Thursday, September 15, 2016

"ঝগড়া,রাগ,অভিমান খুনসুটি অন্তঃপর প্রেম"

"ঝগড়া,রাগ,অভিমান খুনসুটি অন্তঃপর
প্রেম"

........লিখা:মোঃ মাসুদ রানা
(অপরাজিত আমি)........

__এভাবে আমার পিছু নিয়েছেন কেন?
(মেয়ে)
__কাকে বলছেন?(ছেলে)
__এখানে আপনাকে ব্যাতিত আর
কাউকে দেখতে
পাচ্ছেন কি?
__ নাহ!আপনি একটু থামুন।
__কেন?
__আমি আপনার সামনে যাবো।
__মানে কি?
__মানে আবার কি তখন আর আপনার পিছু
নিতে
পারবো না।(কিছুটা রাগের স্বরে)
__আমি আপনার খাই না পরি যে আপনি
যা বলবেন তাই
শুনতে হবে।(খুব একটা রাগের স্বরে)
__তা আপনি আমায় খাওয়ান না পরান?
আপনি আমাকে বলার
কে?রাস্তাটা কি আপনার বাপ দাদার
নাকি? (রাগের
স্বরে)
__ অভদ্র,অসভ্য কোথাকার সুন্দরী মেয়ে
দেখলে ওমনি পিছু নিতে শুরু করেন।
(রাগের
স্বরে)
__ও হ্যালো...আপনি সুন্দরী কে বলেছে
আপনাকে? আয়নায় নিজের মুখটা
দেখেছেন
কখনো ভালো করে?আপনার থেকে চড়
এলাকার
জরিনা,সখিনা রাবেয়া ওরা দেখতে
অনেক অনেক
সুন্দর।(রাগের স্বরে)
__আরে ধূর আপনার থেকে জঙ্গলের
বানরগুলোও অনেক সুন্দর দেখতে।(রাগের
স্বরে)
__ব্যায়াদব মেয়ে সহজ সরল ছেলে
পেলে
ওমনি ঝগড়া শুরু করে দেয়।(রাগের স্বরে)
__ নিজে ঝগরাটে আবার অন্যকে বলে।
(রাগের
স্বরে)
__ আরে ধুর ছোরে দারান আমি তোমার
মত
বেজিমুখা কারো না আমার
গার্লফ্রেন্ডের
দেখা করতে যাবো।
__ও হ্যালো.... আমিও যাচ্ছি আমার
বয়ফ্রেন্ডের
দেখা করতে আপনার মত বান্দরমুখার
সাথে না।(এই
বলে আর কোন কথা না বলে আবার চলতে
শুরু
করলো আদিবা)
__আরে ধূর বলে আবারো আদিবার পিছু
পিছু হাটতে
শুরু করলো অয়নও।(এরপর কেউ কারো সাথে
কথা না বলে কিছুটা হাটতে হাটতে
একই
রেস্তুরেন্টে ঢুকে পড়লো। আদিবাকে
ফলো
করে ঠিক তার পাশের টেবিলটায় বসে
পড়লো
অয়ন) তারপর....
__ কি খাবেন আফা?(আদিবাকে বললেন
সেল্সম্যান)
__ঐ দিকে কি খাবেন ভাই?(অয়নকে
বললেন
সেল্সম্যান)
__ফুচকা নিয়ে আসেন।(বললো আদিবা)
__ঐ দিকে আমাকেও এক প্লেট ফুচকা
দেন।
(বললো অয়ন)
__আমি ফুচকা খাবো না জাষ্ট এক কাপ
কপি নিয়ে
আসেন।(অয়নের দিকে একবার খুর রাগের
দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো আদিবা)
__শুনুন! শুনুন! আমাকেও জাষ্ট এক কাপ কফি
দিবেন
প্লিজ।(বললো অয়ন)
এরপর অয়নের দিকে একবার চোখ বড় করে
তাকিয়ে গলা ঘুরিয়ে নিলো আদিবা।
তারপর চা পান
করতে করতে মানি ব্যাগ থেকে
ফোনটা বের
করলো আদিবা। এবং ও কল করা মাত্র
অয়নের
ফোন বেজে উঠলো.... হ্যালো বলার
আগেই
কল রিসিভ করা মাত্র "হ্যালো আমি
আপনার বলা
রেস্তুরেন্টে বসে আছি! আপনি
কোথায়?"
