Monday, August 19, 2024

লাউ থুক্কু লাভ স্টরি '''''''''''',,
হঠাৎ আলোকবর্ষন
---
অফিস থেকে ফিরেই মনে হলো ঘরে
কেউ
বাচ্চাদের মতো হাসছে আর
চিল্লাচিল্লি করছে।
মার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে
তাকালাম,
জবাবে মা মুসকি একটা হাসি দিল।
তখন বললাম অনার্স পড়োয়া মেয়ে
বিয়ে
না দিয়ে ৬ বছরের বাচ্চাকে আমার
সাথে
বিয়ে দিলেও তো চলতো মা।
আম্মু-- চুপ রুমে যা, বউমা কখন থেকে
একা
বসে আছে। যা
(আমায় কোন দাম ই দিল না, যাক
নিজের
রুমে প্রবেশ)
এই টিভির সামনে থেকে সরে
দাড়াও
(জোড়ে ই বলল বউ)
হায় হায় এ দেখি টম & জেরী দেখে।
কেউ
মাইরালা আমারে।
----ভ্যাঁ ভ্যাঁ
-- আরে এই মেয়ে কান্না কর কেন।
--কারেন্ট চলে গেছে আমি এখন
কিভাবে
কার্টুন দেখবো?
--আচ্ছ জ্বালা তো একে নিয়ে। আম্মু
এর
কান্না শুনলে আমি শেষ। তাই বললাম।
অফিস থেকে তুমার স্বামী এসেছে
এখন
তার সেবা করবা ওর সাথে গল্প করবা
তো।
--- আচ্ছা এই বলেই আমার উপর এসে
পড়লো
আর বাচ্চাদের মতো হাজারো চুমু
দিল।
(এটা সেবা না সাজা )
-- আমি পুরুষ নিযার্তনের মামমলা দিমু
(মনে মনে)
--এই চলো রাএে আমি খাই নাই এখন
খাব।
---চলো নিচে চলো
--না তুমি এক প্লেট নিয়ে আস,
--তুমি খাবানা?
--তুমি খাইয়ে দিবা
কি আর করা, ভাত নিয়ে এসে খাইয়ে
দিলাম।
রাএ ২ টা
এই উঠ না --বউ
--এত রাএে কি হইছে
--চাদ দেখবো চলো না প্লিজ (এই বলে
আবার এক পাপ্পি দিল)
--আচ্ছা চলো
--এত দুরে দাড়িয়ে কেন তুমি
-- তো আর কি করবো
-- আমার কাছে এসে বসো। আমি
তোমার
কোলে শুয়ে চাদ দেখবো (বাচ্চাদের
মতো
আবদার)
-- ওকে
অনেকক্ষন দরে বকবক করে হঠাৎ থেমে
গেল। আমিও আর কিছু না বলে চাদের
দিকে তাকিয়ে আছি।
চাদ টা মনে হয় আমাদের খুব কাছ
থেকে
আলো দিচ্ছে। চাদের আলো
মেয়েটার
মুখে এসে পড়ছে। আজ ১৪ দিনে একবার

