গল্প: "আমি পটিনি।।।বউ হয়েছি?"
"কাল আসলেন না যে?"- একটি
মেয়ের কথা শুনে পিছন তাকালাম
দেখি তন্দ্রা দাঁড়িয়ে আছে আমার
পিছনে।
আমি বললাম -"কি বললে শুনতে
পাইনি যে"
"ন্যাকামো করবেন না ত। যতই
পিছনে লাগো না কেন আমাকে
পটাতে
পারবেন না বুঝছেন।"
"তোমাকে আমি পটাতে যাব
কেন?"
"তাই না?"-বলে বদ্রুপের মতো করে
হাসতে থাকল শুধু। এই মেয়ে পটাতে
এসে আমি পটে যাচ্ছি মানে ক্রাশ
খাচ্ছি।
"আমি আপনর জন্য অপেক্ষা
করছিলাম"
ওর কথা শুনে আশার প্রদীপ জ্বলে
উঠছিল। আমি বললাম "কেন
অপেক্ষা করছিলে?"
আমি হাসলাম।
"বিজয়ীর হাসি হাসবেন না আপনি
জয়ী হতে পারবেন না আমি পটব
না।"
"কি বলে এই মেয়ে?"- মনে মনে
বললাম।
"কিছু বললেন নাকি?"
"না কিছুনা। কফি খাবে?"
"কেন?"
"তোমাকে যে আমার পটাতেই
হবে।"
"এরকম আর কোথাও শুনিনি।"
"কি রকম?"
"এই যে আপনি আমার পিছু নিয়ে
আবার বলেন যে আমি কিন্তু পিছু
নিয়েছি। আবার বলছেন আমি
তোমাকে পটাতে চাচ্ছি বা
তোমাকে
আমার পটাতে হবে?"
কিছু বললামনা। চেয়ে থাকলাম।
"দুনিয়ায় কি আর কোন মেয়ে নাই
আমার আমার পিছু নিইয়েছেন?"
"আচ্ছা তুমি বলে দাও আমি কাকে
পটাব?"
"আমাকে কেন বলতে হবে আপনার
কি চোখে পড়ে না?"
"পেয়েছি"
"কি?"
"মেয়ে।"
"কোথায়?"
"ঐ যে"
আংগুল দিয়ে তন্দ্রাকে দেখালাম
একটা মেয়েকে। ভালই বলা চলে
আরকি।
"আপনি একে পটাবেন?"
"হ্যা তোমার কোন সমস্যা?"
"নাহ যাও যদি পটাতে পারেন
তাহলে
আমি আপনাকে কফি খাওয়াব।"
"একটু দাড়াও"
আমি ওকে দাড় করিয়ে রেখে
আসলাম। একটু দূরে গিয়ে ফিরলাম।
ওর মুখটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে বুঝতে
পারছি। বুড়ো আংগুল উঁচু করে
আমাকে অভিনন্দন জানাল।
মেয়েটা
আমাকে ভালবাসে। আমি জানি ও
অনেক আগেই ওর পুরোটা হৃদয়
আমার নামে লিখে দিছে এখন
দেখাচ্ছে আমি পটেনি। দু গালে
সকাল
বিকাল থাবড়ানো গেলে বোধহয়
ঠিক
হত।
যাহোক আমি মেয়েটির কাছে
গেলাম।
ভাবছি এমন কিছু বলতে হবে যেন
আমাকে একটি হলেও চড় মারে। কি
বলে ছিলাম আজ বাদ থাকুক। তবে
চড় দুটা খেয়েছি। তন্দ্রা কাছে
ফিরে
এলাম গালে হাত দিয়ে। আমার
অবস্থা দেখে ও শুধু হাসতেছিল।
"পারলেন না ত। আপনি পারবেনও
না"
"তোমার পিছনে লেগে আছি তুমি
আমাকে চড় মারছ না কেন তাহলে
কি?"
"তাহলে কি??"
