
অনন্ত মায়ায়।"আচ্ছা আমি কি ওকে
ভালোবেসে
ফেলেছি ধুর খাবার টেবিলে বসে
এসব কি ভাবছি
ভালোবাসা কি এত সোজা নাকি।
তাড়াতাড়ি খেয়ে
নিজের ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়লাম।কিন্তু
আমার চোখে
একদমি ঘুম নেই।অনেক আফসোস হচ্ছে
মেয়েটার থেকে
সাহস করে ওর নাম্বারটা নিয়ে
আসলে ভালো হতো।
আর কি কখনো ওর সাথে দেখা হবে
না।নেক্সট যেদিন
দেখা হবে যা হবার হবে ওর
নাম্বারটা নিয়ে নিবো।
এরপর থেকে রাস্তায় বের হলে অফিস
এ যাওয়ার সময়
অফিস থেকে আসার সময় ওকে
খুজতাম,দেখতাম কেউ
আবার এই যে বলে ডাক দেয় কিনা।
কিন্তু ২ সপ্তাহ হয়ে
গেল কিন্তু মেয়েটার দেখাই পেলাম
না।আজ জুঁইকে
আমি অনেক মিস করছি।কিছুই ভালো
লাগছে না
আমার।না ঠিক মতো খেতে
পারছি,না ঘুমাতে পারছি।
মনটা শুধুই জুঁইকে দেখার জন্যে ছটফট
করছে।মনে হয়
আর ওকে দেখতে পাবো না।তাহলে
কি আমি ওকে
ভালোবেসে ফেললাম।না জানিনা
কিন্তু যেভাবেই
হোক আমার ওরর সাথে দেখা করতেই
হবে।আমি আর
ওকে ছাড়া থাকতে পারছি না।ওর
নিস্পাপ মুখের
হাসিটা খুব মিস করছি এখন।অনেক
চিন্তা করে জুঁই ওর
যেই যখন খালামনির বাসায় পড়াতে
যায় তখন ওই
বাসার সামনে গিয়ে দাড়িয়ে
থাকলাম।কিন্তু ২ ঘন্টা
পার হয়ে গেল কারো কোনো দেখাই
পেলাম না।মনটা
আরও ভেংগে গেল।
না হয়ত আজ আর দেখা হবে না।
-এই যে মিস্টার শিহরণ এইখানে এতখন
ধরে দাঁড়িয়ে
দাড়িয়ে কার জন্যে অপেক্ষা করছেন?
আরেহ এই মেয়েটা কখন এসে আমার
পিছে দাড়িয়ে
ছিল আমি তো টেরই পাইনি।ওকে
দেখে আমি
বাচ্চাদের মতো খুশিতে হাসতে
লাগলাম
-মানে আপনি কিভাবে দেখলেন
আমি এইখানে
অনেকক্ষন ধরে দাড়িয়ে আছি?
-দেখছিলাম বাসার জানালা দিয়ে
কতখন দাড়াতে
পারেন
এইবার এই পাজি মেয়েটার উপর আমার
একটু রাগ হলো
ও অনেক আগেই বুঝেই গেসে আমি ওর
জন্যে দাড়িয়ে
আছি তবুও ইচ্ছে করেই আমাকে এতখন
অপেক্ষা
করালো।
-কি হলো আবার কোথায় হারিয়ে
গেলেন?কেন
দাড়িয়ে ছিলেন এতখন?
-আপনাকে না দেখে থাকতে
পারছিলাম না তাই।
-কি বলছেন?বুঝিয়ে বলেন?
-রিকশায় উঠি তারপর বলি?
-আচ্ছা।
আমরা রিকশাতে একসাথে বসেও চুপ
করে ছিলাম।মনে
অনেক কথা জমে আছে অন্যরকম ভয়ের
কারনে কিছুই
বলতে পারছিনা।
-আপনার কিছু বলার ছিল বলছেন না
কেন?
-আসলে কিভাবে বলবো বুঝতে
পারছিনা।আপনাকে
ছাড়া কেন জানি আমি ভালো
থাকতে পারিনা।আমি
ভালোবাসি।
-কি ভালোবাসেন?
-আপনাকে।
কথাটা বলেই আমি চুপ করে নিচের
দিকে তাকিয়ে জুঁই
এর উত্তরের অপেক্ষায়
-হা হা হা।
-কি হলো হাসছেন কেন?আমি কি
হাসার মতো কিছু
বলছি?
-না হাসছি আপনার অবস্থা দেখে
এতোটুকু কথা বলতে
কেউ এতো ঘামে?
