#Love_Exam
"সম্মানিত যাত্রীগন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সুন্দরবন এক্সপ্রেস আর কিছুক্ষণের মধ্যে এসে পৌছবে। আপনারা নিজেদের টিকেট এবং মালামাল নিয়ে ২ নং কাউন্টারে অবস্থান করুন, ধন্যবাদ"
ষ্টেশনে আসা মাত্রই ছোট ছোট মাইক গুলোতে শোনা গেলো রেল কর্তৃপক্ষের ঘোষণা। যাক বাবা, সময় মত পৌছানো গেছে। ইরা তার লাগেজ দুইটা নিয়ে ২ নম্বর কাউন্টারে এসে দাড়ালো। আশেপাশে তাকিয়ে বসার জায়গা দেখলো, কিন্তু সেখানে বসে তার দামী জামাটা মোটেও নষ্ট করতে রাজি নয় সে। জামাটা তার ছোটবোন ইফাত টাঙ্গাইলের সমস্ত মার্কেট খুঁজে পছন্দ করে কিনেছে বোনের জন্য। আসলেই ওর পছন্দ আছে স্বীকার করতে হবে। হালকা পেষ্ট রঙে বেশ মানায়ও ইরা কে। তার সাথে কালার কম্বিনেশন করেছে ঠোঁটের লিপিষ্টিক, টিপ, স্যান্ডেল। এমনকি হাত ঘড়িটাও। সব মিলিয়ে যে তাকে বেসম্ভব কিউট লাগছে সেটা রিকশাওয়ালাকে ভাড়া দিতে গিয়েই বুঝেছে সে। তার বাসা থেকে ষ্টেশনের ভাড়া ৩০ টাকা। রিকশাওয়ালার হাতে ৫০ টাকার নোট দিলো। কিন্তু ওই বলদ টা তাকে ৭০ টাকা ফেরত দিল!!
-"মামা, আপনি তো ২০ টাকা ফেরত দিবেন!! আমি তো আপনাকে ৫০ টাকা দিলাম!!"
-"ওহ!! আপা খিয়াল করিনাই! মুই ভাবছি ১০০ ট্যাহা দিছেন!!" ৩৪ টা দাত বের করে বলল সে। তাও যদি ভাগ্নে বা মামা বলত মানাত ... যেখানে ইরা বলল মামা, আর সে বলেকিনা আপা!!
তাড়াহুড়ো করে আসতে গিয়ে চুলটাও ঠিকমতো শুকনো হয়নি। ভেজা ভেজা চুলে সৌন্দর্যের মাত্রাটা আরেকটু উর্ধ্যগামী।
দুর থেকে দেখা যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন এর মাইল ফলকের পাশ দিয়ে ছুটে আসছে ট্রেনটা। চুয়াডাঙ্গা হলো ইরার বাবার বাড়ি। মেট্রিক পরীক্ষা পর্যন্ত এখানেই বেড়ে ওঠে সে। ইরা লাগেজ দুটো শক্ত করে ধরে প্রস্তুত হলো। ট্রেন এসে থামলো। নির্দিষ্ট বগির দরজার সামনে দাড়িয়ে অপেক্ষা করছে নেমে পরা যাত্রীদের জন্য। একে একে সবাই নেমে যাওয়ার পর সে উঠে পরলো ট্রেনে। নির্দিষ্ট আসন গ্রহণ করলো তার লাগেজ দুইটা পাশে রেখে। আরাম করে বসল জানালার পাশে। এমনিতেই ট্রেন জার্নি সে খুব উপভোগ করে তার উপর জানালার পাশের ছিট তার চাই চাই। জানালার পাশে বসে গ্রাম বাংলার অপরূপ দৃশ্য দেখতে দেখতে যাওয়ার মজাই অন্যকিছু। কিছুদিন নানার বাড়িতে বেড়াতে যাবে এমনটাই সে তার বাবা মা কে বলে বের হয়েছে। আসলে তা নয়!! সে তার নানার বাড়িতে যাচ্ছে ঠিকই কিন্তু উদ্যেশ্য ভিন্ন!