__আমিও তো... তো... তো
রেস্তুরেন্টে...
.
(দু'জন দু'জনার দিকে তাকিয়ে)
__আরে আপনি কেন এখানে এসেছেন?
যার
আসার কথা সে আসলো না কেন? (বললো
অয়ন)
__ মানে? (বললো আদিবা)
__আমি যার সাথে দেখা করতে এখানে
এসেছি সে
আপনার মত ঝগরাটে আর বদমেজাজী না।

আসেনি কেন?
__ও হ্যালো.... মুখ সামলে কথা বলুন। কোন
চর
থেকে যে আসে এরা। আমি যার সাথে
দেখা
করতে এসেছি সে আপনার মত বানরমুখা
না।
__ওই বদমেজাজী বদের হাড্ডি মেয়ে
তাহলে
তুই আমার নম্বর পেলি কোথা থেকে আর
তুই এই
সময়ে এখানে কেন?
__ওই চরুয়া ছেলে তুই এই নম্বর
দিয়েছিলি। আর,
তুই এ বা এখানে কেন এই সময়ে?
__তাহলে এত দিন কি তোর সাথে চ্যাট
করতাম?
__ চ্যাট করেছিলাম তোকে না চিনে।
এরপর ভাবিছ
না তোর সাথে আবারো চ্যাট করবো।
__ ওই বদমেজাজী, বদের হাড্ডি তুই
কিভাবে ভাবলি
তোর মত অসভ্য মেয়ের সাথে আমি চ্যাট
করবো। আমি রাইটার আমার লিখা
হাজারো মেয়ে
পরে। হাজারো সুন্দরী মেয়ে আমার জন্য
ফিদা।
(এইবলে বের হতে শুরু করলো অয়ন)
__ আরে যা যা তোর মত কত রাইটার
পকেটে
করে ঘুরি সব সময়।
এরপর রাতে অয়ন তার ফ্রেন্ড রাহুলের
কাছে
এসে...
__ওই মেয়ে ঝগরাটে, বদমেজাজী আর
অসভ্য
রে দোষ্ট। ওর সাথে রিলেশনে জড়াবি
না।
তাহলে তোর লাইফটা ফানা ফানা
করে ছাড়বে। মাত্র
আধ ঘন্টা সময়ে আমার যা অবস্থা করেছে
জানিস না।
__তুই যখন না করছিস করবো না। তবে
মেয়েটাকে দেখতে কেমন রে?(বললো
রাহুল)
__ দেখতে কিন্তু অসাম রে। ঠিক যেন
আমার
স্বপ্নে দেখা রাজকুমারীর মত। দেখলে
রাজকুমারী হলে কি হবে খুব
বদমেজাজী রে।
একদিন ওকে উচিৎ শিক্ষা দিয়েই
ছাড়বো।
(ঐ দিকে রাতে আদিবা ওর বান্ধবী
রত্না কে গিয়ে
ঠিক একই কথা বলেছিলো যা
বলেছিলো অয়ন
রাহুল কে)
__তুই ঐ ছেলের সাথে রিলেশন করবি না।
কারন, ও
খুব বাজে টাইপের একটা ছেলে। (বললো
আদিবা)
__তুই যখন না করছিস করবো না। (বললো
রত্না)
__ছেলেটা আর যাহোক কিউট আছে
কিন্তু রে
রত্না।
তবে ও আমাকে যেভাবে অপমান করছে
এর
যতেষ্ঠ জবাব দিবো একদিন।
__তাই নাকি তুই যা ভালো মনে করিছ।
# ফ্লাশ_ব্যাক____
রাহুলের বাড়ি রংপুর বিভাগের
পায়রাবন্দ গ্রামে। ও ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি তে এবার ৫ম
সেমিষ্টার। ও সলিমুল্লাহ হোস্টেলে
থাকে। প্রায় প্রতিদিন কয়েকটা
পত্রিকার সাহিত্য পাতায় ওর লিখা
প্রকাশিত হয়। ওর লিখাগুলোতে আছে
প্রেম, ভালবাসা, বাস্তবতা, বিদ্রহীতা
আর হাস্যকর কিছু। দিন দিন ওর লিখার
পাঠক সংখ্যা বেড়েই চলছে। অনেকবার
বাহবা পেয়েছে ও পাঠকদের কাছ
থেকে। প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন নম্বর
থেকে ওনেকে ফোন করে ওকে বাহবা
জানায়। প্রতিদিনের ন্যায় আজও একটা
নম্বর থেকে ফোন এসেছে........