"তুমি নিজেই জান"
।
আমি একটা মাল্টিন্যাশনাল
কোম্পানিতে কাজ করি। স্বাধীন
ভাবে চলি কেউ কিছু বলেনা।
কারন
ঠিক সময়ে সব কাজ কমপ্লিট করে
দেই।
তন্দ্রাকে ভলে লেগে যাই একবার
দেখেই। মাকে বলে বিয়ের কথা
বলি।
অ শুধু বলে অ বিয়ে করতে পারবে
না।
কারন বলেনি। ভেবেছিলাম প্রেম
আছে দেখে হইত। পরে জানলাম
কিছুই নাই শুধু শুধু না করেছে। ওর মন
গলেছে আগেই। কিন্তু আগে একবার
না করাই হ্যা বলতে পারচে না।
।
তন্দ্রা মনে হয় আমার অপর রাগ
করেছে।আমাকে কেমন যেন এড়িয়ে
চলছে। আগে পটাব বলে যে কথ
বলতাম এখন সেটুকুও বন্ধ। এটা
আমাকে কষ্ট দিচ্ছে। ও একটু চুপচাপ
কিন্তু হঠাত আরও চুপচাপ হয়ে গেল।
অর সাথে আমি কয়েকটা দিন
রিক্সায় গিয়েছি। কি চমৎকার
দিন
ছিল। কিন্তু এখন ত কথাও বলছে না।
"হাই"
ও কিছু বল্লনা।
"ক্লাস কেমন চলছে।"
"ক্লাস করে আমি এখন ক্লান্ত।
আমি বাসায় যাবো"
"আচ্ছা তুমি কি আমার উপর
রেগে
আছ?"
"রাগ কেবল কাছের মানুষের
উপরেই
করা যায় নিলয়। আপনি আমার
কাছের মানুষ নন যে আপনার উপর
রাগ করব"
ও আর দাড়াল না।
।
খুব সকালের দিকে ও ফোন করল
আমাকে।
"আই এম সরি।"
"সরি কেন?"
"আসলে গতকাল আপনার সাথে
কারাপ ব্যবহার করেছি।"
"না ঠিক আছে"
"না ঠিক নেই"
ও বল্ল "আসলে কাল আমি আপনার
উপর রাগে ছিলাম তাই খারাপ
ব্যবহার করেছি।"
"আমি জানি কিন্তু কেন রাগ
করেছেন
তা জানিনা"
"আপনি কাল ইরিনার সাথে ঘুরে
বেড়ালেন কেন?"
"ও আচ্ছা ঠিক আছে আজ আপনার
সাথে ঘুরতে যাব"
"আমি যাব না।"
"আমি অপেক্ষা করব বাকি তোমার
ইচ্ছা"
।
"অনেক ত ঘুরলাম বিকেল হয়ে এল
চলুন ফেরা জাক।"
"মগবাজারের অদিকটাই যাব একটু"
"ওখনে কি"
"খুদা লাগছে বিরয়ানী খাব চল।"
"আচ্ছা চলেন"
"নিলা মগবাজারের ওদিক
থাকেনা?"
"হ্যা কেন?"
"ওকেও আসতে বলি"
আমরা গিয়ে মগবাজারের কাজী
অফিসে গিয়ে থামলাম। আমার
কয়েক
বন্ধু আগে থেকেই ছিল। নিলাও এল।
"আপনার বিরিয়ানি কই?"
"আকাশ আনতে গেছে চল একটু গিয়ে
বসি"
"কোথায়?"
আমি কাজী অফিসটা দেখালাম। অ
কিছু আঁচ করতে চাইছে। আমি গিয়ে
হাত ধরলাম। জা বুঝার ও বুঝে
গেছে।
"না............নিলয়......প্লিজ"
ও নিলার দিকে তাকাল।
"নিলা তুইও?"
আমি বললাম "তুমি যাই করনা কেন
আজ তোমাকে বিয়ে করবই"
আমি ভাবছিলাম ও বেশি কথা
বলবেনা । তাই করল। বিয়েটা হয়েই
গেল। দেখলাম ও স্বাভাবিকই আছে।
আমি বল্লাম-"কিছু বলবে?"
"আপনি বিয়ে করে দায়িত্ব
বাড়িয়েছেন আমি কি বলব"
"তোমাকে পটাতে পারিনি কিন্তু
বিয়ে
করে ফেললাম। আমি জিতে গেছি"
"আমি না পটলে কিভাবে আমাকে
এখনে আনতেন বলুন"
"তারমানে পটেছ?"
"উঁহু বউ হয়েছি?"
No comments:
Post a Comment