Thursday, July 21, 2016

কমেডি গল্পঃ "ভালবাসার বায়োডাটা,Love Bio-Data"

কমেডি গল্পঃ "ভালবাসার
বায়োডাটা,Love Bio-Data"

লেখকঃ ডাকনাম ইমু-ইমরান।
.
--এই মেয়ে শোন! এইবার দিয়ে অনেক হলো,
আমি আর পারছিনা!!
--ঠিকাছে না পারলে ছেড়ে দাও, আমিতো
তোমায় প্রপোজ করতে বাধ্য করেনি!
--বাধ্য করোনি নয়তো কি? এ নিয়ে তোমায়
এই চার মাসের মধ্যে ৬৭ বার ৬৭ স্টাইলে
প্রপোজ করেছি। একটাও কি তোমার পছন্দ
হয়নি?
--আমিতো আগেই বলেছি, তোমার প্রপোজ
করার স্টাইল আমার যেদিন ভালোলাগবে।
আমি সেদিনই তোমায় ভালবাসি বলবো।
--অদ্ভুত মেয়ে! দাদী নিশ্চয় কুঁজো বুড়ি
ছিলো।
--এক্সকিউজ মি, আমাকে কিছু বললে?
--না! নাতো! বলেছিতো আমার গুণধরী
দাদী-শাশুড়ি কে!
--মানে?
--তুমি ওসব বুঝবেনা, পারিবারিক
ব্যাপারস্যাপার!
--এই শুন! তুই এসব আজে বাজে বকতে আর
কখনো আমার সামনে এসে দাঁড়াবিনা।
ইডিয়ট একটা!!
.
কথাটা বলেই নওশিন রেগেমেগে
ভার্সিটির বারান্দা দিয়ে সোজাসুজি
হেটে চলে গেল। ইমু সেখানেই থমকে
দাঁড়িয়ে রইলো। ইমু ভাবছে,'ইশ! এখন যদি
গলা ফাটিয়ে আব্দুল হাদীর গানটা ধরতে
পারতাম---
যেওনা সাথী,
চলেছো একেলা কোথায়,
পথ খুঁজে পাবে না তো....
শুধু একা_______
.
আবার পরক্ষণেই ইমু ভাবছে, "এই পাগলীটার
এখানকার সব ওলিগলি চেনা, ওকে এই গান
শুনিয়ে কোন লাভ নেই" পাশ থেকে খাড়া
খাড়া চুল নিয়ে এসে ইমুর কাঁদে হাত
রাখলো উদয়। ইমু উদয়-কে দেখে বিস্মিত
হয়ে প্রশ্ন করলো---
--কিরে উদয়, তোর সাইডের চুল গুলো কি সব
পিঁপড়ায় কেটে ফেলেছে নাকিরে!! উপরের
গুলাতো দেখছি ঠিকি আছে, কিন্তু তোর
চুলগুলো ধরে এরকম টানাটানি করেছে কে..!!
--হা হা হা, দোস্ত নতুন স্টাইল, স্পাইক,
লেয়ার-স্পাইক কাটিং দিছি। কেমন
হয়েছে বলতো?
.
ইমু কিছু না বলে ভাবছে,"সবাই এতো
স্টাইলের পিছে ছুটছে কেন। নওশিন
প্রপোজের স্টাইল চাচ্ছে, উদয় চুলের স্টাইল
করে এসেছে। সবাইকি তাহলে এখন স্টাইল
নিয়ে ব্যস্ত!
.
উদয় বলে উঠলো---
--কিরে কি ভাবছিস? চুপ করে আছিস যে?
.
ইমু উদয়ের কথাতে থমকে উঠলো, ভাবনার
ঘোর থেকে বেড়িয়ে ইমু উদয়-কে জিজ্ঞাস
করলো---
--আচ্ছা উদয়, সবাই কি এখন স্টাইল নিয়ে
ব্যস্ত?
--এ কথা বলছিস কেন? আমার চুলের
কাটিংটা তোর পছন্দ হয়নি?
