Wednesday, February 22, 2017

"দুষ্টু মিষ্টি ভালবাসা"

"দুষ্টু মিষ্টি ভালবাসা"

সকাল ৫ টা, শান্ত ঘুম থেকে উঠে প্রকৃতির ডাকে
সাড়া দিতে গেছে(টয়লেট)।সাথে তার ফোনটা
আছেই।এটা তার নিত্যদিনকার অভ্যাস।যখন তার
জরুরি মুহুর্ত চলে তখন ফেবুতে ঘুরাঘুরি করে।
টয়লেটে বেকার বসে থাকার চাইতে মুখবইটা
একটু
ঘাটাঘাটি করাটাই শ্রেয়।প্রতিদিনের মত
ফেবুতে লগিন করে কমেন্টস এর রিপ্লায়
করছে।
হঠাত বাধা দিলো অথৈ।মানে অথৈয়ের ফোন।
মেজাজটা ৪৪০ ভোল্ট।কিন্তু না চড়ুই পাখিটা
ফোন দিছে।মেজাজ গরম করলে চলবে না।
শান্ত
ফোন ধরল।
-হ্যালো বাবুই পাখিটা। (অথৈ)
-হুমম চড়ুই পাখিটা।(শান্ত)
-কি করো তুমি?
-আউটপুট ডিভাইসটা প্রোসেসিং এ আছে তাই
আমি বসে বসে অপেক্ষা করতেছি আর মাঝে
মাঝে হাল্কা পাদিতেছি আর পারলে একটু
কুতিতেছি।
-আরেহ কি করতেছো সোজাসুজি বললে কী
হয়?
-হেহে... । আমি এখন টয়লেট এ।
-বাদর কোথাকার।তুমি না কোনদিনো
পাল্টাবানা।কই একটু রোমান্টিক হবা তা না
সবসময় শুধু মজা করো।
-এহহহ... । আমি রোমান্টিক না বুঝি???
-না মোটে ও না।তাড়াতাড়ি টয়লেট থেকে বের
হয়ে অযু করে নামায পড়ে আমারে ফোন দিবা।
আমি তোমার ফোনের অপেক্ষাই থাকবো।
-ওকে বান্দরনি।
-ওই কি বল্লা??
-আরেহ আমি যদি বান্দর হই তুমি তো আর
বাঘিনী হতে পারো না???
-দুষ্টু কোথাকার।বাই।
-ওকে বাই।
শান্তর দুষ্টুমি ভরা ভালবাসা অথৈয়ের ভালই
লাগে।আর ভাল লাগবেইনা বা কেনো?
ছেলেটাতো আর খারাপ না?
অত:পর শান্ত টয়লেট থেকে অবমুক্ত হয়ে
ফযরের
নামায পড়ে এক দৌড়ে ছাদে চলে যাই।প্রতিদিন
সকালে ছাদে এসে ফোনে কথা বলে ওরা।ভালই
লাগে।সকালের স্নিগ্ধ বাতাস।ভোরের পাখির
কলোরব আর পুর্ব দিগন্তের রক্তিম সুর্যটা।সবকিছু
মিলে বেশ ভালো একটা অনুভুতি।
ওপাশ থেকে অথৈ ফোন দিচ্ছে আর মিটি মিটি
হাসতেছে শান্তর ফোনের কলার টিউন
শুনে,"আপনি যার নাম্বার এ ফোন দিছেন তিনি
তো একজন বিরাট ইম্পোর্টান্ট লোক,জানেন
তো
উনি উনার কাজ নিয়ে সবসময় ব্যাস্ত............."
অথৈ মনে মনে বলছে,"হালারপু হালা তুই
জীবনেও শুধরাইবিনা।"
ওপাশ থেকে শান্ত ফোনটা ধরল।
-হ্যালো।(শান্ত)
-হুম। (অথৈ)
-কি হুম??
-কি করো??
-চেষ্টা করতেছি।
-কি চেষ্টা করো?
-রোমান্টিক হইতে।
-এহহ না।তুমি যেমন আছো তেমন ই থাকবা।এটাই
আমার পছন্দ।
-তাই বুঝি??
-হুম।তাই ই তো।ওই তোমারে একটা প্রশ্ন
করব?
-কেনো নয় গো?এক্ষুনি করো।
-তুমি আমারে কতটা ভালবাসো?
-হেহে...
-হাসো ক্যান?
-এইটা কোনো প্রশ্ন হইলো?
-এহহ আগে উত্তর দাও।
-গোপাল ভাড়ের ভুড়ি যতটা বরো আমি
তোমাকে
ততটা ভালবাসি।মটু পাতলুর বন্ধুত্ব যতোটা আমি
তোমাকে ততোটা ভালবাসি।চিংগাম দিনে
