Wednesday, November 23, 2016

গল্পঃ """অবুঝ মন"""

গল্পঃ """অবুঝ মন"""

মা! মা! আমি বের হচ্ছি; ফিরতে সন্ধা
হবে। তাওহীদ প্রতিদিন এই কথাটা বলে
বাসা থেকে বের হয়, আবার মা! মা! আমি
ফিরেছি বলে তার রুমে যায়।
সে সাইকেল টা নিয়ে গেইটের সামনে
দাঁড়িয়ে থেকে চিন্তা করে কোথায় যাবে;
ঠিক তখনেই পিছন থেকে একটা সাইকেল
এসে তার সাইকেল টাকে ধাক্কা দেয়।
ধাক্কার ফলে সাইকেল সহ সে পড়ে যায়।
পিছনে ফিরে তাকাতেই দেখে একটা মেয়ে
ভয় ভয় চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছে;
এটা বুঝাতে চাচ্ছে যে, সে কাজটা ইচ্ছা
করে করেনি।
- এই যে মিস কানি আপনি কি দেখতে
পাননি?(রাগে বলে আর কানি বলার কারণ
চোখে যে চশমা পরাছিল)
- ও হ্যালো আমি কানি না(চশমাটা ঠিক
করে) আর আড়ালে দাঁড়ালে দেখব
কিভাবে?
- মানে!
- এটা বুঝেন না, আবার কানি ডাকতে
পারেন। হুহ(মুখে ভ্যাংচি কেটে) আচ্ছা
গেইটের আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকলে কি
কাউকে দেখা যায় বলেন! আর আমি তো
ইচ্ছা করে করেনি।
- হইছে হইছে আর ভালো সাজতে হবে না,
মেয়েদের কে আমার ভালো করে চিনা
আছে। আর ভ্যাংচি মারেন কেন? মুখ কি শুধু
আপনারেই আছে! অন্য কারো নেই? বলেই
চলে যায়। মেয়েটা কে আর কথা বলার
সুযোগ দেয়নি।
- শয়তান ছেলে আমাকে বলে কানি নিজে
ঠিক ভাবে দাঁড়িয়ে থাকবে না আবার
অন্যজন কে দোষ দিবে; তারপর কি করল!
ভ্যাংচি মেরে চলেও গেল, কথা বলার
সুযোগ টা ও দিল না। এখন থেকে যেখানে
পাব সেখানেই কানিগীরি দেখিয়ে ছারব
সহজে ছাড়ছি না, মনে মনে কথা গুলো
বলে।

এই হল তাওহীদ আর সাথী। সাথীরা
তাওহীদদের বাসাতে নতুন বাড়া এসেছে।
কিন্তু এটা যে তাওহীদদের বাসা তা জানে
না। তাওহীদ ও জানে না, সাথীরা যে
তাদের বাসায় নতুন ওঠেছে।
তাওহীদ শান্ত ও ভদ্র ছেলে, কিন্তু অনেক
রাগী ও অভিমানী। সে এই বছর এইচ এস সি
পরীক্ষা দিবে, তাই দিন-রাত বই নিয়ে বসে
থাকে, বিকালের সময়টা তে একটু ঘুরাফেরা
করে।
আর সাথী অনেক দুষ্টু মেয়ে, কিন্তু তার
মনটা অনেক ভাল। সে এই বছর এস এস সি
পরীক্ষা দিয়েছে, তাই তার কোন রকমের
পড়াশুনা নেই, বলতে গেলে সে এখন স্বাধীন
ভাবেই দিন কাটাচ্ছে।
কিন্তু এই খানে আসার কয়েক দিন পরেই এই
ঘটনাটা ঘটে। ঐ দিনের পর থেকে, সাথী
প্রতি দিনেই বিকাল বেলা বের হত।
মাঝে মধ্যে তাওহীদ কে পেত আবার মাঝে
মধ্যে পেত না, যে দিনেই পেত সে দিনেই
তার সাথে ইচ্ছা করে সাইকেল সহ তাকে
ফেলে দিত।
তখন দুজনের মাঝে যে কি পরিমান ঝগড়া
হত, তা বলে বুঝানো যাবে না। তাদের এই
ঝগড়া যেন কখনো শেষ হবার নয়।
আবার মাঝে মধ্যে পার্কে দেখা হলে
সেখানেও ঝগড়া হত। কথা হচ্ছে, যেখানেই
দেখা হত সেখানেই কারণে অকারণে
তাদের মাঝে ঝগড়া হত।

