Saturday, February 18, 2017

গল্প: "গুন্ডা বর"

গল্প: "গুন্ডা বর"

>> আজকে অফিস থেকে একটু তাড়াতাড়ি
আসতে পারবা?
<< কেন?
>> না এমনি।
<< নাহ, আজ অফিসে অনেক কাজ দেখোনা
সেজন্য তাড়াতাড়ি যাচ্ছি।
>> থাক আসা লাগবে না।
<< আচ্ছা চেষ্টা করবো তাড়াতাড়ি আসার
জন্য।
>> বললাম না আসা লাগবে না. ( মন খারাপ
করে)
<< আরে রাগ করার কি আছে, অফিস তো আর
আমার কথায় চলে না
>> এতো কথা বলতে বলছি, আসতে পারবা
না শেষ আসা লাগবে না।
<< আচ্ছা যাই।
আমি জানি কাল উনার জন্মদিন, আবার
কালকে আমাদের বিবাহ বার্ষিকী দুইটা
একই দিনে, এ জন্যই তাড়াতাড়ি আসতে
বলছে কিন্তু আমি প্লান করে রেখেছি খুব
সুন্দর করে পালন করবো ছাদটাকে সুন্দর করে
সাজাবো বেলুন দিয়ে ফুল দিয়ে অফিস
থেকে দুই দিনের ছুটি নিয়ে নিয়েছি
এখন গিয়ে সব কিছু সুন্দর করে সাজাতে
হবে।
আমি জানি আমি অফিসে যাওয়ার পর
জেরিন কাসা থেকে বের হয় না।।।।
আমাদের বিয়ে হয়েছে আজ এক কছর,
যেদিন ওকে দেখতে গেলাম সেদিন থেকেই
বুঝছি মেয়ে কি পরিমান রাগি।
মেয়ে দেখতে গেলাম
দেখার পর
একজন এসে বললো মেয়ে নাকি আমার
সাথে কিছু কথা বলবো
ছাদে গেলাম
>> এই যে
<< চমকে উঠলাম। জ্বি
>> আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারবো না
<< কেনো?
>> আপনার যেই চেহারা, যে বডি ফিটনেস,
যে কিউট আমি শিউর আমি শত মেয়েদের
সাথে লাইন মারছেন।
<< খুব হাসি পেলো।
>> আচ্ছা সত্যি করে বলেন তো কয়জনের
সাথে লাইন মারছেন।
<< ১২, ১৩ জন হবে হয়তো।
>> কিইইইইই গুন্ড বেডা, বের হন ভাষা
থেকে সাহস কতো ১৪ জনের সাথে লাইন
মেরে আমাকে এসেছে বিয়ে করতে,
<< জ্বি বিয়েটা আমি আপনাকেই করবো।
>> মরে গেলেও আপনার মতো গুন্ডাকে
বিয়ে করবো না। ভদ্র ভাবে বেরিয়ে যান
না হয়
<< কি?
>> নাক কেটে হাতে দরিয়ে দিবো অসভ্য
কোথাকার।
<< বিয়ে আমি আপনাকে করবোই।
হিহিহিহিহি
চলে আসলাম , এখানে বাবা মা বিয়ের
দিন তারিখ
সব ঠিক করে ফেলেছে। যাক ভালোই হলো
সব ঝামেলা শেষ করে বাসার রুমে গেলাম
একি বউ দেহি শাড়ি টাড়ি কিচ্ছু পড়ে নাই
>> কি ব্যাপার আজকে কি কোন বিশেষ
কিছু মনে হয়না আপনার কাছে?
<< না আমি বলছি না আপনাকে বিয়ে
করবো না, তারপরেও কেন এসব করলেন,
<< যা ব্বা সেজন্য কি শাড়ি পরবেনা না।
>> নাহ পড়বো না, রুম থেকে বের হন।
<< আচ্ছা কোন ব্যাপার না আমি পড়িয়ে
দিচ্ছি
>> চুপ, আমার গায়ে হাত দিবেন না একদম
আমি কিন্তু চিৎকার করবো কিন্তু
<< ছিঃ লোকে কি বলবে
>> অাপনি আমার গায়ে হাত দিবেনা না
বলছি,
<< চুপ করেন তো। জোর করে ধরে শাড়ি
পড়িয়ে দিলাম। রাগে ফোস ফোস
করতাছে।
শাড়ি পড়া শেষ হওয়া মাত্র ঝাটকা মেরে
সড়ে গেলো
<< আপনাকে যা বলছি সব মিথ্যা, আমি
কখনো প্রেমই করি নাই।।
>> রাগি চোখে আমার দিকে তাকালো।
<< মুখে হাসিহাসি ভাব নিয়ে, প্রেম করলে
আর আপনাকে বিয়ে করতে হতো না, দেত
কি আপনি আপনি বলছি এখন তো বউ
তোমাকে আরকি।
শুনো যার সাথে প্রেম করতাম তাকেই
বিয়ে করতাম।
অবশ্য বিয়ের আগে তোমাকে দেখলে
তোমার সাথে
একটা চান্স নিয়ে দেখতাম
আচ্ছা আমার চুলগুলো একটু টেনে দেওতো
বলেই বউর কোলে মাথা রাখলাম
ওর হাতটা মাথায় নিয়ে দিলাম কিছুসময়
পর দেখি হাত নারতেছে আস্তে আস্তে
টানতে থাকো
<< আচ্ছা তুমি কি প্রেম করছ?
>> নাহ
<< মিথ্যা বলো কেন, আমাকে বলো আমি
কিছু মনে করবো না।
>> বললাম তো নাহ ( চুলগুলো জোরে টান
দিয়ে)
তারপর সারাদিন ঝগড়া করেই দিন কাটতো
তবে মিষ্টি ঝগড়া।
ছাদটাকে সুন্দর করে সাজালাম রাত এখন
১১. ৫০
আমার আশে পাশে অনেকই থাকে আমার
মতো
সবাইকে দাওয়াত দিলাম সবাই ছাদে
জেরিন কে ফোন দিলাম ৮ টা মনে হয়
প্রচন্ড রেগে আছে,
শেষ রিসিভ করলো
<< একটু ছাদে যাও তো
>> পারবো না
<< আহা যাও না, তাড়াতাড়ি যাও
তাড়াতাড়ি
জেরিন ছাদে আসা মাত্রই সবাই মিলে
উইশ করলাম
তারপর কেক কাটা হলো, সবাই মিলে অনেক
মজা করলাম।
>> আমার জন্মদিনের কথা মনে আছে
তোমার
<< আমার রাগি বউটার জন্ম দিনের কথা
মনে থাকবে না তো কি থাকবে
>> আজকে কি শুধু আমার জন্মদিন?
<< না আজকে আরো একটা স্পেসাল দিন
আছে
আর এই স্পেসাল দিনে আমি স্পেসাল
গিফটাই চাই
>> যাহ গুন্ডা

সমাপ্ত
লেখা>> মিঃ রাজ

No comments:

Post a Comment