আমি মেয়েটার কথা শুনে দেখলাম
সত্যি আমি অনেক
ঘামছি।
-তাহলে বললেন না?
-কি বলবো?
-আমি আপনাকে ভালবাসি তার উত্তর?
-আমি আপনাকে কেন ভালোবাসবো
শুনি?
-কারন আমি আপনাকে অনেক
ভালবাসি তাই,আর আমি
আপনার সব কথা শুনি তাই।
-না হবে না।আমি ভালোবাসাতে
পারবো না।আপনার
ভালোবাসার গ্যারান্টি কি?এখন
মনে হচ্ছে পরে তা
মনে নাও তো হতে পারে।
-আরে না সত্যি আমি আপনাকে
ভালোবাসি।আচ্ছা
কি করলে আপনি বুঝবেন যে আমি
আপনাকে
ভালোবাসি?
-আচ্ছা আমার নাম কি?ইংরেজিতে
বলেন?
-কেন? JUI
-নামের অক্ষর কয়টা?
-৩ টা।কিন্তু এসব কেন জিজ্ঞেস
করছেন?
-আমার নাম যে একটা ফুলের নাম এটা
জানেন কি?
-হ্যা জানি।কিন্তু তা দিয়ে কি হবে?
-৩ টা জুঁই ফুল নিয়ে এসে প্রপোজ
করবেন তারপর ভেবে
দেখবো আপনাকে ভালবাসা যায়
কিনা।
-ও শুধু এতোটুকু?আমি কালই নিয়ে
আসবো।আচ্ছা
আপনার মোবাইল দিয়ে একটা কল
দেয়া যাবে আমার
নাম্বার এ আসলে আমার মোবাইলটা
ভুলে বাসায়য়
রেখে আসছি তো তাই আম্মাকে কল
দিয়ে জিজ্ঞেস
করবো ওনার কিছু লাগবে কি না।
-সোজাসুজি বললেই পারেন আমার
নাম্বার লাগবে।
এতো ঘুরিয়ে বলার কি আছে?
-আচ্ছা আমার মনের কথা আপনি
কিভাবে না বলতেই
বুঝে যান?
-ম্যাজিক।
সেদিন অনেক খুশি মনে বাসায় ফিরে
আসলাম কারন
আগামীকাল ফুল নিয়ে গেলেই হয়ত
মেয়েটা রাজি
হবে।
পাচ
খুব ভরে আমি জুঁই ফুল খুজার জন্যে বের
হলাম।পুরো
শাহবাগ এর যতো দোকান আছে সব
খুজলাম কিন্তু
কোথাও ১ টাও জুঁই ফুল পেলাম না ৩ টা
তো দুরের কথা।
এখন বুঝতে পারছি মেয়েটা ভালো
চালাক ও আগে
থেকেই জানতো আমি এই ফুল খুজে
পাবো না তাই
ইচ্ছে করে এই ফুল নিয়ে যেতে
বলেছে।কিন্তু আমিও
কম জেদি না যেভাবেই হোক আমি জুঁই
ফুল যোগাড়
করবোই।অনেক খোজ লাগানোর পর
একটা লোক বলল এই
ফুল এতো প্রচলন নাই তাই কেউ বিক্রি
করে না।উনি
আমাকে একটা নার্সারি এর ঠিকানা
দিল।আমি
ওইখান থেকে জুঁই ফুলের চারা নিয়ে
আসলাম।
সন্ধায় চারাসহ টবটা নিয়ে বাসায়
গেলাম মা আমাকে
দেখে পুরাই অবাক
-কিরে এই গাছ দিয়ে কি করবি?
-না সকালে দেখলাম বারান্দাটা
খালি পড়ে রয়েছে
তাই ভাবলাম একটু সুন্দর করি।
-তোর যা ইচ্ছা কর কিন্তু এখন খেতে আয়
খাবার
ঠান্ডা হয়ে যাবে।
খাওয়া শেষ করে জলদি চারা
পরির্চযার কাজ শুরু
করে দিলাম যেভাবেই হোক জুঁই ফুল
আমাকে
ফোটাতেই হবে।তখন মনের মধ্যে
ভাবনা আসলো হায়রে
ভালোবাসা আমাকে চাষাবাদের
কাজ করায়া
ছাড়লো।
রাতে মেয়েটাকে কল দিলাম।কল
দিয়েই দেখি
মেয়েটা হাসছে।আমার আরর বুঝতে
বাকি রইল না যে ও
ইচ্ছা করেই এরকম মজা নিচ্ছে।
-কি ফুল পাইসেন?
