Tuesday, February 14, 2017

গল্প: "ভালোবাসার নিস্তব্ধ প্রকৃতি"

গল্প: "ভালোবাসার নিস্তব্ধ
প্রকৃতি"
.
.
লেখক: Naimul Islam Rubel (নিশ্চুপ জীবনের
লুকোচুরি)
.
.
না এই বেলুনওয়ালে নিয়ে আর পারা গেলো
না।এত যায়গা থাকতে এই যায়গায় ই কি
বেলুন বিক্রি করতে আসা লাগে?কথা গুলি
চিন্তা করছে অবন্তী।সে বুঝতে পারে না
এই বেলুন ওয়ালা এত যায়গা থাকতে
এখানেই কেনো আসে?আর তার ছোট ভাইকে
প্রতিদিন বেলুন কিনে দিতে হবে।দিনের
পর দিন এমন চলতে থাকার পরে বিরক্তি
চলে আসে অবন্তীর।
.
ভাইয়ের হাত ধরে নিচে নেমে আসে
অবন্তী,একটা লাল হলুদ রঙ এর বেলুন কিনে
ভাইয়ের জন্য।যখন অবন্তী বেলুন ওয়ালার
কাছে টাকা দিয়ে চলে যাবে তখন বেলুন
ওয়ালা অবন্তীর ছোট ভাইকে ডাক দিয়ে
বলে ভাইয়া একটু শুনো।এই নাও আরো একটা
বেলুন এইটা তোমাকে গিফট দিলাম।
বেলুনটা ছিলো একদম লাল আর একটু অন্যরকম
দেখতে সব বেলুনের থেকে আলাদা।
অবন্তীর ভাই ছোট তাই দুইটা বেলুন রাখতে
পারবে না এই জন্য লাস্টের বেলুনটা
অবন্তীই হাতে নেয়।অবন্তী জিজ্ঞেস করে
কেনো গিফট দিবেন ও গিফট নিবে না এই
বেলুন নিন।বেলুন ওয়ালা বলে না আজকে
আমার জন্মদিন তাই সবাই কে একটা গিফট
দিচ্ছি।
.
.
অবন্তী বলে আচ্ছা একটা কথা জিজ্ঞেস
করি আপনার পোশাক,বয়স,কথাবার্তা সব
কিছু দেখে মনে হয়না আপনি বেলুন বিক্রি
করেন।সত্য করে বলুন তো কে আপনি আর
এইখানেই কেনো প্রতিদিন এই নির্দিষ্ট
টাইমে আসেন।বেলুন ওয়ালা বলে না এমনিই
বিকালের দিকে আমি এইখানেই আসি
বিক্রি করতে।অবন্তী আর কথা বাড়ায়
না,ভাইকে নিয়ে বাসায় চলে যায়।
.
বাসায় গিয়ে অবন্তীর মনে পড়ে ইসসস
ছেলেটাকে তো জন্মদিনের শুভেচ্ছাও
জানানো হলো না।ভাবতেই খারাপ লাগে
অবন্তীর।চিন্তা করে না আবার নিচে
গিয়ে বলে আসবে শুভ জন্মদিন।যেই ভাবা
সেই কাজ কিন্তু নিচে নেমে দেখে
ছেলেটি বেলুন নিয়ে দাঁড়িয়ে নেই।কেমন
যেন একটা খারাপ লাগা শুরু করে অবন্তীর
মনের মাঝে।এই খারাপ লাগা কি শুধুই
জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে
পারেনি তাই নাকি অন্য কোন কারণে
বুঝতে পারেনা অবন্তী।চিন্তা করে এখন
অপেক্ষা কালকে পর্যন্ত ছেলেটি কালকে
আসলেই আগে শুভেচ্ছা জানবে..............
.
