Tuesday, February 14, 2017

গল্পঃ অনুভূতি।

গল্পঃ অনুভূতি।

লেখকঃ Md Bayazid (আবেগহীন মানব).
.
.
পাগলিটা গাল ফুলিয়ে বসে আছে। আমাকে
গান শোনাতে বলেছিলো কিন্তু আমি ত
গান পারিনা। তাই উনি অভিমান করেছেন
আমার উপর।
-আচ্ছা গান শোনাব তাহলে আমাকে কি
দেবে?
-তুমি যা চাও তা যদি সাধ্যের মধ্যে হয়।
(অনেক খুশি হয়ে)।
-না। দেখি তুমি আমাকে কি দাও।
-অতো দেখতে হবেনা। কি চাও সেটা বল।
পাগলীটাকে আরো রাগালে সে আবার
অভিমান করে বসে থাকবে তাই আমি কিছু
না বলে একটা গান সুরু করলাম।
"াজ শ্রাবণের ভরা বরষায়, আমি ভিজবো
তোর সাথে, আমার এই হাত দুটো তো
থাকবে তোরি হাতে। তোর জন্য আনব
কিনে একটি রংিন দিন, সময়টাকে থামিয়ে
দিয়ে হবো জে রংিন। আমি তোকে নিয়ে
ভাসব সুখের মেঘের ই ভেলায়, তোর সাথে
কথা হবে বসে নিরালাই, তুই রাজি কিনা
বলে দে আমায়, তোকে ভালবেসে বাচতে
দে আমায়।
তোকে নিয়ে পুর্নিমার চাদের আলই কর্ব
জোৎস্না স্নান, তোর কোলে মাথা রেখে
গাইব সুখের গান। চাদের ও আলো মাখিয়ে
দেবো তোর ওই মুখে, সারারাত জেগেই
কাটিয়ে দেবো তোর অসুখে, তুই রাজি
কিনা বলে দে আমায়, তোকে ভালবেসে
বাচতে দে আমায়, তুই রাজি কিনা বলে দে
আমাই, তোকে ভালবেসে বাচতে দে
আমায়।"
.
একদৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে ও।
আমিও তাকিয়ে আছি ওর মায়াবী চোখের
দিকে।

