Saturday, November 5, 2016

গল্প: গার্লফ্রেন্ড এর পেরা

গল্প: গার্লফ্রেন্ড এর পেরা

- তুই কইরে কুত্তা (সুপ্তি)
- সরি অাপনি ভূল নাম্বারে কল
দিয়েছেন। (অামি)
- কিহহহ
- কোনো কুত্তার কাছে এখনো
মোবাইল দেখিনি। অার অামি মানুষ।
- অামি অামার জানুর কাছে ফোন
করছি।
- অাপনি কে হ্যা একবার কুত্তা একবার
জানু
- ওই তুই এখন লেকের কাছে অায়।
- পারবো না।
- অায় নয়তো তোর কি হবে তুই নিজেও
জানস না।
- দেখি কে কি করে অামার।
- অাচ্ছা।
সকাল বেলা সূর্য্য উঠতে না উঠতে শুরু
হয়ে গেলো জ্বলানি। নয়টা বাজে
মাত্র উনার এখন দেখা করা লাগবে।
অার অামি মাত্র ঘুম থেকে উঠলাম।
না জানি কি করে বসে। বাবাও
এখনো ঘরে বের হই কি করে??
- অান্টি রাহুল কই? (সুপ্তি)
- কেন মা তার রুমে। তুমি কে?? (মা)
- তার বৌ।
- এয়য় সে অামাদের না জানিয়ে
বিয়ে করছে?? (বাবা)
- হুমম।
রুমের বাইরে এসব অওয়াজ শুনে দরজা
ফাঁক করে দেখি কে। চোখ কপালে
উঠে গেলো।
এই রে অামার কি অবস্থা করলো কে।
- রাহুল (বাবা)
- হ্যাঁ বাবা।
- ও কে??
- সে অামার বান্ধবি।
- মিথ্যা বলছে (সুপ্তি)
- না বাবা অামি মিথ্যা বলছি না।
- সে তো তোর বৌ বলছে (বাবা)
- না বাবা মিথ্যা
- অামি সত্যি বলছি (সুপ্তি)
- উফফ পাগল করে দিবে যা বের হ
বাসা থেকে যা (বাবা)
দুষ্টামি ভরা হাসি দিয়ে টানতে
টানতে বের করে নিয়ে এলে। এই
মেয়েটা না এত পাগলামি করে।
- দেখলেন তো মশাই। (সুপ্তি)
- কি দেখবো হ্যাঁ বাবা কি ভাবছে
বলো তো
- কচু ভাববে। ছেলে বড় হয়েছে দেখছে
না।
- তো কি হইছে?? এখন বাসায় গেলে
ঝাড়ি খেতে হবে অারকি।
- অামার কথা না শুনতে এমন হবে।
- তুমি এমন কর কেন??
- তুমি বুঝো না।
- দেখো পাগলামির একটা সীমা
অাছে।
- তুমি কি অামার উপর বিরক্ত??
- এই দেখো সেটা অাবার বললাম
কখন??
- না তোমার কথা বুঝা যাচ্ছে।
- কি বুঝা যাচ্ছে?
- অামি তোমাকে অার বিরক্ত করবো
না।
কান্না ভাব নিয়ে মুখ ঘোমরা করে
অাছে।
- অাচ্ছা বিরক্ত করতে হবে না
ভালোবাসলে হবে।
- অামি তোকে ভালোবাসি না।
সারছে অাবার অামার ধফারফা
- তো অামাকে এখানে নিয়ে এলে
কেন??
- তোকে শাস্তি দেয়ার জন্য।
- অামি কি করছি??
- অামার কথা শুনস নাই।
- কখন??
- অামি যখন অাসতে বলছি তখন
অাসলিনা কেন??
- ও অাচ্ছা একখন কি শাস্তি দিবে?.
- অাগে লেকের কাছে চল।
.
- হুমম বলো। (অামি)
- কি?? (সুপ্তি)
- কেন এখানে নিয়ে এলে??
- অামি কি জানি?? তুমি কেন
অাসছো??
- তুমিই তো নিয়ে এলে।
- অামি পাগল হইছি নাকি??
- দেখো সুপ্তি তোমার এসব কাজ একদম
ভালো লাগে না।
- এরকম করো কেনো?? তোমাকে
দেখার জন্য মন কেমন করছিলো।
- ও অাচ্ছা।
- তোমার কি অামার কথা একটুও মনে
পড়ে না??
- পড়ে তো পাগলি।
- কচু।
- অাচ্ছা চলো নাস্তা করি।
- চলো।
নাস্তা করে তাকে তার বাসায়
দিয়ে নিজের বাসার দিকে এগুলাম।
কয়েক ঘন্টা অাগে ঘটে যাওয়া ঘটনার
জন্য ভয় পাচ্ছি। না জানি বাবা মাা
কি বলে।
ভয় যতটা পেয়েছি ততটা না। মাকে
বেশ হাসিখুশি দেখাচ্ছে।
- মেয়েটা কি তোর বৌ? (মা)
- অামি এতটা অবাদ্য ছেলে এখনো
হইনি।
- হুমম অামার ছেলে অনেক ভালো।
তবে মেয়েটা অনেক সুন্দর তাই না।
- তুমি জানো।
কথা বলে নিজের রুমে চলে এলাম।
সেদিন যে অরেকটি অধ্যায় শুরু হবে
জানি না।
মা বাবা সেদিনের কথা মতে সুপ্তি
কে ছেলের বৌ হিসেবে গ্রহন করে।
কথা গুলো চেয়ারে বসে বসে ভাবছি।
কয়টা বছর পার হয়ে গেলো। মেয়ে
হয়েছে অামাদের।
বাবা মা ছোট্ট সোনামণির সাথে
খেলা নিয়ে ব্যস্ত। গিন্নি রান্না
ঘরে যাই একটু উঁকি মারি। ইলিশ
ভাজার সুগন্ধ বেশ দারুন লাগছে। পেছন
থেকে জড়িয়ে দরলাম তাকে। চমকে
গিয়ে বলে
- কি হচ্ছে এসব বাবা মা অাছে।
- জানি।
- ছাড়ো।
- উহু।
এভাবে বেশ অনন্দে চলে যাচ্ছে দিন।
ভালোবাসার বন্ধন অাছে অটুট।

No comments:

Post a Comment