Thursday, November 10, 2016

গল্প: একটুকরো প্রেম

গল্প: একটুকরো প্রেম


এই ছেলে শুনুন
→সরি,
→কিসের সরি? এই দিকে আসুন বলছি।
→আমি?
→দূর আসবেন কিনা বলুন!
→হুম, কি জন্য ডাকলেন?
→আমার রিক্সা ভাড়াটা দিয়ে দিন! আমি টাকা আনতে
ভুলে গেছি।
→ আপনি বললেন আর আমি দিয়ে দিলাম! তা হবে
নাকি?
→কথা কম ! দিবেন কিনা সেটা বলুন।
→টাকা নাই!
→দেখি মানিব্যাগ দেখি?
→কেন?
→পকেটে হাত ঢুকিয়ে মানিব্যাগ টা নিয়ে নিল
মেয়েটা।
→একি আপনি দিন দুপুর মাস্তানি করছেন কেন?
→চুপ
→আমি কিন্তু
→ভাড়াটা মিটিয়ে,,,,,কিন্তু কি? হু! কি? বলেন চুপ
কেন?
→এতক্ষন রিক্সাওয়ালা মেয়েটার পাগলামি দেখে
হাসছিলো!
→এই যে আপনি টাকা পেয়েছেন এখন খুশি?
এভাবে ৩২ টা দাঁত দেখিয়ে হাসতে কেউ বলেনি,
যান এখান থেকে [ধমক]
→রিক্সাওয়ালা ধমক খেয়ে চলে গেলো।
→মেয়েটির কাণ্ড দেখে রাফি অবাক। এটা মেয়ে
মানুষ নাকি কোন জল্লাদি।
→অই মিস্টার এভাবে থাকিয়ে আছেন কেন?
→আপনাকে দেখছি!
→কেন? আমাকে দেখার কি আছে?
→আচ্ছা আপনি মেয়ে নাকি অন্যকিছু?
→এ কোন দিন কাঁনা,,
এই নেন মানিব্যাগ, আমি গেলাম। ক্লাস আছে
আমার। টাকার কথা চিন্তা করে লাভ নেই আমি ফেরৎ
দিইনা।
,
আমার তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করার ছিলোনা।
এমন জল্লাদি মার্কা মেয়ে আর দুইটা দেখিনি। না জানি
কার কপালে আছে এমন মেয়ে।
→যাক আমিও ক্লাসের দিকে পা বাড়ালাম।
যথাসময় ক্লাসে পৌছালাম, এমনিতেই ক্লাস করতে
ভালো লাগেনা, অনিচ্ছা শর্তেও বসে থাকি।
→ক্লাসে ঢুকেই একধম পেছনের বেঞ্চে
গিয়ে বসলাম।
→ কিচ্ছু করার নাই। প্রতিদিন দেরী করে আসার
এটাই শাস্তি।
→অই মিস্টার আপনি আমার পাশে বসলেন কেন?
→আরে এই জল্লাদিটা এখানেও?
→ কি বলছেন?
→আমার টাকা ফিরিয়ে দেন?
→সরি আপনি কে?
→এই একটু আগেইত আমার টাকা দিয়ে রিক্সা ভাড়া
দিলেন আর এখন ভুলে গেলেন?
→কই নাতো! আমিতো আজ রিক্সা করে আসিনি।
→এত বড় মিথ্যে কথা?
→সরি আপনার ভুলে হচ্ছে?
→মোটেও না।
→স্যার ছেলেটা আমাকে ডিস্টার্ব করছে।
→এ কি করছেন এসব!
→স্যার (দাঁড়িয়ে) এই ছেলেটা আমার সাথে শুধু বক
বক করছে।
→ রাফি....এদিকে আয়, বেটা ক্লাসে আসবি
দেরী করে" পড়ালেখার খবর নাই, নিজেতো
পারিস না আরেকজন কেউ ডিস্টার্ব করস?