ভালো করে তাকিয়ে দেখেনি তার
দিকে।
আজ চাঁদেরকণা মনে হয় এর মুখে পড়ছে।
কি অপরুপ সে। কালো ঘন চুল। লাল ঠোট,
হাসলে টোল পরে,গালে একটা তিল
যা
তাকে আরো সুন্দরি করে তুলছে।
হাতে
আজও মেয়েটা মেহেদি পড়ছে। সত্যি
মেয়েটা অদ্ভুত সুন্দরি।হাত টা কখন যে
তার মাথায় চলে গেছে খেয়াল ই
নেই।না
আজ আর ঘুমাব না। তাকে দেখেই রাএ
টা
পার করবো।
কখন যে ভোর হয়ে গেল বুজতে
পারিনি।
কোলে করে রুমে নিয়ে আসলাম
তাকে।
সকাল ৮ টা।
এই যাও গোসল করো , অফিসে যাবা
না।
কাহিনী কি মেয়েটা আজ নিজের
হাতে
আমায় কাপড়, টাই পড়িয়ে দিচ্ছে।
--এই যে জনাব, আজ অফিসে না গেলে
নয়?
--না যাব, কাজ আছে।
কিছু না বলে চলে গেল সে।
খাওয়া সেরে অফিসে যাওয়ার জন্য
পা
বাড়ালাম তখন তার ডাক
---এই দেখ তুমার ফাইল এখানে রেখে
যাচ্ছ।
---দিয়ে যাও
--পারবোনা নিয়ে যাও
"কোথাই ফাইল?
--আরে অফিসে যাওয়ার আগে বউকে
বাই
বলবানা? তাই ডাকলাম
--কি আজব মেয়ে, ওকে বাই
--এই দাড়াও
--কি
--চোখ বন্ধ করো
--ওকে
আবার বাচ্চাদের মতো হাজারো চুমু
খেল,
এভার যাও।
--কি জ্বালা
নিচে নামলাম দেখি সবাই
হাসতেছে।
ছোট বোন বলল।
যা গিয়ে আয়না দেখ,
--রুমে গিয়ে আমি ৪৪০ ভোল্টেজের
শটর্
খাইলাম। মুখে লিপস্টিক এ বরা। আর
তার
ঠোটের ছাপ। পাজিটা দেখি
হাসছে আর
বলছে
--কি অফিসে এখনো যাবা?
--কিছু বললাম না।
---মুখ পরিষ্কার করো,ঘুরতে যাব।
অফিসের
সময় অনেক আগেই শেষ। এখন ১০ টা
বাজে।
আমি ঘরির টাইম ওলটা পালটা করে
দিচ্ছি।
--বলার মতো কিছু নাই।
১১.৬ বাজে
বাইরে ঘুরতে এসেছি। আজ তাকে
অসম্ভব
সুন্দর লাগছে। কাল শাড়ী তে আরো
ভালো লাগছে। (আড় চোখে
দেখতেছি)
--এই যে আড় চোখে নিজের বউকে
দেখতে
হবে না, ভালো করে তাকান।
--এই রে ধরা পড়ে গেলাম।তাই বললাম।
আমি তোমায় দেখছি না তো, প্রকৃতি
দেখছি।
+--তাই
--হুম
-+-মিথু্ক কোথাকার, তুমি এত গাধা
কেন?
-- চুপ
৫ মিনিট দুজন ই চুপ
বাচ্চা মেয়েটা আজ এত চুপ কিবাবে।
কেন যেন চুপ থাকলে একে মানায় না।
ওই
দুষ্টুমি ভালো লাগে।
হঠাৎ সে আমার হাতে হাত রাখলো,
তার
দিকে তাকালাম, মুখে এক দুষ্টুমি
ভাব।
(এখানে আবার চুমু দিবে নাতো,
চারদিকে
মাননুষ) না সে কাধে মাথা রাখলো,
আরর
বললো
--কালকের। মতো মাথাটা হাতিয়ে
দিবা
না?
--কি কি তোতলিয়ে বললাম , কখন
হাত----
--মিথ্যা ও তো বলতে পারো না
গাধা
একটা। কাল তো সারারাএ ই
তাকিয়ে
ছিলে আর মাথা হাতিয়ে ছিলে
তাই না।
-- তি তু তুমি কিবাবে জানলে?
--কাল তো আমিও সজাগ ছিলাম, তুমি
জেগে আমি কিভাবে ঘুমাই।
--মাথা নিচ করে আছি
--ভালোবাস আমায় খুব
--হুম
--তো একবার বলো ভালোবাসি।
+-- এই গাধাটার গাধী হবা কি?
---সারা জিবনের জনন্য তো হয়েই আছি
--জড়িয়ে দরবো
---গাধা একটা এই বলে ও ই জড়িয়ে
দরলো।
আর বললো আজকে সকালের মতো কি
কোলে করে ওই গাছ টার দিকে
নিয়ে
যাববা?
-+ মেয়েটা খুব চালাক, সারারাএ
ঘুমের
ভান করেছে।
আলতো করে কোলে নিলাম
সে হা করে তাকিয়ে আছে,
ভাবেনি যে
গাধাটা সবার সামনে কোলে
নিবে।
হাটছি একে কোলে নিয়েই হাটছি,
সবাই
অদ্ভুত চোখে তাকিয়ে আছে।
মেয়েটাও।
লহ্জা পেয়ে চোখ বুঝে আছে।
এই ফাকে দেখেনিলাম লজ্জাপেলে
তাকে আরে অদ্ভুত সুন্দর দেখায়

No comments:

Post a Comment