Tuesday, February 21, 2017

অন্যরকম অনেক কিছু..

অন্যরকম অনেক কিছু..
:
লেখা :Y.A.Polash (সাদা কাগজ)
:
(বিঃদ্রঃ পুরো টা পরতে অবশ্যই ধৈর্যের
প্রয়োজন...)
:
:
রাত ১২:৩০ ০১:০০ মতো টা মতো হবে...
ল্যাম্পোস্টে ঝুলে থাকা সোডিয়াম আলো
গুলোকে পৃথীবির বুকে এক এক টি নক্ষত্র
মনে হচ্ছে...
আশে পাশে কোন গাড়ির দেখা পাওয়াকে
ভাগ্যের বিষয় বলা চলে... মাঝে মধ্যে দু
একটি গাড়ি নীলের গাড়িকে পাশ কাটিয়ে
চলে যাচ্ছে...
তাতে নীলের কোন মাথা ব্যাথা নেই...
অন্য সময় হলে হয়তো নীল ওগুলর সাথে
আসফাল্ট এইট এর রেইস শুরু করে দিতো...
কিন্তু আজ ও খুব খুশি... অনেক টা সেজন্যই
ওর প্রতিযোগিতা মূল্যক মনোভাব টা অনেক
কষ্টে দমন করলো.. ও চাই না ওর সুখোকর সময়
টা এভাবে নষ্ট করতে...
ও বলাই হলো না কেনো ও এতো খুশি...
আসলে নীল একটা এ্যড ফিল্মের মিউজিক
কম্পোজিং স্টেশন এ কম্পোজার হিসাবে
কাজ করে... আর আজ রাতে ও ওর প্রথম
স্বনির্মিত একটা মিউজিক বানিয়েছে..
অবশ্যই কোন এ্যড ফিল্মের জন্য নয়.. এটা
বানানোর মূল উদ্যেশ্য হলো নিজের একটা
মিউজিক এ্যলবাম... আর কাল ই বস কে এটা
দেখাবে ভেবেছে ও...
:
চাঁদ উঠেছে কিনা গাড়ির ছাদের জন্য
বোঝা যাচ্ছে না... যেহেতু ড্রাইভিং
সিটে বসে দেখা যাচ্ছে না..
সেহেতু ধরে নেওয়া যাই.. ওঠেনি বা উঠলেও
মাথা বরাবর উঠেছে... নাহ্ অফিস ধেকে
বেড় হবার সময় দেখে নিলে আর এগুলো
ভাবা লাগতো না..
হুহ.. বাসাই পৌছতে এখোন ও অনেক দেড়ি..
এতো সময় কিভাবে কাটাবে চিন্তা করতে
করতে.. মনে পরলো গতোকাল রাতে
তাহসানের রিলিজ হওয়া এলবাম টা ওর
কাছে ডাউনলোড করা আছে.. অতঃপর
অবিলম্বে ফোন টা বের করে তার থেকে
একটা গান চালু করলো..
ভালোই.. লাগছে এর সাথে সাথে যদি একটা
সিগরেট হয় মন্দ হবে না...
কিন্তু গাড়িতে তো সিগরেট নেই.. আর
অবশ্য থাকার কথাও না। আসলে ও এখোন ও
সেভাবে সিগরেট খাই না তাই কাছে
সিগরেট রাখার ও প্রয়োজন পরে না.. মাত্র
কিছুদিন আগেই ওদের এক ড্রাইভারের
থেকে একটু আধটু খাওয়া শিখেছে!.
রাত ও তো অনেক হলো... আচ্ছা দেখি
রাস্তার পাশে কোন দোকান খোলা আছে
নাকি... নিজের মনকেই যেনো শান্তনা
দিলো...
:
কিছুদুর যাবার পরই ছোট মতো একটা মোড়
চোখে পরলো.. ওখানে পর পর দুইটা দোকান
খোলা দেখতে পেলো নীল। যায়গাটা
বাজারের মতো... একদম যে অচেনা ঠিক তা
নয়.. প্রায় এ রাস্তাদিয়ে নীল যাওয়া আশা
করে তো একটু আধটু চেনা জানাও আছে...
