Wednesday, September 14, 2016

fairy tale/রূপকথা~অনুভূতির স্পর্শ ~

fairy tale/রূপকথা~অনুভূতির স্পর্শ ~

~Samira Yousuf Jenny~

আজ রৌদ্রের cousin শুভ এর বিয়ে। বিয়েতে
attend করতেই রৌদ্রের আবার ৩ বছর পর
বাংলাদেশে আসা। চাকরির সূত্রে
রৌদ্রের বাবা ইংল্যান্ড এ সেটেল্ড।
রৌদ্রের জন্মও ইংল্যান্ড এ।বাংলাদেশে
৪/৫ বার এর বেশি আসা হয়নি তারপরও কেন
জানি বাংলাদেশের পরিবেশ তার খুব
ভালো লাগে, বিশেষ করে কাজিনদের যখন
একসাথে ঘুরেবেড়ানোর, ওদের মজার
ছবিগুলো দেখে ওর মনে একটু ঈর্ষা তো
জাগেই, তাই শুভ যখন জোড় করলো বিয়েতে
ওকে আসতেই হবে রৌদ্র আর না করতে
পারলো না। বাংলাদেশে বিয়েতে যে
rituals গুলো celebrate করা হয় তাতো আর
ইংল্যান্ড এ দেখা যায় না! এই যেমন শুভকে
দরজায় ডুকতে দেয়া হবে না, যতোক্ষণ না
শুভ তার শালীদের টাকা দিবে।একে নাকি
"গেইট ধরা" বলে। রৌদ্র দুপক্ষের টাকা
নিয়ে দরকষাকষি দেখেই মজাই পাচ্ছিল।
এইসময় একটা মেয়ে ফুলের প্লেট নিয়ে
আসছিল যা রৌদ্রের ধাক্কা খেয়ে পড়ে
যায়, রৌদ্র sorry বলে, মেয়েটার ফুলগুলো
তুলে দিচ্ছিল।
রৌদ্র :"I am really sorry, আমি আসলে
অন্যদিকে তাকিয়ে ছিলাম। please don't
mind" নিশ্চয়ই মেয়েটা অনেক রেগে গেছে
ভাবলো।
কিন্তু মেয়েটা রৌদ্রকে অবাক করে ওর
দিকে ফিরে বললো, না ঠিক আছে, আমারও
দোষ ছিল।আমার আরও সাবধান হওয়া উচিত
ছিল & Thanks for the help" মেয়েটি বলে চলে
গেল।
মেয়েটার সাথে কথা বলে রৌদ্রের খুব
পরিচিত মনে হলো। কয়েক সেকেন্ড চিন্তা
করতেই ওর মনে পড়ল কিভাবে!
৩ বছর আগে, রৌদ্র বাংলাদেশ এসেছিল।
তখনও ওর আর একটা cousin রিহা এর
বিয়েতে। রৌদ্রের প্রায় সমবয়সী হওয়ায়
রৌদ্রের সাথে রিহার খুব বন্ধুত্ব ছিল।
রৌদ্রের বাবা মা বিয়ের জন্য চলে আসলেও
রৌদ্রের exam থাকাতে আসতে পারে নি।
পরে রিহার মন খারাপ হওয়াতে শুধু বিয়ের
দিন আসে কিন্তু কাউকে না জানিয়ে
রিহাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য। যেহেতু
ওরকাছে রিহাদের বাসার address ছিল,
তাই একলা যাওয়া কঠিন হবে না।
এয়ারপোর্ট থেকে ক্যাব নিয়ে আসার সময়
একটা ice cream parlour চোখে পড়ায়,
ছোটবেলার কথা মনে পড়ল, রিহা
আইসক্রিম এর জন্য পুরো পাগল ছিল। কখনো
কাউকে ওর আইসক্রিম ধরতেও দিতো না।
রৌদ্র ক্যাব দাড়িয়ে নিহার জন্য
আইসক্রিম কিনতে ডুকে। কিছু মিনিট পর
যখন রৌদ্র আইসক্রিম নিয়ে বের হয়, দেখে
ক্যাব টা ওখানে আর নেয়।
আশেপাশে কোথাও দেখতে পেল না! ওর
luggage, address ঐ Cab এ রয়ে গেছে।
ভাগ্যিস! পাসপোর্ট টা ওর সাথেই ছিল!