লম্বা হুইসেল দিয়ে ট্রেন তার যাত্রা শুরু করলো। এসময় হঠাৎ একটা পরিচিত গন্ধে ইরা চমকিয়ে উঠল! ধক করে উঠলো বুকটার মধ্যে। কি যে আপন এই গন্ধটা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। এই গন্ধটার সাথে আজ ৩ বছরের সংসার তার। আর ৫ বছরের প্রেম ছিলো এই গন্ধটার সাথে। সব মিলিয়ে ৮ বছরের সম্পর্ক ফয়সালের সাথে। ইরা চোখ বন্ধ করে শ্বাস নিল, এবং নিশ্চিত হলো এ তার মনের ভুল নয়। এবং এটা কোন পারফিউম নয় যে বাজার থেকে কিনে ট্রেনের কোন যাত্রী গায়ে মেখে ঘুরে বেড়াচ্ছে!! এটা হলো তার স্বামী, তার প্রেমিক, তার বন্ধু, তার সত্বা, তার একমাত্র বেচেঁ থাকার সম্বল ফয়সালের শরীরের মিষ্টি ঘামের গন্ধ। কিন্তু এই গন্ধ এখানে কি করে এলো? ইরা জানে এই ট্রেনে বা বগিতে ফয়সালের থাকার কোন প্রশ্নই ওঠেনা! তার পরেও একবার এদিক সেদিক তাকিয়ে মন কে সান্ত্বনা দিল। কিন্তু গন্ধটা আসছে কোত্থেকে? ... হঠাৎ মনে পরলো!! মনে পরতেই নিজেই নিজের মাথায় ছোট্ট করে চড় মারল। তার ভ্যানিটিব্যাগ টা খুললো। তার ভিতর থেকে বের করল ফয়সালের ব্যাবহৃত একটা শার্ট। নীল শার্টটার বুকের ১ম বোতাম টা ছেড়া! আদর করার সময় ইরা ছিড়ে ফেলেছিল বোতাম টা! কলারে আর হাতায় বেশ ময়লা জমেছে। কিন্তু ধুয়ে ফেললে যে ফয়সালের শরীরের গন্ধটা হারিয়ে যাবে!! তাছাড়া ওটা তো আর ধোয়ার জন্য সে তার ব্যাগে করে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে না!! ওটা সে চুরি করে এনেছে তার কাছে। নীল রঙের দুইটা আলাদা আলাদা ডিজাইনের শার্ট কিছুদিন আগে কিনে দিয়েছিল ইরা। সেখান থেকেই একটা নিয়ে এসেছে নিজের সাথে! যখনই খুব বেশি খারাপ লাগবে তখনই শার্ট টা নাকে চেপে ধরে একটা লম্বা শ্বাস নিলেই সব কষ্ট দুর হবে। ওই গন্ধটাই তার মস্তিষ্কে বেচেঁ থাকার খাবার জোগাবে।
ইরা তার সেল ফোনটা বের করে ডাটা অন করলো। বেশ কিছুদিন হলো ফেইসবুকে সে একটা ফেইক আইডি খুলেছে। আসল আইডি দিয়ে সে Messenger এ লগইন থাকে আর ফেইক আইডি টা দিয়ে লগইন থাকে অন্য ব্রাউজারে। ফয়সালের সাথে ইরার বিয়ে হয়েছে ৩ বছর। এই ৩ বছরে তাদের ভিতরে কোন সমস্যা ছিলনা। কিন্তু কি মনে করে ইরার একদিন ইচ্ছা হলো ফয়সাল কে একটু পরীক্ষা করার । সে ছাড়া ফয়সাল অন্য কোন মেয়েকে নিয়ে ভাবে কিনা বা এই ৩ বছরে ফয়সালের কাছে সে পুরনো হয়ে গেছে কিনা এটা জানার জন্য। ফয়সালের প্রতি বিশ্বাসের কোন ঘাটতি না থাকলেও, কে জানে? পুরুষ জাত!! বলাতো যায়না!!