রাস্তার পাশে গড়িটি থামিয়ে কাঙ্খিত
সিগরেট কেনার আশাই দোকানের দিকে
রওনা দিলো নীল.. (আমি কোন সিগরেটের
পুরো নাম জানি না.. যেটুকু জানি তা
কিছুটা বিকৃত আকারে.. তা প্রকাশ করে
হাসির পাত্রহতে চাচ্ছি না.)
আর ফিরতেও তেমন সময় লাগলো না...
সিগরেট টা ও দোকান থেকেই ধরিয়ে
এনেছে...
অতঃপর পূনরাই গাড়ি চালাতে শুরু করবো...
কিছু দুর এগিযাবর পর ই একটা কর্কশ কন্ঠ
নীলের ভাবনাই বিচ্ছেদ আনলো...
-- হেই মিস্টার...
(নীলের মনে হলো কেউ তাকে ডাকলো
কিন্তু ও তো চলন্ত গাড়িতে.. একা ড্রাইফ
করছে তাহলে কে তাকে ডাকতে পারে...
সুতরাং ভুল শুনেছে ভেবে গুরুত্ব দিলো না)
--> এই যে.. এই..
--(নাহ্.. এটাতো ভুল হতে পারে না.. কেউ
একজন সত্যিই তাকে ডাকছে.. খুব কাছথেকে
ডাকছে.. তো নীল এদিক সেদিক শব্দের
উৎপত্তিস্থল খুজতে লাগলো!..)
--> এই জে.. আরে পিছনে তাকা.. সালা
পাগল..
--> (নীল পেছনে তাকিয়েই হতো বাক.. ওর
জীপের পেছনের সিটে কেউ একজন বসে
আছে... পেছনে আলো কম হওয়াই শুধু মাত্র
মেয়েলি কন্ঠ আর লম্বা চুলের অবায়ব
দেখেই বুঝতে হলো... সে একজন মেয়ে.. )
--> হোইছে এবার সামনে তাকা... আর ওই
ছাতা খান না চুশলে হয় না.?? (কাশতে
কাশতে.. হয়তোবা সিগরেটের গন্ধটা পছন্দ
নয়..)
--> আরে... কিন্তু কে আপনি.?? আর আমার
গাড়িতে কি করছেন.??
--> সালা বেশি পটপট শুরু করছোস... আর
একটা কথা কইলেই এই পিস্তল দিয়া তোর
কপাল ফুটা কোইরা দিবো...
--> (নীল তার মথার কাছে একটা থাতব
নলের স্পর্ষ পেলো ও এবার সত্যিই ভয় পেতে
শুরু করেছে.. ওর মাথার দুই পাশ বেয়ে
ঘামঝরতে চলেছে..) আচ্ছা এটা তো বলুন...
আপনি কেনো আমার গাড়িতে উঠেছেন...
--> আবার.??
--> না মানে আপনার যদি কোন হেল্প
লাগে বা কোথাও পৌছে দেওয়ার দরকার
হয় আপনি আমাকে বলতে পারেন আমি
যতোটুকু পারি চেষ্টা করবো...
--> আর একখান কথা কোইলে তোরে আমি
উপ্রে পৌছাই দিবো.. বুঝছোস.. কোন কথা
হবে না.. খালি আমি যা বলতেছি তুই তাই
করবি.. আর তা না হলে..! হা হা হা...
--> আচ্ছা.. বলেন কি করতে হবে...??
--> আমি যতোক্ষন না বলবো গাড়ি
থামাইবি না.. এখোন এক কাম কর.. তোর
মানিব্যাগ খান আম্রে দে... সাথে তোর
ঘড়ি.. আর সাথে ব্রেসলেট.. আংটি.. যা
আছে সব এক এক করে দে.. আর যদি চালাক
হোইবার ইচ্ছা যাগে... তাহলে তোর কষ্ট
করা লাগবো না.. তোর মরা লাশ থেকে
এগুলা আমি নিজেই নিয়ে নিবো!.
--> জি.. মানে.?? আপনি কি ছিন্তাই
কারী.??
--> না.. তোর বৌ... হালা কোইছি না..
বেশি পটর পটর করবি না.. পটর পটর করলে..
এক্ষনি কিন্তু...
--> আচ্ছা বুঝে গেছি তো.. দাড়ান বলেন
কি কি লাগবে আমি দিচ্ছি...
--> বুঝস না কি কি কি লাগবে..( নীলের
মাথাই আর একবার পিস্তল স্পর্শ করিয়ে...)