আশেপাশে কাউকে cab এর কথা জিজ্ঞাসা
করলে কেউ ক্যাবটাকে দেখেনি।
এইভাবে জিজ্ঞাসা করতে করতে রৌদ্র
কিছুটা এগিয়ে যায়।সামনে একটা মার্কেট
ছিল। মার্কেট এর সামনে একটা মেয়েকে
দাড়িয়ে থাকতে দেখে। মেয়েটা কে দেখে
ভদ্র মনে হওয়ায়, রৌদ্র তাকে কোন ক্যাব
দেখার কথা জিজ্ঞাসা করতে মেয়ে টা
কিছুটা বিরুক্ত হয়ে না সূচক মাথা নাড়ল।
রৌদ্র কিছুটা হতাশ হয়ে Thanks বলে আবার
আশপাশ খুজতে লাগলো।
ইরা ওর বান্ধবীর জন্য মার্কেট এর সামনে
অপেক্ষা করছিল। তাই ছেলেটা প্রথমে
জিজ্ঞাসা করায় পাত্তা দেয় নি। কিন্ত
কিছুক্ষণ পরও যখন ছেলেটা কে অন্যদের
জিজ্ঞাসা করতে দেখলো, ওর কিছুটা
কৌতূহল হল। ইরা রৌদ্রের কাছে গিয়ে
জিজ্ঞাসা করলো, আচ্ছা আপনি এইভাবে ঐ
ক্যাবটা খুঁজছেন কেন? অন্য একটা ক্যাব
নিলেই তো পারে?"
রৌদ্র তারপর তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা
ইরাকে বলে। " আসলে আমি luggage নিয়ে
Tensed না, আমার address টা ড্রাইভার কে
দিয়েছিলাম। আর আমার address ও মনে
নেয়! আমি বাসায় যেতে পারবোনা উনাকে
ছাড়া।"
ইরা কিছুটা আতকে উঠে,আপনার address
মনে নেই মানে?
"Actually আমার একলা কখনো দেশে আসা
হয়নি, so I never needed to remember the
address. & the address was lil bit hard to
remember..."
রৌদ্র কিছটা লজ্জা পেয়ে বললো।
"শুনুন, It's not Desh, It's Bangladesh. full name
বলতে problem হলে নাম বলার প্রয়োজন
নেয়। ইরা কিছটা রেগেই বললো।
রৌদ্র কিছু বলার আগই, ইরা আবার বললো,
আপনি ক্যাবটা কোথায় দেখেছিলেন last?
ওইখানেই চলুন। আইসক্রিম পার্লারের
সামনে ইরাকে রৌদ্র নিয়ে আসলো।
ইরা:আপনার কি একদম ই মনে নেয় address
টা? অল্প কিছু?
রৌদ্র মাথা নেড়ে, just place টার মনে ছিল
কিছুটা। কোলসি or something?
ইরা চোখ কিছটা বড় করে বললো "খুলশী?"
রৌদ্র মাথা নেড়ে বললো, yes.
ইরা খুব জোড়ে হেসে উঠলো। রৌদ্র বুঝতে
পারছিল না এইখানে হাসির কি আছে?
ইরা কোনভাবে হাসি আটকিয়ে, "আচ্ছা
সমস্যা নেয়। আমি খুলশী জায়গাটা চিনি।
যদি ক্যাবটা না পান, আমি একটা ব্যবস্থা
করে দিব আপনার যাওয়ার। কিন্তু luggage
টা বোধহয় পাবেন না। তবে একটা police case
করতে পারেন".
রৌদ্র মাথা নেড়ে বললো "না আমার
luggage না পেলেও চলবে। ৩/৪টি ড্রেস
এনেছিলাম।বিয়েত পড়ার জন্য suit
এনেছিলাম। Infact, the suit will suit the Driver.
