Saturday, November 5, 2016

আমার বৌ

আমার বৌ

→→ইসস আজ অফিসথেকে ফিরতে একটু
বেশিই দেরী হয়ে গেলো,না জানি আজকে
বাসায় গেলে কপালে কি আছে,কিন্তু
পরক্ষনেই একটা কথা মনে পড়তেই নাহিদের
মনটা আনন্দে নেচে উঠলো,কারণ আজ
তিনদিন নাহিদের সাথে সুমির কোনো
কথা বার্তা নেই,,,,,(কারণটা আপনাদের
পরে বলছি)


রাত ৩টা.................
বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করছে নাহিদ,
কিছুতেই ঘুম আসছেনা তার,মনের ভিতর
একটা চিন্তা বার বার উকি দিচ্ছে,কিইবা
এমন দোষ করেছিলো মেয়েটা,যার জন্য
তাকে এতোবড় শাস্তি দিচ্ছি
আমি,দেখিতো পাশের রুমে গিয়ে, কি
করছে ও,
নাহিদ পা টিপে টিপে আস্তে আস্তে
সুমির ঘরের দিকে যায়,হুম মেয়েটি অঘোরে
ঘুমুচ্ছে,
নাহিদ ছাদে চলে যায় আর ভাবতে থাকে
পিছে চলে যাওয়া ২টি বছর পুর্বের কথা,
সুমি আর নাহিদ ভার্সিটিতে একিসাথে
পড়তো,খুব ভালো বন্ধু ছিলো ওরা,আস্তে
আস্তে নাহিদ সুমির প্রেমে পড়ে যায়,এবং
সে বন্ধুর থেকেও বেশি কিছু ভাবতে থাকে
সুমিকে,কিন্তু সুমি নাহিদকে বন্ধুর থেকে
বেশি কিছু ভাবতে পারেনি তখনও,
সুজোগ মতো নাহিদ একদিন সুমিকে প্রোপজ
করে,কিন্তু সুমি কিছু বলতে পারেনা,সে
চলে যায়,পরে নাহিদের পাগলামিতে সুমি
আর রাজি না হয়ে থাকতে পারেনা,চলতে
থাকে তাদের না থামা প্রেম
কাহিনী,কিন্তু এরি মাঝে বাধ সাধে সুমির
বাবা,সে সুমির আর নাহিদের বিষয়টা
জানতে পেরে,সুমিকে বিয়ে দেওয়ার জন্য
তোড়জোড় করতে থাকে,সুমি বিষয়টা
নাহিদকে জানালে, নাহিদ বিষয়টা তার
ফ্যামিলিতে জানায়,নাহিদের মা বাবা
সুমিকে দেখতে চাই,
সুমিকে দেখে নাহিদের মা বাবার ভিষন
পছন্দ হয়,
সুমি সবকিছু ছেড়ে নাহিদের কাছে চলে
আসে,নাহিদও পড়াশুনার পাশাপাশি
বাবার কোম্পানি দেখাশুনা করে,সুমিও
সারাদিন নাহিদের মা অর্থাৎ সুমির
শাশুড়িড় সাথে বাসায় রান্না বান্না এবং
সাংসারিক বিভিন্ন কাজে সাহায্য
করে,,,,,,,
ভালোই চলছিলো তাদের সুখের
সংসার,হটাৎ নাহিদের আব্বু স্টোক
করে,হাসপাতালে নিতে নিতে মারা যায়
তার আব্বু,
নাহিদের আব্বুর মৃত্যুতে খুবই ভেঙ্গে পড়ে
নাহিদের আম্মু,তিনিও কয়কদিন পর চলে
যায়, না ফেরার দেশে,নাহিদ বাবা মাকে
হারিয়ে বড্ড একা হয়ে যায়,
সম্পুর্নো মনোবল হারিয়ে ফেলে
নাহিদ,পরে আস্তে আস্তে সুমি নাহিদকে
অনেক বুঝিয়ে আবার আগের মতো করে
তোলে,,,,,,,,,,
আস্তে আস্তে সব স্বাভাবিক হয়ে যায়,
নাহিদ আবার আগের মতো তার বাবার
রেখে যাওয়া কোম্পানির হাল ধরে,
আবার চলতে থাকে সুমি আর নাহিদের
সুখের সংসার,
,
গত তিনদিন আগে নাহিদের ব্রেকফাস্ট
পেতে একটু দেরী হয় সেটার জন্যই নাহিদ
সুমিকে অনেক বকাঝকা করে, বলে
আজথেকে যেনো তারসাথে না