যা বাইরে যা।
→কিচ্ছু করার নেই স্যার এর কথা মত ক্লাসের
বাইরে দাঁড়িয়ে আছি। জানালার ফাঁকে উকি মেরে
দেখলাম মেয়েটা খিলখিল করে হাসছে। মনে
হচ্ছিলো গিয়ে কসে একটা থাপ্পড় লাগাই।
→মেয়েটা আমার দিকে থাকিয়ে মুখ ভেংচি
মারে..আর হাসতে থাকে।
→এর এই কাণ্ড সহ্য করতে না পেরে
অবশেষে ভার্সিটি থেকে বাসায় বেক করলাম।
→আর মনে মনে মেয়েটাকে ফাঁসানোর
প্ল্যান করলাম।
,
পরদিন,
অই মিস্টার হাবলু? কাম হেয়ার!
→আল্লাহ আবার!!! না জানি কপালে আজ কি আছে?
→অই খারান, কই জাচ্ছেন?
→আপনি কে?
→মিস্টার হাবলু! আমি রিসিতা!
→কোন রিসিতা?
→বুঝছি মাথায় সিট আছে।
→মানে?
→এই নিন আপনার টাকা"
→মানে আমাকে কি আপনার ভিক্ষুক মনে হয় নাকি?
→চুপ কথা কম! স্বাধু সাজতেছেন?
→নাতো!
→এই লন টাকা!
→সরি আমি ভিক্ষুক না! বলেই টাকাটা না নিয়ে চলে
আসলাম!
আর ভাবছি ইসসসসসসস পার্ট মারতে গিয়ে টাকাটা
লস.
> অই মিস্টার হাবলু খারাও,,,
> কান দিলাম না তার কথায়!
> অই দেন্দা দারাও বলতেছি,[ পেছনে থেকে
হাত ধরে]
> এ মা! আপনার কি লজ্জা শরম কিছুই নাই?
> ওরে আল্লাহ! আপনি মেয়ে নাকি?
> না, তবে এটা পাবলিক প্লেস।
> হুহ, আমি কি আপনার সাথে ইভটিজিং করছি?
> তাই ত মনে হচ্ছে! হাত ছাড়ুন, সবাই দেখছে।
> ওরে লজ্জারে,,, এই ধরো তুমার টাকা।
> আমি চলি বাই....
> ওয়েট ওয়েট,, দেখি হা করেন্তো!
> না,
> হা কর! [ ধমক ]
> হা আ আ [ ভয়ে ]
> না, ঠিক আছে সব।
> মানে?
> দাঁত সব ঠিক আছে। থাপ্পড় দিয়ে এগুলো
ফেলে দেওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে।
> মানে কি বলতে চান?
> থাপ্পড় দিয়ে কি দাঁত গুলো ফেলে দিবো? নাকি
টাকা নিবেন?
> দাঁত হারাতে চাইনা । [ অবশেষে নিলাম ]
> হাবলু কোথাকার,,,, বে বে বে বে,,, আমি
ক্লাসে চললাম।
> আমি অবাক! জীবনে এরকম মেয়ে আমি দুইটা
দেখিনি। আজব মেয়ের আজব কান্ড!
> কিরে দোস্ত এখানে দাঁড়িয়ে কেন? ক্লাসে
যাবিনা?( পেছন থেকে বন্দু সাকিব)
> না দোস্ত, তুই যা, আমি বাসায় যাচ্ছি।
অইদিন আর ক্লাস করা হলোনা।
বাসায় এসে খালি মেয়েটার অত্যাচার গুলো
চোখে ভাসছে আর মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
,, কিন্তু মেয়েটা অসম্ভব সুন্দর। কি দারুন স্টাইলে
কথা বলা,, উপ্সসস।। কিন্তু আস্তো বজ্জাতি।
,,,
কয়েক দিন ভার্সিটি যাওয়া হয়নি!
একটু অসুস্থ ছিলাম।
> তাই আজ সকাল সকাল রেডি হয়ে ভার্সিটির
উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
যথাসময়ে ভার্সিটির নিকট পৌছাই। সব কিছু নতুন নতুন
লাগছে যেন আজ নতুন এসেছি।
রিক্সা ওয়ালাকে ভাড়া দিয়ে হাটা শুরু করলাম ক্লাসের
উদ্দেশ্যে।
> রাস্তা পার হয়ে ভার্সিটের গেটে ঢুকতেই
শার্টের কলারে হেচকা এক টান।
> একি কে??