পরের দিন অবন্তী ছেলেটিকে খুঁজতে লাগে
কিন্তু কোথাও আর পায়না।অনেক অপেক্ষার
পরে যখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে তখন অবন্তীর
একটু একটু খারাপ লাগতে শুরু করে।কিন্তু
কিসের জন্য এই খারাপ লাগে বুঝতে পায়না
অবন্তী।রাতের দিকে তার ছোট ভাই
বেলুনটা নিয়ে তার রুমে আসে।অবন্তী তখন
ও খাটের উপর শুয়ে শুয়ে চিন্তা করছে ওই
ছেলেটির কথা।অবন্তীর ভাই বলে
আপু বেলুনটি একটু বড় সুতা দিয়ে বেধে দাও
না, আমি উড়াবো।তখন অবন্তী বলে না তুই
যা আমি এখন পারবো না।অবন্তীর ভাই
কান্না শুরু করে দেয়।বাধ্য হয়ে অবন্তী বলে
দে আমি দিচ্ছি বেধে।
.
অবন্তী প্রথমে হলুদ বেলুনটায় সুতা বেধে
দেয়, এর পরে যখন লাল বেলুনটা বাঁধতে যায়
তখনই হাতের নখের আছড়ে ফেটে যায়।তাই
দেখে অবন্তীর ভাইয়ের কান্না,বলে তুই
আমার বেলুন এনে দিবি।এই কান্না করতে
করতেই অবন্তীর ভাই তার মায়ের রুমের
দিকে চলে যায়।অবন্তীর কোলের উপর ই
ছিলো বেলুনটা ফেটে যাওয়ার কারণে
একটা ভাজ করা কাগজ তার কোলর উপর পরে
ছিলো।হঠাৎ সেই কাগজের দিকে নজর যায়
অবন্তীর।কিসের কাগজ বেলুনটার ভিতরে
যা লাল-নীল ঝরি তার কোলের উপর পরে
যা কাগজটির গায়ে লেগে ছিলো।
.
অবন্তী কাগজটি খুলতে যাবে তখন ই তার
মা হাজির রুমে এসে তার ভাইয়ের হাত
ধরে।অবন্তী মা কে দেখে কাগজটি লুকিয়ে
ফেলে।অবন্তীর আম্মা জিজ্ঞেস করে
কিরে অবন্তী তুই নাকি আবিরের বেলুন
ফুটো করে দিছিস এখন বেলুন কিনে এনে
দিবি।অবন্তী বুঝতে পারে তার মা
আবিরকে শান্ত করতেই অবন্তীকে বকা
দিচ্ছে।অবন্তী বলে ঠিক আছে আম্মা আমি
কালকেই ওকে ৫টা বেলুন কিনে এনে দিব।
অবন্তীর আম্মা আবির কে নিয়ে চলে যায়
রুম থেকে।মায়ের যাওয়ার সাথে সাথেই
অবন্তী কাগজটি বের করে ভাজ খুলে
কাগজের ভাজ খোলার পরেই অবন্তী বুঝতে
পারে এইটা একটা চিরকুট।পড়তে শুরু করে
অবন্তী.....চিরকুটটি
.
.
অবন্তী,
হয়ত ভাবছো আমি কে?হ্যাঁ আমিই সেই
বেলুন ওয়ালা,যে রোজ বিকেলে তোমাকে
দেখার জন্য তোমার বাড়ির সামনে বেলুন
বিক্রি করতে আসতাম।জানি হয়ত যখন তুমি
এই চিরকুটটি পাবে
আমাকে খুঁজবে।কিন্তু আমি এই খোজার
দিনটি আরো আগে দেখতে চেয়েছিলাম।
.
প্রায় তিন মাস ধরে তোমার রোজ বিকালে
তোমায় দেখার জন্য তোমাদের বাড়ির
সামনে দাঁড়িয়ে থাকতাম।তুমি যখন
তোমার ভাইকে নিয়ে আসতে খুব ইচ্ছা
করতো তোমাকে বলে দেই মনের মাঝের
কথা গুলি।
.
কিন্তু আজ বলি কাল বলি করে আর বলা
হয়না,শেষ পর্যন্ত ঠিক করে নেই আমার
জন্মদিনের দিন তোমায় বলবো।তবে
সেইদিন ও যে বলতে পারবো না তা আগে
থেকেই বুঝতে পেরে এই চিরকুট দেওয়ার
সিদ্ধান্ত নেওয়া।
.
