Wednesday, November 23, 2016

গল্প: কিছু গল্পের নাম হয় না,,,,,,,,,,

গল্প: কিছু গল্পের নাম হয় না,,,,,,,,,,
,
,
লেখক :,SK Himadro (সাইকাইটিস)
,
,
কিছু দিন ধরে আম্মু বলছেন দেশের বাড়ি
যাওয়ার জন্য।সবে মাএ অর্নাস পাশ করেছি
তারপর চিন্তা ছিলো ভালো একটা চাকরি
করবো কিন্তু না আম্মু বসিয়ে দিলেন
নিজের ব্যবসায়।
,
আম্মু বলছিলেন নানু নাকি অসুস্থ তাকে
ঢাকায় নিয়ে আসার জন্য।কিন্তু আমি এর
আগে কখনও দেশের বাড়ি যাইনি।আম্মুর
মুখে শুনে ছিলাম সেই ছোট বেলায় আমাকে
নিয়ে ঢাকায় চলে এসে ছিলো তারপর আর
গ্রামে যাওয়া হয়নি।
,
আম্মুর জেদের কাছে আমাকে শেষমেষ হাড়
মানতে হলো। সেই সকালে বাসা থেকে
বেড়িয়ে পড়লাম দেশের বাড়ির উদ্দ্যেশে।
আমাদের দেশের বাড়ি ফরিদপুর জল পথে
যেতে হয়।
,
৪ঘন্টা যাবত বসে আছি লঞ্চে। বসে থাকতে
আর কত ভালো লাগে তাই বইরে হাটাহাটি
করছে।একজনকে জিগ্গেস করেছিলাম
সামনের ঘাটই নাকি ফরিদপুর।
,
অবশেষ ফরিদপুর এসে পৌছলাম।আম্মুর মুখে
শুনেছিলাম আমার নানু নাকি এখানকার
জমিদার। নানু আমার জন্য গাড়ি
পাঠিয়েছেন নিয়ে যাওয়ার জন্য।
ঘাটের সামনে আসতেউ একজন জিগ্গেস
করলো,,,,
,
আপনি কি আবির সাহেব,,,,,,,???
,
জি আমি আবির,,,,,???
,
আমাকে আপনার নানু পাঠিয়েছেন বাড়ি
নিয়ে যাওয়ার জন্য,,,,
চলুন আমার সাথে,,,,,,,
,
আমি কিছু না বলে ঐ লোকটার পেছর পেছন
চলতে শুরু করলাম।ঘাটের বাইরে মস্ত বড়
একটা ঘোড়ার গাড়ি দাড়িয়ে আছে।আমি
ভেবেছিলাম নানু হয়তো কোন প্রাইভেট
গাড়ি পাঠিয়েছেন কিন্তু না নানু আমাকে
চমকে দিলেন ঘোড়ার গাড়ি পাঠিয়ে।
,
এর আগে অব্শ্য আমি দু-একবার ঘোড়াে
গাড়িতে ওঠেছি।
কিছু না বলে ঘোড়ার গাড়িতে ওঠে
বসলাম। গাড়ি চলছে তার নিজ গতিতে।
আকা বাকা রাস্তা রাস্তার দুই দিকে
গাছে বড়তি।ছায়াময় রাস্তা প্রচন্ড বাতাস
বইছে।সারা দিনের ক্লান্তি দূর হয়ে গেল
এই বাতাসের কাছে।
,
প্রায় আধঘন্টা পর মস্ত বাড়ির সামনে এসে
গাড়িটা থমালো।বিশাল এক জমিদার
বাড়ি এই এলাকার সব থেকে বড় এবং প্রভাব
শালী বাড়ি।
,
আপনি ভিতরে জান সাহেব,,,,,(লোকট
া বললো)
,
আমি কিছু না বলে আমার ব্যাগটা নিতে
যাব এমন সময় লোকটা বলতে লাগলো "আপনি
যান ব্যাগ ভিতরে পাঠানো হবে"
,
আমি ব্যাগ ছাড়া ভেতরে চলে আসলাম।
ভেতরে আসতেই মস্ত বড় এক চেয়ারে একজন
বয়স্ক লোক বসে আছেন। দেখে মনে হচ্ছে
বয়সটা ৭৫এর বেশি হবে বয়সটা।
,
কে আবির এসেছিস,,,,??(লোকটা)
,
জি আমি আবির,,,,
,
আমি তোর নানু চিনতে পাড়ছিস নানু
ভাই,,,,,(নানু)
,
হে নানু চিনতে পাড়ছি।
তুমি কেমন আছো নানু,,,,???