> আমি ( রিসিতা )
> দুজোনের মুখোমুখি,,, তার আর আমার মুখ এক
নখ পরিমাণ ফাঁকা। একি করছেন? এভাবে মাস্তানের
মত কলার ধরে আছেন কেন? সবাই কি বলবে?
ছাড়ুন!
> ওই লজ্জা তোর বেশি না আমার বেশি?
আমার যেখানে সমস্যা নেই সেখানে তোর কি
সমস্যা?
> আমি আপনার মত এত সাহসী না।
> হুহ,,, কই ছিলেন? [ ছেড়ে ]
> যেখানে ইচ্ছা
> বলবে তুমি নাকি আবার…………………
> না না না,, অসুখ ছিলো। [ আপনি থেকে তুমি ]
> কি? আমাকে বলোনি কেন? হ্যা, কি অসুখ
হয়েছে?
> বারে কি করে বলব? ভার্সিটি আসলেইত বলতাম।
> তুমার ফেবু আইডি দাও,, আর মোবাইল নাম্বার দাও!
> কেন?
> ধুয়ে ধুয়ে পানি খাবো?
> তাহলে দিবোনা
> কেন?
> যদি পানির সাথে ধুয়ে যায়?
> হা হা হা হা,, আচ্ছা ধুবোনা,, মোবাইলে রাখবো!
> ( আমি তার হাসি দেখে অবাক)
> একি আপনার বুকের বাম পাশে কি ঢুকেছে?
> হা……………………
> ওটা এভাবে লাফাচ্ছে কেন?
> হা............
> এইযে……………… চিমটি দিয়ে।
> উপ্সসসসসসসস এত্ত জোরে????
> হু, কি দেখছেন?
> আপনাকে!
> লজ্জা নিয়ে! দেখার কি আছে?
> বুঝবেন্না,,
> আচ্ছা পরে বুঝবো! ফেবু আর মোবাইল
নাম্বারটা দাও।
> mbl→ 01980----08.. fb→.দিয়ে দিলাম।
> হুম,, tnq. হাবলু।
> আমি হাবলু না।
> চুপ কথা কম! ক্লাসে চলো।
…………
…………
…………
> রাতে ডিনার শেষে ফেবুতে লগিং দিলাম,,
লগিং দিয়ে ফ্রেন্ডস রিকুয়েস্ট চেক করলাম
দেখি Angry Bird নামের আইডি থেকে
রিকুয়েস্ট আসছে। কিছু না ভেবেই একসেপ্ট
করে ফেললাম। দেখি আইডির পাশে নীল বাতি
জ্বলছে।তার মানে অন লাইনে আছে।
> এক মিনিট পর
Angry > মিস্টা হাবলু কি করো এত রাতে? লুকিয়ে
লুকিয়ে প্রেম চলছে কার সাথে?
> সরি আপনি কে?
> হাবলু আমি কে? তুই ছিনিস না?
> সরি!
> আমি রিসিতা।
> কোন রিসিতা, ( মজা করছিলাম)
> কুত্তা তোরে আমি পাইছি,,, না চেনার ভান
করোস?
> আপনি এভাবে কথা বলছেন কেন? অভদ্র
মেয়ে কোথাকার!
> ইসসসসসসসসসসসসসসসসসসস, তোরে
হাতের কাছে পাইলে না,, কি যে করতাম, আমি
নিজেও জানিনা?
> কুল ডাউন, প্লিজ,
> চুপ কুত্তা।
> মাথায় পানি ঢালবো?
> তোরে চুপ করতে কইছি।
> হুহ হুহ,
> তুই কুত্তা কালকে আসিস পরে বুঝামু আমি কে!
