#tag_lol_story
-আমি কি আসিতে পারি?
-হুম আসুন.. আপনার ঘরে আসতে অনুমতি
লাগে নাকি...
-না আসলে এখন থেকে আপনারও ঘর তো
তাই...
-আচ্ছা আপনি এতো হাবু টাইপের কেনো?...
-আমি আবার হাবু হলাম কিভাবে?
-এমনি আপনাকে দেখতে হাবু টাইপের মতো
লাগে...
-তাই নাকি... এবার দেখো এই হাবু টা কি
করে... এই বলে জড়িয়ে ধরতে গেলাম...
-ওরে শয়তান দাড়াঁ তোরে বলে মারামারি
শুরু করে দিলো....
-আরে এই এই মারছো কেনো...কোথায় একটু
আদর করবা তা না
আমার উপর টর্চার শুরু করে দিলা....
-ওই কি বললি, আমি টর্চার করি?বলে দিলো
আবার মাইর...
এই হচ্ছে কবিতা...আমরা একসঙ্গে এক
ভার্সিটিতে পড়েছিলাম.. যার কারনে
আমাদের বন্ধুত্ব ভালবাসায় পরিনত
হয়েছিলো...অনেক সমস্যায় সম্মুখী হয়ে
তাকে বিয়ে করতে হয়েছে... ও আবার ভীষন
বদরাগী মেয়ে একটা... রাগে কি করে তা
নিজেও জানে না... আর কোনো কারনে
খুশি হলে দেখে মনে তার চেয়ে সুখী আর
কেউ নাই...রাগ হলে আমাকে তুই তুই করে
বলে আর আমি তার উল্টা আপনি আপনি
করে বলি যার কারনে ওর আরো মেজাজ
খারাপ হয়ে যায়... এই ধরুন এখন একটু দেরী
করে ঘরে আসলাম সেইজন্য মহারাণী রেগে
আছে...
আচ্ছা আবার ফিরে আসি,
-তোমার জন্য কত কষ্ট করলাম.. আর তুমি
কিনা আমাকে মারতেছো?(আমি)
-এই কষ্ট করেছো.. হুম?(কবিতা)
-বাহ রে বাবা-মাকে কত কষ্ট করে রাজী
করালাম বিয়েতে আর তুমি কিনা আমাকে
মারতেছো...
-ওলে আমার হাবুরে আমার জন্য কতো কষ্ট
করছে... তো এতো কষ্ট করলি কেনো? তুই
নিজের জন্য করতে পারলি না?
-ওরে বাবুনি সরি.. আমি ভূল বলেছিলাম..
আমি তো কষ্টটা আমাদের জন্য
করেছিলাম...
-ওই কি কইলিরে... কিসের কষ্ট করেছিস হুম?
আজ তুই যদি আজ আমার বদলে অন্য মেয়েকে
বিয়ে করতিস তাহলে তোরে আর ওই
মাইয়্যারে খুন করতাম...
-তো আমি কি বসে থাকতাম? (একটু রাগী
স্বরে বললাম)
-এই তুমি কি বললা? তুমি আমাকে কি করতা?
ভ্যাএএএএ....
-আরে কি মুশকিল এতক্ষন তো আমাকে
দশবার করে মেরে ফেলতেছো এখন
কাদঁতেছো কেনো?
-ভ্যা ভ্যা (আরো জোরে)
-আরে আরে থামো.. বাইরে কেউ যদি শুনে
দরজা ভাইঙ্গা আমারে ধইরা পিটাইবো..
এখন তুমিই বলো আমি সবার সামনে মাইর
খেলে তোমার ভালো লাগবে?
-হুম খুব ভালো লাগবে... তোমাকে আচ্ছা
করে পিটাইলে ভালো হবে...কেউ খুশি হোক
বা না হোক আমি খুশি হবো... হুম..
-হায়রে আল্লাহ কি বউ জুটাইলা আমার
কপালে...
এই বলে বালিশ নিয়ে কবিতার উল্টা পাশে
শুয়ে পড়লাম... শুয়ে পড়লে ভূল হবে ঘুমানোর
ভান করে রইলাম... দশ মিনিট নড়াচড়ার
কোনো শব্দ পাইলাম না... এবার আমিও একটু
অসস্থিতে পড়ে গেলাম.. ততক্ষনে মাথায়
একটা আইডিয়া আসলো.. আমি নাক ডাকা
শুরু করলাম.. এতে মনে হয় কাজ হইসে.. যখন
একটু জোরে ডাকা শুরু করলাম তখন তো
আমারে বালিশ দিয়া পিটানো শুরু
করলো... আর আমি বেচারা চুপচাপ সহ্য
করতে লাগলাম....
কতক্ষন পর,
-এই? (কবিতা)
-কি?
-চলো চাদঁ দেখবো....
-বাসর রাতে চাদঁ দেখতে নাই সোনা...
-আমি দেখবোই দেখবো...
এবার আমার হাত টেনে জোর করে
বারান্দায় নিয়ে গেলো... আর আমার বুকে
চুপচাপ মাথা রেখে আকাশের দিকে
তাকিয়ে থাকলো...
কিছুক্ষন পর,
-এইইইঈ?
-আবার কি হলো?
-একটা গল্প শুনাও না...
-এখন না সোনা কাল.. আজকে খুব ক্লান্ত...
-আমি কিন্তু কান্না করবো?
-আচ্ছা করো কতক্ষন...
যেই না মুখ হা করে ভ্যা করতে তখনি সাথে
সাথে তার মুখ চেপে ধরে গল্প বলতে শুরু
করলাম...
গল্পঃ একছিলো এক মেয়ে.. সে একটু
বদরাগী.. সে বিয়ের রাতে তার স্বামীকে
বালিশ দিয়ে পিটাইছে তাছাড়া এটা না
সে তার স্বামীকে তুই তুই করে সম্বোধন
করেছে....
-কি বললি দাড়া তোরে বইলা আবার মাইর
দেওয়া শুরু করছে... এই মাইর কোন দিন শেষ
হবে তার কোনো ঠিক নাই....
লিখাঃ অলিন মজুমদার
No comments:
Post a Comment