Thursday, July 21, 2016

> আমি সম্পূর্না.. (তাসফিয়ার কথা) - (শেষ পর্ব)

> আমি সম্পূর্না.. (তাসফিয়ার কথা) - (শেষ
পর্ব)
.
.
__নার্সের ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো আমার। এত
সময় আমি আমার অতীত নিয়ে কল্পনা কর
ছিলাম। আলভি এখনো হাসপাতালের
বেডে ঘুমোচ্ছে। অপারেশনের পর এখনো
চোখ খোলেনি..মনের মাঝে আবার সেই
ভয়টি জেগে উঠলো। ও যদি আমাকে না
চেনে পারবো ওকে ছাড়া বেচে থাকতে???
.
.
__আমার মনে পড়ে..সেদিন ..আমি ফ্রেস
হয়ে ওকে ডাকতেছি..কিন্তু... এখনও
ঘুমোচ্ছে সে..নার্স বার বার চেক করে
যাচ্ছে। অনেকটা সময় পর যখন ওর জ্ঞান
ফিরলো সে সবাইকে চিনলো আমি ব্যতিত।
.
.
- কে আপনি? (আলভি)
- দুষ্টুমি করোনা আলভি..আমি তোমার
তাসফিয়া।
- কি সব বলছেন? আমি এখানে? আম্মু??
আম্মু???
.
.
__খুব কেদেছিলাম সেদিন খুব খুব..আলভিকে
হাসপাতাল থেকে..বাসায় নিয়ে আসা
হয়েছে.. ও আমাকে চিনতেই পারছেনা?
শাশুড়ি আম্মা অনেক বার
বুঝিয়েছে..আমাদের বিয়ের কথা
বলেছে..বিয়ের সিডি দেখিয়েছে তবুও সে
আমাকে অস্বীকার করছে..
.
.
__আমি কিছুতেই তাকে ছেড়ে যাবো না সে
চিনলে চিনুক না হলেও আমি এখান থেকে
কোথাও যাবোনা। রাতে ঘুমানোর সময় সে
বলল...
.
.
- সব কিছু তো আমি অসুস্থ ছিলাম তখন
হয়েছে..
- তুমি সত্যিই আমাকে চিনছো না?
- সত্যিই আমি আপনাকে চিনছিনা বিশ্বাস
করুন।
- তোমার কি এসবও মনে নেই? খাবার নিয়ে
তোমার পিছু ঘুরতাম..ঔষুধ খাওয়ার সময়
কতবার উম্মা চাইতে?
- সত্যিই আমার মনে নেই।
- ঠিক আছে। তাহলে এটা হয়ত মিথ্যে নয়?
.
.
__বলেই ফোন থেকে ছবি দেখালাম
তাকে..সেদিন তার বুকে মাথা রেখে পিক
তুলেছিলাম। আরো কিছু ছবি দেখালাম
তাকে। সে কিছু বললনা। শুধু বলল..শুয়ে পড়ুন।
আমি নিচে ঘুমাচ্ছি। একটু সময় দিলাম
তাকে। কারন সে এখনো সম্পূর্ন নিজেকে
সারিয়ে তুলতে পারেনি। আর আমি তার
ওপর কোন প্রেসার দিতে চাইনা।
.
.
-শুভ সকাল..
.
__ঘুম থেকে জাগালাম তাকে...ব্রেকফার্স্ট
তৈরি করলাম। সে বার বার তাকাচ্ছে
আমার দিকে। হয়ত আমাকে মানিয়ে নিতে
কষ্ট হচ্ছে তার।
.
- বৌ মা.. ডাক্তার এই ঔষুধ গুলো দিয়েছে..
- ঠিক আছে মা আমি খাইয়ে দিবো।
- মন ভেঙো না মা..এখন যদি জিতে
যাও..তাহলে তুমিই বিজয়ী..
- দোয়া করুন মা।
.
.
__ঔষুধ খেতে হবে তাকে..এখনো সে পরিপূর্ন
ঠিক নয়..ডাক্তার ঔষুধ Suggest করেছে। হয়ত
কিছুটা দুর্বল এখনো সে।
.
__সারা ঘর খুজে দেখি ছাদে দাড়িয়ে আছে
সে..."মহাশয় তাহলে এখানে?" বলে উঠলাম।
.
