Saturday, July 23, 2016

Got Married

Got Married

লেখা> মোঃ জাহিদুল হক সুবন।
.
"তুমি এটা কি করছো? কেন করছো এমনটা?
.
আমার আজকে কেমন জানি লাগছে। কাল রাত
থেকে একটু ও ঘুমাতে পারি নি। মনের মাঝে
একটা ভয় বিরাজ করছে। ভাবছিলাম আজকে অফিসে
যাব না। জেনিয়ার সামনে কি করে দাড়াঁব সেই মুখ
আমার নেই। কি করে করলাম আমি এই কাজটা। আমার
নিজেরো এখন বিশ্বাস হচ্ছে না আমি এই কাজটা
কিভাবে করলাম। সারাক্ষন ওর মুখটা আমার চোখের
সামনে ভেসে আসতেছে। ও যদি আমার এমন
একটা কাজের জন্য আমার সাথে ওর বন্ধুত্বটা শেষ
করে দেয়? আমার মাথায় কিছু আসতেছে না। কাজটা
করার আগে আমাকে আরো ভাবার দরকার ছিল।
কিন্তু কেন যেন নিজেকে আর ধরে রাখতে
পারি নি প্রচন্ড রাগ হচ্ছিল আমার। তখন আমার মাথায়
এই কাজটা করা ছাড়া আর কিছুই আসে নি। সকালে ঠিক
মত নাস্তাটাও করি নি। কেমন একটা অস্বস্হি কাজ
করছে আমার মাঝে। এই অস্বস্হিটা নিয়ে অফিসে
এসে চুপচাপ নিজের ডেস্কে এসে যখন বসলাম
টিক দশ কি পনেরো মিনিট পর জেনিয়া আমার
ডেস্কের সামনে এসে চুপ করে দাড়িয়ে
থাকে। আমি কি বলব কিছুই বুঝতে পারছি না। আমি ওর
দিকে থেকে চোখ সরিয়ে ডেস্কের উপর
ফাইলের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। আমার চুপ থাকা
দেখে ও একটু আস্তে করে ঐটাই বলেছে...
আমি এটা কি করেছি? কেন এমনটা করেছি?... আমি
তারপরো চুপ করে রইলাম। এখন যদি এই বিষয়টা
নিয়ে অফিসে হৈচৈ করে কেমন একটা পরিবেশ তৈরি
হবে আমি ভাবতেও পারছি না। ও আমার চুপ থাকা
দেখে আমার ডেস্কের সামনের চেয়ারটা
ঘুরিয়ে চুপ করে বসে পড়ল। তারপর আবার বলল...
.
"তোমার কাছ থেকে আমি এমনটা আশা করি নি
সুবন। আমি ভাবতেও পারছি না তুমি এমন একটা কাজ
করবে। আর মোবাইল অফ কেন তোমার?
.
আমি ওর দিকে তাকালাম। তাকিয়েই আবার চোখটা
নিচের দিকে করে ফেললাম। সত্য বলতে কি
আমার কেন যেন খুব লজ্জা পাচ্ছে।
.
"তুমি জানো তোমার এই কাজটার জন্য আমার
ফ্রেন্ড সার্কেল আমার কাজিনরা এমনকি আমার
আংকেল আন্টিরা কি সব উল্টা পাল্টা বলছে। এই রকম
করার কোন মানে হয়?
.
ওর কথা গুলা আমার কাছে কেমন জানি লাগছে। আমি
জানি কাজটা আমার মোটেও ঠিক হয় নি। ওর দিকে
আবার তাকিয়ে তারপর বললাম...
.
"আমার প্রচন্ড রাগ হচ্ছিল। তোমাকে থাপ্পড়
মারতেও ইচ্ছে করছিল। তুমি যদি আমার সামনে
সত্যিই তখন থাকতা ঠিকি তোমার গালে একটা কষে
থাপ্পড় মারতাম। রাগে আমি করব কিছুই বুঝতে না
পেরে এই কাজটা করেছি।
"হোয়াট?
.
জেনিয়া আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে।
কিছুক্ষন সময় নিয়ে তারপর বলল..
.
"কেন আমি কি করেছি? কি কারনে আমার প্রতি
তোমার এত রাগ তৈরি হলো।
.
আমি চুপ করে রইলাম। কি বলব আমার মাথা ঠিক নেই।
.
"কি হলো বলো, কি করেছি আমি?
