Wednesday, August 21, 2024

""" ভালবাসা """
কিছুদিন থেকেই একটা মেয়ে আমার পিচু নিয়েছে। নিয়েছে তো নিয়েছেই।আর ছাড়ার নাম গন্ধ নেই।ওই মেয়েটার জন্যে ফেবু তেও থাকতে পারি না।খালি মেসেজ দেয়।কি যে করি।।।
রাতে শুয়ে শুয়ে একথাগুলোই ভাবছিল তাসফি। ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ল ও।
:তাসফি। এই তাসফি। উঠ। জলদি উঠ।
:হুম
:জলদি উঠতে বলছি। নামাজ পড়তে হবে।
:এইত উঠতেছি।যাও তুমি।
ওর মা ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর বলছে
:উঠ বাবা।উঠ। জামাত দাঁড়িয়ে যাবে। নামাজ টা পড়ে আয়।পরে না হয় আবার ঘুমিয়ে নিবি।
পরম স্নেহে কথা টা বলল ওর মা।
তাসফি ওর মাকে খুব ভালবাসে।তাই তাড়াতাড়ি উঠে গেল।
নামাজ পড়ে ঘুমায় না তাসফি। করন তখন ওর ঘুম আসে না।তাই সকালের প্রাকৃতি দেখতে বের হয়। চারদিকে ঘুরে বেড়ায় ও।সকালের বাতাস টা ওর খুব ভাল লাগে।মনের সকল বিষন্নতা কেটে যায় তখন।
নাস্তা করে ভার্সিটির পথে পাঁ বাড়ায় ও।ভার্সিটি গিয়ে ক্লাস এ যায়।বন্ধুদের সাথে কিছুহ্মন কথা বলে।যথা সময়ে ক্লাস শুরু হয়।
লাষ্ট ক্লাস টা হবে না।তাই বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দেওয়া শুরু করে। ভালই জমে উঠেছে ওদের আড্ডা।
বাসায় পেরার পথে
:ভাইয়া ভাইয়া দাঁড়ান।
:জি বলেন
:আমি ইফতু। আপনাদের এলাকাতেই থাকি।
:কই আপনাকে তো কখনই দেখি নাই।
:তা দেখবেন কি ভাবে। যে ভাবে হাঁটেন।আসে পাশে কি হচ্ছে তার কি খেয়াল রাখেন
:তা ডেকেছিলেন কেন?
:খুব তাড়া আছে নাকি?
:না তা না।তবে দাঁড়িয়ে কথা বলতে ভাল লাগছে না।এমনিতেই যে গরম পড়তেছে। :আচ্ছা তাহলে চলেন। হাঁটতে হাঁটতে কথা বলি।
:হুম তাই ভাল।চলেন।
:আমি আপনার ছোট ভাইয়া। তাই তুমি করে বললেই খুশি হব।
:আচ্ছা তাহলে তাই হবে।
:বাই দা ওয়ে আপনি ফেবু তে আমার মেসেজ এর আনসার দেন না কেন?
:আমার ফ্রেন্ড লিষ্টে তুমি আছো না কি?
:হুম। "কাল্পনিক প্রেম "আইডি টা আমারি।
:ও তাহলে ওই বজ্জাত মেয়েটা তুমি ?
:কিহ আমি বজ্জাত?
:তা নয় তো কি।সারাদিন খালি মেসেজ দাও।পড়ালিখা কর কখন।
:তা আপনার না জানলেও চলবে। হুহ।
:আচ্ছা যাই।আমার বাড়ি এসে গেছে।
:এটা আপনাদের বাড়ি।
:কেন সন্দেহ আছে নাকি?
:না।সন্দেহ থাকবে কেন।
:বাই।
তাসফির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ ডাক দিল
:তাসফি
পিছনে পিরল তাসফি।
:ভাইয়া। আমার মেসেজ এর আনসার দিবেন কিন্তু। তা না হলে খবর আছে কিন্তু।
এই বলে পালাল মেয়ে টা।
তাসফি ভাবছে মেয়েটা এত দুষ্ট হল কোথা থেকে। প্রথমে নাম ধরে ডাকল।তারপর ভাইয়া বলল।আর আজিব বেপার হল ও আমার নাম জানলো কিভাবে।
:কিরে ঘরে আসবি না?
আমি চমকে উঠে পিছনে পিরলাম।মা দাঁড়িয়ে আছে।নিশ্চই তিনি আমাদের কথাফোকথন শুনে পেলেছেন।
আমি ঘরে গেলাম।ফ্রেশ হয়ে খেতে আসলাম। আমি জানি আমার মা খায় নি এখনো। মানুষ মাত্র দুই জন আমরা।তাই আমি আসলে আমার সাথে খায়।
খাওয়া শেষে আমি আমার রুম এ চলে আসলাম। কিছহ্মন পর মাও আসল। আমি মায়ের কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়লাম।মা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। কি ভাল লাগছিল না।আমার মনে হয় আমার সারা জিবন এই কোলে থেকেই শেষ করে দিতে পারব।হঠাৎ মা বলে উঠল
:মেয়েটা কে রে?
:চিনি না মা।আমাদের ভার্সিটি তে নাকি পড়ে।
:তোর সাথে পড়ে?
:না।তবে কোন ইয়ারে সেটা আমার জানা নেই।
:সেকি তুই ওর থেকে জানতে চাস নি যে ও কিসে পড়ে?
:না মা।
:কেন?
:আমার ইচ্ছা হয় নি।
:তাই বলে জানতে চাইবি না ও কিসে পড়ে।