তাই সে তার ফেইক আইডি দিয়ে ফয়সালের সাথে চ্যাটিং শুরু করে। আইডি টার প্রোফাইল পিকচারেও ব্যবহার করে তার এক সুন্দরী কাজিনের ছবি! কাজিনের নাম এ্যামি। এ্যামি কে ফয়সাল আগে কখনো দেখেনি, ফলে সহজেই টোঁপ টা গিলে ফেলল ফয়সাল। এবং অফিসের উদ্যেশ্যে ফয়সালের বের হবার পর পরই শুরু হয়ে যেত চ্যাটিং! আর এদিকে ইরাও এ্যামি সেজে ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে থাকলো তার উদ্যেশ্য হাছিল করার জন্য!
বেশি না, মাত্র দুই সপ্তাহে ফয়সাল বেশ পটে গেছে। আপনি থেকে তুমিতেও এসে গেছে!
এমনকি এ্যামির টেক্সট না পেলে নাকি তার ভালোও লাগে না!! ব্যাক্তিত্বহীনের মত এ্যামির ফোন নাম্বারও চেয়ে বসল একদিন!! আশ্চর্য! ফয়সাল তো এমন ছিলনা!! তবে কি সত্যিই তার আর ইরা কে ভালো লাগেনা?? সব প্রেম, আবেগ, ভালবাসা শেষ?? কই তার তো কখনো এমনটা হয়নি!! তার তো একটা বারের জন্যও ফয়সাল ছাড়া অন্য কারও কথা কল্পনাতেও আসেনি!! তার কাছে তো ফয়সাল পুরনো হয়ে যায়নি!!! তবে কেন?? পুরুষ মানুষ গুলো কি সব এমন? এরা আসলে চায় কি? এদের সব সময় ইনট্যাক চাই? নতুনত্ব চাই? দুদিন পর পুরনো কে ভুলে গিয়ে নতুনদের পিছনে ছুটে নতুন স্বাদের সন্ধানে?
----------------------------------
কোনো এক ষ্টেশনে এসে ট্রেনটা থামলো। জানালা দিয়ে মাথা বের করেও জানতে পারল না জায়গার নাম। জানালার কাছে এক বাদামওয়ালার কাছ থেকে ২০ টাকার বাদাম কিনল সে। বাদাম ছোলার সময়ও মনে পরল ফয়সালের কথা!! একটা বাদামও ভেঙে খাবেনা সে! ইরা কে বাদামের খোসা ছাড়িয়ে দিতে হবে, তবেই সে খাবে। বাদাম খেতে খেতেই ফোনের দিকে তাকাল। ফেইক আইডি টাতে ফয়সাল লিখেছে-
"কি ম্যাম কাল দেখা হচ্ছে তো?"
ইরার চোখে পানি চলে আসলো! মানুষের এত রূপ হয় কিভাবে!! কি সূক্ষ্ম ভালবাসার অভিনয় করে যাচ্ছে ফয়সাল তার সাথে, ভাবতেই বুকের মধ্যে হুহু করে উঠলো। ফয়সাল সেদিন ফোন নম্বর চাওয়ার পর ইরা লিখেছিল -
"ফোন নাম্বার টা না হয় সামনা-সামনি দেবো"
তারপর তারা ঠিক করে খুলনার রায়েরমহলের একটা পার্কে তারা দেখা করবে। আর আগামীকাল হল দেখা করার সেই দিন। যার জন্য আজ সে খুলনা রওনা দিয়েছে।
ইরা প্রতিউত্তরে লিখল -
"জী জনাব কাল আমরা দেখা করছি"
-"সত্যিই?"
-"কেন বিশ্বাস হচ্ছেনা?"
-"না মানে, এত সুন্দরী একজন কে সামনে থেকে দেখলে জ্ঞান হারানোর সম্ভাবনা আছে তো তাই" (লজ্জা ইমো)
-"একটু বাড়িয়ে বলছো না?"