"কি করেছো তুমি জানো না? ছেলেটাকে তুমি
প্রশ্রয় দিচ্ছো কেন? আর ছেলেটার সাথে
কিসের এত আলাপ তোমার? আমার সয্য হয় নি তাই
ফেবুতে তোমাকে নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছি।
.
জেনিয়া এবারো আরেকটু অবাক হলো।
অফিসের কলিগরা আমাদের দিকে একটু তাকাচ্ছে।
আফসার ভাই তাকিয়ে তাকিয়ে হাসছে। জেনিয়া
বলল..
.
"তোমার মাথা ঠিক আছে? কি সব উল্টা পাল্টা
বলতেছো তুমি? কোন ছেলেকে আমি
প্রশ্রয় দিয়েছি?
"ও এখন কিছুই জানো না? কি যেন ছেলেটার নাম,
ও হ্যা মনে পড়েছে "আসিফ আদনান"। তোমার
প্রত্যেকটা ফটো আর স্ট্যাটাসে ছেলেটার
কমেন্ট। আর তুমি কি সুন্দর করে থ্যাংক্স জানাও।
এই গুলা দেখে আমার মাথা একদমি ঠিক ছিল না।
.
জেনিয়া একটু হাসলো। আমি একটু অবাক হলাম।
তারপর বলল...
.
"তুমি আসলে একটা পাগল। তোমার এই পাগলামির
জন্য আমার কাজিন আর ফ্রেন্ডরা আমাকে
ম্যাসেজ আর ফোন করতে করতে জ্বালাতন
করে ফেলছে। আমি কাউকে না জানিয়ে হুট
করে এই কান্ডটা করে ফেলছি। এই সুবন
ছেলেটা কে? এই রকম প্রশ্ন করতে করতে
শেষ আমাকে। তা ঐ ছেলে আমার স্ট্যাটাস আর
ফটোতে কমেন্ট করলে তোমার প্রবলেমটা
কোথায় শুনি?
.
আসলে ঠিকি তো। ওর স্ট্যাটাস আর ফটোতে
কেউ কিছু বললে আমার প্রবলেমটা কোথায়?
আর কেনই বা সয্য হয় না? আমি বললাম...
.
"না কিসের প্রবলেম। তার জন্য স্যরি আমি।
.
জেনিয়া আর কিছু না বলে চেয়ার থেকে উঠে
ওর ডেস্কে গিয়ে বসে। জেনিয়ার সাথে আমার
একটা ভাল বন্ধুত্ব অফিসে। আমি সব সময় ওর সাথে
বন্ধু সুলভ আচরণ করে এসেছি। অফিসের লাঞ্চ
আওয়ারে একসাথে খাওয়া। অফিস ছুটি শেষে রিক্সায়
একসাথে যাওয়া। ফান করা। সত্য বলতে কি ওর সাথে
আমার সময়টা বেশ ভালো ভাবেই কাটে।
.
গতকাল রাতে যখন আমি নেটে ঢুকলাম কেন জানি
জেনিয়ার প্রোফাইলে একটু ঢুকতে মন চাইলো।
ওর প্রত্যেকটা ফটো প্রাইভেসি ফ্রেন্ডস
দেয়া। আমি একটার পর একটা ফটো দেখছি হঠাত্
করে একটা কমেন্ট আমার চোখে পড়ল।
অনেকটা সুন্দর করে কবিতার মত কমেন্ট
করেছে। সাথে আবার লাভের ইমো দিয়েছে।
ঐটাতে জেনিয়া হাসির ইমো দিয়ে থ্যাংক্স
জানিয়েছে। প্রথমে আমার কিছুই মনে হয় নি।
আমি যখন ওর প্রত্যেকটা ফটো আর স্ট্যাটাসের
কমেন্ট চ্যাক করলাম দেখলাম সব কিছুতেই
ছেলেটার কমেন্ট। যেন হাজিরা খাতায় উপস্হিতি
দিয়ে যায়। নাম আসিফ আদনান। কেন যেন আমার
মনটা খারাপ হয়ে গেল। ওর একেক টা কমেন্ট
দেখে আমার কেমন যেন রাগ রাগ ভাব
আসলো। আমি কি করব বুঝতে পারছিলাম না। একবার
মনে হলো ছেলেটার সাথে কি জেনিয়ার কিছু
চলছে? ছেলেটার প্রোফাইলে ঢুকে ইনফো
চ্যাক করলাম। বেশ একটা ভাল পজিশনে আছে
ওয়ার্কার ইনফোটা দেখে বুঝলাম। ছেলেটা কি
জেনিয়াকে লাইক করে? হয়তবা করে। আমার খুব
রাগ উঠে গেল। কি করব কিছুই বুঝতে না পেরে
কিছুক্ষন পর জেনিয়ার সাথে আমার Got Married
স্ট্যাটাস দিয়ে দিলাম। স্ট্যাটাসটা দিয়েই আমি নেট
থেকে বের হয়ে ফোন অফ করে দিছি।
একবারো নেটে ঢুকি নি আর। আর এখনো
মোবাইল অফ করে রাখছি।
.আফসার ভাই আমার সামনে এসে চেয়াটায় বসে।
তারপর আমার দিকি তাকিয়ে বলে...