জানি না চিরকুট টা তুমিই পাবে
কিনা,নাকি তোমার ভাই উড়িয়ে দিবে
আকাশে।তবে এইটুকু বিশ্বাস নিয়েই দেওয়া
আমার ভাগ্যে যদি তোমায় আল্লাহ্ লিখে
রাখেন তবে হয়ত তুমি চিরকুটটি পাবে
ইনশা আল্লাহ্।
.
হয়ত তুমি ভাবছো কে আমি,কিভাবে চিনি
তোমায়?তুমি একটু মনে করে দেখ কোন এক
শপিং মলের দোকানে তোমার রেখে
যাওয়া মোবাইলটা ফেরত দেওয়া ছেলেটার
কথা মনে পড়ে কিনা?যদি মনে পড়ে আর
আমায় ভালোবেসে থাকো আমার
ভালোবাসার কথা বুঝতে পারো তবে একটু
খুঁজে দেখ আমি তোমার অপেক্ষায় থাকবো।
.
.
অবন্তীর এইবার মনে পড়তে লাগে,এর জন্যই
ছেলেটিকে তার চেনা চেনা লাগে।কিন্তু
কতটা অভিনয় করছে ছেলেটি।যে এতটা
স্মার্ট,সেই ছেলেটা এমন পোশাকে দিন নয়
সপ্তাহ নয় কয়েকটা মাস ধরে তার বাসার
সামনে দাঁড়িয়ে থাকতো তার জন্য অথচ সে
বুঝতে পারেনি কতটা বোকা নিজেই
চিন্তা করে মুচকি হাসি দেয় অবন্তী হ্যাঁ
সেও ভালোবাসে তার বেলুন ওয়ালাকে।
.
.
পরের দিন অবন্তী যায় তার বেলুন
ওয়ালাকে খুঁজতে,সেই শপিং কমপ্লেক্সে।
প্রথমে গিয়ে জিজ্ঞেস করে বেলুন ওয়ালার
বর্ণনা দিয়ে যে তাকে চিনে কিনা সবাই
বলে আপনি মনে হয় নিস্তব্ধ ভাইয়ার কথা
বলছেন।ভাইয়া মিটিং এর জন্য চিটাগাং
গেছেন আসবে দুইদিন পর।অবন্তী জিজ্ঞেস
করে উনি কি করেন আর উনি কি এই
দোকানে চাকরী করতেন?অবন্তীর কথা শুনে
সবাই অবন্তীর দিকে হা করে তাকিয়ে
আছে?বলে না এইটা নিস্তব্ধ ভাইয়ার
শপিং মল আর এই শপটা তার একটা ছোট শপ
মাত্র।এছাড়া অনেক গার্মেন্টস আর ব্যবসা
আছে তার।
.
অবন্তী তখন চিন্তা করে সে ভুল করছে না
তো,তখন জিজ্ঞেস করে আচ্ছা নিস্তব্ধ
সাহেবের কোন ছবি আছে আপনার কাছে।
দোকানের ছেলেটা তখন হাত দিয়ে একটা
ছবির দিকে দেখিয়ে দিয়ে বলে ওইটা
আমাদের নিস্তব্ধ ভাই,উনি ই আমাদের টি-
শার্টের মডেল এ এড দিছেন।অবন্তী
তাকিয়ে দেখে হুম এই সেই বেলুন ওয়ালা
যাকে সে চিনত।অবন্তী অনেক বুঝিয়ে
নিস্তব্ধের কন্টাক্ট
নাম্বার নেন,এবং বাসায় চলে আসেন।
.
অবন্তী চিন্তা করে রাতে ফোন
দিবে,কিন্তু না তাকে যেমন চমক দিয়েছে
সেও দিবে।সে ফোন দেয় নিস্তব্ধকে,বলে
আপনি তো নিস্তব্ধ বলছেন।নিস্তব্ধ বলে
হ্যাঁ আপনি কে বলছেন?আমি অবন্তী বলছি।
অবন্তী নামটা শুনে নিস্তব্ধ একটু সময়
সত্যিই নিস্তব্ধ হয়ে যায়,বুঝতে পারে
অবন্তী তার চিরকুট পেয়েছে।অবন্তী বলে
দেখুন আপনি আমাকে ভালোবাসেন আমি
জানতে পেরেছি কিন্তু আপনি খুব দেড়ি
করে ফেলেছেন বাড়ি থেকে আমার বিয়ে
ঠিক করে ফেলেছে তাই আপনাকে আমি
কোন কথাই দিতে পারলাম না আপনাকে
জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো খুব দরকার
ছিলো তাই ফোন দেওয়া "শুভ জন্মদিন"।
.