-"মোটেও না, আমি কখনোই কারো প্রশংসা করি না"
-"ওহ তাই বুঝি"
ইরার খুব লিখতে ইচ্ছা হলো 'আচ্ছা তোমার বউ কি দেখতে এতটাই অসুন্দর যে তুমি এভাবে আমার সাথে নষ্টামি করছো?' কিন্তু নাহ্!! তাহলে যে আরো কিছু সত্য জানা থেকে বঞ্চিত হবে সে। যদিও এর থেকে বেশিকিছু জানার প্রয়োজন পরেনা। তার পরেও সে নিজের চোখে দেখতে চায় যে, তার জান, তার কলিজার টুকরো, তার স্বামী কিভাবে অন্য মেয়ের হাত ধরে পার্কে বসে থাকে!!
ইরার কাজিন এ্যামিকে আগে থেকেই সব কিছু শিখিয়ে পড়িয়ে রেখেছে সে ...। এ্যামিও ব্যাপার টাতে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। সেও চায়না তার বোন এভাবে দিনের পর দিন ঠকুক!
------------------
ফয়সাল আর ইরা ঢাকায় থাকে। বাবা, মায়ের জন্য মনটা কেমন করায় কদিন বাপের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসার কথা বলে ফয়সালের কাছ থেকে বিদায় নেয় সে। ফয়সালও আপত্তি করেনি বরং যেন একটু খুশি খুশি ভাব দেখা দিয়েছিল তার মুখে। ইরাও মনে মনে বলল - তোমার এই খুশি যেন চিরস্থায়ী হয় সে ব্যবস্থা করার জন্যই যাচ্ছি!
ট্রেনের জানালা দিয়ে বাইরে চোখ রেখে গত তিন বছরের স্মৃতিচারণ করছে ইরা। কিভাবে এই মানুষ টাকে ছাড়া থাকবে সে? কেন এত ভালবাসার মানুষ গুলো এমন হয়? থেকে থেকে সে ভাবে এই কাজ গুলো হয়তো না করাই ঠিক ছিলো! কি দরকার একজন মানুষ কে প্রয়োজনের বেশি জানতে যাওয়ার? পৃথিবীর সমস্ত বউরা তাদের স্বামী সম্পর্কে বিষদ জানতে গেলে দেখা যাবে বেশির ভাগ সংসারেই আগুন লেগে গেছে!!
খুব কষ্ট হচ্ছে তার ... ব্যাগ থেকে শার্ট টা বের করে নাকে চেপে ধরে আবারো একটা লম্বা শ্বাস নিল। মুহূর্তেই যেন প্রাণ ফিরে পেল ...!!!
-----------------------------পরদিন সকালে-
নানার বাড়ি থেকে এ্যামিদের বাড়ি ১০ মিনিটের পথ। ইরা সকাল সকাল পৌঁছে গেলো এ্যামিদের বাসায়। এ্যামিও রেডি ছিলো। সকাল ১০ টায় ফয়সালের ওই পার্কে থাকার কথা। অর্থাৎ ফয়সালও এখন খুলনায়! অথচ সকালে যখন সে ফয়সাল কে ফোন দিল, ফয়সাল কি চমৎকার ভাবে নির্দিধায় বলে ফেলল সে অফিসে গেছে! খুব সাভাবিক ভাবেই জানতে চাইলো ইরা কবে ঢাকা ফিরবে! তার বাপের বাড়ি বেড়ানো হয়েছে কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি!! সব থেকে বেশি খারাপ লাগল তখন যখন সে বলল -
"খুব মিস করছি তোমাকে!!"
ইরা "ও, আচ্ছা" বলে কল টা কেটে দিল। সম্পর্কের ৮ বছর পর নিজের উপর প্রচন্ড রাগ হয় এই ভেবে যে - এত সূক্ষ্ম অভিনয় কোনদিনই ধরতে পারেনি সে!!
-"আপু চল, আমি রেডি" এ্যামি বলল ইরা কে। হ্যাব্বি সাজ দিয়েছে সে। আজ ফয়সালের একটা হেস্তনেস্ত করেই ছাড়বে! ওরা রওনা দিল। প্লান টা এমন করা হলো যে এ্যামি আর ফয়সাল এমন এক জায়গায় বসবে যেন ইরা দুর থেকে লুকিয়ে স্পষ্ট সব দেখতে পারে। ইরা এবং এ্যামি আলাদা আলাদা রিকশাতে করে গেল।
৯:৪৫ এ পৌছালো তারা। এ্যামি রিকশা থেকে নেমে পার্কের ভিতরে প্রবেশ করল, আর ইরা দুর থেকে লক্ষ্য রাখলো তার উপর। .....