.
"সুবন তুই সত্যিই জেনিয়াকে বিয়ে করছিস? রাতে
তোকে কতবার ফোনে ট্রায় করলাম কিন্তু সুইচ
অফ বলছিল।
.
আফসার ভাই আমাকে ছোট ভাই হিসেবে
দেখে। খুব মিশুক মানুষ। আমাকে তুই করেই
বলে। উনি আমার ফ্রেন্ড লিস্টে আছে। উনিও
স্ট্যাটাস টা দেখেছে বুঝা যাচ্ছে। উনি আবার বলল..
.
"বিয়ে কখন করছিস? একবারো তো আমাকে
জানালি না। আমাকে ভাই মনে করিস না নাকি?
"না না কি বলো তুমি? ভাই মনে করব না কেন?
আসলে যা ভাবতেছো তা কিছুই হয় নি।
.
আফসার ভাই একটু অবাক হলো। তারপর মুখের গালটা
একটু চুলকিয়ে বলল...
.
"কি বলিস? তাহলে স্ট্যাটাস দিলি কেন এই রকম? কি
বুঝাতে চাইছিস এই রকম স্ট্যাটাস দিয়ে?
.
আমি সব কিছু খুলে বললাম আফসার ভাইকে। উনি
একটু চুপ করে বললো...
.
"তুই জেনিয়াকে লাভ করিস?
"আসলে সত্য বলতে কি ওকে আমার ভাল লাগে
বন্ধু হিসেবে। বাট গতকাল কেন যেন এমন
হয়েছে।
"আরে গাধা এইটাও ভালোবাসার মধ্যে পরে।
কারো প্রতি ভালোবাসা না থাকলে এই রকম করা যায়
না। তোর ভালো লাগাটা তোর মনে ভালোবাসা
হিসেবে গেথে গেছে। গতকাল যখন
জেনিয়াকে নিয়ে ছেলেটার এমন কমেন্ট গুলা
চোখে পরেছে ঠিক তখনি রাগে ভষ্মিত হয়ে
তোর ভালোবাসাটা ফুস করে জ্বলে উঠেছে।
.
আমি একটু অবাক হলাম। সত্যিই কি আমি জেনিয়াকে
ভালোবাসি? আফসার ভাই আবার বলল..
.
"আমার সাথে আমাদের ফ্ল্যাটের একজন
প্রতিবেশির সাথে এমনি একটু তর্ক হয়েছিল আমার
ছেলেকে নিয়ে। ঐ খেলতে গেলে
পোলাপান গুলা দুষ্টামি করে না এইগুলা নিয়ে। তোর
ভাবি ঝগড়াকে অনেক ভয় পায়। এইগুলা থেকে
একদম দুরে থাকে। আমি যখন বুঝাচ্ছিলাম খেলতে
গেলে এই রকম টুকটাক বাচ্চারা দুষ্টামি করেই
থাকে। আপনারা যখন নালিশ দিয়েছেন আমি আমার
ছেলেকে শাসন করব। কিন্তু লোকটা আর
লোকটার স্ত্রী আমার কথা শুনছিলই না। চুপ করে
থাকলে প্রশ্রয় পেয়ে যাবে। তাই আমিও
উনাদের কথার পাল্টা উওর দিচ্ছিলাম। এইদিকে তোর
ভাবি আমাকে বার বার বলতেছে "ওদের সাথে কথা
বলিও না, দরজার ভিতরে ঢুকো" হঠাত্ মহিলাটা
আমাকে বলল.."ছেলেটা যেমন বেয়াদব
ছেলেটার বাবাও বেয়াদব। তোর ভাবি দরজার
ভিতরের রুমে চলে যায়। আমি মনে করেছি
ভয়ে চলে গেছে। কিন্তু বিশ্বাস কর একটু পর
তোর ভাবি রুটি বানানোর বেলুন নিয়ে আইসা
বলে..." দেখি তুমি সরো তো। কত বড় সাহস
আমার স্বামীকে বেয়াদব বলে। আজকে মাথা
ফাটাব ওদের আমি"... আমি তো দেখেই অবাক।
পরে ঐ লোকটা আর লোকটার স্ত্রী ভয়ে
চলে গেছে। বুঝলি এটা হলো ভালোবাসা।
ভালোবাসার মানুষটাকে কেউ যদি কিছু বলে তার মন
খারাপ হয়। যেমনটা তোর হয়েছে। আচ্ছা কাজ
কর চিন্তা করিস না।
.