নিস্তব্ধ কিছু বলার আগেই অবন্তী ফোন
রেখে দেয়।নিস্তব্ধ পরে চেষ্টা করলেও আর
কল দিতে পারে না।সেই রাতেই গাড়ি
নিয়ে রওয়ানা হয় অবন্তীর বাড়ির উদ্দেশ।
ভোরের দিকেই এসে নিস্তব্ধ পৌছায়
নিজের বাড়িতে।মা-বাবাকে অনেকটা
ঘুমের অবস্থায় ডেকে তুলে। বাবা-মা কে
বলে মা বাবা তোমরা আমাকে বিয়ে করার
জন্য বলতে না,আজকে আমি বলছি তোমরা
চলো আমার জন্য মেয়ে দেখতে।আর আজকে
যদি ওকে বলতে না পাড়ি অর পরিবার
থেকে ওকে বিয়ে দিয়ে দিবে।নিস্তব্ধের
বাবা-মা দুইজনই মুচকি হাসি দিচ্ছে বলে
তাই বলে এত সকালে?
.
নিস্তব্ধ বলে হ্যাঁ চলো এখনই,মামাকে আমি
বলে রেখেছি ফোন দিলে সে চলে আসবে।
মামাকে নিয়ে তারা অবন্তীদের বাসায়
পৌঁছায়। নিস্তব্ধের বাবা দেখে বলে এই
বাড়ি?বলে হুম বাবা মেয়েটার নাম অবন্তী
খুব ভালো মেয়ে।নিস্তব্ধের বাবা-মা
দুইজনেই মুচকি হাসছেন।কলিং বেলের
আওয়াজে ঘুম ভাঙে অবন্তীর বাবা-মায়ের
কিন্তু এত সকালে কে।দরজা খুলে দেখে
নিস্তব্ধের বাবাকে।অবন্তীর বাবা বলে
আরে ফারুক তুই এত সকালে কেমন আছিস
বলেই জড়িয়ে ধরে।
.
নিস্তব্ধ আবোর নিস্তব্ধ হয়ে যায়।
উফফফফফফ বাবা আগেই চিনতেন আর আমিই
জানতাম না ভালোই হয়েছে বাবার বন্ধুর
মেয়ে মনে মনে চিন্তা করছে নিস্তব্ধ।
ভিতরে গিয়ে বসে তারা।যত সহজে বাবা-
মাকে অবন্তীদের বাসায় নিয়ে আসছে এখন
খুব লজ্জা পাচ্ছে বাবার পরিচিত বলে।
ফারুক সাহেব বলছে তা রফিক শুনবি না এত
সকালে কেনো আসলাম তোর বাড়িতে।
রফিক
সাহেব বলে হ্যাঁ তো বল কি খবর কিসের
জন্য আসলি।
.
ফারুক সাহেব বলে আরে ছেলেকে এত দিন
বিয়ে করাবো তাই মেয়ে দেখার জন্য বলি
ছেলে রাজি না।একদিন বললাম তোর
মেয়ের কথা যে আমার এক বন্ধুর মেয়ে আছে
চল দেখে আসি কিন্তু না সে তখন বিয়েই
করবে না।আজকে ভোর বেলা কই থেকে এসে
ঘুম থেকে জাগিয়ে বলে সে অবন্তী নামে
একজনকে ভালোবাসে তার বিয়ে হয়ে
যাচ্ছে তাই তাদের বাড়িতে গিয়ে কথা
বলতে।আর সেই অবন্তীর বাড়িই তোর
বাড়ি।এই কথা বলার বলার পরে অবন্তীর
আম্মা আব্বু,নিস্তব্ধের বাবা-মা আর মামা
সহ সবাই হাসতে শুরু করে।
.