এই ঝগড়ার কারণে তাওহীদ দিনে বা রাতে
ঠিক মত পড়তে পারত না। কারণ সাথীর
কথা গুলো সব সময় তার কানের আশে-
পাশে ‌ঘুরা-ফেরা করত আর সে রাগে ফাটত।
তাই ঠিক করে বাসা থেকে বের হওয়া
কমিয়ে দিবে এবং সে কাজটাই করে।
তারপর থেকে সেই সময়টা সে ছাদে
কাটায়।

কয়েক দিন যাওয়ার পর সাথী দেখে;
তাওহীদ বাসা থেকে বের হয় না, খুঁজে
দেখে এখন সে ছাদে সময় কাটায়।
তাই তাকে জ্বালানোর জন্য ছাদে যায়(কি
করবে! তার সাথে ঝগড়া না করে যে
থাকতে পারে না) এহেম এহেম করে কয়েক
টা কাশি দেয়। সাথীকে দেখেই তার
মেজাজ টা খারাপ হয়ে যায়।
- মিস কানি আপনি এখানেও চলে এসেছেন?
- হুম আপনাকে ছাড়া যে থাকতে পারি না।
আপনি যেখানে আমি সেখানে।
- আপনি যে কি পরিমান বেহায়া মেয়ে তা
একমাত্র আল্লাহ ভালো জানে।
- হুম আমি জানি তো, কি করব বলেন! আমি
না এখন আপনার মুখের গালি না খেয়ে
থাকতে পারি না।
- কেন দুনিয়াতে কি আর কোন ছেলে নাই!
ছেলের কি অভাব পরছে?
- না না ছেলের অভাব পরে নাই। কিন্তু
আপনার মত না কেউ নাই।
- তাই না! তাহলে আমার ছায়া মূর্তিটা কে
নিয়ে আপনার যা মন চায় তাই করেন। আমি
চলি
- কেন আপনি চলে যাবেন? প্লিজ যাবেন
না! আপনার গালি দিলেও কি আপনার
সমস্যা?
- হু আমার অনেক সমস্যা। কারণ সামনে
পরীক্ষা, আপনার সাথে ঝগড়া হলে পরে আর
ঠিকমত আমার পড়া হয় না।
- আহারে কি সমস্যা! তা আপনাকে ঝগড়া
করতে কে বলছে? মিষ্টি করে কথা বললেই
তো পারেন। তাহলে তো মাথা ঠান্ডা
থাকে, মন ও ভাল থাকে।
- আল্লাহ আমি কাকে কি বলি যে আমার
কথাটাই বুঝে না। আপনি থাকেন আকাশ
দেখেন মন ফ্রেশ করেন আর পরবর্তীতে
আমার সামনে আসবেন না এবং আসার
চেষ্টাও করবেন না।
কথা গুলো বলেই চলে যায়। সাথী নীল
আকাশ দেখে, মুচকি মুচকি হাসে, আর মনে
মনে বলে চান্দু তোমারে ছাড়ছি না
তোমারে আমার জামায় বানামু সুখে
দুঃখে শান্তিতে সারাজীবন কাটামু।