-না পাই নাই তবে পেয়ে যাবো।
-হইসে মিথ্যে আশা বাদ দেন।আমি
ছোটবেলার থেকে
খুজে আসছি এখনো পেলাম না।আর
আপনি এই দুই
একদিন খুজে পেয়ে যাবেন সম্ভবই না।
-ওকে দেখা যাবে।আমি জুঁই ফুল
নিয়েই আপনার সাথে
দেখা করবো এর আগে কখনো আর
যোগাযোগ করবো
না।
সেদিনের পর জুঁইকে আর কল দেইনি
সিদ্ধান্ত নিলাম
ফুল নিয়ে গিয়েই ওর সাথে দেখা
করবো এরর আগে না।
এর মধ্যে ও আমাকে অনেকবার কলল
দিয়েছে কিন্তু
আমি ধরিনি।
প্রতিদিন সকালে আমি চারাতে
পানি দিয়ে
পরির্চযা করে অফিসে যেতাম আবার
অফিস থেকে
এসেও করতাম।এরকম করেম মাসখানেক
কেটে গেলো।
এর মধ্যে আমার গাছের ফুল ধরার সময়ও
এসে পড়লো।
আমার অনেক ভাল লাগছিল।আমি
প্রতিদিন রাতে ঘুম
থেকে উঠে দেখতাম ফুল ফুটেছে
কিনা কারন জুঁই ফুল
রাতে ফুটে।
ছয়
একদিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে
দেখি মোবাইলে জুঁই
১৭ টা মিসকল আমি অবাক হয়ে গেলাম
কারন একসাথে
এতগুলা কল ও কখনো দেইনি।তবে
আজকে কেন?আমি
আর দেরি না করে ওকে কল দিলাম
-এত কল দিলাম ধরছিলেন না কেন?
-আরেহ ঘুমিয়ে ছিলাম। কি হয়েছে
কোনো সমস্যা?
-হ্যা বাবা আমার বিয়ে দিয়ে
দিচ্ছে তাই আপনাকে
জানালাম।
-বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে মানে তাহলে
আমার কি হবে?
-যদি আজকে আমাকে বিয়ে করতে
পারেন তাহলে
বলেন?
-কিন্তু তুমি তো আমায় ভালবাসো না
আর তোমার ফুল?
-রাখেন তো সেই কথা।ওই ফুল আপনি
হাজার খুজলেও
পাবেন না।আজকে বিয়ে করবেন
কিনা বলেন?আজকে
বিয়ে না করলে আমাকে আর কখনো
পাবেন না।
-হ্যা করবো তো।আপনাকে ছাড়া
থাকতে পারবো না।
-তাহলে এখুনি মগবাজার কাজী
অফিসে চলে আসেন।
আমি তাড়াতাড়ি করে কোনোমতে
একটা পাঞ্জাবি
পড়ে বের হলাম সাক্ষীর জন্য
কামরুলকে আসতে
বললাম।কাজী অফিসের সামনে
গিয়ে দেখি আগে
থেকেই জুঁই দাড়িয়ে আছে।আমার
কাছে সবকিছু
অন্যরকম লাগছে বিশ্বাস হচ্ছে না যে
আজ আমার
বিয়ে।
অবশেষে ভালোবেসে বিয়ে করলাম
কিন্তু মেয়েটা
ভালোবাসে কিনা জানিনা।
-এই যে কি ভাবছেন?
-আপনাকে আমি আমার নাম বলসিলাম
তাও সবসময় এই
যে এই যে করেন কেন?কেমন লাগে
শুনতে।
-আমার যা ইচ্ছা বলবো।আর শুনেন আমি
যা বলবো সব
শুনবেন।আমাকে কষ্ট দিবেন না কখনো।
আমাকে নিয়ে
কয়দিন পর পরই রিকশায় ঘুরবেন।সপ্তাহে
২ দিন আমার
সাথে ওই বস্তিতে যাবেন।আর আপনার
মায়ের পরে সব
থেকে বেশি আমাকে
ভালোবাসবেন।এরকম না করলে
একদমই ভালো হবেনা।কথা দেন যা
বলসি তা করবেন?
-বিয়ে হলো ১ ঘন্টা হয়নাই এখনি হুকুম
জারি করা শুরু
করে দিসে।
-হ্যালো কি বলেন মনে মনে?