,
আমি একদম ভালো আছি। তুই কেমন আছিস
নানু ভাই,,,,???
,
হে নানু ভালো আছি।আম্মু বলে ছিলো
তোমার শরির নাকি ভালো নেই,,,,,???
,
আরে না আমি একদম ঠিক আছি.
তোর মা কেমন আছে,,,,,??? (নানু)
,
হে একদম ঠিক আছে।।
,
যা তুই ওপড়ের ঘরে যা হাত মুখ দোয়ে আয়
তারপর একসাথে খাবো,,,,,(নানু)
,
একজন লোক এসে আমাকে ওপড়ের ঘরে নিয়ে
গেল।বাহ ঘড়টা বেশ সুন্দর করে সাজানো।
সব কিছু পরিপাটি করা।
আমি ব্যাগ রেখে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।
ফ্রেশ হয়ে চলে আসলাম নিচে। আসলে
সারাদিন জার্নি করে প্রচন্ড খোদা
লাগছে।খুব সুন্দর করে খাবার টেবিলটা
সাজানো হয়েছে।সব খাবার আমার সামনে
রাখা যা খুশি খেতে পাড়বো।
,
নানু তোর যা ভালো লাগে খেতে শুরু কর,,,,
(নানু)
,
আমি সব খাবার দেখতে লাগলাম বাহ এতো
আমার সব পছন্দের খাবার। চিংড়ি মাছের
কালিয়া, ইলিশ মাছের ভাজা,বড় মাছের
ঝোল, মুশুরের ডাল।
সব থেকে বিশ্ময়ের ব্যপার হলো নানু কেমন
করে জালো যে আমি এসব খেতে
ভালোবাসি।খাবার টেবিলে কিছু না বলে
খেতে শুরু করলাম না এই খাবারের টেষ্ট
আমার আম্মু রান্নার মত।
,
কিছুই বুজতে পাড়লাম না চুপচাপ খেয়ে
ওঠলাম। তারপর নানু বলতে লাগলো,,,
,
আবির খাওয়া শেষে আমার ঘরে আয়,,,,,??
(নানু)
,
আমি কিছুই বললাম না সোজা নানুর পেছন
পেছন নানুর ঘরে চলে আসলাম।
,
আবির তোর মা কেমন আছে,,,,??(নানু)
,
জি নানু একদম ঠিকাছে।
আম্মুরর কাছে শোনলাম তোমার শরির
ভালো নেই,,,,,???
,
নারে আমি একদম ঠিক আছি আমার কিছু
হয়নি,,,,,(নানু)
,
তাহলে আম্মু আমাকে পাঠিয়েছে
তোমাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য,,,,,,???
,
না তোর আম্মু ভালো করে জানে আমি এই
বাড়ি ছাড়া কোথাও যাবো না।তাছাড়া
তোকে এখানে পাঠানোর যথেষ্ট কারণও
আছে,,,,,,(নানু)
,
কি সেই কারণ নানু,,,,,,??
,
আছে কিছু দিন থাক তারপর ঠিকই বুজতে
পাড়বি,,,,,,???(নানু)
,
আমার কেন যেন মনে হচ্ছে নানুর কথায়
অনেক রহস্য রয়েছে।তারপরও নানুকে কিছুই
জিগ্গেস করতে পাড়লাম না।নিজের ঘরে
চলে আসলাম এসেই আম্মুকে ফোন দিলাম।
,
হে আবির বল,,,,??(আম্মু)
,
কি করছো আম্মু,,,,
,
কিছুনা তোরর কেমন লাগছে জায়গাটা আর
তোর নানুকে,,,,,???(আম্মু)
,
হুম খুব ভালো তবে নানু একদম সুস্থ্য তুমি
আমাকে মিথ্যা বলে এখানে পাঠিয়েছো
কেন,,,,??
