Wednesday, February 22, 2017

অব্যাক্ত ভালোবাসা

অব্যাক্ত ভালোবাসা

writer: Ismail Sabuj(ক্রাশখোর)
.
ক্রিং ক্রিং ক্রিং ক্রিং
কল রিসিভ করে রবিন।
-হ্যালো(ঘুম ঘুম কন্ঠে)
-অই জানোয়ার কই তুই??(রাগান্নিত কন্ঠে অর্পিতা)
-ঘুমাচ্ছি,,, কি হয়ছে? এত সকাল সকাল কল দিলি কেন??
-আহারে নবাবজাদা,,, দিনের ৯টা
বাজতেছে।
ওনার জন্য এখনো নাকি সকাল রয়ে গেছে।।
ওই তারাতারি রেডি হয়ে পার্কে আয়।
-পারবনা,,, এখন ঘুমাব।
-ঠিক আছে,,, আমি আসতেছি তুর বাসাই।
-এই না না,, তুই ওয়েট কর আমি ২০ মিনিটের
মধ্যে আসতেছি।
-হুম,, আয়।
(কথা বলছিল রবিন আর অর্পিতা।
যদিও একই ক্লাসে পরে দু'জন,, তবুও কেউ
কাউকে চিনত না। কলেজের এক ফাংশনে
তাদের পরিচয়। এর পর বন্ধুত্ব। খুব ভালো বন্ধু
দু'জন।
রবিন খুব বাধ্য ছেলে।
তাই প্রতিদিনের মত কোনো উপায় না
পেয়ে রাজি হয়ে গেল।
কারন মেয়েটা একটু পাগলি টাইপের।
যদি বাসায় চলে আসে শেষ,,, আম্মুর মাথা
ওয়াস করে তার নামে যা পারে তা বলবে।
তাই কি আর করার,বাধ্য ছেলের মত
তারাতাড়ি রেডি হয়ে বাইকটা নিয়ে বের
হল)
অতঃপর পার্কে পৌছে,,,,,
-কিরে এত দেরি হল কেন?(রেগে মেগে
আগুন)
-কই,,, মাত্র ১০ মিনিট ই তো।
আসলে হালকা জ্যামে পরছিলাম।
-অই একদম মিথ্যা বলবিনা।আমি জানি তুই
অন্য কাজ সারছস।
(বাপরে,,, মাইয়াটা এত কিছু বুঝে ফেলে
কেমনে)
-না মানে।
-এত মানে মানে করতে হবেনা। তুই আমারে
উইশ করসনাই কেন?
-কিসের উইশ?(অবাক হয়ে)
-কিসের উইশ মানে? তুই জানসনা আজ
আমার বার্থডে।
-ও,, তাই? হ্যাপি বার্থডে টু ইউ।
-খালি হাতে কেন? আমার গিফট কই?
-সরি দুস্ত,, ভুল হয়ে গেছে।(কানে ধরে)
-না না,, আজ কোনো ক্ষমা চলবেনা।
আজ কিছু না কিছু দিতেই হবে।
-কি চাস তুই?
-তুর কলিজা।
-অইটা তো আমার গার্লফ্রেন্ডরে অনেক
আগেই দিয়ে দিছি।(দুস্টামি করে)
-কি! তুই প্রেম করস?(শখড খায় অর্পিতা)
(মেয়েটা অনেক আগে থেকেই ভালোবেসে ফেলেছে রবিনকে)
-হা,,, করিতো। কেনো আমি কি প্রেম
করতে পারিনা?
-হা পারস।(কান্নাজড়ানো কন্ঠে)
-অই কান্দস কেন?
-কই,,, কান্দিনা। কি জন্য কাঁদব?
(অভিমানী গলায়)
-আমিতো ভাবলাম.......
-কি?
-কিছুনা। আমি যাই
-কই যাস?
-আমার লাভারের কাছে।(হাটা শুরু করে রবিন)
-কই যাস,, আমাকে ফেলে। (পিছন থেকে ছেলেটির হাত ধরে কান্নায় ভেংগে পড়ে অর্পিতা )
-অই হাত ধরলি কেন?
-ভালোবাসি বলে।
-কাকে?
-বুঝসনা।
-না তো।
-বুঝতে হবেনা তোকে। এইটা বলেই হাটা শুরু করল অর্পিতা।
(দৌড়ে সামনে গিয়ে পথ আগলে দাঁড়ায়
রবিন।কোনো কথা না বলেই জড়িয়ে ধরে
তার পেত্নীকে।)
-ছাড় আমাকে।(জারি দিয়ে)
-না.. ছাড়বনা। (আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে)
-কেনো?
-ভালোবাসি বলে।
-কাকে?
-আমার পেত্নীটাকে।
-তাহলে অইটা কে?
-কেউনা। ফাইজলামি করে বললাম।
-ফাজিল কোতাকার।(রবিনের বুকে হালকা কিল মেরে)
-শুধু তুমার জন্য।
-হয়ছে,,, এইবার আমায় প্রপোজ কর।
-কিভাবে? আমিতো এইসব জানিনা।
-অই গাধা, এইবার খাবি কিন্তু।
অতঃপর অর্পিতার সামনে হাটু
গেড়ে বসে, কোমরে গুজে রাখা
গোলাপটা বের করে বলল
আমি কি তোমার হাতটা চিরদিনের
জন্য ধরার অনুমতি পেতে পারি?
মিস্টি একটা হাসি দিয়ে হাতটা বাড়িয়ে
দিল অর্পিতা।
আর সেই হাতটি ধরে নতুন এক গন্তব্যের
দিকে
যাত্রা করল দু'জন।

___________শুন্যতার প্রতিবিম

No comments:

Post a Comment