:আচ্ছা পরে জেনে নিতে পারব।এখন তুমি আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দাও তো মা।
:আচ্ছা ঠিক আছে।
:
:
কি বেপার। উনি এখনো ফেবু আসেন নি কেন? আমার কথায় আবার রাগ করেন নি তো।রাগ করলে তো আমি শেষ হয়ে যাব। এইসব ভাবছে ইফতু। ও এবার অনার্স থার্ড ইয়ার এ পড়ে।ইফতু তাসফি কে খুব ভালবাসে। এক কথায় তাসফি কে অন্ধের মতন ভালবাসে। আজ ৫ মাস হতে চলল।তাসফির সম্পর্কিত সব তথ্য ওর কাছে আসে।ও যে তাসফি ক্র ভালবাসে এটা ওর বন্ধু তানহা ছাড়া আর কেউই জানে না।মেয়ে মানুষ তো তাই বলতেও পারে না।বুক ফাটাবে মাগার মুখ ফাটাবে না।
::
::
রাত সাড়ে এগারো টা। তাসফি ফেবু তে ডুকল।সাথে সাথে ইফতুর মেসেজ এসে হাজির।
:কি বেপার আজ এত দেরি করে আসলেন যে।
:এমনি।কিছু পড়া বাকি ছিল।সেগুলা কাবার দিলাম আর কি।
:ওওওও
:আচ্ছা আপনি আমার নাম জানলেন কিভাবে?
:শুধু নাম না।আরও কত কিছু জানি আপনার সম্পরকে।।।।
:কিভাবে?
:হবে কোন এক ভাবে।ডিনার করছেন,
:হুম।আপনি,,?
ওদের মধ্যে অনেকহ্মন কথা হয়।তাসফি ইফতু এর সম্পর্কীয় সকল তথ্য জানে এখন।।ওদের কথা দিন দিন বাড়তে থাকে।এই কয় দিনে তাসফি কিছুটা হলেও আন্দাজ করতে পারছে যে ইফতু কি বলতে চায়।কিন্তু ও এসব কিছুই শুনতে চায় না।ওর এমন এক জন কে চাই যে ওর মাকে হাসি খুশি রাখতে পারবে।ওর মাকে কখনই অবহেলা করবে না।আর এগুলা এই মেয়েকে দিয়া হবে না।অন্তত পহ্মে এই এক মাসে এটা বুঝতে পেরেছে। তাই ঈ চাচ্ছে যে ওই মেয়েকে সব জায়গা হতে ব্লক করে দিবে।কোন যোগাযোগ রাখবে না।মেয়েটা কে ওর খুব ভাল ল লাগত।কিন্তু কিছুই করার নেই। খুব ছোট বেলায় ভাবাকে হারায় ও।তারপর থেকে এই মাই ওকে এত বড় করে তুলেছে।তাই ও দুই বছরের সম্পর্কএর জন্যে ২৮ বছরের সম্পরক নষ্ট করতে চায় না।।ওর মাকে ও বৃদ্ধা আশ্রমে পাঠাতে চায় না। (এমন সন্তান বাংলার প্রত্যেক ঘরে থাকা আবশ্যক) মায়ের সুখের জন্য শুধু এই মেয়ে না।আরও অনেক মেয়েকেই এভাবেই ব্লক করে দিছে নিজের জিবন থেকে।
মেয়েটা কে ব্লক মারতে ওর হাত টা কেন যানি কেঁপে উঠল।ও ভাবল ও কোন ভুল করেছ না তো।পরহ্মনে এই সব চিন্তা বাদ দিয়ে ও ব্লক মেরে দিল
:
:
ইফতু যাথ রিতি তে ভার্সিটির পথে পা বাড়ালো।কিন্তু আজ আর পথে তাসফির সাথে দেখা হয় নি।ও ভাবল হয় তো ও আগে চলে গেছে। মনটা খারাপ হয়ে গেল।
ভার্সিটি তে উনি নেই।তাড়াতাড়ি করে ফেবু তে ডুকল।কিন্তু ও যখন দেখল ওকে ব্লক মারছে তখন ওর ভেতর এক অজানা ভয় কাজ করল। চারদিক যে অন্ধকার হয়ে আসল। নিজের অজান্তেই চোখ দিয়ে বাঁধাহিন ভাবে পানি পড়তে শুরু করে।
।কান্না করতে করতে মাটিতে বসে পড়ল। নিজেকে সামলে বাড়িতে চলে আসল।রুম এর দরজা বন্ধ করে বালিশের উপর মুখ চেপে কান্না করতে থাকল।যে কান্নার আওয়াজ এই চার দেওয়াল এর ভিতরেই থাকবে।কেউ শুনতে পাবে না এই কান্নার আওয়াজ। আজ এক সপ্তাহ ও ভার্সিটি যায় না।ঘর থেকেও বের হয় না।কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করলে কিছু বলে না।ওর মায়ের সাথেও ঠিক মতন কথা বলে না।
আজ তানহা আসল ওকে দেখতে। আসলে তানহাও খুব অসুস্থ। তাই এত দিন আসতে পারে নি।এসেই বন্ধুর এই অনুকুল অবস্থা দেখে জড়িয়ে ধরল। ইফতুও ওকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেংগে পড়ল।
:কাঁদিস না বোন।সব ঠিক হয়ে যাবে।কাঁদিস না।
ও শুধু কান্নাই করতেছে।
::
::
তাসফি রুম এ বসে আছে।নিজেকে কেমন জানি অপরাধী মনে হচ্ছে।কিন্তু ও বা কি করবে।হঠাৎ ওর মা
.......
পরের অংশে শেষ
সরি।পার্ট করে গল্প দেওয়ার ইচ্ছা আমার কোন কালেই ছিল না।বাধ্য হয়ে দিতে হল।
# তাসফি_আহমেদ

No comments:

Post a Comment