- ঔষুধ খেতে হবে তো...(বলে উঠলাম)
- না...না আমি খাবোনা।
- প্লিজ আলভি হা করো?
- না খাবোনা।
- প্লিজ?
- দেখুন আমি ছোট না ..এমন করবেন না
আমার সাথে।
.
.
__ওর কথা টা শুনে খুব কান্না পেলো। ঔষুধ
টা নিয়ে নিচে নেমে গেলাম। এই ভয়টাই
আমি পেয়েছি। আমাকে ইগনোর করছে
সে...চিনছে না আমায়।
.
__একটু পর আবার গেলাম .. সে আমাকে
বকলেও তাকে খাইয়ে ছাড়বো...তার জন্য
বেহায়া হতেও রাজি আমি। গিয়ে..তাকে
চিমটি কেটে লুকিয়ে গেলাম..সে বুঝে গেল
আমি সেটা। তাই আবার যখন দিতে গেলাম
হাতে নাতে ধরলো...যখনই কিছু বলতে যাবে
তখনই মুখে ঔষুধ দিয়ে দিলাম। সেটি খেয়ে
কাশতে লাগলো সে।
.
.
- এটা কি হলো?
- তুমি খাচ্ছিলে না তাই।
.
__বলে একটু মুচকি হাসি দিলাম। সে কিছু
না বলে চলে গেলো। এভাবেই কেটে গেল
কিছু দিন। তার জন্য আমি নিজেই ছোট দের
মত আচরন করি। হিহিহি ভালবাসা খুব
ডেন্জারেস জিনিস মুহুর্তেই কাউকে
পরিবর্তন করে দেয়।
.
__সেদিন খুব রেগে ছিলো সে.. কারন আমি
হুট করেই তার অনিচ্ছায় ঔষুধ খাইয়েছিলাম
তাকে। এরপর থেকে আমার হাত দিয়ে নয়
বরং খেতে সে নিজেই হাত দিয়ে খায়।
আবার খায়ওনা কিছু কিছু সময়।
.
- কি ব্যাপার আজ ঔষুধ খেলে না যে?
- তোমার সমস্যা কি?
- সেকি? আমার দশটা না পাচঁটা না একটা
মাত্র হাজবেন্ড আমি কেয়ার করবোনা?
- দরকার নেই।
- আছে।
- বললাম তো দরকার নেই।
.
.
__কিছু বললাম না সে নিজ হাতে খেয়ে
নিলো.. আমি হুট করে তাকে একটা উম্মা
দিয়ে দৌড় দিলাম সে আমাকে ধরে বসলো।
.
__যদিও আমি এটাই চাইছিলাম তবুও খুব
লজ্জা পাচ্ছিলাম ... সে আমাকে টেনে
এনে..সিড়ি কোঠার দেয়ালে ঠেসে ধরলো।
.
- আলভি ছাড়ো খুব ব্যাথা লাগে হাতে।
- খুব সখ আমাকে ঔষুধ খাওয়ানোর তাইনা?
- উহু একটুও না।
- খুব বক বক করো সারাদিন আজ তোমায়
শাস্তি দিবো।
.
.
__অতঃপর দুই জোড়া ঠোঁট পরস্পর একত্রিত
হয়ে গেলো। আর কিছু না বলে..আমার দিকে
না তাকিয়ে সোজা নিচে সিড়ি বেয়ে
নেমে গেলো সে।
.
__""এই যে আলভি সাহেব.. তুমি এতদিন খুব
খাটিয়েছ আমাকে যা আমার খুব ভাল
লাগত..তোমার পেছনে ঔষুধ নিয়ে
দৌড়াতাম..এমন কি খাবার সময়ও..মনে হত
তুমি যেন ছোট একটা বাবু..কিন্তু এখন তো
তুমি তা নও..তাই আমার একটা ছোট বাবু
লাগবে..যার সাথে আমি ঔরকম করতে
পারবো"" -রাতে ঘুমানোর সময় বলছিলাম
তাকে।
.