__ আমি রত্না। আমার বাড়ি কুমিল্লা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় ১ম
সেমিষ্টার এবার। আপনার লিখাগুলো
পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। প্রায় ১৫
দিন পত্রিকায় আপনার কোন লিখা
প্রকাশিত হচ্ছে না। এজন্য বাধ্য হয়ে কল
করলাম। অবশ্য এর আগেও বেশ কয়েকবার
আপনাকে ফোন করেছিলাম।
__ জ্বি গত ১৫ দিন যাবৎ আমি জ্বরে
ভুগছি তাই কোন লিখা দেয়া হয়নি।
__ঔষধ খান নি?
__ খাচ্ছি তো তারপরও কেন জানি জ্বর
কিছুতেই সাড়ছে না। ডাক্তার বলেছে,
আর দু'এক দিনের মধ্যে নাকি সেড়ে
যাবে জ্বরটা।
__সুস্থ হলে আমার সাথে দেখা করতে
পারবেন একদিন? আপনাকে দেখার
আমার খুব ইচ্ছা অনেক আগে থেকেই।
__ঠিক আছে।__ ভালো থাকবেন। আল্লাহ
হাফেজ।
__ আপনিও ভালো থাকবেন। আল্লাহ
হাফেজ।
এরপর কথা কোন এক বিকেলে দেখা হয়ে
গেল দু'জনের। এতসব বাড়িয়ে বলছি না
জাষ্ট এতটুকুই বলবো ১ম বার রাহুলকে
দেখার পর রত্নার মনের বর্ননা ছিলো
ঠিক এরকম, "ও ঠিক যেন আমার স্বপ্নে
দেখা রাজকুমারের মত। যাকে নিয়ে
আমি প্রতিটাক্ষন ভাবি। যে প্রতি
রাতে স্বপ্নে আসে আমার মাঝে।
কিছুক্ষন আমার মাঝে বিচরন করে আবার
চলে যায়। যার জন্য সকাল থেকে সেই
রাত অর্থাৎ স্বপ্নে আসার পূর্ব মহুত্ব পর্যন্ত
আমাকে ভাবুক করে।"
আর রাহুলের মনের কথাটুকু ছিলো এরকম,
"কথাবার্তা, হাসি আর চেহাড়ার সুরৎ
যেন স্বর্গের ঐ হুর পরীকে হার
মানাবে।"
যাহোক আলোচনা একটু ছোট্ট করছি। ১ম
দেখা হওয়ার পর ক্রমে ক্রমে দু'জন দূ'জনের
প্রতি অনেকটা দূর্বল হতে শুরু করে। যারই
ফলোশ্রুতিতে এরপর দ্বিতীয় বার দেখা
করতে হয় দু'জনের। অবশ্য ২য় বারের দেখায়
রত্নাই তার মনের না বলা সব কথা খুলে
বলে রাহুল কে। রাহুল ঔ তার না বলা সব
কথা খুলে বলে। অন্তঃপর দু'জনের মাঝে
প্রেম হয়ে যায়। ক্রমে ক্রমে তাদের
সম্পর্কটা অনেকটা গভীর হতে শুরু করে।
এরেই ধারাবাহিকতায় দু'জন দু'জন
সম্পর্কে জানতে পারে অনেক কিছু।
রত্না এটাও জানতে পারে যে রাহুলের
বন্ধু রাহাত ভূল,,,কারো সাথে প্রেম করে
ধোঁকা খেয়ে তিলে তিলে শেষ করে
দিচ্ছে নিজেকে। এখনও কারো সাথে
ঠিকমত কথা বলে না, সবসময় চুপচাপ আর
একা একা থাকে খুব।এদিকে যাবতীয়
নেশার বস্তু শেবন করে বুকের ভিতরটা