আমি গেলাম কুত্তা।
…………… দেখলাম আইডির পাশের বাতিটা তার রং
চেঞ্জ করেছে।
………
> সবুজ কালারের বাতিটা নিভে যাওয়ায়
বুঝতে পারলাম মহারানী ঝান্টুস অফ
লাইনে চলে গেছে।
> আমিও আর থেকে লাভ কি, আমিও
ফেইজবুক লগ আউট করে ঘুমিয়ে পড়লাম।
………
………
ক্যাম্পাসের ভেতর আনমনা হয়ে হাটছি।
আজ অনেক আগেই ভার্সিটি আসা হয়ে
গেছে। সকালে হয়ত তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে
উঠার কারনে এটা হয়েছে।
যায় হোক ক্যাম্পাসে আমি আর কয়েক টা
ছেলে মেয়ে ছাড়া আর কাউকে দেখা
যাচ্ছেনা।
দেখা যাবেই বা কি করে! এতো সকালে কি
কেউ ভার্সিটি আসে? অবশ্য যারা প্রেম
করে তারা ছাড়া।
> এভাবে একা একা কিছুই ভালো
লাগছিলোনা। তাই সবার আড়ালে গিয়ে
বাদাম গাছের নিছে বসে বসে ফেইজবুকে
কিছু গল্প পড়ছিলাম।
> সময় টা কেন জানি শেষ হচ্ছেনা।
তাই গল্প পড়া বাদ দিলাম, বাদাম গাছের
সাথে হেলান দিয়ে কিছুক্ষন চোখ বুঝে
শুয়ে রইলাম।
……………
৬ মিনিট পর
> একি?
>তবলা বাজানোর আওয়াজ কত্তেকে? আরে
আমার মাথায় এত্ত জোরে কে থাপরাচ্ছে?
> চোখ খুলে দেখি ঝান্টুস রিসিতা। এই কি
করছো এসব?
> ………………
> আরে থামো,, ব্যাথা পাচ্ছি ত।
> মরে যা
> গেলাম!
> অই তোর রুহ কই মাছের মত মরবিনা।
> আরে মরে গেলাম ত।
> সত্যি?
> ৩ সত্যি!
> অই হাবলু, মরলে কথা বলিস কেমনে? আমি
কি বোকা? নে খা,, কালকে নবাবের বেটার
মোড দেখে ইচ্ছে করছিলো ফেইজবুকের
এপাশ থেকে থাপ্পর মেরে বলি আমি কে?
অই কুত্তা তুই আমারে চিনস নাই কেন?
> আরে চিনিতাম ত মজা করছিলাম।
> এবার আমার মজা দেখ। কেমন লাগে!
> আহা ছাড়োনা...
> না আগে কানে ধর!
> ধরলাম।
> কুত্তা আমার কান কে ধরতে বলছে?
> তুমিই ত কইলা।
> থাপ্পর খাবি?
> না,,
> তাহলে কান ধর।
> কার? তুমার?
> না। তোর।
> আচ্ছা ধরলাম।
> এইতো ভালো ছেলে। পানি দাও একটু।
(হাপাতে হাপাতে)
> তুমার ব্যাগেইত আছে।
> হুম।
> ঢক ঢক করে পানি গিলছে,, এইদিকে আমার
মাথার অবস্থা ১২ টা।।.....
আল্লাহ শেষবারের মত রক্ষা পেলাম।
> আচ্ছা তুমি আমারে এত্ত কুত্তা ডাকো
কেন?
> কুত্তা ত তাই।
> কামড় খাবা?
> না।
>তুমি এত রাগি কেন?
> কয়পিয়ত দিতে হবে?
> বলতে সমস্যা?
> আমি এমনি।
> হুহ বুঝছি।
> একটা কথা বলি?
> বলো!
> কথাটার উত্তর দিবা ত?
> দিবো। যদি সম্ভব হয়।
> হুম বলছি।
> হুম শুন্তেছি।
> অই কানে আঙুল দাও।
> হুম দিলাম।
> কুত্তা
> কি?
> কান থেকে আঙুল সরাও।
> হুম। এবার বলো।
> রিসিতা দাঁড়িয়ে পড়লো।
> বলো?
> বলছি।
> বলো
> আচ্ছা তুই এতো আবুল মার্কা কুত্তা কেন??