__আজ কিছুদিন সে ঠিকমত কথা বলেনা
আমার সাথে। আমার যে কতটা কষ্ট হয় তা
সে বুঝবেনা। আমি আর এখন ঔষুধের কথা
বলিনা। কারন সে এখন শাশুড়ি আম্মার
হাতে ঔষুধ খায়।
.
.
.
__এখন তো আর আমার কোনো প্রয়োজন
নেই.. সেও আমাকে মেনে নিতে
পারছেনা। তাই অনেকটা দুঃখ নিয়ে
বাবার বাড়িতে চলে এসেছি। শাশুড়ি মা
অনেকবার ফোন দিয়েছে আমি শুধু এত টুকুই
বলেছি আলভি আমাকে নিয়ে যাবে নয়ত
আমি যাবোনা।
.
প্রায় সপ্তাহ খানিক পর..আলভির ফোন...
(খুশির ইমু)
.
__আমি জানি তুমি আমাকে খুব
ভালবাসো..তুমি যখন চলে গেলে তখন
ভেবেছি আবার বুঝি নীলা চলে
গেলো..আমি আর কখনো তোমাকে কষ্ট
দিবোনা প্লিজ ফিরে এসো?-_আলভি বলল।
.
__সেদিন খুব খারাপ লেগেছিল এমন কথা
শুনে..আমি যে সত্যিই পাগল টা কে খুব
ভালবাসি। কিন্তু আমি বলে
দিয়েছি..আমাকে আবার বিয়ে করতে
হবে..কারন তখন পরিবারের জন্য বিয়ে
করেছি..কিন্তু এখন আমাদের একটা সুন্দর
জীবনের জন্য বিয়ে করবো তোমাকে...আর
বর বেশেই আমাকে নিয়ে যেেত হবে। তার
আগে আমি যাচ্ছিনা।
.
__ঠিকই বর বেশে বর যাত্রী নিয়ে এসেছিল
সে..দ্বিতীয় বার আবার সেই ধুমধাম করেই
বিয়েটা হলো আমাদের। সেই আগের মতই
বাসর রাতে..বসে আছি।
.
__একটু পর সে আসলো। ভাবলাম সে সালাম
করে নাকি আবার আগের মত কিন্তু না।
তার আগেই আমি তাকে সালাম করলাম।
.
.
- রেগে আছো বুঝি?(সে বললো)
- হুম।
- আবার কেন?
- আগেবার বাসর রাতে তুমি আমাকে
..সালাম করেছিলে..এবার করোনি।
- হাহাহা এই সত্যিই আমি করেছিলাম? ইস
কত বোকাই ছিলাম আমি?
- কিছুটা তবে বোকা টাকেই ভালবেসে
ছিলাম।
- এখন বুঝি বাসবেনা? থাক লাগবেনা
তোমার ভালবাসা আমি নিচেই ঘুমাবো।
- জ্বি না। কি চেয়েছিলাম আপনার কাছে?
- উমম মনে নেই ..বলোতো কি?
.
.
একটু চোখ পাকিয়েই বললাম "জানিনা"। সে
আমাকে খোচা দিয়ে বলল "প্লিজ বলোনা
কি চেয়েছিলে???। আমি আবার বললাম
"বলবোনা"। সে আবার রিকুয়েষ্ট করলো...
তাই বললাম..
.
- একটা ছোট্ট আলভি কে চেয়েছিলাম।
- তাইইই? তাকে পেলে যদি আমার আদর
কমে যায়?
- আলভি তুমি কখনো চিন্তাও করতে
পারবেনা..আমি তোমাকে কতটা
ভালবাসি। (রেগে বললাম)
- ও আমি তোমাকে কম ভালবাসি বুঝি?
.
.
__এই বলেই দুষ্টুমি করতে লাগলো সে। কখনো
ভুলবো না। সেই স্বরনীয় রাত টা
কে..কখনোইনা। আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ
একটা মুহুর্ত সেদিন উপহার দিয়েছিল সে।
.
.
__আলভি টা নাহ একদমই বাবুদের মতই করে..
একদিন বললাম বাবার বাড়িতে বেড়াতে
যাবো..যেতেই দিলোনা। সে বলে
কিনা..তার বুকে আমি না ঘুমালে নাকি
তারও ঘুম আসেনা। আসলেও পাগল একটা।
আগে ঔষুধ খাওয়ার আগে উম্মা চাইত..সেটা
এখন একটু বদলে গেছে..অফিসে যাবার
আগে..একটার বদলে অনেক গুলো উম্মা দিয়ে
যায়।
.
