Wednesday, February 22, 2017

★★প্রপোজ ★★

★★প্রপোজ ★★
.
✎✍═লেখা: অভিমানী হিমু (পড়া চোর)
.
.
------এই শুন না??(অভি)
-----হুম বল(মেঘলা)
-----মন খারাপ??
----না (অভিমানী সুরে)
----তাহলে কথা বলস না কেনো??
----এমনি যা তো এখান থেকে
-----ঐ রাগ করিস কেন?? একটা কথা বলার ছিলো
-----হু
-----বলবো?
-----হুম বল
------আমি
-------কি?
-----তোকে
-----আমাকে কি(চোখে মুখে হাসির ছাপ)
-----
------ঐ বল না তুই আমাকে কি??বলনা প্লিজ
----- না মানে তকে একটা কথা বলার ছিলো।
---হ্যা বল(খুশি হয়ে)
------তুই রাগ করবি না তো???
------আরে না রাগ
করবো না তুই বল (অনেক দিন ধরে শুনার জন্য
অপেক্ষা করছি কি রাগ করার জন্য ফিসফিস করে
বলে)
-----আমি না এক জন কে ভালোবাসি..
-----হুম জানি তো
------বলতো কাকে??
-----না তুই ই বল
-----ওই যে আমাদের ক্লাসের রিয়া নামে একটা
মেয়ে আছে না ওকে। মেয়েটা অনেক কিউট
তাই না রে????জানিস মেয়েটার উপর প্রতিদিন ই
ক্রাশ খাই।দুস্ত তুই একটু বলে দে না
------কিইইইইই???রিয়া একটা কিউট মাইয়া।তর কি বাজে
চয়েজ।ওর থেকে আমি কত কিউট দেখছোস
------ঐ আমার রিয়াকে নিয়ে খারাপ কথা বলবি না
-----কি আমার থেকে এখন অই রিয়া নামের
মেয়েটা বড় হয়ে গেছে তাই না।থাক তুই। আমার
সাথে আর কোন দিন ও কথা বলবি না।
.
কথাগুলা বলেই হনহন করে চলে গেলো।
এতখন কথা হচ্ছিল অভি ও মেঘলার সাথে। দুজনেই
এক সাথে ভার্সিটিতে লেখাপড়া করে।খুব ভালো
বন্ধুত্ব ওদের।একটা ছেলে আর মেয়ে
কখনো সারাজীবন বন্ধু হয়ে থাকতে পারে না
তাদের মাঝে ও তাই হলো। মেঘলা অভিকে খুব
ভালোবাসে।অভি যে বাসে না
তা কিন্তু নয় অভি ও খুব বেশি ভালোবাসে।অনেক
দিন প্রপোজ করতে গিয়েও প্রপোজ করে নি
আর এই নিয়ে সে কি রাগ। সব মেয়েই চায়
ছেলেরা আগে তাদের ভালোবাসার কথা বলুক
মেঘলাও তাই চায় অভি যেন তাকে আগে
প্রপোজ করে। কিন্তু অভি উল্টো সে চায়
মেঘলা তাকে আগে প্রপোজ করোক।
.
ধুর একা একা আর ভালো লাগে না। কেনো যে
মেয়েটাকে রাগাতে গেলাম।না আর না আজ
প্রপোজ করেই দিবো।ফোনটা হাতে নিয়ে
ফোন দেয় কিন্তু ফোন অফ।অনেক বার
চেষ্টা করে কিন্তু বার বার একই কথা বলছে।
মেয়েটাকে নিয়ে আর পারা যায় না।মেঘলার
আম্মুকে ফোন দেয় অভি
----হ্যলো আন্টি আসসালামু ওলাইকুম (আমি)
----ওলাইকুম আসসালাম(আন্টি)
---কেমন আছেন আন্টি?
------জি বাবা ভালো। তুমি কেমন আছো?
---জি আন্টি ভালো।আন্টি মেঘলা কই?? অর ফোন
অফ কেনো??
------আর বলোনা বাবা ভার্সিটি থেকে এসেই
রোমের দরজা লাগিয়ে দিছে আর খুলছেই না।
কত করে বললাম কি হয়ছে আমায় বল অই কিছুই
বলছে না।সারা দিন কিছু খাইও নাই
------অক্কে আন্টি আমি আসছি
----আচ্ছা তুমি এসে অকে একটু বুঝিয়ে যাও বাবা
---অক্কে আন্টি
..
বন্ধুকে ফোন দেয়
----ঐ শালা মেঘলা তো রাগ করছে (অভি)
----কেন(রাজু)
-----সকালে তর বুদ্ধিমত রিয়ার কথা বলছি তার পর
থেকেই ফোন অফ করে রাখছে(সকালে
মেঘলার কথাটা রাজুই আমাকে বলতে বলছিল যাতে
রিয়ার কথা শুনে রাগ করে আমায় বলে দেয়
ভালোবাসি কিন্তু উল্টো হল রাগ করে চলেই
গেলো। বললো না ভালোবাসি)
-----দুস্ত তাহলে তকেই এখন প্রপোজ করতে
হইবো
------ঐ হারামী তুই এই গুলা কিতা কছ। আমি পারতাম না
------না পারলে বইসা বইসা আঙুল চুসো।শালা প্রেম
করতে আইছে। প্রেম করতে গেলে সাহস
লাগে (রাগ করে বলে রাজু)