৯:৫০ .... এ্যামি নির্দিষ্ট স্থানে বসে অপেক্ষা করছে ....!!
৯:৫৫ .... এখোনো কোন খোঁজ নেই ফয়সালের ...!!
৯:৫৯ ...... একটা বাচ্চা মেয়ে বড় একটা ফুলের ঝুড়ি এ্যামির হাতে দিয়ে বলল
-"এইটা একটা ভাইয়া আপনাকে দিতে বলল!!"
এ্যামি অবাক হয়ে ঝুড়িটা হাতে নিতেই দৌড় দিল মেয়ে টা ...!! ব্যাপার টা খুব ই সিনেমাটিক, কিন্তু এটার মানে কি? ... রজনীগন্ধার একটা স্টিকের সাথে একটা কাগজ আটকানো ছিল ... তাতে নীল কলমের কালিতে লেখা ছিলোঃ-
" গেটের বাইরে রাস্তার অপর পাশে অপেক্ষা করছি। আমার বউ টাকে আমার কাছে নিয়ে আসুন।"!!!
ততক্ষণে পুরো ব্যপার টা খেয়াল করে এ্যামির দিকে প্রশ্নবিদ্ধ চোখ নিয়ে এগিয়ে এসেছে ইরা ..! এ্যামি কাগজটা এগিয়ে দিলো ইরার হাতে। কাগজ টা হাতে নিয়েই ছুটে গেল সে গেটের দিকে ... এ্যামিও ছুটলো তার বোনের পিছু পিছু ...!!
রাস্তার অপর পাশে ইরার দেয়া দ্বিতীয় নীল শার্ট টা আর অফ হোয়াইট প্যান্ট পরে সব গুলো দাত বের করে দাড়িয়ে আছে ফয়সাল ...!! দুই হাত বাড়িয়ে আহবান করছে নিজের দিকে ... ইরা এক দৌড়ে ফয়সালের বুকে ঝাপিয়ে পরল... ফয়সাল ফিসফিস করে বলল -
"ফেইক আইডি টা খোলার জন্য আর কোন নাম্বার পাওনি? আমার দেয়া নাম্বার টা দিয়েই খুলতে হলো!! তার উপর নাম্বারটাও প্রাইভেসি দাওনি, এত বোকা হলে কবে থেকে? আর তোমার কেন মনে হলো তুমি আমার কাছে পুরনো হয়ে গেছো ? আমার ভালবাসায় কোন ঘাটতি ছিল ইরা?"
নিজের বলদামির জন্য নিজের উপরেই রাগ হলো তার ... তাতে কি? বলদামি থেকে যদি ভাল কিছু হয় তো বলদামিই ভালো। তার এখন কোন কথায় কান দিয়ে ঢুকছে না ..! সে যেন তার জান ফিরে পেয়েছে ... তার প্রাণ ফিরে পেয়েছে .. ফয়সালের বুকে তার নাক মুখ গুঁজে ঘ্রাণ নিচ্ছে ... দম ভরে তার বেচেঁ থাকার ওষুধ নিচ্ছে .... মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সে এই ঘ্রাণের মোহ নিয়ে বেঁচে থাকতে চায়.....
এসময় এ্যামি পাশে এসে ফয়সাল কে উদ্যেশ্য করে বলল -
"দুলাভাই, আপুর বোকামির জন্য এ যাত্রা বেঁচে গেলেন ..!! পরবর্তী পরীক্ষার জন্য তৈরি থেকেন!!" বলে হাহা করে হাসলো। ফয়সাল ইরা কে শক্ত করে ধরে বলল -
"আমি আজীবন ওর ভালবাসার পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত ..."
#নাঈম_ফয়সাল ...........................
No comments:
Post a Comment