ন্যাকা সাজস.??
--> আচ্ছা এই নেন... ঘড়ি, মানিব্যাগ আর
ফোন নিয়ে লাভ হবে না.. এটা নিলে
আপনার ই ক্ষতি কারন স্মার্ট ফোনে
জিপিএস থাকে.. আর জিপিএস ট্রাক করে
আপনাকে পুলিশ ধরেনিয়ে যেতে পারবে..!
--> আচ্ছা হোইছে হোইছে... ফোন লাগবো
না... তোর হাতের ওটা কে দিবো.. খোল
ওইটা...
--> আরে.. এইটা দিতে পারবো না এইটা
আমার বড় আপু আমাকে গিফ্ট করছিলো!.
এইটা বাদে অন্য কি লাগবে বলেন দিচ্ছি!.
--> আর কি আছে.?.?
--> ক্রেডিট কার্ড আছে দিবো.??
--> থাক কোন কার্ড ফার্ডের দরকার নাই...
তুই ওই ব্রেসলেট খান দে.. আর যদি বেশি
তেরামো করোস তবে!. বুচ্ছোসই তো...
--> এইটা না নিলে হয় না.?? ( মেয়েটার
রেগে যাওয়া লক্ষ করে..) আচ্ছা ঠিক আছে
দিচ্ছি তো...
--> হু.. এইবার গাড়ি থামা....
--> কোথাই এখানেই.??
--> না সামনেই আমার বাড়ি তো.. চা
পানি খেয়ে তার পর যাইয়েন.?? হালাই
ফাজলামো করস.?? থামা গাড়ি...
--> ও আচ্ছা..
(মেয়ে টা গাড়ির দরজা টা খুলে বের
হলো... আসলে দোষ টা আমার ই ছিলো
সিগরেট কিনতে যাবার সময় অবহেলাই
গাড়ি লক করতে ভুলে গেছিলাম মানে
গাড়ি খান পুরা পাবলিক করে গেছিলাম..
তার মাশুল এভাবে দিতে হলো.. আগে
কখোনও এমন পরিস্থিতি তে পরিনি তাই
আচমকা এমন কিছু ঘটলে কি করতে হয় জানা
নেই.! তবে পত্রিকাই অনেক পরেছি এদের
সম্পর্কে.. এরা নাকি খুব ভয়ানক হয়. তাই
এদের কাজে কোন বাধা দেওয়ার সাহস
পেলাম না... হাজার হোক অর্থ গেলে আরো
অর্থ আসবে কিন্তু জীবন গেলে!. আশার
কোন নিশ্চয়তা নেই।
পাশে কোন ল্যামপোস্ট নেই.. কিন্তু
এখানে দিব্যি হাল্কা মায়াবি আলো
আছে... খুব সম্ভাবতো চাদের আলো... তার
মানে চাদ উঠেছে.. মেয়েটা গাড়ি থেকে
নেমে সামনের দিকে হাটা শুরু করলো.. না
এখোন ও তার চেহারা দেখিনি আর ইচ্ছাও
নেই কোন.. এমনিতেই এই লাইনের
মেয়েগুলা বিচ্ছিরি দেখতে হয়...
ভাবলাম গাড়িটা স্টার্ট দেই নয়তো দেখা
গেলো আবার অন্যকারোর খপ্পরে পরতে
হবে... আপাদত কাছে কিছুই নেই আর আবার
অন্য কোন ছিনতাই কারীর আক্রোমনে
পরলে তাকে যদি সন্তুষ্ট করতে না পারি!..
গাড়ি স্টার্ট দিবো ঠিক সেই মুহুর্তে আবার
কেউ একজন পাশ থেকে ডেকে উঠলো...
আমি একটু ভয় পেয়ে গেলাম!... নেউ আবার
কে.??
--> ওই শোন..??
না সেই মেয়েটাই... এখোন অবশ্য তার
চেহারা দেখা যাচ্ছে!.. চাদের আলো তার
চেহারার উপর সরাসরী ভাবে পরছে...
চেহারাটা কিছুটা এমোন মানে আমি
নিজেই কনফিউস্ড যে চাদ তাকে
আলোকিতো করছে নাকি সে চাদকে....
অপূর্ব মায়াবি একটা বিষয় আছে তার
ভিতরে...
--> ওই এইভাবে কি দেখেন.??
