Sunday, August 28, 2016

*************""সত্যিকারের ভালবাসা""*************

*************""সত্যিকারের ভালবাসা""*************
.
Written by:- Shakibe (স্টুপিড)
.
.
শিহাব মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। বাবা একটা সরকারি
চাকরি করেন অল্প বেতনে। তাদের কোন
রকমে চল যাচ্ছে।
শিহাব ভার্সিটির ২য় বর্ষে পড়ালেখা করে। শিহাবের
বাবা অনেক কস্ট করে ছেলের পড়ালেখা চালিয়ে
যাচ্ছেন।
.
রিয়া বড়লোক বাবার একমাত্র মেয়ে তবুও রিয়ার
মনে কোন হিংসা নাই। চলাফেরাও করে একদম
সাধারন মানুষের মতোই। রিয়াও শিহাবের সাথেই
পড়ালেখা করে।
.
শিহাব রিয়াকে ভালোবাসে তেমনি রিয়াও অনেক
শিহাবকে ভালোবাসে। শিহাব মধ্যেবিত্ত
পরিবারের সন্তান জানার পরেও রিয়া শিহাবকেই
ভালোবাসে। অবশ্য শিহাব ১ম ১ম বলে ছিলো
দেখ রিয়া আমাদের সম্পর্কটা কেউ মেনে
নিবে না। রিয়ার একটাই কথা তোমার পরিবার তো
আমায় মেনে নিবে??? হ্যা আমার পরিবার
তোমাকে মেনে নিতে পারে কিন্তু তোমার
বাবা??? বাবাকে আমি ম্যানেজ করে নিতে পারব তুমি
শুধু আমার পাশে থেকো।
.
এভাবেই শুরু হয় রিয়া আর শিহাবের সম্পর্ক।
ভালোই চলছে তাদের ভালোবাসার দিন গুলো।
চলছে তাদের দুষ্ট মিষ্টি খুনসুটি, মান অভিমান।
.
রিয়া আর শিহাবের সম্পর্ক নিয়ে অনেকেই
অনেক কিছু বলে, বিশেষ করে রিয়ার
ফ্রেন্ডসরা। তাদের অনেক বড়লোক বাবার
বয়ফ্রেন্ড থাকায়। অনেক কিছু বলে। রিয়া এইসব
কানে নেয় না। সে মনে মনে ভাবে
ভালোবাসা, কোনো বড়লোক, ছোটলোক
দেখে হয় না। মনের সাথে মিল থাকলেই হয়।
.
কিছুদিন পরে.......................................
.
.
.
রিয়া আর তার ফ্রেন্ডরা মিলে ক্যাম্পাসে আড্ডা
দিচ্ছে। এক প্রসঙ্গে তারা তাদের বয়ফ্রেন্ড
নিয়ে গল্প করা শুরু করে দিয়েছে। আর রিয়া শুধু
ওদের কথা শুনেই যাচ্ছে। এদের কাছে বলার
মতো রিয়ার কাছে কিছুই নাই। তবুও সে হ্যাপি।
.
এদের মধ্যে একজন বলে উঠল, কিরে রিয়া তুই
কিছু বলছিস না কেন???
আরেক জন বলে, আরে রিয়া কি বলবে??? ওর
বয়ফ্রেন্ড তো থেকেও নেই। জানিস আমার
বয়ফ্রেন্ড আমাকে কত দামিদামি গিফট দেয়?? আর
রিয়ার বয়ফ্রেন্ড তো সেকেন্ডহেন্ডও দিতে
পারে না। আমরা কত দামিদামি রেস্টুরেন্টে খাবার
খাই। প্রত্যেক দিন ঘুরতে নিয়ে যায়। আর রিয়ার
বয়ফ্রেন্ড তো ঐসবের কিছুই করে না। আরও
অনেক কিছুই বলে রিয়া খুব কষ্ট পায় তবুও কিছু বলে
না।
.
রিয়ার আরেকটা ফ্রেন্ড বলে, রিয়া তোকে একটা
কথা বলি??।
হুম বল।
তুই শিহাবের সাথে ব্রেকাপ কর?? ও তোকে
কিছুই দিতে পারে না। ও তো একটা ক্ষ্যাত...।
.
এবার রিয়া বলা শুরু করে.........।
তোরা কি যেন বলেছিলি??? দামিদামি গিফটের কথা??
তোদের বয়ফ্রেন্ডরা যে দামিদামি গিফট দেয়
সেটার মধ্যে অনেক আবদার লুকিয়ে থাকে।
লুকিয়ে থাকে অশ্লীলতা।
আর শিহাব যা গিফট দেয় সেটার মধ্যে থাকে
ভালোবাসা। থাকে না কোন আবদার, আশ্লীলতা।
.
তোরা যে দামিদামি রেস্টুরেন্টের কথা বললি,
সেটার মধ্যে নাই কোন ভালোবাসা আছে
খাবারের নামে অশ্লীলতা।
আর শিহাব যে ছোট খাটো রেস্টুরেন্টে
নিয়ে যায় সেখানে নাই কোন অশ্লীলতার ছাপ
আছে শুধু ভালবাসার ছাপ।
.
তোরা বলছিলিনা যে তোদের বয়ফ্রেন্ড
তোদের নামিদামি যায়গায় নিয়ে ঘুরতে যায়?? আমার
সেখানে যেতে হয় না।
শিহাব আমাকে নিয়ে পার্কে ঘুরতে যায় আর ৫টাকার
বাদাম নিয়ে একজন আরেক জনকে খাইয়ে
দেই......হাতে হাত রেখে হাটি এটাই আমার কাছে
সবচেয়ে নামিদামি যায়গা মনে হয়।
এখানে শুধু ভালোবাসাই আছে।
.
আর কি যেন বলেছিলি??
ও একটা ক্ষ্যাত??? তোরা জানিস না ঐ ক্ষ্যাতটাই আমার
কাছে সবকিছু। আমি ঐ ক্ষ্যাতটাকেই অনেক
অনেক ভালোবাসি।
ওর সাথে ব্রেকাপ করেত বলেছিলি না??? হ্যা আমি
অবশ্যই ব্রেকাপ করব তবে শিহাবের সাথে না,
তোদের মতো ফ্রেন্ডদের সাথে।
আর হ্যা আমি শিহাবকে ভালোবাসি। আমি টাকা, বাড়িগাড়ি
ঐসবকে ভালোবাসিনা।
.
এইসব বলেই রিয়া ঐখান থেকে উঠে চলে
আসছিল।
সামনে তাকিয়ে দেখে শিহাব দাঁড়িয়ে আছে।
চোখে হালাকা হালকা জল দেখা যাচ্ছে।
রিয়া দৌরে গিয়ে শিহাবকে জরিয়ে ধরে নিজেও
কান্না শুরু করে দিয়েছে।
.
শিহাব বলছে:
তুমি আমায় এত্ত ভালোবাসো???
রিয়া: আমি তোমায় কতটা ভালোবাসি তা বলে বুঝাতে
পারব না শিহাব।
শিহাব: আমিও তোমায় অনেক অনেক ভালোবাসি পাগলি।
রিয়া: আমিও পাগল একটা।

No comments:

Post a Comment