Saturday, November 5, 2016

অল্প একটু ভালোবাসা

অল্প একটু ভালোবাসা
.
.
.
.
লেখাঃ Choko boy Ridoy (নীল ঘুরির
মালিক)
সকাল বেলা অভ্র কে ফোন দিয়ে
করা আদেশ প্রধান করলো নীলা।
>হ্যালো (অভ্র)
>ওই কই তুই?
>বাসায়
>পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমার সাথে
দেখা করবি
>কেনো গো বাবু
>তরে একদিন বলছিনা আমার কাছে
কোনো কেনোর উত্তর নাই?
>আচ্ছা কই আসতে হইবো?
>ক্যাম্পাসে
>পাঁচ মিনিট দারা আসতেছি
>হুম

নীলা কে কোনোমতে বুঝিয়ে
দিয়ে তৈরী হয়ে নিলো অভ্র নীলার
সাথে দেখা করার জন্য।
অভ্র ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখলো
নীলা চুপ করে এক কোনে বসে আছে।
>কি গো সোনা এতো জরুরি তলব
করলা যে?
>আমার ইচ্ছা হৈছে। (এইটা বলেই অভ্রর
হাত ধরে এক প্রকার টেনেই নিয়ে
চললো)
>ওই কি হইছে কই নেছ আমারে?
>কাজী অফিসে
>কাজী অফিসে? (কথাটা শুনেই
আতকে উঠলো অভ্র)
>হু
>কাজী অফিসে কি?
>কাজী অফিসে গিয়া ঢ্যাং ঢ্যাং
কৈরা নাচমু
>মানে? নাচার জন্য এতো যায়গা
থাকতে কাজী অফিসে কেন?
>ওই বিলাই একটা মেয়ে আর একটা
ছেলে কাজী অফিসে গিয়া কি
করে?
>বিয়া ছারা আর কি করবে?
>হ এইটাই
>তা কারে বিয়া করতে
যাইতেছোস?
>ওফফফ তর মতো একটা কুত্তারে
>কিন্তু...
>কুত্তা বিলাই বান্দর তেলাপোকা
না না টিকটিকি তরে বলছি না
আমারে এতো প্রশ্ন করবি না? .....এটা
বলেই নীলা অভ্র কে নিয়া রিকসায়
উঠেলো।
অভ্র খেয়াল করলো নীলার পুরো
মুখটা লাল হয়ে আছে। এমনিতেই খুব
ফর্সা একটা মেয়ে ও তার উপর আবার
গাল দুটি লাল টকটকে হয়ে আছে।
অনেক সুন্দর লাগছে রিয়াকে,মৃদু
বাতাশে নীলার চুল গুলো কপালে
উপর এসে পরছে আর তা নীলা আঙ্গুল
দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছে।
নীলার চোখগুলো ও রক্তবর্ন লাল হয়ে
আছে,মনে হয় অনেকটা রেগে আছে
কিন্তু এতোটা রাগার কোনো কারন
খুজে পাচ্ছে না অভ্র।
>আচ্ছা তুই কি রেগে আছোস? (নীলা
রাগি রাগি মুখে অভ্রর দিকে
তাকালো)
>আচ্ছা আচ্ছা তর যা ইচ্ছা কর আমি আর
কিছু জিজ্ঞাসা করমুনা। (অভ্র এটা
বলেই মনে মনে ভাবছে কি ঝেদি
মেয়েরে বাবা ভালো মন্দ কিচ্ছু
বলা যায়না)
|
দুইজন ঠিক কাজী অফিসে সামনে
এসে নামলো।
>ওই তর ফোন বাহির কর
>কেন?....আরে আরে চেতস কেন
বাহির করতেছি
হু এই নে
>ফোন দে
>কারে?
>আসিফ্ফারে
>দিলাম
>রিসিভ্ড করলে বলবি, ওরে এখ্যনি
এইযায়গায় চলে আসতে
>ঠিক আছে
কিন্তু....
>ওওওই
>আচ্ছা আচ্ছা বলতেছি
>হু
(নীলা এটা বলেই কাজী অফিসে
ঢুকে গেলো আর অভ্র আসিফকে ফোন
দিলো আর আসিফ আসতেই তারাও
ভেতরে ঢুকলো।)
|
বিয়েটা সেরে ফেল্লো তারা
মানে নীলা আর অভ্রর।এখন তারা
স্বামী স্ত্রী।অভ্রর কাছে এই পুরোটা
বিষয় কেমন যেনো ঘোলাটে
ঘোলাটে লাগছে কারন যেই
মেয়েকে অভ্র এতোদিন কয়েকবার
ভালোবাসি বলাতেও মজা বলে
উরিয়ে দিতো আজ সেই মেয়ে
কিনা অভ্রর পাশে বউ হয়ে দাড়িয়ে
আছে।কথা গুল ভাবতেই কেমন যেনো
কল্পনায় পরে যায় অভ্র
>দোস্ত তোরা যে আজকে রাতটা
থাকবি তার জন্য একটা ভালো বাসা
লাগবেনা? (আসিফ)
>হু কিন্তু... (নীলা)
>আচ্ছা তরা চল এখন আপাতত আমার
বাসায় থাকবি তারপর আমি একটা
বাসা ঠিক কইরা তোদের ওই যায়গায়
নিয়া যামু।
>আচ্ছা চল
,,,ওই মদন চলো
নীলার মুখে তুমি ডাক শুনে অভ্র
কল্পনা থেকে বাইরে বেরুলো। দুইজন
একি রিকসায় উঠলো।
>দোস্ত আমার একটা কথা ছিলো
> ছি ছি ছি টিকটিকি নতুন বিয়া
করা বৌরে কেউ কোনোদিন দোস্ত
বইলা ডাকতে শুনছোস? হায় আল্লাহ এই
আমি কারে বিয়া করলাম।
>সরি গো (নীলার হাতটা ধরে)
নীলা এক ঝটকায় হাতটা ছাড়িয়ে
অভ্রর দিকে একবার তাকাতেই অভ্র
চূপ।