-->( কিছুটা অপ্রস্তুত সাথে আবার গালী
খাবার ভয়ে..) না কিছু না... (জোর করে
মনোভাব লুকিয়ে চেহারাই রাগ এনে..) কি
কোন কিছুতে কম পরে গেলো.?? আবার কি
দরকার???
--> একটা কথা বলতে আসলাম.. কথাটা
হলো স্মোকিং কিল্স!. পারলে সিগরেট
খাওয়া ছেড়ে দেন.. আপনারই তো ভালো
হবে..
--> (যাব বাবা এখোন ছিনতাই কারীরাও
দ্বায়ীত্ব শীল হয়েগেছে..?? তাদের
কাজের পাশা পাশি সমাজ সেবাও
করতেছে..)
ও আচ্ছা.. ঠিক আছে চেষ্টা করবো!.
--> ভালো.. আর কিছু দিতে বাকি থেকে
গেলো নাকি.?? থাকলে দিতে পারেন...
(তবে উত্তরের অপেক্ষা না করেই নিজের
গন্তব্যে চলেযাওয়ার জন্য নড়ে উঠলো..)
নীল আর একবার বিশ্বয়ের সাথে মেয়েটার
মূখপানে তাকালো!. কি অদ্ভুদ তাই না
কিছুক্ষন আগে পিস্তল হাতে যাকে ও
দেখেছিলো সে ছিলো ভয়ঙ্কর আর বাজে..!
কিন্তু এখন যাকে দেখলো... দির্দিধাই.. সে
কোন একজন সাধারন ও ভদ্র স্বভাবিক মেয়ে
বলা চলে... আর তার জন্য অন্যরকম অনুভুতি
কাজ করে.. আর সপথ করে বলা যাই এ মেয়ে
যদি ছিনতাই কারি না হতো তবে নীল আজ
নির্ঘাত এই মেয়ের প্রেমে পরে যেতে!!.
(উহু অতোসব ভেবে লাভ নেই) নিজের মনকে
একবার শ্বাসীয়ে নিলো নীল.. অঃপর নিজ
গন্তব্যের উদ্যেশে রওনা করার কথা মনে
পরতেই গাড়িটা স্টার্ট করলো..
কিন্তু গাড়িটা আর চালা হয়ে উঠলো না..
কারন হঠাৎ কোন একটা চিৎকার ওর কানে
ভেসে আসলো.. কি হয়েছে বুঝতে দরজা
খুলে বাইরে বেরোতেই দেখতে পেলো সেই
মেয়েটা রাস্তার মাঝখানে রক্তাক্ত
অপস্থাই পরে ছটফট করছে..
আর সামনেই একটা জিপ তিব্র গতিতে ছুটে
গেলো...
এ্যাকসিডেন্ট
--> আজ যে কার মুখ দেখে উঠেছিলাম..
একটার পর একটা ট্রাজেডি.. (কথাটা
আপনমনেই বিড় বিড় করে বলে উঠলো ও... কি
করবে ভেবে পাচ্ছে না.. এখোন ওর কি করা
উচিৎ... মেয়ে টাকে বাচানো উচিৎ নাকি
ছেড়ে রেখে যাওয়া উচিত..!
নিজ মনেই খুব দ্রুত একটা ক্যালকুলেশন
করলো...
এখোন যদি ও মেয়ে টাকে বাচাতে
হসপিটালে নিয়েযাই তবে অবস্যই অনেক
ঝামেলা হবে কারন এটা একসিডেন্ড কেস..
পুলিশ কে না জানিয়ে ডাক্তার কিছু করবে
না.. আর এই রাত্রে.. এটা মানে অনেক
ঝামেলা.. আর তাছাড়া মেয়েটা একটা
ছিনতাইকারী কিছুক্ষন আগেই তাকে একটা
অস্ত্র নিয়ে আক্রমন করেছিলো.. রাতও তো
অল্প হয়নি . অতঃপর এমোন ঝামেলাই না
জড়ানোই ভালো.. তাছাড়ামেয়েটা এখোন
যে অবস্থাই আছে বাচবার সম্ভাবোনাও খুব
বেশি নেই!. বাই চান্সস কিছু হয়েগেলে...
আর পুলিশের জজবাবাদিহির সম্মূখিন হতে
হবে..!। এ ঝামেলাই না জড়ানোই ভালো...