,
খুব ভালো করেছি সত্যি বললে তুই যেতে
চাইতি না তাই মিথ্যা বলেছি,,,(আম্মু)
,
কিন্তু সত্যিটা কি আর কেন আমাকে
এখানে পাঠিয়েছ আম্মু,,,,,??
,
কিছু সময় পড় জানতে পাড়বি,,,,,(আম্মু)
,
আমাকে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে
ফোনটা কেটে দিলো আম্মু।ভাবতে
লাগলাম কেন পাঠিয়েছে এখানে।
বিকেল হয়ে গেছে আমাকে নানুর ঘরে
ডাকছে নানু।নানুর ঘরে চলে গেলাম,,,,
,
নানু আমাকে ডেকেছ,,,,,,??
,
হে বস তোর সাথে গল্প করি।তাছাড়া তোর
মনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে তুই সেগুলা বলতে
শুরু কর,,,,,(নানু)
,
আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম কোথা
থেকে শুরু করবো। কিছুই বুজতে পাড়ছিলাম
না অবশেষ বলতে শুরু করলাম,,,,,,
,
নানু তুমি তো জানোনা আমি কি কি খেতে
ভালোবাসি তো দুপুরের খাবার সময় আমার
পছন্দের খাবার গুলো কে রান্না করেছিলো
আর সেই রান্নার স্বাদ অবিকল আম্মুর
রান্নার মত,,,,,,???(একে বারে সব কথা বলে
দিলাম এবার নানুর উওর দেবের পালা)
,
তোর সব পছন্দের খাবার গুলো রান্না
করেছে অহনা আর সব কিছু তোর মার কাছ
থেকে জেনে নিয়েছিলো আগেই।(নানু)
,
এই অহনাকে নানু,,,,??
,
অহনা তোর বাবার বন্ধুর মেয়ে।তোর বাবার
সব থেকে কাছের একজন বন্ধু ছিলেন অহনার
বাবা। একটা রোড এক্সিডেন্টে অহনার
পরিবারের সবাই মারা যায় সেই থেকে
অহনা আমার কাছে থেকে বড় হয়।তুই তখন
৮বছরের ছিলি আর অহনা ৪বছরের। (নানু)
,
নানুর কাছে থেকে কথা গুলো শুনার পড়
নিজের কাছেই কেমন যেন খারাপ লাগছে।
না অহনাকে একবার দেখতে হবে আর এত কষ্ট
করে মেয়েটা আমার পছন্দের খাবার গুলো
রান্না করেছে তাকে একটা ধন্যবাদ তো
দিতে হয়।
,
নানু অহনা কোথায় তাকে ডাক,,,,,।।
,
অহনা একটু আমার ঘরে আয়তো নানু,,,,??(নানু)
,
দূর থেকে শুনতে পাচ্ছি পায়েলের শব্দ।
সেই সাথে মিষ্টি কন্ঠে বলে ওঠলো"আসছি
নানু"।।
কিছু সময়ের জন্য নিজের কানকে বিশ্বাস
কররতে পাড়ছিলাম না। এত সুন্দর কন্ঠ হয়
কোন মেয়ের আগে জানা ছিলো না।
,
অবশেষ অহনা ঘরে ভেতড়ে চলে আসলো
আমাকে দেখতেই মাথাটা নিচু করে
রেখেছে।পায়েলের শব্দ শুনে আমি যখন
পিছনে ফিরে তাকালাম তখন আমার