যতোবার আইনের কসম দেই আমি তোমারে
ততবার বলবো ভালবাসি।টম আর জেরির মধ্যে
যতোটা শত্রুতা আমি তার চৌদ্দ গুন বেশি
ভালবাসি।আরো শুনবা??
-তুমি আবার আমার সাথে মজা করতাছো?আমি
কিন্তু এবার কেদে ফেলবো বলে দিলাম।
- না চড়ুই পাখিটা তুমি কাদে না।তুমি কাদলে
তো আমার ভাল লাগবে না।বুঝনা তুমি?
-হুম তাইলে তুমি মজা করলা ক্যান একটু
রোমান্টিক ভাবেউ উত্তরটা দেয়া যাই নাকি?
-হুম।
"ভালবাসি তোমায় আমি বোঝাবো কী করে,
বর্ষায় বৃষ্টি যেমন অঝোর ধারায় ঝরে।
ভালবাসি তোমায় আমি বলতে পারি হেসে,
মৎসকূল যেমনটা না পানিকে ভালবাসে।
ভালবাসি তোমাই আমি আমার নিজের মত করে।
ভালবাসি তোমায় আমি আমার নিজের স্বপ্ন
মাঝে।
ভালবাসি তোমায় আমি ঠিক ততোটা যতোটা
ভালবাসে রৌদ্রদগ্ধ চৌচির মাঠটা ওই বৃষ্টিকে।
মৌমাছি যতোটা না মধুকে ভালবাসে আমি তার
চাইতেউ তোমাকে বেশি ভালবাসি গো।"
দেখো আমার চড়ুই পাখিটা আমি আর উদাহরন
খুজে পাইলাম না।আর একদিনেই যদি এতো
ভালবেসে ফেলি তাইলে বাকি জীবনটাতে কি
হবে বলো।
-হুম।অনেক ভালবেসে ফেলছো আর ভালবাসা
লাগবে না।
-কিন্তু তোমার মত পেত্নীকে আমি এতো
ভালবাসি ক্যান?
-কী বল্লা আমি পেত্নি?
-না তো তুমি তো পেত্নী না।
-তাইলে বল্লা যে?
-কই ওটা তো ভুল করে বলছি তুমি তো
পেত্নী না
শাখচুন্নী।
-আজ কলেজে ৮ টাই চলে আসবা।
-ক্যান ১ ঘন্টা আগে ক্যান?
-আমি না পেত্নি আর শাখচুন্ন? আজ তোমার ঘাড়
মটকাবো তাই।
-আচ্ছা আমার মিষ্টি কিউট পরীটা যা বলবে
তাই হবে।
-হুম হইছে।যাও ব্রেকফাস্ট করে ফ্রেশ হয়ে
নাও।
রাখতাছি এখন।
-হুম যাবো কিন্তু আমার ব্রেকফাস্টের খাবারটা
তো তুমি দিলানা?
-আমি দিবো মানে?
-আরেহ তোমার অইটা না পাইলে যে আমার
ব্রেকফাস্ট হবে না।প্লিইইইজ.....
-আচ্ছা চোখ বন্ধ করো নাহলে তো আমি লজ্জা পাবো???
-হুম বন্ধ করছি এবার দাও।
-(সেই মধুর চুম্বনের শব্দ আপনাদের শুনানো
যাবে
না) পাইছো?
-হুম পাইছি বাট একটাতে কি পেট ভরে বলো?
-হেহে.... বাকিটা কলেজে আসো তারপর
দিব।এখন রাখি।
অত:পর ফোন দুইটা দম ছেড়ে বাচলো।শান্ত
চলে
গেল ব্রেকফাস্ট করতে ওদিকে অথৈও।
শান্ত আজ একটু কম করেই খেলো।কারন
কলেজে
নাকি আজ বাকি নাস্তা টুকু রয়ে গেছে।সেটা
কলেজে না গেলে খেতে পারবে না।
এভাবে দুষ্টুমি ভরা ভালবাসার গল্পটা চলতেই
থাকবে।








->শান্ত (পিচ্চি শয়তান)

1 comment:

  1. সুন্দর পোষ্ট । ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে । দুষ্টু ভালোবাসার সাথে বগুড়ার মিষ্টি । জ্বিভে পানি আসবেই ইনশা-আল্লাহ, বগুড়ার বিখ্যাত দই এব ৫০+ রকমের সু-স্বাদু মিষ্টি নিয়ে এই সাইটটি দেখতে পারেন ।
    "অনলাইন দই & মিষ্টি সার্ভিস"

    ReplyDelete