আমি একটা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি
করি তাই খুব ব্যাস্ত থাকতে হয়। তাই
পরিবারকে হয়্ত যথেষ্ট সময় দিতে পারিনা
তাতে অবষ্য পাগলিটার কোনো অভিযোগ
নেই। পাগলিটার সাথে আমার বিয়ে
হয়েছে মাত্র ১৫ দিন আগে। সব ঝামেলা
শেষ করে আজ ই এই বাড়ীটাতে উঠেছি। ওহ।
ওর নামটাই ত বলা হয়্নি। অর্নি নাম ওর।
-আইস ক্রিম খাব।
-এই রাতে? ঠান্ডা লাগবে তো।
-আমি খাব। চুপচাপ নিয়ে আসো।
জানতাম পাগলিটা খুব আইস ক্রিম পছন্দ
করে তাই আগে থেকেই নিয়ে এসেছিলাম
নাহলে এখন বাইরে জাওয়া লাগতো।
-এই নাও তোমার আইস ক্রিম।
-খাইয়ে দাও।
-অক। এদিকে আস। নাও।
-এবার আমার হাতে দাও।
-কেনো? আমি খাইয়ে দিচ্ছি।
-না দাও।
একটু মন খারাপ করে ওর হাতে দিয়ে
দিলাম। মুচকি হেসে নিয়ে নিলো।
-দেখি হা করো।
-কেনো?
-এবার আমি তোমাকে খাইয়ে দেবো।
-না আমি খাব না।
-এত খেলে আমার ঠান্দা লাগ্বে তো।
কেমোন একটা অনুনয় এর সুর পেলাম। ওর
দিকে তাকিয়ে আর না করতে পারলাম না।
-দাও।
-হুম। নাও। এবার আমাকে খাইয়ে দাও।
-অকে পাগলি।
-হিহিহিহি। পাগল একটা।
-হুম। তোমার পাগল।
-ছাদে যাবে?
-এতো রাতে?
-হুম।
-আমি কিন্তু কোলে করে নিয়ে যেতে
পারবো না।
-আমি তোমার কোলে করেই যাবো।
ওকে কোলে তুলে নিলাম। আর আমার
গলাটা দুহাতে জড়িয়ে ধরলো। ছাদে পৌছে
হাল্কা চাদের আলোতে ওকে অসম্ভব
মায়াবী লাগছে।
-তুমি ঘেমে গেছ তো।
-তোমার মতো মুটকি কে কোলে নিতে হলে
আমি তো ঘেমে যাবই।
-ওকে। থাক। নামিয়ে দাও আমাকে।
(অভিমানি সুরে)।
-না। নামাব না। আমার বৌকে আমি
কোলে রাখবো। তাতে তোমার কি?
আমার দিকে তাকিয়ে থেকে ওর আচল
দিয়ে আমার মুখটা মুছে দিলো। আমিও ওর
চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম,
-এবার তুমি আমাকে গান শোনাও।
কিছু না বলে গান শুরু করলো,
" আমারো পরাণে যাহা চায়, তুমি তাই,
তাই গো আমারো পরাণে যাহা চাই।"
-খুব সুন্দর।
-না।
-কে বললো না?
-তাহলে তুমি আরেকটা গান শুনাও।
-এখন?
-ত কখন?
-ওকে।
"েই চাদের আলোই তোকে রাখব বেধে,
পারবি কি তুয় আমায় হতে? আলকিত রাত
টাও অন্ধকার হলে, তোকে আগলে রাখব
আমার কোলে, তুই থাকবি কি না সেটা
তোর ইচ্ছা, তোকে শোনাব চাদের ও
কিচ্ছা! মেখে দেব তোর মুখে চাদের ও
আলো, তাকিয়ে থাকব আমি নিভে যাক না
আলো! তোকে নিয়ে সাজাবো একটা মুহুর্ত,
থাকবে সেখানে তোর সব শর্ত। তুই থাকবি
কিনা সেটা তোর ইচ্ছা, আমি শোনাব
তোকে চাদের ও কিচ্ছা। তুই শুনবি কিনা
সেটা তোর ইচ্ছা!"
গান শেষে ওর কপালে একটা চুমু একে
দিলাম। আর ও লজ্জাই লাল হয়ে উঠলো।
-দেখ, চাদটা লজ্জা পেয়ে মেঘের আরালে
গেছে। (আমি বললাম)।
-লজ্জা ভাংবে কখন?
-জানিনা। তবে আমার কোলে যে চাদটা
আছে সেটা তো আর লুকাতে পারবে না।
একথা সুনে আমার বুকে মুখ লুকালো ও।
অনেক ক্লান্ত হয়ে গেছিলাম তাই ওকে
নামিয়ে দিলাম কোল থেকে। তারপর
আমার কাধে মাথা রেখে বসলো ও।
-চলো room এ যাই।
-থাকি আরেকটু?
-সেহরি খেতে উঠতে হবে চলো।
-আচ্ছা।
আবার কোলে করে নামিয়ে আনলাম ওকে।
-তুমি আজ সোফাই ঘুমাবে। (অর্নি)
-কেনো? (আমি)
-আমার ইচ্ছা তাই।
-হাহাহাহা।
-হাসো কেনো?
-ঘুমাতে পারবে?
-এত কথা বলো কেন?
পাগলিটাকে জরিয়ে ধরে সুয়ে পরলাম। একটু
পরে বাচ্চাদের মতো জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে
পরলো। আমি কিছুক্খন ওর দিকে তাকিয়ে
থাকলাম। কি ইনোসেন্ট চেহারা! আমিও
ঘুমাবো এখন নাহলে সেহরি মিস হয়ে যেতে
পারে।

No comments:

Post a Comment