চোখের মনি বড় বড় হয়ে গিয়েছিলো।
নীল আমার পছন্দের রং আর অহনা সেই নীল
রঙের একটা সেলোয়ার কামিজ
পড়েছে,চোখে মোটা করে কাজল
দিয়েছে,কপালে ছোট একটা নীল টিপ,দুহাত
বড়তি কাচের নীল রঙের চুরি সব মিলিয়ে
কোন এক নীল পরী যেন আমার সামনে
দাড়িয়ে আছে।
অহনার কথায় বাস্তবে ফিরে আসলা,,,,,,,
,
আমাকে ডেকেছো নানু,,,,,,(অহনা)
,
হে তোর সাথে আবির কথা বলতে চায়,,,,,,
(নানু)
,
ওনি আবার কি কথা বলবেন আমার সাথে,,,,,,,
(অহনা)
,
ওমা সেকিরে তুই এতদিন বলতি যেদিন
আবির আসবে সেইদিন তুই আবিরের সাথে
অনেক গল্প করবি তাকে নিয়ে পুড় গ্রাম
ঘুড়ে বেড়াবি।তাছাড়া সেই সকাল থেকে
আবির সব পছন্দের খাবার গুলো রান্না
করলি আর এখন বলছিন কি বলবে,,,,,,,??(নানু)
,
অহনার মুখটা লজ্জায় লাল হয়ে গেছে।এক
দৌড়ে আমার সামনে থেকে চলে গেল।
আমি শুধু অহনার চলে যাওয়ার পথ পানে
চেয়ে রইলাম।
বুয়ার কথায় ধ্যান ভঙ্গ হলো,,,,
,
বড় সাহেব আপনাকে দিদিমনি বাগানে
যেতে বলেছেন,,,,,,,,(বুয়া)
,
আমি নানুর ঘর থেকে বেড় হয়ে বাগানের
দিকে হাটতে লাগলাম আর ভাবতে
লাগলাম কি বলবে অহনা আমাকে আর
আমার চোখের সামনে অহনার সে
মায়াবিনী মুখটা ভেসে ওঠতে লাগলো,,,,,,,,
সূর্যের আলো পূর্ব আকাশে ডলে পড়ছে সেই
সাথে আমিও এক পা দু পা করে বাগানের
দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আর ভাবছি অহনা
হঠাৎ কেন ডাকলো। হাটতে হাটতে
বাগানে চলে আসলাম।বাড়ির পেছনের
দিকেই বাগানটা।
,
বেশ বড় বাগান হড়েক রকমের ফলের গাছ।
চারিদিকে লাল নীল ফুল ফুটে আছে।
বাগানের একপাশে ছোট একটা বসার
জায়গা সেখানে অহনা বসে আছে।
আমাকে দেখে অহনা একটু সোজা জয়ে
বসলো।আমার মনে হচ্ছে ক্লাসে স্যার
প্রবেশ করেছে অহনার এরকম একটা ভয় কাজ
করছে তার মনে।আমাকে অবাক করে দিয়ে
অহনা বলতে লাগলো,,,,,
,
চলুন আপনাকে গ্রামটা ঘুড়িয়ে নিয়ে
আসি,,,,,(অহনা)
,
না আজ আর যাবো না সারাদিন জার্নি
করে আর ভালো লাগছে না।কাল যাবো
তার চেয়ে চলো এখানে বসেই কথা বলি,,,,,,,
,
ঠিকাছে আপনি কাল যখন যাবেন আমাকে
বলবেন,,,,,,(অহনা)
,
হুম ঠিকাছে।
আচ্ছা অহনা তুমি কেমন করে জানলে যে
আমি কি কি খেতে পছন্দ করি,,,,,,,,???