বলেই দৌড় দেয়।
> কুত্তি খারাও আজ তুমারে আমি খায়ছি।
> রিসিতা দৌড় দিয়ে সোজা অফিসকক্ষের
সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। আর ভেংচি দেয়।
> রাফি কিছুই করতে পারছিলোনা ভয়ে।
শুধুই রাগ ঝারছে নিজের সাথেই।
...... সেদিনের মত রাফি চলে যায় বাসায়।
মনে মনে কেন জানি রিসিতার সব
পাগলামো গুলো তার ভালোলাগতে শুরু
করছে। মনে মনে সারাক্ষন রিসিতার
অনুপস্থিতির শুন্যতা খোঁজে। জানিনা কেন
এই শুন্যতা।
কেন জানি তার প্রতি মায়া জন্মে যায়।
বোধ হয় তাকে আমি ভালোবেসে ফেলেছি।
তবে কি রিসিতাও আমাকে.........?
নাহ তার ফিলিংস টা একটু গভির থেকে
দেখা যাক।
…………
> এদিকে রিসিতা ও একি রোগে আক্রান্ত

তার হৃদয়ের মাঝেও রাফি হাবলুর বোকামি
গুলো জায়গা করে নিয়েছে।
নাহ আর থাকতে পারছিনা।
> কাল ই বলে দিবো।
> রিসিতা রাফিকে ফোন দেয়।
> হ্যালো রিসিতা বলো।
> কালকে একটু দেখা করবা.?
> কেন?
> কিছু কথা বলা হয়নি!
> সত্যি আমিও তুমাকে,কিছু বলতে চাই।
> সত্যি?
> হ্যা।
> আচ্ছা হাবলু বিকেল ৩ টা বাজে
ক্যাম্পাসে আসবা।
> ওকে।
> বাই কালকে দেখা হচ্ছে তাহলে।
> হুম, বাইই।
......
......
পরিদিন বিকেল টিক ৩ টাই রিসিতা
ক্যাম্পাসে বাদাম গাছটার নিছে ওয়েট
করছে।
বাহ আজ তাকে দারুন লাগছে। মনে হয় তার
ভালোবাসার মানুষ্টিকে দেখানোর জন্য।
( আচ্ছা রাফি কি আমার ভালোবাসা
একসেপ্ট করবে? নাকি........! নাহ, ও এমন না,,
ফিরিয়ে দিবেনা।।) মনের সাথে কথা
বলছে রিসিতা।
> একি ১৫ মিনিত লেইট? হাবলু কই তুমি?
> এইতো আসছি।একটু ওয়েট প্লিজ।
> তাড়াতাড়ি
> আসছি বাবা।
> হুম। বলে ফোনটা কেটে দিলো রিসিতা।

৬ মিনিট পর
অইত রাফি আসতেছে।
ইসসসস লজ্জা লাগতেছে রিসিতার।
কিন্তু একি রাফি ত একা না! ওর সাথে
মেয়েটা কে?
ওর গার্ল ফ্রেন্ডস নাকি? মনের ভিতর কেমন
জানি করে উঠলো।
…………
Hi রিসিতা সরি ফর লেইট? প্লিজ ডোন্ট
মাইন্ড।
> it's ok.
> হুম কি কথা বলবা বলেছিলে বলো?
> না তুমি আগে বলো!
> আচ্ছা।
এ হচ্ছে আমার জান। সুমাইয়া।
সুমাইয়া ও রিসিতা আমার বেস্ট ফ্রেন্ডস।
_ Hi রিসিতা।
> Hlw....
রাফির মুখে এই কথা শুনে মনে অজান্তেই
রিসিতার চোখের কোণ থেকে কয়েক ফোটা
জল গড়িয়ে পড়ছে। এমন কিছু হয়ত আশা
করেনি রিসিতা।
আসলে আমিই অভাগী।
> এই রিসিতা কাদছো কেন?
> না এমনি! তুমাদের বেশ মানিয়েছে।
> tnxxx..
> তুমি কি বলবা বলেছিলা বললে নাতো?
> ও হ্যা বলা হয়নি।
> হুম বলো।
> আসলে সামনের মাসের ২০ তারিখ আমার
বিয়ে। তুমাকে বলতে এলাম।
> মানে? কি বলছো তুমি?
> আমার বিয়ে ২০ তারিখ! কেন খুশি হওনি?
> এতোদিন বলোনি কেন?
> জানতাম না। হুট করে বিয়ে ঠিক হয়ে
যাবে!
