=এই বাবুনি কি করছো গো,,,?
=এই ত তোমার কথা ভাবছিলাম গো...
=ওয়াও তাই ত কি ভাবছিলা গো,,?
=আচ্ছা তুমি কি বিয়ের সময় যৌতুক নিবে,,?
=ও এটা ভাবছো...?হুমম তা ত নিব ই যৌতুক ছাড়া
বিয়ে হয় নাকি,,??
..
মেয়েটা মনটা একটু খারাপ করে বলে,
=ওহহ সরি, আসলে আমার বাবা গরিব ত তাই
বলেছিলাম যে ওনার অনেক কষ্ট হবে যৌতুক
জোগার করতে.....
ছেলেটা মেয়েটার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি
দিয়ে বলে,,,
=ইশশ শখ কত বিয়ে বসবে নিজে আর যৌতুক দিবে
বাবা তা হবে না হুমম...
আপনার যৌতুক আপনি ই দিতে হবে বুঝলেন বাবুনি..?
মেয়েটা অবাক হয়ে বলে,,
=কি বলছো..?আমি কোথা থেকে দিব
=হুমম তুমি ই দিতে হবে, আর অল্প না অনেক but সবার
থেকে ভিন্ন,,,,
=ওমাগো আবার ভিন্ন...??
..
=হুমম প্রথমটা ই হলো,
বিয়ের দিনের পিঠা আচলে করে বাসর ঘরে এনে
খাইয়ে দিতে হবে...
যখন আমি কোন ভুল করে তুমাকে কোন কষ্ট দিব তখন
অভিমান না করে প্রচন্ড রাগ করে আমার কোলে
উঠে বসে বলতে হবে এই দুষ্ট বর আমি কষ্ট পেয়েছি।
তাই তুমি ও এখন কষ্ট করতে হবে।আমাকে কোলে
করে নৌকাতে নিয়ে গৌধুলি বেলায় ঘুড়াতে হবে
নিজুম রাত পর্যন্ত...
আমি যখন বাহিরে যাব তখন তুমার ঠোঁটের মেরিল
খাওয়াতে হবে।
আর যখন ফিরব তখন আমার কোলে বসে খাইয়ে দিতে
হবে.....
...
মেয়েটার মুখে হাসির ছাপ ফুটে উঠে
=ইশশ কত শখ পারব না এত যৌতুক দিতে হুমম...
=কিহহ এত সাহস না...
এতটুকুতেই আরো আছে পরে বলবো
আর রাজি না হলে মেরে তক্তা বানিয়ে খাটে
শুয়ায়ে রাখব হুমম
=হাহাহা তাই,আচ্ছা দুষ্ট বর দেখা যাবে
=এই ত লক্ষি বাবুনি আমার..
আচ্ছা তুমি দেন মোহর কত নিবে গো....
= হুম এত যৌতুক দিব যখন দেন মোহর ও ত অনেক নিব...
= কত ৫ লক্ষ..?
=ইশশ এত কম আমি মানব না...
..
ছেলেটা ক্লান্তির ছাপ নিয়ে মেয়েটার মুখের
দিকে তাকিয়ে বলে ১০ লক্ষ...
=না তাতে ও হবে না আরো অনেক বেশি..
আমার মোহর হবে "তুমি",,
যখন কোন ভুলে আমাদের ডিভোর্স হতে যাবে তখন
আমি সব কিছু ফেলে আমার মোহর "তুমাকে" নিয়ে
চলে যাবে বুঝলেন বাবু....হাহাহা
....
ছেলেটা জড়িয়ে ধরে বলে এত ভালবাসো
আমাকে...
জ্বি গো তুমাকে ছাড়া যে আমি অনেক কষ্ট পাব
মেয়েটা জড়িয়ে ধরে বলে...
...
ছেলেটা ও বলে তুমাকে ছাড়া ও যে আমার জীবন
থমকে যাবে....
....
ভালবাসাটা যদি এমন হত সবার বেলায়,তবে হয়ত
কাউকে আর ভালবেসে কষ্ট পেতে হত না,,,
....
ভালবাসা পবিত্র, সুন্দর, রঙিন যদি এর মাঝে স্বার্থ
না থাকে......