,
না মানে আমি আন্টির কাছে ফোন করে
জিগ্গেস করেছিলাম তাই,,।।(কিছুটা ভয়ে
ভয়ে কথা বলছে অহনা)
,
হুম সত্যি তোমার রান্না খেয়ে আমি তো
ভেবেছিলাম আমার আম্মু রান্না করেছে।
খুব ভালো হয়েছে তোমার রান্না।
,
সথ্যি কি আপনার ভালো লেগেছে নাকি
মিথ্যা বলছেন,,,,,,,(অহনা)
,
আমি মোটেও মিথ্যা বলছি না,,,,।।
,
অহনা কিছুই বলছে না শুধু মিটিমিটি
হাসছে আর নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।
এদিকে সন্ধ্যা হয়ে আসছে প্রায় চাদের
হালকা আলোয় অহনাকে খুব সুন্দর লাগছে।
আমি আর চোখে অহনার দিকে তাকিয়ে
ছিলাম। অহনা বুজতে পাড়ছিলো আমি ওর
দিকে তাকিয়ে ছিলাম।
,
,
চলুন বাড়ি চলুন রাত হয়ে গেছে,,,,,(বলেই
অহনা হন হন করতে করতে আমার সামনে
থেকে ওঠে চলে গেলো)
,
জীবনে প্রথম কোন মেয়েকে দেখে মনের
মাঝে কেমন যেন একটা ভালো লাগা কাজ
করছে। বুজতে পাড়ছি না এর আগে কখনও এমন
হয়নি আমার। তাহলে কি আমি অহনার
প্রেমে পড়ে গেলাম,,,,,???
বারান্দায় দাড়িয়ে দাড়িয়ে ভাবছি আর
সিগারেট টানছি এমন সময় পেছন থেকে
কেউ আসার শব্দ পেলাম।পেছনে ঘুড়ে
দাড়াতে দেখতে পেলাম অহনা হাতে
কফির মগ নিয়ে দাড়িয়ে আছে।
অশ্চর্য ব্যপার হলো এই মেয়েটা কেমন করে
জানলো আমি এই সময় কফি খাই।।
,
সিগারেট খেলে কি হয়,,,,,,??(অহনা)
,
কিছু হয় না যখন একা থাকি বা গভীর
চিন্তায় থাকি তখন খাই,,,,,,।
,
এখন কি চিন্তা করছে জানতে পাড়ি,,,,,,??
(অহনা)
,
আছে কিছু একটা বিষয়,,,,
,
ঠিকাছে আমাকে বলতে হবে না। আপনাকে
নানু ডাকছে নিচে আসুন,,,,(অহনা)
,
নিচে নামতে যাবো এমন সময় ফোনটা
বেজে ওঠলো। স্কিনে দেখলাম আম্মুর নাম
সঙ্গে সঙ্গে ফোনটা রিসিভ করে নিলাম,,,,
,
হ্যালো আম্মু,,,,
,
কেমন লাগলো অহনাকে,,,,,,,?? (আম্মু)
,
মানে তুমি এখানে অহনাকে দেখার জন্য
পাঠিয়েছো,,,,??
,
হে। যদি সত্যি বলতাম তাহলে তুই যেতে
চাইতি না তাই মিথ্যা বলে পাঠালাম।
(আম্মু)
,
তুমিও আমার সাথে এত বড় একটা মিথ্যা
কথা বলতে পাড়লা,,,,
,
হুম পাড়লাম তাছাড়া অহনাকে আমার
অনেক পছন্দ তর বাবা ছোট সময় ঠিক করে
রেখেছিলো তোর আর অহনার বিয়ে দিবে
তাই সামনের সপ্তাহে তোর আর অহনার
বিয়ে আমিও আসছি দু-তিন দিনের মধ্যে,,,,
(আম্মু)
,
আম্মু এত তাড়াতাড়ি বিয়ে কেন আর কিছু
দিন পড়ে হলে হবে না,,,,,??
,
না কোন কথা না তাছাড়া মেয়েটা তোকে
সেই ছোট বেলা থেকে ভালোবাসে তুই কি
কি পছন্দ করিস না করিস সব কিছু আমাকে
প্রতিদিন ফোন করে জিগ্গেস করতো
বুজলি,,,,,,??(আম্মু)
,
হুম সবই বুজলাম আমাকে এতদিন অহনার কথা
বলোনি কেন,,,,,??