-কই কিছু না তো আপনি যা বলবেন তাই
হবে।এখন
বাসায় চলেন।
আমার অনেক ভয় লাগছে মাকে না
জানিয়ে বিয়ে
করেছি আল্লাহ্ ভালো জানেন আমার
কপালে কি
আছে।
বাসায় গিয়ে গেইট নক করতেই মা
গেইট খুলল
-মা ও জুঁই তোমার ছেলের বউ ওকে
ঘরে নিয়ে যাও।
আমার মায়ের সামনে দাড়াতে আর
সাহস হলো না।তাই
আমি বাসা থেকে বের হয়ে সোজা
মার্কেট এ চলে
গেলাম।হঠাত করে বিয়ে করেছি
অন্তত সাদামাটা
একটা আয়জন তো করতে হবে তাই জুঁই এর
জন্যে একটা
শাড়ি আর আমার জন্যে পাঞ্জাবি
নিয়ে বাসায়
গেলাম।বাসায় গিয়ে দেখি মা
এখনো জুঁইকে
ড্রইংরুমে বসিয়ে রেখেছে আমার
একটু ভয় হলো মা কি
এখনো রেগে আছে নাকি।আমি
ভেতরে আমার রুমে
গিয়ে পুরাই টাসকি মা আর কামরুল
মিলে আমার রুমটা
ফুল দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে
সাজিয়েছে।
-আম্মা তুমি কি রেগে আছো?আসলে
আজকে জুঁইকে
বিয়ে না করলে ওকে পেতাম না।
-হ্যা হয়েছে।আমি খুশি হয়েছি তুই ঘরে
যা।আর
শাড়িটা দে আমি বউ মাকে পড়ায়া
আনি।
যাক বাবা সবকিছু খুব ভালোভাবে
হয়ে গেলো।এমন
বেগুনী শাড়িটা পড়ে জুঁই আমার
সামনে এসে বসলো।
আমি ওর দিকে হা করে তাকিয়ে
আছি।একটা মেয়ে
এতোটা সুন্দর হতে পারে ওকে না
দেখলে বুঝতাম না।
মেয়েটা লজ্জা পাচ্ছে তাই আমার
থেকে একটু দুরে
বসে আছে।আমি ওর হাত ধরে
বারান্দায় নিয়ে গেলাম।
বারান্দায় গিয়ে ও পুরা অবাক হয়ে
গেলো।
-ওয়াও।তুমি তোমার কথা এইভাবে
রাখবে আমি
ভাবতেই পারিনি।
-অনেক কষ্টে এই ফুলগুলা ফুটিয়েছি।আর
ফুলগুলা
ছিড়তেও মন চাচ্ছিল না তাই
ভেবেছিলাম তোমাকে
এনে পুরো টবটা দেব কিন্তু এর আগেই
আমাদের বিয়ে
হয়ে গেল।তাই এখন বলো ভালোবাসো
আমায়?
-গাধা ভালো না বাসলে কি
তোমাকে বিয়ে করতাম?
আমি তোমাকে সেদিনই আমার
ভালোবাসার কথা বলে
দিতাম কিন্তু কিছু বলার আগেই তো
তুমি লাইনটা
কেটে দিয়েছ।আর আজকে এই ফুলগুলা
দেখে বুঝতে
পারলাম তুমি আমাকে কতটা
ভালবাসো।
-হ্যা অনেক ভালোবাসি তোমাকে।
-আচ্ছা তুমি জানলে কিভাবে যে
আমার প্রিয় রং
পার্পল যে আমার জন্যে পার্পল রংএর
শাড়ি নিয়ে
এসেছো?
-তোমার সাথে আজকে বাদে আমার
৩ দিন দেখা হইসে
এর মধ্যে ২ দিনই তোমাকে পার্পল
কালারের ড্রেস
পড়তে দেখেছি আবার বিয়ের সময়ও
পার্পলঈ পড়ে
এসেছো ওটা দেখে বুঝেছি।
-আমার গাধাটা কত বুঝে।হা হা।
-গাধা বলবানা আমাকে নাম আছে
আমার।
-ওরেহ রাগও আছে দেখছি তোমার
ওকে যাও বলবোনা।
-হ্যা এবার ঘরে চলো।
-কেন ঘরে যাবো কেন?বারান্দাতেই
অনেক ভালো
লাগছে আমার।আর আজকের দিনটা
আমার জীবনের
সবথেকে সুখের দিন তাই আজকের
রাতটা আমি আমার
চাদ আর ফুলের সাথে কথা বলে
কাটাতে চাই।
-আচ্ছা তুমি কথা বলো আমি গিয়ে
ঘুমাই আমার
সকালে অফিস আছে।
-আরে তুমি চলে গেলেতো সব কিছুই
অর্থহীন হয়ে
যাবে।ভালোবাসার মানুষটাই যদি
না থাকে তবে কার
সাথে কথা বলবো আমি?