I hope he likes It"
ইরা কিছটা অবাক হয়ে রৌদ্রের দিকে
তাকালো এই ছেলে কি আসলেই এতো
ভালো মনের নাকি পরিস্থিতির স্বীকার
হয়ে ভালো সাজার অভিনয় করছে?
রৌদ্র ইরার দিকে ফিরে,
By the way, আমার নাম টা বলা হয়নি, আমি
রৌদ্র। আপনি?
ইরা তার নাম বলল আর কিছুটা হেসে বললো
কোলসি বলতে কষ্ট হলেও রৌদ্র তো ঠিক ই
উচ্চারণ করলেন। বাংলা নাম আপনাকে
মানিয়েছে কিন্তু।
" Thanks. মা ই নামটা দিয়েছেন। when I was
a baby of few months, I was very fond of
sunlight. I used to laugh seeing the rays of light.
তাই মা নাম রাখেন রৌদ্র। "
এই সময় রৌদ্র কে যেন পিছন থেকে ডাক
দেয়।"স্যার, আপনি আসছেন?" রৌদ্র ফিরে
দেখে ক্যাব এর ড্রাইভার। রৌদ্র অবাক হয়ে
বললো, আপনি কোথায় চলে গিয়েছিলেন?
ড্রাইভার কিছুটা হেসে," স্যার ভাবছিলাম
আপনার দেরি হবে, তাই পাশে হোটেলে চা
খেতে গেছিলাম কিন্তু ওইপাশে জ্যাম
হওয়াতে আসতে একটু দেরি হয়ে গেল।"
"আপনি আমাকে বলে যেতেন? আমি তো
মানা করতামনা"
সরি স্যার! আপনি চলেন। আপনার দেরি
হয়ে যাচ্ছে। "
রৌদ্র ড্রাইভার এর সাথে কথা বলে
ফিরতেই দেখে ইরা ওকে না বলেই চলে
গেছে। রৌদ্রের খুব খারাপ লাগলো । ইরা
ওর এতো help করলো আর thanks বলার সুযোগ
না দিয়েই চলে গেল।
শুভ এর বিয়েতে ইরাকে দেখে রৌদ্রের ৩
বছর পুরানো সবকিছু মনে পড়ল। ইরার
নামটাও তার মনে আছে, এতেও অবাক হলো
সে! ইরা কে পিছন থেকে ডাক দিল রৌদ্র,
"ইরা, আমাকে মনে আছে? ৩ বছর আগে......"
রৌদ্র আর কিছু বলার আগে, ইরা মুচকি
হেসে বললো, হুম sunlight সাহেব, আপনার
মতো কালসি কে ভুলা যায়?
রৌদ্র হেসে বললো, এখন আমি ঠিকভাবে
বলতে পারি, কুলশী। মানে অনেকটা ঠিক।
by the way, Thanks"
ইরা অবাক হয়ে , "কেন?"
"প্রথমত, সেদিন এর help এর জন্য আর আজকে
আমায় মনে রাখার জন্য।
আপনি সেদিন না বলে চলে গিয়েছিলেন
কেন? আপনাকে Thanks ও বলার সুযোগ দেন
নি"
ইরা:"কারণ আমি আপনাকে কোন সাহায্য ই
করি নি।তাই Thanks বলার কিছুই নেয়"
রৌদ্র কিছু বলবে তখনই ওর ফোন এ রিং
হলো।
মোবাইল এ আসমি নামটা দেখতেই রৌদ্রের
হাসিমুখ টা মলিন হয়ে গেল। রৌদ্র কলটা
কাট করে দিল। কিছু সেকেন্ড পর রৌদ্রের
ফোন আবার বাজল। আবার আসমি এর কল।
রৌদ্র ইরাকে পরে কথা হবে বলে কলটা
রিসিভ করে চলে গেল।
রৌদ্রের চেহারার ইরা একটা বিষণ্ণতা
খেয়াল করলো কিন্তু কেন বুঝতে পারলো
না!