,
বলিনি তোকে চম্কে দিবো বলে কেন তোর
অহনাকে পছন্দ হয়নি,,,,??(আম্মু)
,
এই না না আম্মু খুব পছন্দ হয়েছে।প্রথম
দেখে আমার চোখ ওর দিকে আটকে
গিয়েছে,প্রথম দেখায় অহনাকে
ভালোবেসে ফেলেছি আম্মু।।
,
ঠিকাছে এখন রাখছি আর তোর মনের
কথাটা অহনাকে বলে দিস,,,,(আম্মু)
,
ঠিকাছে,,,,,
,
আম্মুর সাথে কথা বলে নিচে চলে আসলাম।
নিচে নানু বসে আছে সাথে অহনাও বসে
আছে।আমকে দেখে অহনা চলে গেলো আমি
নানুর পাশে বসে পড়লাম।
,
,
নানু ভাই তোর মা কি ফোন
দিয়েছিলো,,,,??? (নানু)
,
হে নানু দিয়েছিলো এখনই,,,।।
,
তো অহনাকে তোর কেমন লেগেছে আমার
নাত বউ হিসাবে চলবে তো তোমার,,,,,,,???
(নানু)
,
তোমার চললে আমার ও চলবে কিন্ত নানু
এখন অহনাকে কিছু বলবে না তার আগে
আমি অহনার মুখ থেকে শুনতে চাই অহনা
আমাকে ভালোবাসে কিনা,,,,???
,
আরে হে মেয়েটা তোকে সেই ছোট বেলা
থেকে পছন্দ করে আর ভালোবাসে,,,,,,।(নানু)
,
সেটা আমি জানি তারপরও অহনার মুখ
থেকে শুনতে চাই,,,,,।।
,
ঠিকাছে,,,,,,, (নানু)
,
,
নিজের ঘরে এসে শুয়ে শুয়ে ভাবছি অহনার
মুখ থেকে কেমন করে বেড় করবো তার মনে
কথা। ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে
গেলাম তা বুজতে পাড়লাম না।
,
সকাল সকাল কে যেন দরজায় ধাক্কাতে
লাগলো।দরজা খুলতেই দেখলাম ভেজা চুলে
কোন এক রমণী আমার সামনে দাড়িয়ে
আছে হাতে কফির মগ নিয়ে।আমি আমার
চোখ ফেরাতে পাড়ছিলাম না অপলক
দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি অহনার দিকে।
কফির মগ রেখে অহনা আমার সামনে থেকে
চলে গেল আমি শুধু চেয়ে রইলাম।
,
,
বিকেলে দিকে আমি আর অহনা গ্রাম
দেখার জন্য বেড়িয়ে পড়লাম।নানু
বলেছিলো গাড়ি নিয়ে যেতে কিন্তু আমি
হেটে যাওয়ার সিধান্ত নিলাম যাতে
অহনার সাথে একটু বেশি সময় থাকতে
পাড়ি।
আমি আর অহনা পাশাপাশি হাঠছি
চারিদিকে সবুজের সমারহ। যেদিকে দু চোখ
যায় শুধু সবুজ আর সবুজ ধান খেত।বড় একটা
গাছে নিচে আসতেই অহনা বলতে লাগলো,,,,
,
এখান থেকে গ্রামটা খুব সুন্দর ভাবে দেখা
যায় চলুন আমরা এখানে বসি,,,,,(অহনা)
,
হুম চলো বসি,,,
,
কেমন লাগছে শহর ছেড়ে গ্রামে এসে,,,,,???
(অহনা)
,
খুব ভালো লাগছে।আগে জানলে আরও
আগেই চলে আসতাম,,,,।।
,
তাই,,,??
আচ্ছা আপনাকে একটা কথা জিগ্গেস
করি,,,??? (অহনা)
,
হুম করতে পাড়,,,,,,
,
কাউকে কখনও ভালোবেসেছেন,,,,,,???(অহনা)
,
হুম বাসি তো,,,,,, (অহনাকে রাগানোর জন্য
বললাম যদিও আমার কোন গার্লফেন্ড নেই)
,
ওহ তা কে সেই ভাগ্যবতি,,,,,??(মূহুর্তে
অহনার মুখটা মলিন হয়ে গেল তার মুখের
সেই হাসিটা কোথায় জেন হাড়িয়ে গেল)
,
আছে শহরে থাকে,,,
তুমি কাউকে ভালোবাস,,,,,???
