Sunday, October 2, 2016

*love frndz*

*love frndz*

- আজ তো আমাদের হলুদ ।যে আগে
অন্যজনকে হলুদ দিবে সে প্রথম কিস
করবে ।
: বললেই হলো ।
- কেন ?
- অর্ণব , তুই আমার সত্যিই ভালোবাসিস
তো ?
: হুম বাসি।
- ফ্রেন্ডই ভালো ছিলাম না ? বিয়ে
করার
দরকার আছে ।
: দরকার আছে ।কেন বিয়ে করবি না
না!
- বুঝতেছি না ।কি কি করবি
ভালোবাইসা?
আমরা তো প্রেম করি নাই।অড লাগবো
না তো?পরে ডিভোর্স দিয়া যাবি ।
: ধ্যাত। ওকে বিয়ের পর কাপলদের মত
কিস করুম , ডেট করুম । প্রেম করুম ।
ওকে ?
- কি হইছে তোর।ছিঃ ছিঃ লজ্জা
করে না
তোর।
: কাল বিয়ে আর আজ লজ্জা কইরা লাভ
আছে ? নওমী দেখ আমি সিরিয়াস।
অনন্যাকে অনেক মিস করি!
- অনন্যা কে?আগের গার্লফ্রেন্ড ?
একটা মেয়ের জন্য?ছিঃ ছিঃ । ফোন
রাখ
লুইচ্চা।
- ছিঃ ছিঃ কি বলিস ? নামটা সুন্দর
হইছে
না?আমি রাখছি!যদিও তোর ক্রেডিট
আছে !
: হু । তুই ওরে ভালোবাসিস ?
- হুম বাসবো।তোর চেয়ে বেশি ।
তোরে
আইডি লিংক দিতেছি ।
: আমায় চেয়ে বেশি?কুত্তা তোরে
জবাই
করমু। দেখ ফান করিস না !
- ওরে আর তোরে নিয়া একসাথে
থাকুম
ভাবতেই ভালো লাগতাছে ।
ফোন কেটে দেয় নওমী।মেজাজটা
খারাপ
হয়ে গেছে।ফেসবুকে অনন্যা নামের
আইডিতে ঢোকে।খুব কান্না পাচ্ছে
নওমীর !
এবাউটের লেখা পড়ে নওমীর চোখের
পাতা ভারী হয়ঃ
আমি জন্মাবো ২০২০ সালে ।
ছোটবেলায় আমার আম্মু ডায়েরীতে
লিখেছিলো যে আমার নাম হবে
অনন্যা।
সে ডায়েরী বাবা খুঁজে পায়।
বাবা মাকে অবাক করে দেয়ার জন্য
আমার
আইডি খোলে।
মা তুমি নিশ্চয়ই রাগ করেছো !
তাই না ?
বাবা তোমাকে অনেক ভালোবাসে।
আমাকে যদি একটু বেশি ভালোবাসে
তুমি
কি রাগ করবে ?
দ্রুত অর্ণবকে ফোন দেয়।কিন্তু অর্ণব
ফোন ধরে না।
আধাঘন্টা হয়ে গেছে।বাসায় সবাইকে
বলছে
ফোন দিতে।সবাই হেসেই উড়িয়ে
দিচ্ছে।
হলুদের অনুষ্ঠান একটু পরেই।
ঘরে এসে দেখে ঘরের বাতি
নেভানো।সুইচ
দেয়ার আগেই কেউ একজন অন্ধকার
জড়িয়ে ধরে।হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে
বলেঃ
তোকে ভালোবাসি কখনো বলা হয়নি।
তাই প্রোপজ করেছি এভাবে।তুই তো
চেয়েছিলি যেন সবচেয়ে আলাদা
করে
প্রপোজ করি।
জানিস তো তুই ছাড়া আমি কত
এলোমেলো!
প্লিজ!
তুই ছাড়া আমি কোন কাজ করতে পারি
না।
তাই ,
I'm sorry for being selfish. but i
need
you !
i love you !
নওমী চুপ করে আলতো করে অর্ণবের
গালে চুমু দিয়ে বলেঃ দেখেছিস
আমি কত
কেঁদেছি ?
প্রমিস কর আর কাঁদাবি না !
I LOVE YOU TOO
অর্ণব বলেঃ
হাতটা একেবারে ধরবো বলে প্রোপজ
করি নি ।সোজা বিয়ের আয়োজন
করেছি।
জীবন একটাই , বিয়েও তাই।
হাতটা ধরে রাখিস !
নওমী আবার বলেঃ আর একটা প্রমিস
কর !
অর্ণবঃ কি ?
নওমীঃ অনন্যাকে আমার চেয়ে বেশি
ভালোবাসবি !
অর্ণবঃ হোক তো আগে !
নওমীঃ ডেটটা একটু আগানো যাবে?
এতদিন
পর কেন?
অর্ণবঃ আশ্চর্য ! বিয়ের পর আগে
কয়েকবছর প্রেম করবো না !
বলেই গালে হলুদ লাগিয়ে দেয় নওমীর।
নওমী বলেঃ হবে না । বলেই হলুদ নিয়ে
দৌড়াতে থাকে অর্ণবের পিছে।
আধাঘন্টা পর দুজন হলুদে মাখামাখি
হয়ে
যায়।
হঠ্যাত্ স্বভাবসুলভ কন্ঠে নওমী বলেঃ
দোস্ত আমি তো হলুদ খাইয়া ফেলছি।
: ভালো হইছে। বিয়ের পর দোস্ত কইবি
না জান ?
- দুর হ ।
: আচ্ছা দোস্তই পারফেক্ট।
- কেন জান ডাকলে কি ?
: হাসি লাগে ।
নওমী ঘরে ঘোমটা দিয়ে বসে আছে।
অর্ণব দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে আছে।
ভালোবাসার অপেক্ষার অসাধারণ
প্রহরগুলো ধরে রাখার উপায় থাকলে
দারুন হতো !
ওদের ভালোবাসা টিকে থাকুক!!!!

No comments:

Post a Comment