আমি একটু হাসলাম আফসার ভাই এর কথা শুনে। আমি
কাজ করতে লাগলাম। একটু পর মোবাইলটা অন
করলাম। অনেকগুলা মিসকল এলার্ট এর মেসেজ
আসলো। বুঝলাম এই গুলা কেন আসছে। আমি
নেটে ঢুকে স্ট্যাটাস ডিলেট দিয়ে দিলাম। কে কি
কমেন্ট করেছে সেগুলা পড়তে ইচ্ছে হয় নি।
স্ট্যাটাস টা ডিলেট দিয়ে শুধু "স্যরি জেনিয়া" এই রকম
ছোট একটা স্ট্যাটাস দিয়ে নেট থেকে বের
হয়ে গেছি।
.
কয়েক ঘন্টা পর লাঞ্চের সময় হয়। অফিসে
প্রতিদিন আমি জেনিয়ার সাথেই লাঞ্চ করি। আমি
যেখানে কাজ করি সেই বিল্ডিংটা ছয় তলা। আমাদের
অফিস ছাড়া এখানে আরো অনেক অফিস আছে।
এছাড়া মার্কেট ও আছে। আর বিল্ডিং একদম উপরে
রেস্টুরেন্ট ও বিভিন্ন খাবারের দোকান আছে।
আমি জেনিয়ার ডেস্কে যাব কি যাব না ভাবতে
ভাবতে ওর ডেস্কে গিয়ে দেখি ও নেই। আমার
মনটা খারাপ হয়ে গেল। তাহলে ওর সাথে আমার
যে ভালো একটা সম্পর্ক আছে ওটা শেষ হয়ে
যাবে? আমার কিছু ঠিকঠাক লাগছে না। জেনিয়াতো
এমন না, ও তো আমার সাথেই লাঞ্চ করে।
.
কেমন একটা মন খারাপ নিয়ে একা একাই লাঞ্চ করলাম।
তারপর আবার কাজ করতে লাগলাম।
অফিস ছুটি শেষে জেনিয়াকে ডেস্কে দেখি
নি। নিচে নেমে দেখি ও রিক্সা করে একাই চলে
যাচ্ছে।
আমার কেমন যেন লাগছে। কি দরকার ছিল এই রকম
স্ট্যাটাস দিয়ে। আমার জন্য হয়ত ও ওর ফ্রেন্ড
আর কাজিনদের কাছ থেকে কত কথা শুনতে
হয়েছে। আচ্ছা এমনটা হয় নি তো ওর আর আমার
বিয়ের মিথ্যে খবরটা যদি ওর বাবা মার কানে পৌছে
যায়?
.
অফিসে জেনিয়ার সাথে আমার আর কোন কথা হয়
না। আমার কাছে কেমন জানি লাগছে। দু দিন হয়ে
গেছে ও আমার সাথে একই আচরণ করছে। সত্যি
বলতে কি নিজের প্রতি খুব রাগ হচ্ছে।
.
রাতে খাওয়া দাওয়া করে এগারোটার পর নেটে
ঢুকে দেখি জেনিয়ার নামের পাশে সবুজ বাতি
জ্বলছে। তাহলে ও নেটে আছে। আমি নিউজ
ফিডটা একটু দেখলাম। খুব ইচ্ছে হচ্ছে নক
করতে। মেসেজ বক্সে ঢুকে একবার স্যরি
লিখে ওটাকে কপি করে পঞ্চাশ বার স্যরি বানালাম
তারপর আবার কেন যেন ব্যাক স্পেস চেপে
সব মুছে দিলাম। প্রায় দশ মিনিটের মত পার হয়ে
যায়। কিন্তু একটু একটা নটিফিকেশন আসে।
নটিফিকেশনে ঢুকে যা দেখলাম আমি অবাক।
জেনিয়া স্ট্যাটাস দিয়েছে..