,
হে সেই ছোট থেকে ভালোবাসি,,,,,, (অহনা)
একরাশ নিরবতা চারিদিকে ছেয়ে গেল।
,
বলেছো তাকে তুমি তাকে
ভালোবাসো,,,,,??
,
আর বলে কি হবে সে অন্য কাউকে
ভালোবাসে,,,,??(আমি স্পষ্ট দেখতে
পাচ্ছিলাম অহনার চোখের কোনে এক বিন্দু
পানি জমে আছে আর কিছু সময় পড় অঝোড়
ধারায় পড়তে শুরু করবে)
,
চলুন বাড়ি ফিরে যাই না হলে নানু আবার
চিন্তা করবে,,,,(অহনা)
,
ওঠে চলে যেতে লাগলো অহনা সাথে
নিজের চোখের পানিও মুছে নিলো খুব
যত্নে যাতে আমার চোখে না পড়ে।
,
না এইবার বেশি হয়ে যাচ্ছে অহনাকে আর
কাদানো ঠিক হবে না পড়ে আবার আম্মুর
কাছে নালিশ করলে আমার খবর আছে।।।
,
পেছন থেকে অহনার হাত ধরে একটানে
নিজে কাছে নিয়ে আসলাম,,,,
,
কি করছেন লোকে দেখলে কি বলবে,,,,,,,??(অ
হনা)
,
কি বলবে তা আমি জানি না তবে আমি
জানি আমি তোমাকে ভালোবাসি আর
তুমিও আমাকে ভালোবাসো,,,,
,
কে বলেছে আমি আপনাকে ভালোবাসি
হুম,,,,,??(চোখ থেকে এখন আরও বেশি করে
পানি বেড় হচ্ছে।আমি মেয়েদের এই
ব্যপারটা না ঠিক বুজতে পাড়ি না সুখের
সময়ও কাদবে আর দুখের সময়ও কাদবে)
,
কেন তুমি আমাকে ছোট থেকে
ভালোবাসো না,,,,??? আম্মু আর নানু
আমাকে সব বলেছে,,,,,
,
কি সব বলে দিয়েছে,,,,?? (অহনা)
,
হুম,,,
,
আপনি তো আমাকে ভালোবাসেন না
শহরের কোন এক মেয়েকে ভালোবাসেন,,,???
(অহনা)
,
ওটা মিথ্যা কথা তোমার মুখ থেকে শুনতে
চেয়েছিলাম ভালোবাসি কথাটা,,,,
,
মেয়েরা কখনও আগে বলেনা ওটা ছেলেদের
বলতে হয়,,,(অহনা)
,
না তুমি আগে বলো,,,,
,
তুমি বলবে নাকি আন্টির কাছে ফোন দিয়ে
নালিশ দিবো,,,,???(অহনা)
,
এই না না আমি আগে বলছি "আমি
তোমাকে ভালোবাসি",,,
,
তোমার কথার মাঝে কোন ফিলিংস নেই
আবার বলো,,,,,(অহনা)
,
কি মুশকিলরে বাবা আগে তো কখনও
কাউকে বলিনি কেমন কররে জানবো কি
করে বলে।
হাটি গেড়ে অহনার সামনে বসে পড়লাম,,,,
,
আমি তোমাকে ভালোবাসি বিয়ে করবে
আমাকে,,,,,,???
,
মোটেও না তুমি তো অন্য কাউকে
ভালোবাস তার কি হবে,,,,,??(অহনা)
,
আরে বাবা আমি মজা করে বলছি ওটা,,,,
,
আমিও তো মজা করছিলাম,,,,,(অহনা)
,
,
,
অতপর অহনাকে নিয়ে শুরু হলো আমার নতুন
পথ চলা সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
বিয়েতে সকলের দাওয়াত রইলো আসবেন
কিন্তু,,,,,,,,???
,
,
,
বলি কি দাদা গল্প তো শেষ এবার একটু
আফিং হলে কেমন হয়,,,,???
আফিং আছে আফিং,,,,,,,,????
,
,
,
,,,,,,,,সমাপ্ত,,,,,,,,,

No comments:

Post a Comment