Sunday, February 19, 2017

পাগলি বউ

পাগলি বউ

লেখা: Ãríyãñ Ãshíq (নিঃসঙ্গ বালক)

আজ শুক্রবার ছুটির দিন,তাই কোনো চিন্তা
ছাড়ায় ঘুমিয়ে আছি।
কারন সপ্তাহে এই একটা দিনই একটু বেলা
করে ঘুমোতে পারা যাই।
কিন্তু না,এখন আর সেটাও হয় না।
আর তার কারন হল,ঐশি।
ওহহহ ঐশি হল, আমার বউ।
আমাদের লাভ মেরেজ।
আমাদের ফেসবুকে পরিচয়।তারপর
রিলেশন,আর এক পর্যায়ে বিয়ে।
হুম আমার বউটার মাথায় একটু প্রবলেম
আছে,কথায় কথায় একটু রাগ,অভিমান টা
একটু বেশি করে।
যাই হোক সকাল বেলায় ঘুমিয়ে আছি।
এমন সময় ঐশি ডাক দিল,।
এই শুনছো,উঠো।(পাগলি)
আরেকটু ঘুমোতে দাও না প্লীজ।(আমি)
না,অনেক ঘুমিয়ে ফেলেছো।এখন চা টা
খেয়ে নিয়ে আমায় উদ্ধার কর।(পাগলি)
রেখে যাও,পরে খেয়ে নিচ্ছি,,,,,বলেই নড়ে
চড়ে ঘুমোলাম।
তা দেখে তো পাগলি রেগে গেছে।
ওই আমি কষ্ট করে চা তৈরী করলাম,আর
তুমি না খেয়ে আবার ঘুমাবা।(পাগলি)
কথাটা শুনে তো আমি চমকে উঠলাম,আমার
মিষ্টি বউটা চা করেছে নিজের হাতে।
তাড়াতাড়ি করে উঠে পড়লাম,আর লোভ
সামলাতে পারলাম না।
কোই দেখি চা টা।
তাকিয়ে তো আমি অবাক,
বললাম আপনি কে?(আমি)
ওই আমি কে মানে,নিজের বউ কে চিনতে
পারছো না।(পাগলি)
চিনতে কষ্ট হচ্ছে,এটা কি আমার সেই
পাগলি,না আকাশের পরী।
সদ্য গোসল সেরে শাড়ি পড়ে
এসেছে,কালো কেশ বেয়ে এখনো টিপ টিপ
করে পানি পড়ছে।সকালের সোনালি রোদ
টা মুখে লেগে, সত্যি অপরূপ সুন্দর লাগছে।
আমার পাগলিটা।
তুমি যেই হোও না কেন,তুমি কি আমার
সাথে প্রেম করবা।(আমি)
কেন?
এমনিতে আজকে আবার নতুন করে তোমার
প্রেমে পড়তে ইচ্ছে করছে।(আমি)
ওই ওত ঢং কোথায় থেকে শিখেছো,এদিকে
চা টা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে,আর তুমি না
খেয়ে ঢং করছো।(পাগলি)
কোই দাও,চা টা খেয়ে কিন্ত আবার
ঘুমোবো,আর বিরক্ত করবা না কিন্ত।
(আমি)
ওই কি বললা তুমি,এবার সুয়ে দেখ তোমার
কি করি আমি(রেগেমেগে আগুন)
বলেই চা টা দিয়ে চলে গেলো।
উফপপপ খুব সুন্দর করে চা বানাতে পারে
তো পাগলিটা।
আবার ডাক দিল, ওই তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয়ে
খেতে আস এবার গেলে পানি ঢেলে দিব।
(পাগলি)
না এই মেয়েকে বিশ্বাস নাই।এই ৫ মাসে
কমপক্ষে ৪ বার পানি ঢেলে দিছে।
যাই বলে,,,,,, ফ্রেস হতে গেলাম।
এসে দেখি বসে আছে পাগলিটা।
কোই ,,,দাও কি দিবা।(আমি)
দু জনে একসাথে খাচ্ছি।
এমন সময় ঐশি বলল,
আচ্ছা আমি তোমাকে খুব বিরক্ত করি তাই
না।(পাগলি)
কেন?
এই যে সব সময় তোমাকে বকা দেয়,এটা
করবা না ওটা করবা না।(পাগলি)
ওহ এতে আবার বিরক্ত হওয়ার কি আছে,আর
আমার এসব বিরক্ত গুলি খুব ভাল লাগে।
(আমি)
কি করবো বলো,আমি এমনি।(পাগলি)
তুমি যেমনি হও না কেন,আমার কাছে তুমি
আমার মতন।
যাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও
ভালবাসি,আর ভালোবেসে যাব।
আর আমি চাই তুমি এভাবেই সারাজীবন
আমাকে বিরক্ত করবা।(আমি)
হুম হয়ছে, এসব কাব্যিক কথা রেখে খেয়ে
নাও।(পাগলি)
চলো আজকে বিকেল এ কোথাও ঘুরতে যায়।
(আমি)
তাহলে তো ভালোই হবে।(পাগলি)
কোথায় যাবে(আমি)
একটা জায়গা আছে,আমাদের গ্রামের
বাড়িতে।
ওখানে নদীর পাড়ে,খুব সুন্দর জায়গা।এর
আগে যত বার আমি দাদুর বাগিতে গেছি
ততবারই ওখানে গেছি,তোমারও খুব ভাল
লাগবে।(পাগলি)
হুম তাহলে আর দেরি কেন,চল এখনি বের
হয়ে যাই।(আমি)
হুম,

বলেই দু জন মিলে বের হলাম,সেই চির চেনা
নদীর পাড়ের উদ্দেশ্যে।

No comments:

Post a Comment