__এখনো মাঝে মাঝে তাকে আগের মতই
শাষন করতে হয়..যেন অফিসে ঠিকমত লান্চ
করে নেয়..নামাজ যেন ঠিকমত পড়ে..আমিও
ঠিকমত নামাজ পড়ি কারন আমি ওকে
পেয়েছি..শুধুই
আল্লাহর জন্যই।
.
__একদিন শরীরটা খুব খারাপ
লাগছিল..শাশুড়ি আম্মার সাথে
হাসপাতালে গিয়েছিলাম। রাতে আলভি
যখন অফিস থেকে ফিরলো..
.
- এই বাবুর আব্বু..হা করো..
- কেন?
- উফ করোইনা পাগল..
- এই পাগল বলবানা কিন্তু..
- ওকে বলবোনা হা করো।
.
__মিষ্টি খাইয়ে দিলাম তাকে। সে
বোকার মত চেয়ে আছে আমার দিকে।
কিছুই বুঝতেছেনা। আমি এত খুশি হয়ে
আছি..আবার..মিষ্টি খাইয়ে দিলাম।
.
- কি হয়েছে গো?
- কি আর হবে ডাক্তারের কাছে
গিয়েছিলাম সে বলল..খুব শীগ্রই আমি
মারা যাবো।
- নেক্স টাইম প্লিজ এই আবল তাবল বলবানা
তুমি।
.
__জড়িয়ে ধরলো সে...প্রায় কেদেই দিয়েছে
পাগলটা। এত পাগল কেন সে? এত ভালবাসে
আমায়? হয়ত তাকে না পেলে ভালবাসা
এতটা মধুর হয় কখনোই বুঝতাম না।
.
.
- এই পাগল তুমি কাদো কেন?
- তুমি যাতা বলো কেন?
- আচ্ছা আর বলবোনা সরিইই..
.
.
__পাগলটার বুকের ওপর শুয়ে আছি...বার বার
ওর দিকে তাকাচ্ছি আর মুচকি মুচকি
হাসতেছি।
.
__সে একটু হাসি দিলো। আমি আবার তার
দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসি দিলাম।
খুব হাসি পাচ্ছিলো। এমন সময় বলে উঠলো...
.
- তুমি কিছু লুকাচ্ছোনা তো?
- হুম। তা তো অবশ্যই।
- তাহলে প্লিজ বলো লক্ষীটি?
- বললে আমি কি পাবো শুনি?
- কি চাও বলো?
- সেই উম্মা টা।
- আচ্ছা দিবো Now বলো?
.
.
__আমি কানের কাছে মুখটি নিয়ে..বললাম
"আমাদের ছোট আলভি আসতেছে" প্রথমে
সে কিছু আচ করতে পারেনি বুঝে উঠতে
পারেনি হয়।
.
__একটু পর আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল
"সত্যিই!!!"। আমি একটু মুচকি হাসি দিয়ে
তার বুকে লুকিয়ে পড়লাম সে খুব শক্ত ভাবে
জড়িয়ে ধরলো আমায়।
.
.
__একদিন খুব জন্ত্রনা..লাগছে..মনে হচ্ছে
বাবুটা যেন ভেতরে..খুব চিৎকার করছে।
পৃথিবীর আলো দেখবে তাই। প্রচন্ড
যন্ত্রনা..
.
__এরপর আর কিছুই মনে নেই হাসপাতালের
বেডে আমি..আলভি আমার হাতটা শক্ত
করে বসে আছে। কাদতেছে আমার পাগল
টা। এত ছোট হলে হয়? বাবুর আব্বু হয়ে গেছে
অথচ এখনো ছোটই রয়ে গেল।
.
- তুমি ঠিক আছো তো বাবুর আম্মু?
- হুম। তুমি কাদো কেন বোকা?
- তোমার যদি কিছু হয়ে যেত।
- কি হবে আমার? তুমি আছোনা? আল্লাহ্
আমাদের পাশে সব সময় আছে বুঝলে।
.
.
