Tuesday, February 21, 2017

———একটি মিষ্টি সকাল———

———একটি মিষ্টি সকাল———
.
লেখা:- নীল প্রান্তর (Løllîpöp)
.
--বাবু এভাবে আর কতক্ষণ ঘুমাবে? (তানু)
--আর একটু ঘুমাইনা লক্ষিটি!
(আকাশ)
--না! অফিসে যাবে, দেরি হয়ে যাচ্ছে,
তারাতারি উঠো!
--তাহলে আসতো, তোমাকে ধরে একটু
ঘুমাই!
--হইছে সকাল সকাল আর ঢং করতে হবেনা,
সারা রাত কি করছো হুমমমমম?
--সারা রাত ঘুমালেও তোমাকে ধরে
সকালে একটু না ঘুমালে ঘুম টা পুর্নতা পায়
না!
.
(এই বলতে বলতে আকাশ হাত বারিয়ে
তানুকে কে তার পাশে নিয়ে জরিয়ে ধরে)
.
--সারা রাত কাকে ধরে ঘুমাও
!
--আমার রাজকুমারীকে কিন্তু সকালে
ধরার মজা আলাদা!
.
(তানু আকাশের গালে একটা চিমটি কেটে
বললো, তোমার জন্য নাস্তা রেডি করতে
হবে। এখন আমি যাই! তুমি উঠে ফ্রেশ হয়ে
নাও)
.
--আজ আর নাস্তা বানাতে হবেনা,
তোমার ঠোট এর স্পর্শ পেলে
ক্ষিদে লাগবে না!
--যে রকম চিন্তা করছো সে রকম যদি হতো
তাহলে সবাই এতো কষ্ট করে চাকরি না
করে
সুন্দর ঠোট বানিয়ে বসে থাকতো!
--সব ঠোট যদি তোমার টার মতো হতো তা
হলে
কেউ চাকরি করতো না!
--হইছে পাকা পাকা কথা না বলে এখন
আমাকে ছাড়! আমার উঠতে হবে!
.
(তানু উঠে চলে গেলো তার রাজকুমারের
জন্য নাস্তা বানাতে)
--খাবার দেওয়া হয়েছে টেবিলে যলদি
এসো(কিছু সময় পর)
কিন্তু আকাশ তো এখনো ঘুমাচ্ছে!
কোন সাড়াশব্দহীন!
তাই আর দেরী না করে এক জগ পানি
আকাশের শরীরে ঠেলে দেয়!
আকাশ তো পুরাই থ!কি হলো এটা!আকাশ
ও দেরী না করে ভিজা শরীরে তার
রাজকুমারী
কে জড়িয়ে বুকে টেনে নিলো!
--কি হচ্ছে এগুলা! ছাড়ত আমাক!বেশী হয়ে
যাচ্ছে কিন্তু!
--আজ না হয় হোক একটু বেশী,ক্ষতি আছে
কি??
--হ্যা,আছে! জমা রাখো আজ রাতের জন্য!
নাহলে পড়ে কোথায় পাবে!
--এমন করে বলে না গো! তোমার জন্য
আমার আদর আর ভালবাসা কোন পরিবর্তন
হবে না!
সর্বদাই একেই পরিমাপ থাকবে!
--সত্যি?
--হ্যা বাবা সত্যি, সত্যি,সত্যি!
--আচ্ছা এখন আর সময় নষ্ট করতে হবে না!
যাও টেবিলে খাবার দেওয়া আছে!ফ্রেশ
হয়ে
খেয়ে নেও!তোমার অফিশ টাইম হয়ে
গেছে!
--না, হোক দেরী আজ! আর একটু সময় আমার
বুকে থাকো গো!
--আমি যদি না থাকি কখনো তখন কাকে
নিয়ে থাকবে!
তানুর কথা শুনে আকাশের চোখের
কোন জল এসে পরে! তানু কিন্তু জলের
ধারা দেখতে ভুল করেনি! তাই কপালে
একটি
চুম্বন করতে দেরী করেনি!
--আর আদর করতে হবে না যাও!
--কেনো?
--তুমি কি বোঝনা, তুমি ছাড়া আমার
পৃথিবী শূন্য! তোমাকে ছাড়া আমি কল্পনা
করতে পারিনা বেঁচে থাকাটা! আর বলবে
না এমন কথা বলো?
--আচ্ছা এমনটা আর হবে না! যতটুকু কষ্ট
দিয়েছি সবটুকু ভুলিয়ে দিবো আজ!
বলেই তানু আকাশের হাত টা ছাড়িয়ে তার
কপালে একটা পাপ্পি দিয়ে বললো,
তারাতারি ফ্রেশ হয়ে টেবিলে আসো!
আমি
নাস্তা দিচ্ছি!
.
কিছু সময় পর আকাশ টেবিলে!
--খাইয়ে দাও!
--তুমি যে কি না! নিজ হাতে খেতেও
পারো না!
--বিয়ের আগে খেতে পারতাম! এখন ভুলে
গেসি!
--হুহ! তার মানে আমার দোষ!
--এটা দোষ না! এটা গুন!
--তানু আর কিছু না বলে খাইয়ে দিতে
লাগলো! আকাশ একটু খেয়েই বললো, "খুব
স্বাদ
হয়েছে! তুমিও খাও!
.
তানু আমিও খেতে ভুলে গেসি!
--তাই না কি?
--হ্যা!
--কোনদিন থেকে?
--তুমি যে দিন থেকে ভুলেছো সে দিন
থেকে!
--আচ্ছা নাও খাও! আমাদের দুই জনের এক
সমস্যা! আমরা খাইতে পারি না কিন্তু
খাওয়াতে পারি!
--হিহি সব তোমার জন্য!
খেতে বসেও আকাশের শান্তি নেই! এই
তানুর গালে ধরছে! এই চুলে ধরছে! আবার
কলাপে গিয়ে কিস করে তরকারি লাগিয়ে
আসছে! কিন্তু আকাশের এই ধরনের
অত্যাচার
তানুর খুব ভালো লাগে! কারন এটা
ভালোবাসার অত্যাচার!
.
খাবার শেষ হবার পর তানু থালা বাসন ধুয়ে
রেখে এসে দেখে আকাশ রেডি হয়ে গেছে!
বললো, "রুমাল নিয়েছো! ঘরি! মোবাইল!
মানিব্যাগ!
--হ্যা সব নিয়েছি!
--অফিসে পৌছেই কল করে জানাবে!
--ঠিক আছে!
--আর অন্য কোন মহিলার দিকে তাকাবে
না!
--আমি তাকাই না।
--আচ্ছা। ভুলেও যেন চোখ না যায় তাই
বললাম!
তানুকে জড়িয়ে ধরে বললো, "এতো ভয় পাও
কেনো!
আমাকে আর কেউ নিবে না!
তানু পাপ্পি দিয়ে বললো, " নিতে চাইলেই
আমি দিয়ে দিবো না কি!
--আমিও চলে যাবো না কি?
--হইসে আমার লক্ষি বাবু! এখন যাও
দেরি হয়ে যাবে!
--যেতে ইচ্ছা করছে না।
--মাত্র তো আট ঘন্টা সময়!
চলে যাবে!
--উম্মা!
--উম্মা!
.
যতক্ষন আকাশ কে দেখা যায় তানু এক
দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো! পরে দরজা বন্ধ
করে
কাজে লেগে গেলো!

No comments:

Post a Comment