থাকে,এমনকি একপর্যায়ে সুমিকে একটা চড়ও
মারে নাহিদ, এই প্রথম নাহিদ সুমির গায়ে
হাত তুললো, সুমি কিছু না বলে কানতে
কানতে নিজের রুমে চলে গেলো,নাহিদ ও
চলে যায় কোম্পানিতে,পরে নাহিদ বুঝতে
পারে আরে তার আগেরদিন তো বুয়াঈ
কাজে আসেনি,মেয়েটা কাজ করতে করতে
অনেক রাত হয়ে গেছিলো,তাই সকালে
উঠতে পারেনি,ধুর শুধু শুধু ওকে আমি
মারলাম,তভুও নাহিদ তিনটা দিন বাইরে
খাই,বাসায় আসে অনেক রাত করে,সুমি
ফোন দিলে ভয়তে রিসিভ করতে
পারেনা,অন্যকাওক
ে দিয়ে রিসিভ করিয়ে তাকে বলতে বলে
যে বলো বস বাইরে আছে,
এমনভাবে তিনটা দিন চলে যায়,
এসব ভাবতে ভাবতে ফজরের আজান
দেয়,নাহিদ ছাদ থেকে নেমে এসে ফজরের
নামায পড়ার জন্য তৈরি হতে থাকে,
কিছুক্ষন পর সুমিও ওঠে,
নাহিদ নামায পড়তে চলে যায়,
কিছুক্ষন পর নামায পড়ে এসে দেখে সুমি
কোরআন তেলাওয়াত করছে,দরজার পাশে
আড়াল হয়ে শুনতে থাকে সুমির সুমধুর
তেলাওয়াত,
কিছুক্ষন তেলাওয়াত করে সুমি রান্না ঘরে
চলে যায়,নাহিদের ব্রেকফাস্ট বানাতে,
কিছুক্ষন পর নাহিদ রান্নাঘরে আসে,সুমি
নাহিদকে দেখেও না দেখার ভান
করে,নাহিদ এটা বুজতে পারে,নাহিদ গিয়ে
সুমির পিছনথেকে জড়িয়ে ধরে,সুমি
নাহিদের হাতটা ছাড়াতে চেষ্টা করে,
কিন্তু বৃথা যায় সুমির চেষ্টা,
নাহিদ আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে
সুমিকে,এবং কানের কাছে মুখটা নিয়ে
গিয়ে বলে,
---------স্যরি সোনা(নাহিদ)
নো এন্সার(সুমি)
বললামতো স্যরি সোনা, আর কোনোদিন
এমন ভুল হবেনা(নাহিদ)
কেনো(সুমি)
এই এতোদিন তোমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য
(নাহিদ)
মুখভার করেই উত্তর দেই সুমি আচ্ছা ঠিক
আছে,
নাহিদ বুঝতে পারে সুমি এখোনো রাগ করে
আছে,
অগত্যা নাহিদ সুমিকে রান্নাঘর থেকে
কোলে করে নিয়ে এসে বেডরুমে খাটের উপর
শোয়ায়,
নাহিদ ফ্লোরে বসে থেকে একদৃষ্টে
তাকিয়ে থাকে সুমির দিকে,সুমি এখোনো
মুখভার করে আছে দেখে, নাহিদ চোখ বন্ধ
করে,
কান ধরে বলে, ও বউ বউগো এই দেখো কান
ধরেছি,সুমির রাগ ততক্ষনে শেষ হয়ে
গেছে,নাহিদকে কান ধরে দাড়িয়ে থাকতে
দেখে,
সুমি উঠে এসে নাহিদকে জড়িয়ে ধরে,
সুমির শরীরের উষ্ণতা পেয়ে নাহিদ আরো
জরে জড়িয়ে ধরে সুমিকে,
চলোনা লং ড্রাইভে কোথাথেকে ঘুরে
আসি(নাহিদ)
সত্তি যাবে(সুমি)
হুম.........কেনো তুমি যাবেনা(নাহিদ)
যাবোতো তাহলে ছাড়ো(সুমি)
না ছাড়বোনা(নাহিদ)
তাই(সুমি)
হুম(নাহিদ)
,
হটাৎ সুমি নাহিদের পেটে চিমটি দিয়ে
দৌড় দিলো,নাহিদও সুমির পিছে পিছে
ছুটলো আবার একটু উষ্ণ ভালোবাসা পাওয়ার
আশায়,কারণ নাহিদ জানে সত্তিকারের
ভালোবাসা কখনো হারিয়ে যায় না,,,,,,,,,।

No comments:

Post a Comment