আজ একটা পাগল আর পাগলির বাসর
রাত মানে বলতে চাইছি অভ্র আর
নীলার।
মাথায় অল্প একটু ঘোমটা টেনে বসে
আছে নীলা।
অভ্র তার পাশে এসে বসলো।
>আচ্ছা এখন একটা কথা বলবা? (অভ্র)
>কি? (নরম স্বরে উত্তর দিলো নীলা)
>এমন হুট করে বিয়ে করাটার মানে...
>আচ্ছা তাইলে শুনো
বাসায় এতোদিন আমার বিয়ে নিয়ে
কথা বলছিলো কিন্তু আজকে বাবার
বন্ধু আসবে বলেছিলো এঙ্গেজমেন্ট
করার জন্য
তার ছেলের জন্য.......
>হুহ বুঝলাম তারপর
>তাই আমি চলে আসছি তোমার
কাছে,তুমি আমায় বলতে
ভালোবাসি কিন্তু তুমি ভাবতে
আমি এড়িয়ে যাই তাইনা?
আসলে আমি তোমায় অনেক
ভালোবাসি অনেক। তোমায় ছাড়া
যদি ওই মটু টারে বিয়ে করতাম
তাইলে আমার কষ্ট হৈতো না? এই জন্যই
তো আজ এমন করলাম।
>হুম তাও বুঝলাম
>আচ্ছা একটা কথা বলবা?
>জ্বী বলেন
>আমায় কোনোদিন কষ্ট দিবে
নাতো? আমায় কোনো দিন ছেড়ে
যাবে নাতো?
তুমি যদি আমায় কোনোদিন কষ্ট দাও
তাইলে কিন্তু আমি এক্কেবার চলে
যাবো অনেক দুরে বলে রাখলাম হু
(অভ্র মনে মনে ভাবছে এতো রাগি
মেয়েটা এত্ত ভালোবাসতে পারে
ভাবাই মুশকিল।)
>কি আমায় কোনদিন কষ্ট...
বাকি কথাটা বলার আগেই নীলার
গোলাপী ঠোট দুটিতে ঝাপিয়ে
পড়লো অভ্র..........
.
.
এই এই আপনার আর নিচে নামিয়েন না
তারপর যা ঘটছে তা তাদের একান্তই
গোপনীয় ব্যাপার এবং তাতে আমার
আপনার নাক গলানোর কোনো মানেই
হয়না।।

No comments:

Post a Comment