রৌদ্র ভেবেছিল সকালে ও ই হয়তো
তাড়াতাড়ি উঠেছে, গতকাল বিয়ে ছিল,
সবাই খুব tired থাকবে কিন্ত ওকে অবাক
করেই ঘরের সব মহিলারা সকাল ৭ টা
বাজেও রান্নায় ব্যস্ত।
আজ নাকি নতুন ভাবির বাসা থেকে
মেহমান আসবে তাই সকাল থেকেই সবাই
ব্যস্ত।
মেহমান দের মাঝে ইরাকে দেখে। পড়ে
জানতে পারে, ইরা হৃদি ভাবির কাজিন।
ইরাকে দেখে রৌদ্রের খুব কথা বলতে ইচ্ছে
হচ্ছিল। জানে না কেন মেয়েটার সাথে
কথা বলতে একটা প্রশান্তি অনুভব হয়।
রৌদ্রের চিন্তার মাঝে ছেদ ধরিয়ে ফোন
বাজে। রৌদ্র না দেখেই বুঝতে পারছে,
এইটা আসমি এর কল। রিসিভ করতে ইচ্ছে
হচ্ছে না।
"কি ব্যাপার? কল রিসিভ করছেন না কেন?"
ইরা কখন এসেছে বুঝতেও পারেনি।
রৌদ্র : হুম করবো, একটু পর।
ইরা: আসমি নামে সেইভ করা। আপনার
গার্লফ্রেন্ড?
রৌদ্র: না, my fiance.
ইরা: ওয়াও, আপনি, engaged? congrats!
কতোদিন হলো?বিয়ে কখন?
রৌদ্র: 8 months হলো। বিয়ে হলে জানবেন
নিশ্চয়ই।
ইরা: ওকে। আচ্ছা আপনাদের affair marriage
or arranged?
রৌদ্র কিছুটা আনমনেই বললো :"আমি
নিজেও জানিনা"
ইরা:" কি বলছেন, বুঝলাম নাতো?"
রৌদ্র: কিছু না। আপনাকে হয়তো ডাকছে।
আর শুনুন, কাউকে বলবেন না আমার
engagement এর ব্যাপারে। আমি এখনো
জানাইনি কাউকে"
ইরা "আচ্ছা" বলে যাওয়ার সময় খেয়াল
করলো রৌদ্র ফোন silent করছে।
ইরা এখন রৌদ্র কে দেখছে অবাক হচ্ছে, ৩
বছর আগে দেখা ছেলেটা আর এই ছেলেটার
সাথে ও মিলাতে পারছে না। আগে তার
চোখ এর মাঝেও চঞ্চলতা ছিল এখন সে
কথাও খুব কম বলে।আর নিজের engagement
এর কথা লুকাবার কি আছে?
বিকালে রৌদ্র ছাদে দাড়িয়ে আছে, এই
কয়দিনে এই জায়গাটা ওর খুব মন ছুঁয়েছে।
সবাই মিলে ছাদে আসাতে হয়তো আর
ছাদটা নিজের মনে হচ্ছেনা,আবার চলে
যেতেও ইচ্ছে হচ্ছে না।
ইরা: ছাদটা আপনার খুব পচ্ছন্দ হয়েছে ?
রৌদ্র: হুম, অনেক। ইচ্ছে হচ্ছে কাল সাথে
করে নিয়ে যাই"
ইরা: আপনি কাল চলে যাবেন? reception
party তে থাকবেন না?
রৌদ্র : না চলে যেতে হবে
ইরা: ওহ! আপনার বাংলা কিন্তু অনেক
improved হয়েছে "
রৌদ্র: হুম, ঐ দিনের ঘটনার পর, অনেক
practice করি।
আচ্ছা আপনার boyfriend আছে?"
ইরা হেসে বলে," না আমার boyfriend নেই।
সবাই তো আপনার মতো ভালোবাসার
মানুষ খুঁজে পায় না সহজে।"
রৌদ্র : "আপনার ভালবাসার মানুষকে এখনো
খুজে পাননি?"