ঝাঝরা করে দিচ্ছে ও। এভাবে নিয়মিত
চললে ও আর বাঁচবে না সেটাও জানতে
পারলো রত্না। রাহুল এতাও বলেছিলো
ওর জন্য খুব দ্রুত এমন কাউকে খুঁজে বের
করতে হবে যে ভালোবাসা দিয়ে
ওকে ভালো করবে। ওর জরাজীর্ন অতীত
কে ভূলিয়ে দেবে। তাই রাহুলের কথামত
খুব ভালো একটা মেয়ে খুঁজতে শুরু করলো
রত্না।
# ফ্লাশ_ইন_____
অবশেষে ওর ই বান্ধবী আদিবা কে
অয়নের জন্য খুঁজে বের করলো। কারন, ওর
থেকে ভালো মেয়ে আর কোথাও খুঁজে
পাওয়া যাবে না।ওর রাগটা একটু বেশি
হলেও মনে ভালোবাসাটা অনেক
বেশি। ওদের মধ্যে কিভাবে দেখা
করানো যায় সেটা ভেবে দু'জন ঐ ছোট্ট
নাটকটার থেকে ভালো উপায় আর খুঁজে
পাইনি।তাই নিজেদের দেখা করার
কথা বলে দু'দিক থেকে
পাঠিয়েছিলো দু'জন দু'জনকে।যদিও
প্রথমে দু'দিক থেকে দু'জনের ইচ্ছা
ছিলো না তারপরও রিকুয়েষ্ট করার পর
রাজি হয়েছিলো।কিছুদিন পর আবারো
দু'জনের দেখা হলো একটু ভিন্ন ভাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন এক সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠান চলছে।আপাতত গান
আর মাঝে মধ্যে দু'একটা নৃত্য চলছে।সব
বন্ধুরা সহ অয়নও অপভোগ করছে অনুষ্ঠানটা।
হঠাৎ, অয়ন একটু অন্যরকম হয়ে গেলে ঐ
ঝগরাটে মেয়ে অর্থাৎ যার দেখা
করতে পাঠিয়েছিলো রাহুল তার গান
শুনে। জীবনে অনেক গান শুনেছে কিন্তু
এমন গান কখনও কোথাও শোনেনি অয়ন।
কি এক মায়াবী কন্ঠ? গান শুনে যে কেউ
মায়ায় পরে যাবে। ঝগরাটে মেয়েটার
এত সুন্দর একটা গুন ছিলো সেটা ও একবার
ভাবেনি। সেদিন সন্ধ্যায় অয়ন রাহুলকে
সব খুলে বললো। এবং শেষে রাহুলকে
রিকুয়েষ্ট করলো প্রেম করার জন্য। তারপর
রাহুল বললো...
__আজ আবার এভাবে বলছিস? কারনটা
কি?
__নারে রে দোষ্ট সেদিন একবারও
ভাবিনি মেয়েটার মধ্যে এরকম গুন
থাকবে। ও সত্যিই খুব ভালো মনের এখন
বুঝতে পেরেছি।
__পছন্দ হয় ওকে?
__খুব।
__প্রেম করবি?
__মানে? ও তোর সাথে প্রেম করার জন্য
তোর দেখা করতে এসেছিলো আর
আমাকে বলছিস?
__সেদিন আমি ইচ্ছা করেই তোকে
পাঠিয়েছিলাম। আমি অন্য কারো
সাথে প্রেম করি।
__তাহলে এটা কেন করলি?
__তোর একটা হিল্লা করে দিতে রে।
__ওহ!
__ভালোবাসিস ওকে?
__অনেক! কিছু একটা করে দে না প্লিজ।
ঐ দিন রাতে ও দিক থেকে রত্নাও সব
খুলে বলেছিলো আদিবাকে।
এর কিছুদিন পর....