এই কথা বলার কারণ হচ্ছে; সে এই
কয়েকদিনে তার জীবনের থেকেও বেশি
তাওহীদ কে ভালবেসে ফেলেছে।
প্রথম প্রথম দুষ্টামি করলেও কয়েকদিন
যাওয়ার পর তার প্রতি একটা মায়া জন্মে
যায়। সেই মায়া থেকে ধীরে ধীরে তার
প্রেমে পড়ে যায়, কিন্তু তাকে বুঝতে
দেয়নি।
তার রাগী রাগী ও মায়া ভরা মুখটা কে
কখন যে নিজের অজান্তেই ভালবেসে
ফেলে বুঝতেই পারেনি। যখন এসব ভাবে
তখন লজ্জা মাখা মুখে নিজের অজান্তেই
হেসে ফেলে।
এখন সাথীর তাওহীদের গালি না শুনলে
দিন কাটে না, না দেখলে সময় চলে না।
তার প্রতিদিন দেখা করতেই হত, গালি
খেতেই হত। সেটা যেভাবেই হোক।

তাওহীদ ছাদ থেকে যাওয়ার পর তার মাকে
খুঁজতে থাকে
- মা! মা! ও মা! কোথায় গেলে?
- কেন কি হয়েছে?
- আমাদের বাসাতে কি নতুন বাড়াটিয়া
এসেছে? তাদের কি কোন ছেলে বা মেয়ে
আছে?
- কেন রে?
- না এমনেতেই তুমি তো কিছু বলনি, আমি ও
তো কিছু জানতে চাইনি তাই।
- হুম এসেছে, তাদের এক ছেলে দুই মেয়ে
আকাশ, পাখি ও সাথী।
- ও আচ্ছা।
- বড়টা এস এস সি দিয়েছে, ছোট বোনটা জি
এস সি দিবে, আর ভাইটা পি এস সি দিবে।
- ও( মনে মনে বলে জানতে চাইলাম একটু
বলে দিল সবটুকু)
- হুম

সাথীদের সম্পর্কে জেনে মায়ের কাছ
থেকে চলে আসে। পড়াশুনা শেষ করে
ঘুমাতে যায়, কিন্তু চোখটা বন্ধ করতেই
সাথীর দুষ্টু মিষ্টি চেহারাটা বার বার
তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে।
তার হাসি মাখা মুখটা বার বার তার
ঘুমটাকে কেঁড়ে নেই। সে কিছুতেই ঘুমাতে
পারে না।
তখন মনের অজান্তেই সাথীকে নিয়ে
ভাবতে থাকে, এই ভাবনার মাঝেই ঘুমিয়ে
দেখে; কাজল কালো চোখে মায়া মায়া
ভাব নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে।
আবার কিছুক্ষণ পর পর মুচকি মুচকি হাসে, এই
হাসিটার মাঝেই চোখ টিপি মারে।
আবার এমন একটা ভাব নিবে যেন কিছু
বলবে, আবার এমন একটা ভাব নিবে যেন
কিছুই বলবে না। তাকে দেখিয়ে দেখিয়ে
আবার ভেংচি ও কাটে।এসব দেখতে দেখতে
ঘুমের মাঝেই হাসতে থাকে।

ঐ দিনের পর থেকে তাওহীদ ছাদে আর যায়
না, সেই সময় টা সে তার বাসায় কাটায়।
এভাবে কয়েক দিন চলে যায়।
ঐ সময়টা তে সাথী তাকে খুব মিস করতে
থাকে, তার সাথে দুষ্টামি করলেও তো
তাকে ভালবাসে আর ভালবাসার মানুষ কে
কি না দেখে কেউ ভাল থাকতে পারে!
তাই সব সময় মন মরা হয়ে থাকে, অপেক্ষা
করে কখন সে বাসা থেকে বের হবে, কখন
তাকে এক নজর দেখবে।