ইরা: "না, আসলে আমার fairy tale খুব পচ্ছন্দ!
রাজকুমার আসে এবং হাটুতে বসে
রাজকুমারীকে propose করে & they live
happily ever after. যদিও অনেকক্ষেত্রে
রাজপুত্র এর সাথে ভালোবাসার মানুষের
definition মিলে না!"
রৌদ্র: ভালোবাসার মানুষ এর definition কি
আপনার কাছে?
ইরা : "যার সাথে সব দোষ, ভূল সহজেই
স্বীকার করা যায়, যার সাথে কথা অনবরত
কথা বলা যায় & সে বিরক্ত হবে না কখনো।
যার উপস্তিতিতে আর কোনো কিছুর অভাব
অনুভব হবে না। আর,যে আমাকে disrespect
করবেনা আমাকে অবহেলা করে, আমার কল
কাট করে।
রৌদ্র হঠাৎ রেগে : আপনি বলতে চাচ্ছেন,
আমি আসমিকে Disrespect করি?Do U even
know me or us? I never said or touched her
inappropriately.Cause I respect her"
ইরা: রৌদ্র আপনি আমাকে ভুল বুঝছেন।
কিন্তু ঐ respect এর কোন মূল্য ই থাকবে না,
যদি আপনার ভালোবাসার, আপনার affection
এর প্রকাশ ই করতে না পারেন,যদি তার
অনুভূতিকে বুঝতে না চান, Respect আপনার
সর্ম্পক বাঁচাতে পারবে না।
sorry যদি আমার কথা আপনার কষ্ট লাগে"
ইরা চলে যেতে আগ বাড়াতে ই...
রৌদ্র : আমি আসমিকে ভালোবাসি না।
ইরা অবাক হয়ে" তাহলে বিয়ে করছেন কেন?
রৌদ্র : আমি আর আসমি ছোটবেলা থেকেই
friend, best friend.আমার life এ খুব পচ্ছন্দের
মানুষের একজন।কিন্তু আমি ওকে কখনো
বন্ধুর চেয়ে বেশি কখনোই ভাবি নি।তাই ও
হঠাৎ আমাকে propose করলে আমি মানা
করে দি। আমি বুঝতে পারি নি ও এতো টা
সিরিয়াস হয়ে যাবে That she would attempt
to suicide. uncle , aunty বাসায় এসে এতো
কান্না করছিলেন, আমি আর না বলতে
পারি নি। ভেবেছিলাম সুস্থ হলে ওকে
বুঝিয়ে বলবো কিন্তু ওর possessiveness, ওর
এতো আবদার, আমাকে বার বার guilty feel
করাচ্ছে!"
ইরা: "আপনি অন্য কাউকে ভালোবাসেন?
রৌদ্র মাথা নাড়ে।
ইরা: যদি আপনি একজনকে ভালোবেসে,
অন্যকাউকে বিয়ে করেন, তাহলে ভুল হবে।
কিন্তু আপনার জীবনে যদি কেউ না থাকে
তাহলে আপনাকে এতো ভালোবাসে, এমন
মেয়েকে হারানো আরো অনেক বড় ভুল হবে।
হয়তো আপনি ওকে ভালোবসেন কিন্তু
কখনো বুঝতে পারেননি। আপনি বেশি
ভাবছেন বলে হয়তো এমন অনুভব হচ্ছে ।আর
জরুরি তো না যে যাকে বিয়ে করছেন
তাকে ভালোবেসেই বিয়ে করতে হবে?