আবারো কাজী অফিসে দেখা হলো
অয়ন আর আদিবার...
__আপনি এখানে?(আদিবা)
__কেন এখানে আসা মানা নাকি
আমার?__কারনটা?
__স্যরি,আপনাকে বলতে বাধ্য না।
এরপর রাফির হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে
দিয়ে,আমরা সব ফ্রেন্ডরা মিলে এতটুকু
সংগ্রহ করতে পেরেছি এটা দিয়ে
তোমরা এক বছর খুব ভালোভাবে
কাটাতে পারবো। আমরা দোয়া করি
তোমরা সুখী হও।(রাফি আর রাফির বউ
রিতা কে বললো অয়ন) যাদের দু'পক্ষের
ফ্যামেলি প্রেম মেনে নিবে না তাই
বাধ্য হয়ে পালাতে সাহায্য করলো
বন্ধুরা মিলে। রিতা অবশ্য আদিবার খুব
ভালো বান্ধবী তাই ও এখানে
এসেছিলো পরোক্ষনে বুঝতে পারলো
অয়ন। অয়নের ঝগরাটে আর রাগের
আড়ালের এই গুনটা ভাবুক করে
দিয়েছিলো আদিবাকে।তাই দিন ওর
প্রতি দূর্বল হতে লাগলো আদিবা।কটা
দিন যাবার পর রত্নাকে রিকুয়েষ্ট করলো
আদিবাপ্লিজ ওর সাথে প্রেম করে দে
নাহ।
এর কিছু দিন পর...
কোন এক বিকালে দেখা হলো দু'জনের।
__আপনাকে কিছু বলার ছিলো?(আদিবা)
__আপনাকে কি না করেছি?
__যেদিন রত্নার কাছে সব সত্য শুনতে
পেলাম সেদিন থেকে আপনাকে
একান্ত আপন ভাবতে শুরু করেছি।আপনার
খুব কাছের একজন স্পেশাল মানুষ হতে
চাই।
__ঠিক আছে করে নিলাম। এবার চললাম।
এই বলে চলতে শুরু করলো অয়ন..
__আরে আজব কোথায় যাচ্ছেন?আমাকে
ছেড়ে যাচ্ছেন কেন?
__আপনাকে কি বেধে রাখছি?
এভাবে কিছুক্ষন হাটার পর আবারো সেই
একই রেস্তুরেন্টে ঢুকলো দু'জনে,,,১ম
বারের ন্যায় এবারো অয়ন বসে পড়লো
আদিবার পাশের টেবিলে। তারপর....
__আরে আজব আপনি এখানে বসেছেন
কেন?(অয়নের টেবিলে এসে বসে বললো
আদিবা)
__ যদি আবার চোখ বড় করে তাকান আমার
দিকে সেই ভয়ে।
__অনেক কথা শিখে গেছো না। কি কি
খাবে অর্ডার করো? এর আগের জন মনে হয়
এজন্য ধোঁকা দিছিলো।
__নাহ ওর আমার মনটাকে একটাবারও
বুঝার চেষ্টা করেনি এজন্য এরকমটা
করেছিলো। তুমি আবার এরকম করবে
নাতো?
__এ দিক থেকে চিন্তামুক্ত থাকতে
পারো। যে তার বন্ধুর সুখের জন্য এত কিছু
করতে পারে তার স্পেশাল মানুষটির
জন্য এর থেকে অনেক বেশি কিছু করবে।
এরপর আদিবার হাতে হাত রেখে, কথা
দাও আমাকে কোন দিন একা রেখে
যাবে না তাহলে আমি মরেই যাবো।
অয়নের ঠোটে আঙ্গুল রেখে এরপর পর আর
কখনো এভাবে বলবে না। তুমি ছাড়া
আমি কাকে নিয়ে বাঁচবো। অন্তঃপর
হয়েই গেলো প্রেম...

No comments:

Post a Comment