--না! আসলে ঠিক তা না! সবাই মনে হচ্ছে
শুধু স্টাইল নিয়ে ব্যস্ত।
--কেন কে আবার তোকে স্টাইল দেখালো?
--খেয়াল কর নওশিন-কে আমি ওর কথা মতো
ভিন্ন ভিন্নভাবে ৬৭ টা স্টাইলে প্রপোজ
করলাম। ওর একটা স্টাইল ও পছন্দ হলোনা!
--আরে বোকা ও তো তোকে ভালোই বাসে।
--তোকে বলেছে! যদি ভালবেসে থাকে
তাহলে বলেনা কেন?
--সব কথা কি বলতে হয় পাগলা! কিছু কথা
বুঝে নিতে হয়।
--যা হারামি, এতো বুঝতে গিয়েই তো মনির
ভাইয়ের গার্লফ্রেন্ডের (তুলির) পিছনে
সাত হাজার টাকা খরচ করেছিস!
.
উদয় কথাটা শুনে চুপ হয়ে গেল। উদয় বলল---
--বুকের ব্যথাটা আবার বাড়িয়ে দিলি,
শালী এতো সময় একসাথে চলেফিরে শেষে
যখন প্রপোজ করলাম, বলল 'আমিতো তোকে
ভায়ের মতো দেখি' ভাগ্যিস প্রপোজটা ১৫
দিনের মাথায় করেছিলাম বলে বেঁচে
গেছি। আর একটু দেরি করে করলে তো
আমার সব চালান গায়েব হয়ে যেত।
--হা হা হা, এইবার বুঝ!
--হুম, তোর ৬৭ টি প্রপোজের স্টাইলই তো
আধুনিক স্টাইলের ছিলো তাইনা?
--হুম,
--আমার কাছে অনেক আগের একটা স্টাইল
আছে, চেষ্টা করবি?
--Old!
--"Old is Gold" Dotty...
--ঠিকাছে বল?
--শুন তাহলে, তুই প্রথমে ভার্সিটির ছাদে
যাবি। গিয়ে একদম রেলিং এর উপর
দাঁড়াবি। আমরা কেউ নওশিন গিয়ে বলবো
ইমু সুইসাইড করছে। নওশিন তখন তোকে
দেখার জন্য আসবে। আর তুই বাংলা ছবির
হিরোইনদের মতো বলবি, "নওশিন আমি এক
থেকে দশ পর্যন্ত গুণবো, এরমধ্যে যদি তুমি
আমাকে ভালবাসি না বলো, তাহলে আমি
এখান থেকে লাফ দিয়ে সুইসাইড করবো"
--ঐ হারামি ও যদি ভালবাসি না বলে, তখন
কি তুই আমার বদলে গিয়ে লাফ দিবি!
--আরে তুই কি সত্যি সত্যি লাফ দিবি
নাকি, শুধু অভিনয় করবি। আর তাছাড়া তিন
তলা থেকে লাফ দিলে কিছু...
--চুপ, চুপ সালা! আমায় পঙ্গু করে ঘরে বসিয়ে
রাখার জন্য উঠে পরে লেগেছিস না! আরে
আমারতো তখন ঘরেও জায়গা দেবেনা। যখন
শুনবে এইসব ঘটনা। আমাকে পথের ফকির
বানাতে খুব ইচ্ছে হইছে তোর? কার কাছে
থেকে কত টাকা খেয়েছিস! সালা এজন্যেই
মানুষ বলে, "পরের বৃদ্ধিতে ধনী হতে নেই"
--আরে না, এভাবে বলছিস কেন? শুন তাহলে
আরেকটা বুদ্ধি আছে। আমরা ৮/৯ জন মিলে
একটা মোটা নেট নিয়ে আড়ালে দাঁড়িয়ে
থাকবো। যখন তুই আট নয় বলবি তখনই দৌড়ে
গিয়ে নিচে ধরবো। ব্যাচ হয়ে গেল!