বিয়ের পরও তো ভালাবাসা জন্মায়। এ মন
কোন decision নিবেন না যা আপনাকে পরে
কষ্ট দিবে "
রৌদ্র চলেযাওয়ার ৩ দিন পর ইরাকে fb তে
friend request পাঠায় এবং মেসেজ দেয়
"আমাকে আবার পথ দেখাবার জন্য ধন্যবাদ
"
এরপর কিছুদিন তাদের মাঝে মেসেজ দেয়া
নেয়া হয়।
ইরাও আজকাল fb তে রৌদ্রের মেসেজ এর
অপেক্ষায় থাকে যদিও রৌদ্র তেমন একটা
কথা বলে না।হঠাৎ ইরা দেখে রৌদ্রের
relationship status changed."In a relationship
with Asmi". আসমি এর ছবি দেখে ইরা
রীতিমতো অবাক হলো, রৌদ্র এতো সুন্দর
মেয়েকে কিভাবে না বলতে পেরেছিলো ?
গতকাল রৌদ্রের বিয়ের কার্ড ইরাকে
ইমেইল করেছে। ইরার খুশি হওয়া উচিত
রৌদ্র ওর জীবনে আসমিকে আপন করে
নিয়েছে, যা ইরাই রৌদ্রকে বলেছিল কিন্তু
কেন জানি ওর খুব অদ্ভুব অনুভব হচ্ছে। মনে
হচ্ছে ওর প্রিয় কিছু হারিয়ে যাচ্ছে।কখন
যে চোখ ভিজে গেছে ইরা বুঝতেই পারে
নি।
সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙে গেল ইরার।
আজ রৌদ্রের বিয়ে। নিশ্চয়ই ও খুব খুশি।
হঠাৎ খুব ছাদে যেতে ইচ্ছে হলো তার।
ছাদে উঠে ইরা খেয়াল করলো আজকের
দিনে রৌদ্র একটু বেশি ই। আজকে ওর খুব
মেঘ দেখতে ইচ্ছে, ঝুম ঝুম বৃষ্টিতে
অনেকদিন ভিজা হয় না। খুব ভিজতে ইচ্ছে
হঠাৎ গেইট এ চোখ যেতেই দেখল রৌদ্র
দাড়িয়ে আছে, প্রথমে ভাবলো ও হয়তো
কল্পনা করছে, কিন্তু রৌদ্র যখন ওর
চিরচেনা হাসি দিয়ে হাত নাড়ল, ইরা আর
নিজেকে আটকাতে পারলো না। জীবনের
সবচেয়ে দ্রুততম দৌড় টা দিয়েই গেইট এ
পৌছালো।
ইরা:তুমি এখানে কি করছো? তোমার না
আজকে বিয়ে?
কখন যে 'আপনি' থেকে 'তুমি' ডেকে
ফেলেছে বুঝতে ও পারে নি।
রৌদ্র: ছিল কিন্তু কেউ একজন আমাকে
বলেছিল কাউকে ভালোবাসলে অন্য
কাউকে বিয়ে করাটা ভূল। আর আমি বুঝতে
পেরেছি, আমি অন্যকাউকে ভালোবাসি।
ইরা রৌদ্রের চোখে তাকিয়ে বললো,
"কাকে ভালোবাসেন?"
রৌদ্র:"যেইদিন তোমাকে আমি প্রথম
দেখেছিলাম, আমি তোমার নামও জানতাম
না!
কিন্তু কেমন যেন এক ভালোলাগা কাজ
করেছিল তোমায় নিয়ে। I felt like I know you
even before I met you. Seemed like, It was
destined.. It was magical.
এরপর অনেক বছর পার হলেও আমি তোমায়
ভুলি নি। এইরকম আমার আগে কখনো feel হয়
নি। আমি জানি আমি অনেক hard decision
নিয়েছি।
But I know It's worth enough..
Cause, you are the ultimate destination for me."
ইরা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে কথা গুলো শুনেছিল।
রৌদ্র: তোমার fairy tale অনেক পচ্ছন্দ না?
Ok!! বলেই রৌদ্র রাস্তায় হাটুতে বসে ইরার
দিকে হাত বাড়িয়ে বললো,
"Will You do the honour to make me a part of
your life so that We can live happily ever after?"
ইরা তার কাপা কাপা হাতে রৌদ্রের হাত
স্পর্শ করলো।

No comments:

Post a Comment