একদিন তাওহীদ সাইকেল চালিয়ে গেইটের
কাছে যাওয়া মাত্রই সাথী ও তারাতারি
আসে তাকে ধাক্কা দেওয়ার জন্য। কিন্তু
সাইকেলের গতিটা এত ছিল যে সেটা আর
কমাতে পারেনি। তাই প্রচন্ড জুরে ধাক্কা
খেয়ে পড়ে যাওয়ায় তাওহীদ হাতে ব্যথা
পায়।
এমনটা যে হয়ে যাবে সাথী ভাবতেই
পারেনি। তাওহীদ ওঠে সাইকেলটা ধরতে
যাবে; কিন্তু ধরার সাথে সাথেই হাতে
প্রচুর ব্যথা অনুভব করে। অনেক কষ্টে খাতা
ও কলম নিয়ে বাসায় ফিরে।
তাওহীদের এই কষ্ট দেখে সাথী ও অনেক
কষ্ট পায়। তাওহীদকে ভাল বা মন্দ কিছুই
আর বলতে পারেনি। কি করে বলবে তার যে
সে মুখ নেই। তাওহীদের এই কষ্টের জন্য তার
চোখেও পানি চলে আসে।
রাতে তাওহীদের হাতের ব্যথা বাড়াতে,
তাকে ডাক্তার দেখায়, ডাক্তার পরীক্ষা
করে দেখে; তার হাত ভেংগে গেছে।
তারপর তাকে প্লাস্টার করে দেয়। এদিকে
আবার তার পরীক্ষাও চলে আসে।

রাতে সাথী ও তার ভাই-বোন খেতে বসে;
তখন তার ভাই বলতে থাকে
- জানো আপু! ঐ বাসার ভাইয়াটার না হাত
ভেংগে গেছে( কথাটা শুনেই সাথী স্তব্ধ
হয়ে যায়) বিকালে কে যেন তার
সাইকেলটা ধাক্কা মারে তাতে ভাইয়া
পরে গিয়ে হাত ভেংগে ফেলে।
- তোর ঐ ভাইয়াটার নাম কিরে!
- তাওহীদ
- ও আচ্ছা।
সে আর কথা বাড়ায় নি চুপচাপ খেয়ে চলে
যায়। রুমে গিয়ে তার আদরের বালিশ
ভিজাতে থাকে(মেয়েদের কাঁদার একটাই
ঠিকানা সেটা হচ্ছে; তাদের আদরের
বালিশ)। তার জন্যই তো তাওহীদের হাত
টা ভেংগে গেছে, বেচারা তখন কতই না
কষ্ট পেয়েছিল।
কিন্তু আমাকে বুঝতে দেয়নি।
ঐ রকম না করলে তো কিছুই হত না। এখন
কেমন আছে, কি করছে, কিভাবে পড়ছে!
হাতের ব্যথাটা কম না বেশি! সে কিছুই
জানতে পারছে না। শুধু তার চোখ বেয়ে
পানি গড়িয়ে পরছে।
এখন নিজেকেই নিজের শাস্তু দিতে ইচ্ছা
করছে।

তারপর থেকে বারান্দায় দাঁটিয়ে থাকতো;
ছাদে দাঁড়িয়ে থেকে অপেক্ষা করত, তাকে
এক নজর দেখার জন্য। কিন্তু তার দেখা
অনেক সময় পেত, আবার অনেক সময় পেত না।
যখনেই দেখা পেত তখনেই আড়াল থেকেই
দেখত; কাছে যাওয়ার সাহস পেত না।

এক দিনের ঘটনা মনে পরে যায়। পার্কে
একদিন হঠাৎ বৃষ্টি পড়া শুরু করে, সে গাছের
নিছে আশ্রয় নিয়েও বাঁচতে পারে নি, তার
শরীরে বৃষ্টি পরেই।
একটু পর তার মনে হচ্ছে; তার শরীরে বৃষ্টি
আর পরছে না। তখন দেখে তাওহীদ ছাতাটা
তার মাথার উপর ধরে দাঁড়িয়ে আছে। তখন
দুজন দুজনের দিকে কতক্ষণ যে তাকিয়ে
ছিল, তা কেউ জানে না।
ঐ দিনের কথাটা তার বার বার মনে পরছে;
কেন করলে সাথী এটা কেন করলে! আমাকে
এভাবে কষ্ট দিয়ে কি মজা পাও? কি
শান্তি পাও? বল সাথী বল!
এই কথাটা তার কানে বার বার ভাসতে
থাকে।
এই কথাটা সে আর কখনো বলেনি। ঐ দিনেই
বলেছিল কান্না কান্না চোখে, কিন্তু তার
হাতটা যে ভেংগে যাবে বা গেছে সেটা
সাথী বুঝতে পারেনি।