> ধ্যাত।
> বিয়েতে আসবে কিন্তু।
> কি বিয়ে? কার বিয়ে?
> আমার!
> আমি চললাম। রাফি হাটা শুরু করে। সাথে
সুমাইয়া ও।
> রিসিতা অশ্রু নয়নে তাদের চলে যাওয়া
দৃশ্য দেখে আছে।
> সেদিনের মত রিসিতাও চলে যায় তার
বাসায়।
> অনেক কেঁদেছিলো রাফির জন্য।
হারানোর বেদনা একমাত্র সেই বুঝতে
পারে যে তার প্রিয় মানুষকে হারিয়ে
ফেলে।
> রাফিও অনেক কেঁদেছে।
দুজনের চোখের লোনাজল হয়ত সবার নয়নের
আড়ালেই অদৃশ্য হয়েগেছে।
.
……………
………………
কিছুদিন পর
> Hi রিসিতা আপু?
> Hlw
> কেমন আছেন আপু?
> ভালো। তুমার বয় ফ্রেন্ডস কোথায়?
> কে আমার বয় ফ্রেন্ডস?
> কেন রাফি!
> হা হা হা। আরে নাহ সে আমার কাজিন।
অইদিন সে আমাকে বলেছিলো অভিনয়টা
করতে। আসলে ও আপনাকে খুব ভালোবাসে।
তাই আপনার ফিলিংস্টা বুঝবার জন্য
অইদিন আমাকে এই অভিনয়টা করতে
বলেছে! সরি আপু আমার কিছুই করার
ছিলোনা এ ছাড়া।
> রাফি কোথায়?
> বাসায়!
> দাড়াও আজ আমার একদিন কি ওর একদিন।
……………
টক টক টক টক
> কোন শব্দ নেই।
> অই কুত্তা দরজা খুলবি নাকি লাত্তি
দিমু?
> রাফির আর বুঝতে বাকি নেই এইটা
রিসিতা ঝান্টুস।
> কিরে কানে যায়না কথা?
> রাফি দরজাটা খুলে বিছানায় গিয়ে শুয়ে
আছে!
> রিসিতা ঘরে ঢুকা মাত্রই দরজার খিলী
লাগিয়ে ব্যাগ সোপার উপরে ছুড়ে মারে।
… তারপর গলার উর্না কোমরে পেছিয়ে
সোজা রাফির উপর ঝাফিয়ে পড়ে।
> এই কি করছো? মা দেখলে খারাপ ভাববে।
> কুত্তা তোর সুমাইয়া জান কইরে?
> জানিনা।
> চিমটি দিয়ে..... কেন জানিস না?
> কেন তুমার হভু জামায় কই?
> এইতো
> কই দেখছিনা কেন?
> আন্ধা কুত্তা তুইত আমার জামায়।
> মানে?
> ওরে আমার হাবলু! কিচ্ছু বুঝেনা শাশুড়ি
আম্মা একিটা ফিডার নিয়ে আসুন।
> এই আস্তে আম্মু চিল্লাবে।
> ভালোবাসিস এইটা বলতে পারিস না?
অভিনয় করা লাগে?
> তুমি ভালোবাসো আমাকে?
> কত্ত?
> এক টুকরো!
> ইয়েসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসস লাভিউ
লাভিউ লাভিউ।
( রাফি কিরে চিল্লাস কেন? কি হয়েছে)
> কিছুনা আম্মু, লাভিউ গেইমস খেলছিলাম।

> কুত্তা ছাড় এত্ত জোরে চেপে ধরছিস
কেন? ওমাগো নিশ্বাস বন্ধ হয়ে গেল।
> লাভিউ
> কত্ত?
> তুমি যত্ত তত
> সারাজীবন দিবাতো এই একটুকরো
ভালোবাসা?
> হুম যতদিন বেছে থাকি।
এই তুমারে আম্মু দেখেনি?
> নাহ।
> আজ আমার কাছেই থাকোনা।
> উহু কত্ত শখ?
> এত্ত।
.....
ইসসসসস তুমি আমার হাবলু জামায়।
ইসসসসস তুমি আমার ঝান্টুস বউ।

_______ সমাপ্তি ________

No comments:

Post a Comment