কিছু সময় পর অবন্তীর আব্বু বলে দাড়া
বুঝলাম সবই কিন্তু অবন্তীর বিয়ে তো হচ্ছে
না এমনকি কোন ছেলেও দেখা হয়নি বা
দেখতে আসেনি তবে কি ভাবে কি।
নিস্তব্ধ বলে অবন্তীই তো তাকে ফোন
দিয়ে এই সব বলে যে তার বিয়ে হয়ে
যাচ্ছে।একটু দূর থেকে দরজার আড়াল থেকে
অবন্তী বলে কেউ যদি তিন মাস বেলুন
ওয়ালা হয়ে আমাকে মিথ্যা বলতে পাড়ে
আমিও তার জন্যই বলেছি যে আমার বিয়ে
হয়ে যাচ্ছে।নিস্তব্ধের আম্মা ডাক দেয়
অবন্তীকে।মায়ের পাশে বসিয়ে বলে কিরে
মা আমার ঘরের মেয়ে হয়ে থাকবি তো?
অবন্তী বলে হুম থাকবো,তবে আপনার ছেলে
যেন আর বেলুন বিক্রি করতে না যায়।সবাই
অবন্তীর কথায় আরো একবার হাসাহাসি
করে।
.
এর পরে দুই পরিবারের কথা ঠিক হয়,১০দিন
পরে তাদের বিয়ে হয়।খুব সুন্দর করেই যাচ্ছে
অবন্তী আর নিস্তব্ধের সংসার জীবন।
নিস্তব্ধের সারাদিন অফিস আর অবন্তী
বাসায় শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে থাকে।এমন
করে দিন মাস গড়িয়ে তিনটা বছর পার হয়ে
যায়।একদিন নিস্তব্ধ অফিসে এমন সময় ফোন
পায়, তার বাবা বলেন অবন্তী মাথা ঘুরে
পরে গেছে।ডাক্তার এসেছে তুই আয়।
.
নিস্তব্ধ জলদি করেই বাসায় আসে।ডাক্তার
সব দেখে ফারুক সাহেবকে বলেন ফারুক
সাহেব মিষ্টি আনুন আপনি দাদা হচ্ছেন।
একটু না পুরা পরিবার এই খুশির খবরে খুশি
হন।এবার থেকে নিস্তব্ধ খুব ভালো করেই
কেয়ার করতে থাকে অবন্তীকে।সব কাজ
গুলি সেই করে দেয় এক রাতে অবন্তী বলে
তুমি আমার কাছে এসে বসো নিস্তব্ধ।
.
নিস্তব্ধ বলে অবন্তী.......
.
নিস্তব্দ : কি খুব কষ্ট হচ্ছে নড়াচড়া কইরো
না "বাবু" ব্যথা পাবে "লক্ষ্মীটি"
.
অবন্তী : কষ্ট পাই তবুও আমাদের প্রকৃতি
যেন ব্যথা না পায়,তুমি আমাকে আস্তে
করে তোমার কোলে মাথা রেখে ঘুম
পরিয়ে দাও।
.
নিস্তব্ধ : হুম তুমি ঘুমানোর চেষ্টা করো
আমি তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি।
.
নিস্তব্ধ কিছু সময় পরে জিজ্ঞেস করে এই
শুনছো,আমাদের যে মেয়ে হবে তুমি বুঝলে
কি করে?
.
অবন্তী : আমি যে আল্লাহ্ এর কাছে সব সময়
চাইতাম আমাদের যেন মেয়ে হয়।আর তার
নাম হবে প্রকৃতি।
.
নিস্তব্ধ : হুম আর যদি ছেলে হয়....?
.
অবন্তী : না ছেলে হবে না আর হলেও
তোমার মতই পাজি হবে আমি জানি।
অতঃপর নিস্তব্ধ আর অবন্তীর হাসিতে
তাদের প্রকৃতিও সারা দেয় যা শুধু অবন্তীই
বুঝতে পায়।
.
.
আর ৪টি মাস,এখন প্রতীক্ষায় আছে অবন্তী
আর নিস্তব্ধ শুধুই তাদের প্রকৃতির জন্য এই
প্রকৃতির মাঝে আসার।যাকে নিয়ে কেটে
যাবে তাদের বাকিটা জীবন.(সমাপ্ত)
.
.
ডেডিকেটেড টুঃ "লাজুক রাজকন্যা" (পিচ্চি
বউ)

No comments:

Post a Comment