নীল ফিরে যাবে ভাবছে... হাঠাৎ ই কিছু
একটা ভেবে এক দৌড়ে মেয়েটার কাছে
পৌছে গেলো... কোন কিছু না ভেবেই তার
রক্ত মাখা দেহটা কোলে করে গাড়ির
ব্যাক সিটে এনে কোন রকম শুয়িয়ে দিয়ে
খুব দ্রুত গাড়িটি স্টার্ট দিলো।
আর কিছুক্ষন বাদেই কাছেই একটা
হসপিটালে পৌছে গেলো...
নীলয়ের একটা বন্ধু এই হসপিটালের
সার্জারি বিভাগের ডাক্তার.. গাড়িতে
থাকা কালীন সময়েই ওকে একবার ফোন
করে আসতে বলেছে...
হসপিটালে ঢুকার সাথে সাথেই নীলয়ের
বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে গেলো ওর বাসাও
কাছেই.. ওর বন্ধুকে মেয়েটাকে দেখাতে
স্বাভাবিক ভাবেই সে জানতে চাইলো
মেয়েটা কে...
--> (কি বলবে বুঝতে না পেরেই...) কে এই
মেয়েটা মানে.. আর কি ও.. একে তুই চিনিস
না ওতো আমার বোন...
--> আপন বোন.??
--> হ্যা.. মনে না.. আরে আপোন বোন হতে
যাবে কেনো খালাতো বোন..
--> (নীলের বন্ধু বুঝতে পারলো নীল
সত্যিটা বলতে চাইছে না. তাই আর কথা
বাড়ালো না...)
:
২য় অংশ...
:
:
সকালের আলো ফুটেছে.. নীলের স্মৃতি গুলো
এখোন কার মতো মুক্তি চাচ্ছে...
হসপিটালের বারান্দাই ওয়েটিং রুমে বসে
নীল খুব করে ঝিমুচ্ছে...
সরা রাত ধরে.. ২ বছর আগে ঘটে যাওয়া
কিছু স্মৃতি ঘেটে চলেছিলো ও....
কিন্তু ভাবনাই ছেদ পরার কারন খুজতেই
বুঝতে পেলে সামনে দাড়িয়ে থাকা একজন
নার্স তাকে ডেকে চলেছে.. যদিও নীল
ঘুমাই নি.. তবুও ও স্মৃতির পাতাই এতো গভির
ভাবে মিশে গিয়েছিলো যে দু বছর আগে
ঘটেযাওয়া কাল ও বর্তমানের মতোনে
হচ্ছিলো.. অতঃপর চোখ মুছে নার্সের দিকে
মনো যোগ দিলো ও...
--> এইযে.. শুনছেন.. আপনি কি মিঃনীলয়উর
রহমান নীল.??
--> জি.. আমার স্ত্রী এখোন কেমন আছে.??
--> জি.. শুধু স্ত্রী না আপনার বাচ্চাটাও
ভালো আছে... ছেলে হয়েছে আপনার....
--> (নীল এখোন বাবা, কথাটা কানে
পৌছাতেই উত্তেজনাই সমস্ত শরীর
স্তম্ভের মতো স্থির হয়েগেলো... যেহেতু
প্রথমবারের মতো বাবা হলো... তাই প্রথম
বার বাবা হওয়ার সুখকর মূহূর্ত টা ওর কাছে
অন্যরকম লাগছে...)
--> কি এভাবে হা করে দাড়ি থাকলে
চলবে.?? মিষ্টি খাওয়াবেন না.?? যদি
মিষ্টি না খাওয়ান তাহলে কিন্তু বাচ্চা
বা মা কাউকেই দেখতে দিবো না..
--> হু.. ঠিক আছে... (কথাটা বলেই উল্টো
ঘুরে হসপিটালের মেইন গেট লক্ষকরে ঝড়ের
মতো দৌড়ে গেলো নীল... উদ্দেশ্য মিষ্টির
দোকান...
:
পরের দৃশ্য টা আরো হাস্য কর.. মিষ্টির
দোকান থেকে ফিরবার পথেই.. রাস্তা
পরিচিত অপরিচিত যাকেই পাচ্ছে... -->
ভাই আমার ছেলে হয়েছে... এই বাক্য টা
আওরাতে আওরাতে মিষ্টি বিতরন করছে..
