Thursday, July 21, 2016

"নীল জোনাকি"

"নীল জোনাকি"

আজ দিনটা অনেক খারাপ যাওয়ার কথা
ছিল
জোনাকির।কি দোষ ছিল তার?তবুও নীল
তাকে
ভুল বুঝে অনেক কথা শুনিয়েছে। নীলকে
মাঝে
মাঝে জোনাকির অসুস্থ মনে হয়।প্রচন্ড
বদমেজাজি সে।হুট করে কিছু না বুঝে রাগ
করে
উঠে সে,আর জোনাকিকে বকা দেয়।
জোনাকি
ছোট্ট বাবুর মত চুপ করে শোনে।মনে মনে
ভাবে
একদিন এই পাগলটাকে ছেরে চলে যাবে
তখন
বুঝবে।পরেক্ষণেই মনে মনে ভাবে যতই
অসুস্থ হোক
লোকটা তার।কিন্তু আজ জোনাকি নীলকে
কোনোভাবেই মাফ করবে না।অনেক সহ্য
করেছে
সে, আর করবে না। সকালে তার বকা শুনে
মনে
মনে এ সিদ্ধান্ত নেয় জোনাকি।বলে
দিয়েছে
নীলকে আর কোনো যোগাযোগ করবে না
সে তার
সাথে।নীলও বলে দিয়েছে, "ঠিক
আছে,বেচে
গেলাম।"কথাটা জোনাকির আরো খারাপ
লাগে।
মনে মনে নিজের সিদ্ধান্তটাকে আরোও
মজবুত
করে নেয় সে।বিকালে নীল জোনাকিকে
call
করে।অনেকবার ফোন আসতে দেখে rcv করে
জোনাকি
-কাকে চাই আপনার?(জোনাকি)
-এই নাম্বারটা জোনাকি নামের এক মেয়ের
ছিল
তাকে
-তাকে কি দরকার?
-দরকার আছে, তাকে দেন না একটু।
-দেয়া যাবে না।
-দিন না একটু।
-ঢং না করে বলেন কি বলবেন
-আপনিটা কি তুমি হয় না?
-না হয় নাহ
- sry,plz forgive me
-আপনার sry দিয়ে আপনি বাতাস খান।
-আর বকা দিব না না বুঝে।এবারের মত
ক্ষমা
করে দাও।
-দিলাম,ভাগেন এখন।
-আচ্ছা ঠিক আছে,আপনি যখন চাচ্ছেন না
তো আর
জ্বালাবো না।তবে আপনার জন্য একটা পুতুল
এনেছিলাম।ভাবছি শিশিরকে দিয়ে দিব।
পুতুল জোনাকির আনেক পছন্দের,সেটা ভাল
করে
জানে নীল। আর শিশির নীল এর কলেজে
পরে
এবং নীলকে পছন্দ করে।জোনাকি
শিশিরকে
একদম দেখতে পারে না
-শিশিরকে কিভাবে দিবা?
- তাতো তোমার জানার দরকার নেই।
-আছে, বলো।(খুব চিন্তিত জোনাকি)
-আচ্ছা বলছি,আমি তোমাকে ভালবাসি।
-আমিও ভালবাসি। এবার বলো।
-হা হা হা।
-হাসো কেন?
-এটাই শুনতে চেয়েছিলাম যে ভালবাস
আমায়
জোনাকি তবুও হার মানবে না তার কাছে।
সে
বলল
-ওটা ভুল করে বলেছি।ওটা বাদ।যান আপনি
-আর তো যাব না আমার পাগলিটাকে
ছেরে।
-কেন?
-ভালবাসি তোমায়
-তোমায় ভালোবাসতে আমার বয়েই গেছে।
মনে মনে হাসছে জোনাকি।নীলের বকা
দেয়ার
পর এভাবে নানা কাহিনী করে তার
অভিমান
ভাংগানোটাই ভালোবাসে জোনাকি।আর
মনে
মনে হেসে বলে, "পাগল একটা"। নীল
জোনাকি -২
কবুল বলার পর জোনাকি বুঝতে পারলো তার
এখন
বিয়ে হয়ে গেছে,তাকে এখন বাবা মা, তার
চিরচেনা ঘর সব ছেরে দিয়ে অন্যের ঘর
সাজাতে
হবে।এবার বেচারি কান্না শুরু করেছে।সেই
কান্না যা থামার মত না।আর মনে মনে
নীলকে
গালি দিচ্ছে,সব দোষ নীলের,সে কেন
বিয়ে
করল,মনে মনে নীলকে মারতে থাকে সে।
নীল
জোনাকির দিকে তাকিয়ে শুধু হাসছে আর
ভাবছে এই মেয়েটা কাঁদতেও পারে!!!একদম
বাচ্চা
মেয়ের মত কাঁদছে জোনাকি। এই কাঁদুনে
মেয়েকে নিয়েই নীল রওয়ানা হয়ে গেল
বাড়ির
দিকে।
বাসর ঘরে ঢুকেই নীল অবাক।জোনাকি
এখনও
কাঁদছে আর হাতে তার কি যেন একটা!!!!
-ওমা!!!একি!!! তুমি safety pin হাতে করছো?
gasp emoticon
কোনো উত্তর দিলো না জোনাকি। শুধুই
কেঁদেই
চলছে।
ব্যাপারটা শুবিধার না,বুঝতে পারলো নীল।
তাই
কাছে যাওয়া উচিৎ হবে না বুঝতে পারলো
হাড়ে
হাড়ে।বিছানার চারপাশে ঘুরাঘুরি করতে
লাগলো সে।আর এদিকে জোনাকি ভাবছে,
কাছে
আসার try করলেই খবর আছে।অবশেষে নীল
বললো........
-চলো, তোমায় রেখে আসি তোমার বাসায়
(একটু
রেগে)
-হুম
-আগে safety pin টা রাখো।
-হুম
-হাতটা দাও, আসো রেখে আসি।
নীল জোনাকির হাতটা ধরে বাহিরে নিয়ে
আসলো বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে।
-চোখ বন্ধ করো(নীল)
-চোখ বন্ধ করলে দেখবো কিভাবে?
-আমি আছি তো
-হুম
কিছুক্ষণ পর.....
-চোখ খুলো
-এত্ত জোনাকি!!!! gasp emoticon মনে হচ্ছে
একটা স্বপ্ন smile emoticon
-তুমি চলে গেলে এই জোনাকিরা একা হয়ে
যাবে
প্রিয়া,
কি করে পারো চাইতে চলে যেতে,কি করে
এত্ত
কঠোর হয় তব হিয়া।
-তুমি না!!!!!পাগল একটা!!!!!
-ভালবাসি পাগলি তোকে,
ছেরে যেতে চাস না আর আমাকে,
কি করে বাঁঁচবো তোকে ছেরে,
আমার পুরো পৃথিবীটা যে এখন তোকে
ঘিরে
জোনাকি জরিয়ে ধরলো নীলকে কাঁদতে
কাঁদতে
আর বললো ভালবাসি ভালবাসি
এই মেয়েটা এত্ত কাঁদতে পারে!!আগে তো
বুঝি
নি।(মনে মনে ভাবলো নীল):)
to be continued...
লিখা: নীহারিকার নীলপুন্জ

No comments:

Post a Comment