.
জেনিয়া Married With সুবন।
.
আমি কিছুক্ষন হতগম্ভ হয়ে গেলাম। দু দিন আমার
সাথে কথা নেই তার উপর আবার এই কাজ। একটু পর
টুং করে একটা মেসেজ আসে। জেনিয়ার
মেসেজ...
.
"ইতর , বদমাইশ, ফাযিল, সার্থপর একটু ও খবর নিছো
আমার? খুব খারাপ হবে একদম খুন করে ফেলব যদি
এই স্ট্যাটাস থেকে ট্যাগটা রিমোভ দাও তাহলে।
.
আমি আবারো একটু অবাক হলাম। কি হচ্ছে সব? ও
কি আমায় লাইক করে? আমি মেসেজ করতে
গিয়ে দেখি সবুজ বাতি নিভে গেছে ওর নামের
পাশ থেকে। আমি কি করব বুঝতেছি না। একটু পর
ওকে ফোন করলাম। প্রথম দু বার ফোন করলাম
রিসিভ করলো না। তৃতীয় বারের সময় রিসিভ করে
চুপ করে আছে। কোন কিছুই বলছে না। আমি
বললাম...
.
"কেমন আছো?
.
ও তারপরো চুপ করে রইল। ওর নিশ্বাসের শব্দ
শোনা যাচ্ছে। আমি আবার বললাম...
.
"এই কয়েক দিন আমার একদম ভালো কাটে নি।
.
ও চুপ করে শুধু নিরবতা পালন করছে। আমিও একটু
চুপ করে রইলাম। আমি বললাম...
.
"স্ট্যাটাস থেকে ট্যাগ রিমোভ দিয়ে দিব?
"করে দেখো না একবার। দেখো আমি
তোমার কি করি। ঐদিন আমি অফিসে লাঞ্চের
আগে নেটে ঢুকে তোমার আমার স্ট্যাটাসটার
কমেন্ট গুলা পড়ছি আমার খুব ভালো লাগছিল। কিন্তু
হুট করে একটু পর দেখি তুমি ওটা ডিলেট দিয়ে
দিছো। আমার খুব রাগ হয়েছে তখন। রাগে
তোমার সাথে দু দিন কথা বলি নি। তুমি একবারো
খোঁজ নিছো আমার? আমি যে রাগ করেছি সেটা
তুমি একটুও বুঝতে পারো নি? কেউ রাগ করলে
তার রাগ ভাঙ্গাতে হয় শিখো নি? আমাকে পছন্দ
করো সেটা মুখে বলতে পারো না? আমি যে
তোমায় পছন্দ করি সেটা একবারো বুঝতে
চেষ্টা করছো? সাহস থাকলে রিমোভ দিয়ে
দেখো তোমার নাম।
.
একটানা কথা বলে জেনিয়া থামে। আর একটা
দীর্ঘশ্বাস ফেলে। তাহলে জেনিয়া এই কারনে
আমার সাথে কথা বলে নি। ও আমাকে আগে
থেকেই পছন্দ করে। আমার মনে এক অদ্ভুত
ভালো লাগা কাজ শুরু হয়। আমিও একটু চুপ করে
রইলাম। কি বলব কিছু বুঝতে পারছি না। জেনিয়া আবার
বলল...
.
"কিছু বলবে না?
"না মানে ভাবতেছি বিয়ে করার আগেই দুবার বিয়ে
করে ফেললাম অথচ বাসর হলো না। তিনবারের
বেলায় হবে তো?
"এই যা বদমাইশ ইতর। মুখে কিছু আটকায় না? মুখ
সেলাই করে দিব।
.
আমি একটু হাসলাম। রাগ থেকে যদি ভালো কিছু হয়
তাহলে রাগই ভাল। এই দু দিনের জমানো কথা
গুলো আজকে সব আদায় করে নিব। ফোন রাখছি
না আজেক। আমি ভাবতেও পারছি না জেনিয়া আমার
বউ হয় গেল। ইয়ে মানে হতে কতক্ষন। আমার
এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না জেনিয়া আমার বউ
হবে...

No comments:

Post a Comment