তার কিছু দিন পর তাওহীদের পরীক্ষা শুরু
হয়ে যায়। আরও কিছু দিন পর তার হাত ও
ভাল হয়ে যায়।দেখতে দেখতে তাওহীদের
সব পরীক্ষাও শেষ হয়ে যায়।
হঠাৎ একদিন দেখে তাওহীদ ছাদে দাঁড়িয়ে
নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। তার
কাছে গিয়ে নিরব কান্না করতে থাকে।
কিছুক্ষণ পর তাওহীদ বুঝতে পারে যে কেউ
কাঁদছে, পিছন ফিরে তাকাতেই দেখে
সাথী কাঁদতেছে।
কাঁদতে কাঁদতে বলে
- এতদিন ছাদে আসেন নি কেন বলেন?
আপনাকে ছাদে কত খুঁজেছি জানেন! ঐ
দিনের ঘটনার জন্য আমি দুঃখিত, আসলে
আমি এমন টা চাইনি কিন্তু কিভাবে কি হয়
গেল বুঝতে পারেনি। অনেক বার দেখা
করতে চেয়েছিলাম কিন্তু কোন মুখে দেখা
করব, কোন মুখে আপনার সামনে আসব! তাই
দেখা করেনি কিন্তু আজকে আপনাকে
দেখে রুমে আর থাকতে পারেনি। আমাকে
ক্ষমা করে দেন!
ঠাশ(সাথীকে চর মারে)
কিছু বলতে যাবে
ঠাশ(আবার বসায়)
সাথী মাথা নিচু করে কাঁদতে থাকে।
- এতদিন আসতে পারনি লজ্জা ও ভয়ে! তা
আজকে কোন মুখে আসলে? একটা দিন আমার
সাথে দেখা করলে কি এমন দোষ হত? একটু
খবর নিলে কি এমন ক্ষতি হত! তোমাদের
বাসার সবাই এসেছিল শুধু তুমি আসনি। কেন
আসনি বল!
- ভালবাসার মানুষকে কষ্ট দিয়েছি, তাই
নিজেকেও নিজে কষ্ট দিয়েছি তাই দেখা
করেনি।
তাওহীদের হাতটা ধরে বলে তাকে আবার
মারতে তখন দেখে সাথীর হাতে ব্লেটের
টানে ভরা জিজ্ঞাসা করলে বলে ব্লেড
দিয়ে কেটেছি
- এখন নিজেকে কষ্ট দিয়ে কি শান্তি
পেলে!
- অনেক শান্তি পেয়েছি, কেন শান্তুি
পেয়েছি সেটা আপনি বুঝবেন না।
- অবুঝ শিশুর মত কেন অবুঝ গীরি করলে?
- কোন অবুঝ গীরি করি নাই, ভালবাসার
মানুষকে কতটুকু কষ্ট দিয়েছি সেটা বুঝার
জন্যই এটা করেছি।
তখন আর কিছু সাথীকে বলতে পারেনি,
তাকে ধরে কপালে চুমু খেয়ে সাথীকে তার
বুকে জায়গা করে দেয়। সাথী ও তাকে শক্ত
করে ধরে কাঁদতে থাকে।
- আচ্ছা আপনি কি আমাকে ভালবেসে
ফেলেছেন?
- হুম তোমার এই অবুঝ মনটা কে ভাল না
বেসে উপায় আছে! এখন ভাল না বাসলে তো
নিজেকে শেষ করে ফেলবে, পরে আমার কি
হবে! তোমাকে না পেলে তো আমার জীবন
ও শেষ হয়ে যাবে
- তাই বুঝি
- হুম মিস কানি
- কি!
- ভালবাসি

এভাবেই শুরু হয় একটা অবুঝ মনের অবুঝ
প্রেমের ভালবাসার গল্পের নতুন পথ চলা,
যে পথের কোন শেষ নেই।

লিখাঃ MD Mahmudur Rahman Tauhid

No comments:

Post a Comment