আমাদের ছোট আলভি টা কে ...আমাদের
দুজনার মাঝে রেখে একটা আমাদের তিন
জনের একটা সেলফি তুললো পাগল টা। কেউ
বলবেনা সে যে..এই পাগল টা বাবা
হয়েছে..কারন সে নিজেই বাচ্চাদের মতই।
.
-থ্যাকস।
.
আমিই বললাম। সে আমাদের দিকে
তাকালো এবং বলল..কেন?
.
- আমাকে ছোট্ট একটি অালভি..উপহার
দেয়ার জন্য।
- হুম..কিন্তু সব ক্রেডিট আল্লাহর সে চেয়ে
বলেই তো..ছোট আলভি টা তার বাবার মতই
হয়েছে।
- না আমার মত হয়েছে।
.
__দু-জনে ঝগড়া করতে লাগলাম। এমন সময়
বাবা মা এবং শশুড় শাশুড়ি তারা এসে
তারাও ঝগড়া শুরু করলো..কেউ বলে...নানার
মত..কেউ বলে দাদার মত..কেউ বলে..দাদীর
মত কেউ বলে নানীর মত।
.
__আমরা দুজন মিটি মিটি
হাসতেছি..বাচ্চারাও হয়ত অনেক কিছুই
বোঝে..একদম পেট থেকেই পাকা হয়ে বের
হয়েছে আমাদের ছোট আলভি টা..সেও
হাসতে লাগলো.. তার হাসি দেখে সবাই
হাসতে লাগলো।
.
.
••••অতঃপর ৩-বছর পর••••
.
.
- বাবুর আম্মু? আমার শার্ট টা কোথায়
রেখেছো?
- অন্য একটা পড়ো..
- না..আমার চেক শার্ট টা কোথায়??
.
.
__এই হলেন পাগল টা... তাকে দুইটা শার্ট
গিফ্ট করেছি সেই দুটোই পড়বে..এখন নাকি
খুজেই পাচ্ছেনা। আর এদিকে ছোট আলভি
কে খাওয়া তে গিয়ে দৌড়াতে হচ্ছে।
একদমই বাবার মতই হয়েছে।
.
.
__আমার পাগল টা শার্ট টা পড়তেছে...আর
এদিকে ছোট আলভি টাকে খাওয়াতে গিয়ে
গল্পও বলতে হচ্ছে ...
.
_এমন সময় বললাম..জানো ছোট অালভি
একটা পাগল ছিল..তাকে ঔষুধ খাওয়ানোর
আগে উম্মা দিতে হতো.. খাবার নিয়ে তার
পেছনে পেছনে দৌড়াতে হত..আমি সব সময়
তার বুকে ঘুমাতাম..একদিন পাগল টা পুরো
পুরি সুস্থ হলেও পাগলামো টা রয়েই গেল"
.
__গল্পটা শুনে আলভি এসে..আমার হাতটা
শক্ত করে বলল..."এই কি বললে তুমি আমি
পাগল???"
.
- আলভি ছাড়ো?
- এর শাস্তি পেতে হবে তোমায়।
- এই কোনো দুষ্টুমি নয়..ছোট আলভি দেখছে
কিন্তু...
.
__আমার কোনো কথা শুনলো না আগের মত
করেই শাস্তি দিলো সে.. হাসির শব্দ
শুনে.. দুজনে তাকালাম।
.
__ছোট আলভি টা খুব দুষ্টু..একদমই বড় আলভির
মতই। আমাদের দেখে হাসতেছিল..এখনো
হাসতেছে। এত টুকু বাচ্চা কি বোঝে??
বুঝবেইনা কেন? দুজন যে একই বড় আলভি
পাগল..ছোট টা দুষ্টু।
.
__ছোট আলভির হাসি দেখে দুজনই
হেসে...জড়িয়ে ধরলাম ছোট আলভিকে...
আমাদের জীবনে এত ভালবাসার মাঝেও
কিছু একটা অপূর্ন ছিল ছোট অালভি কে
পেয়ে আজ যেন ..জীবন টা পরিপূর্ন হয়ে
গেল। আর আমি সম্পূর্না...(Smile Emo)
~
~
লেখাঃ Alvi Ahmed Shawon (রহস্যময় বালক)

No comments:

Post a Comment