নাহ পাগলির কথা যতঈ শুনি ততই ভালো
লাগে।তাই
বিয়ের দিনের রাতটা সারারাত ওর
কথা শুনেই
কাটিয়ে দিলাম।
সাত
বিয়ের দুই দিন পর অফিসের একটা ফাইল
খুজছিলাম
-জুঁই আমার ফাইলটা কোথায়
রেখেছো?
-তোমার টেবিলের ডয়ারে দেখো
আছে।
আমি টেবিলের ডয়ার খুলে দেখি
খাদিজা নামের
সেই মেয়েটার ছবি এখনো পড়ে আছে।
আচ্ছা খামটা
খুলে কি জুঁই কখনো দেখেনি?দেখলে
তো আমাকে
জিজ্ঞেস করতো।যাই হোক ছবিটা
মায়ের কাছে
দিয়ে আসি।যার ছবি তাকে দিয়ে
আসবোনে।
-মা এই নাও তোমার পাশের বাসার
সুন্দরি মেয়ের ছবি।
তোমার বউমা থেকে আর কেউ সুন্দরি
হতেই পারে না।
-তুই খামটা নিজে খুলে দেখতো
বাবা কে বেশি সুন্দর।
মায়ের কথা শুনে খামটা খুলে দেখার
পর আমার মাথায়
হাত।সেই চিরচেনা চুলগুলা সেই পাগল
করা
চোখদুটো,সেই মায়া মায়া চেহারা।
আরে এটাতো
আমারই বউএর ছবি।তার মানে
খাদিজাই আমার বউ।
কিভাবে কি?তাহলে জুঁই কে?
-আমিই বলি আমিঈ জুঁই আর আমি
খাদিজা।আচ্ছা তুমি
এতো গাধা কেন?কাজী অফিসে
আমি আমার নাম
খাদিজাতুল জুঁই বলেছি তুমি তখন শুনো
নাই?কোন
চিন্তায় ছিলা তখন?আর তোমার
মাথায় একবারওও এই
চিন্তা আসলো না যে মেয়ে
তোমাকে না চিনে এরকম
ব্যাবহার কেন করছে?বিয়ে হয়ে গেল
তারপরো মেয়ের
বাবা মা কিছু বলল না কেন?কারন
তোমার মা আমাদের
বাসায় গিয়ে অনেক আগে আমাদের
বিয়ে ঠিক করে
আসছে।কিন্তু তুমি রাজি হচ্ছিলেনা
বলে তোমার মা
আর কামরুল ভাইয়া বলেছে তোমার
সাথে মিশতে।
কিন্তু এটা লুকানো বাদে কখনো আমি
তোমার সাথে
মিথ্যে বলিনি তুমি আমার লাইফ
ষ্টাইল যেরকম
দেখেছো আমি সেরকমঈ।তোমার
ইচ্ছে ছিল ভালবেসে
তারপর বিয়ে করবা এতেতে তোমার
ইচ্ছাটাও পুরন হয়ে
গেল।
কথাগুলো শেষ করে খাদিজা নিচের
দিকে তাকিয়ে
ছিল।মায়ের দিকে তাকিয়ে দেখি
মা হাসছে
-আম্মা তুমি আমার সাথে এমনটা করতে
পারলে?আর
কামরুলের তো খবর আছে।আমাকে
বোকা বানানো।
-এত মেজাজ দেখাচ্ছিস কেন?তুই
নিজেই তো বিয়ে
করে আনলি আমরা কি কিছু বলেছি
নাকি?
পেছনে তাকিয়ে দেখি মেয়েটা
নেই।আমার রুমে
গিয়ে দেখি মেয়েটা বসে বসে
কাঁদছে।
-আরে তুমি কান্না করছো কেন?
-তোমার যদি মনে হয় আমি তোমাকে
বোকা
বানিয়েছি তাহলে এখনি আমাকে
তাড়িয়ে দাউ চলে
যাই।
-একটা থাপ্পড় দিবো পাগলি একটা।
তুমি আমার বউ
এটা তোমারি ঘর।আর আমি তোমাকে
অনেক
ভালোবাসি।তুমি ভাবলে কিভাবে
আমি তোমাকে
এসব বলবো।
-তুমি আমাকে মারবে?
-হ্যা মারবো কান্না করলে।কিন্তু এখন
আদর করবো।
এই বলে পাগলিটাকে বুকে টেনে
নিলাম।আল্লাহ্ এর
অশেষ শুকরিয়া আর আম্মা ঠিকই
বলেছে।অবশেষে এমন
একজনকে জীবনসঙ্গিনী রুপে পেলাম।

No comments:

Post a Comment