-------ঐ শালা আমার কি সাহস কমরে??এই এক্ষুনি
যাইতাছি মেঘলারে প্রপোজ করার লিগা। শালা মনে
রাখিস তুই আমার বিয়ার দাওয়াত পাবি না
-----যা দাওয়াত দিতে হইবো না। বিনা দাওয়াতে বিয়ে
বাড়ি গিয়ে খাওয়া তুই তো শিখাইছিস। (আসলে আমরা
দুজনে বিনা দাওয়াতে অনেক বাড়ি গিয়ে খেয়ে
আসছি তো)
------চোপ শালা
----ঐ শুন
টুট..টুট...টুট.....ফোনের লাইনটা কেটে দেয়
অভি।এখন যা করার আমাকেই করতে হবে। বুকের
মধ্যে ১কেজি সাহস নিয়ে মেঘলাদের বাসার
দিকে যায়।
.
.
মেঘলাদের বাসার নিচে অপেক্ষা করছে অভি।
হাতে ছোট্ট একটা গিফট। এই গিফটের ব্যবস্থা
করতে গিয়েই অনেক রাত হয়ে গেছে।
কলিংবেল বাজাতেই মেঘলার ছোট ভাই দরজা
খুলে দেয়
----কেমন আছো ভাইয়া?তোমার আপু কই?
----ভাইয়া আপু তো রোমে
----অক্কে তুমি এই গিফটা নাও।এটা তোমার আপু কে দিবে আর এই চিঠিটা
(হাতে গিফট আর চিঠি দিয়ে বলে)
-----অকে ভাইয়া
------এখনি দিবে কিন্তু আর বলবা আমি ছাদে আছি
------আচ্ছা।
.
মেঘলার ভাইয়ের কাছে জিনিসগুলো দিয়ে অভি
ছাদে চলে যায় আর মেঘলার ভাইয়াও মেঘলাকে
গিফটগুলি দিয়ে আসে। .
মেঘলা এখনো খুব রাগ করে আছে। পাগলটা গিফট
দিয়ে গেলো কিন্তু একবার ও আমার সাথে কথা
বলতে চাইলো না একবার দেখা ও করলো না।
লাগবে না ওর গিফট।গাল ফুলিয়ে বসে আছে
মেয়েটা।অনেক সময় চলে যায় না পারে না
মেয়েটা ভালোবাসার মানুষের সাথে কি এত রাগ
করে থাকা যায় নাকি কথাগুলি ভেবে একাই মুচকি
হেসে উঠে।প্রথমে চিঠিটা হাতে নে।
সেখানে অনেক সুন্দর করে লেখা """কিরে রাগ
করছিস.?রাগ করিস না প্লিজ।তোর জন্য অনেক
কষ্ট করে একটা গিফট আনছি আর হ্যা গিফটা কিন্তু
অন্ধকার রুমে খুলবি"""" চিঠিটা পরে চিন্তায় পরে যায়
মেঘলা।অন্ধকার রুমে খুললে দেখবো কি
করে।অভির কথা ফেলতে ও পারবে না তাই
অন্ধকার রুমে গিফটা খুলে মেঘলা।খুলে তো
মেঘলা অবাক চোখ কপালে উঠে গেছে।পাগল
ছেলেটা এসব কি করছে।অনেক গুলো
জুনাকিপোকার মাঝে রঙিন ছোট্ট একটা চিরকুট।
ছোট্ট করে লেখা ভালোবাসি। জুনাকিপোকার
মিষ্টি আলোতে রঙিন লেখাটা যেন একবার
জ্বলছে আবার নিভছে।মেঘলাকে এখন ছাদে
যেতে হবে কারন অভি যে তার জন্য অপেক্ষা
করছে।দৌড়ে ছাদে চলে যায় মেঘলা।ছাদের এক
কোনে দাঁড়িয়ে আছে অভি। মেঘলা পিছন
থেকে ঝাঁপিয়ে পিরে অভির উপর।
-----ঐ এভাবে কেউ আসে?(রাগ করে)
---- আসবো হাজারবার আসবো।
----আমি যদি এখন পরে যেতাম
-----ইশ বললেই হলো নাকি আমি কি
তকে পরে যেতে দিবো নাকি
----কেন তুই কি করবি
-----বুকে জুড়িয়ে নিবো
----তাই?তোর ছোট্ট বুকে আমার জায়গা তো হবে না
-----কেনো? জায়গাটা ছোট হলেও তোর জন্য
অনেক ভালোবাসা আছে তো
-----হুম।
-----কিসের হুম প্রপোজ কর
----না করলে হবে না
-----না হবে না(রাগ করে)
----তুই তো জানিস আমি প্রপোজ করতে জানি না
(মন খারাপ করে)
------আমি এত কিছু জানি না।
প্রপোজ তকে করতে হবে আর তুই না এখন
থেকে তুমি করে বলবা অতঃপর অভি হাটুগেরে
মেঘলার দিকে হাতদুটি বাড়িয়ে দেয়"ভালোবাসবি
আমায়??সারা জীবনের জন্য তোর হাত ধরার
অধিকার দিবি? তর সাথে সারাজীবন মিষ্টি ঝগড়া করার
সুজুগ দিবি আমায়।সকালের কুয়াশা ভেজে ঘাসের
উপর দিয়ে হাত ধরে হাটার অধিকারটুকু দিবি আমায়??
-------হুম
------ভালোবাসি
------আমিও অনেক বেশি
ভালোবাসি আমার জুনাইপোকা।

No comments:

Post a Comment