কিছু লোক তো পাগল ছাগল ইত্যাদি
মন্তব্যও করে চলেছে..
অতঃপর সেই ছিনতাই কারির দর্শন হলো..
তার পাশেই অন্য একটা ফুটফুটে ছিনতাই
কারী শুয়ে শুয়ে খেলা করছে...
ছিনতাইকারি এজন্য বল্লাম কারন বাচ্চা
টাকে দেখলে যেকেউ এর উপ্রে ক্রাশ
খাবে.. একদম সেইরকমের..
নীল আস্তে আস্তে ওর বাচ্চার কাছে
এগিয়ে গেলো.. নাহিন (নীলের স্ত্রী)
এখোন ও ঘুমাচ্ছে.... ওকে আর জাগালো
না...
সোজা বাবু টার কাছে এগিয়ে গেলো!..
গিয়েই আর একবার চমকে উঠলো!. এটা তো
একদম ওর মায়ের কার্বন কপি.. সেই চোখ
সেই নাক.. সেইরকমের সব কিছু....
নীল জানে না কেনো তবে বাচ্চা টাকে
কোলে নেওয়ার সময় নিজের অজান্তেই
কেদেফেল্লো!!
এইকি তাহলে পারিবারিক সুখ... এটাই কি
জীবনের মানে.. এর জন্যই হয়তো মানুষ তার
জীবন কে এতো মূল্যদেই..!
হঠাৎ ই বাচ্চা টা কেঁদে উঠলো...
আগে কখোনও এতো ছোট বাচ্চা কোলে নেই
নি নীল!. তাই কোন ভুল হলো নাকি সেই
সংকায় একটু খানিক ভয় পেলো..
এদিকে কান্নার শব্দে নাহিনেরর ঘুম
ভেঙ্গে গেলো!.. ও অপলোক দৃষ্টিতে নীলের
দিকে তাকিয়ে আছে...
--> এইজে ম্যাম কি দেখেন এভাবে.??
(নীল)
--> কিছু না.. রাত্রে নাকি ঘুমাওনি...
(নাহিন)
--> কে বল্ল ঘুমাইনি.??
--> নার্স কে জিগ্যেস করেছিলাম... ও
তোমাকে কিছুক্ষন পর পর গিয়ে দেখে
আসছিলো..
নীল হাসি মাখা দৃষ্টি নিয়ে একবার
নাহিনের দিকে তাকালো...
ভাবছে... সেদিনের সেই ছিনতাইকারি
মেয়েটাআর আজকের এই স্ত্রী.. কতোটা
পার্থক্য... কেউ স্ব চোখ্যে না দেখলে
বুঝতে পারবে না...
নাহ্.. সেদিন মেয়েটার একসিডেন্ট টা না
হলে এতো কিছু সম্ভাব ছিলো না..
হয়তো কোন বাংলা সিনার কাহিনীর মতো
নাহিন তার সম্মৃতি শক্তি হারিয়ে ফেলে..
নীলকে জীবনের সঙ্গী হিসাবে আকরে
ধরেনি!.. তবুও নাহিনের দুইটা জীবনের
ভিতর কোন মিল নেই!.. এটাই হয়তো
মেয়েদের বিশেষ গুন... এরা যে পরিবেশেই
যাই নিজেদের কে মানিয়ে নিতে পারে...
এইগুন টা প্রতিটা নরীর ভিতরেই বিদ্যমান..
যাইহোক এবিষয়ে এতোকিছু না বল্লেও
চলবে কারন চলতি সমাজে এর প্রমানের
অভাব নেই...
সুধুমাত্র নীলের অগ্রহ বা অনুরধে হয়তো
এতো কিছু সম্ভাব ছিলো না.. আসলে
একসিডেন্টের পর নাহিনের সঙ্গী সাথি
যারা ছিলো আর এই স্বার্থপর সমাজ..
পরিবার তারা যে নাহিন কে স্বভাবিক
জীবনে ফিরিয়ে আনতে ঝামেলা করেনি
তা নয়.. কিন্তু শেষে এসে ভালোবাসার জয়
হলো...
আর এটাই তো স্বভাবিক তাই নয় কি..??
So...
বেচে থাক ভালোবাসা... বেচেথাক
মানুষত্য!...
yap... //

No comments:

Post a Comment