--ঠিক বলেছিস! আমার ভালবাসা মিথ্যে
প্রমান করার জন্য তোর আইডিয়াটা একদমই
পারফেক্ট। হারামি যা ভাগ...
--ঠিকাছে, থাক বাবা তুই তোর মজনুত্ব
নিয়ে, আমি চললাম। আর শোন, নওশিন-কে
৬৭ টা স্টাইলে প্রপোজ করেছিস। আরও ১০০
স্টাইলে করবি, তাতেই তোকে ভালবাসি
বলবেনা বলে দিলাম, মিলিয়ে নিশ!
--আরে ভাগ ভাগ, ওকে আমি এমন স্টাইলে
প্রপোজ করবো যা পৃথিবীর কেউ কোনদিনও
করেনি। আর তখন ও ঠিকি ভালবাসি বলবে।
তুইও মিলিয়ে নিশ।
--ঠিকাছে দেখা যাবে, চল এখন ক্লাসে চল।
.
উদয় ইমুর গলা ধরে হাটতে শুরু করলো। দুজনে
গিয়ে একই বেঞ্চে বসলো। পাশের
দিকটাতে নওশিন তাদের সোজাসুজিই।
আসলে ইমুই নওশিন-কে দেখার জন্য
প্রতিদিন নওশিনের সোজাসুজি অপর পাশে
বসে। ইমু সারা ক্লাস নওশিনের দিকেই
তাকিয়ে থাকে। নওশিন ইমুর দিকে
কিছুক্ষণ পর পর তাকিয়ে মুখ ভেঙচি কাটে।
আর ইমু দেখে দাঁত কেলিয়ে হাঁসতে থাকে।
উদয় নওশিনের বার বার তাকানোটা
খেয়াল করেছে। উদয় আস্তে আস্তে বলল---
--দেখ দেখ নওশিন তোর দিকে কেমন করে
বার বার তাকাচ্ছে।
--ও আমার দিকে তাকাবে নাতো, তোর
দিকে তাকাবে নাকি! আর তুই ওকে
দেখছিস কেন?
--আরে আমিতো তাকাতেই খেয়াল করলাম,
আর তাই তোকে বললাম।
--হুম, ও আমাকে দেখে আমি সেটা জানি।
আর কোনদিনও তোকে বলতে হবেনা।
পার্সোনালিটি বলতে কিছুতো অন্তত
রাখতে দে...
--হা হা হা,
.
উদয়ের হাঁসিটা বড্ড গলা করে দিয়ে
ফেলেছে। লেকচারার ম্যাডাম বলল---
--এই! ক্লাসে হা হা হা করে হাঁসছে কে?
.
সবাই একদম নিরভ। উদয় নিজেই হাঁসিটা
দিয়ে হতভম্ব হয়ে গেছে। ম্যাডাম নতুন
লেকচার শুরু করলো---
--আড্ডা, আনন্দ, উল্লাস আমরা সবাই করবো।
তবে তারও একটা সময়, স্থান আছে। ঘড়ির
কাটাটা ব্যাটারি না থাকলে বন্ধ হয়ে
যায়। কখনো কিন্তু উল্টো দিকে চলেনা। যে
সময়টা চলে যায়, সে সময়টা আর ফিরে
আসেনা। আর সেটা হাত ঘড়িটাও প্রমান
করে দেয়। প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীই এখানে
বুঝবান। যে এই ক্লাসটা মিস করবে সে কি
আর কখনো পাবে এই ক্লাস? পাবেনা,
সুতরাং যখন যেটা করোও মন দিয়ে করো।
সেটা ক্লাস হোক, অথাবা হোক মাঠের
ফুটবল বা ক্রিকেট খেলা, আমি তোমাদের
প্রথম দিনিই বলেছি, আমার ক্লাস ভালো
না লাগলে সরাসরি ক্লাস থেকে বেড়িয়ে
যাবে। আমার কোন পারমিশন লাগবেনা।
নিজের অমনোযোগিতা শুধু নিজেকে
ক্ষতিগ্রস্ত করেনা। নিজের আসে পাশের
মানুষগুললোকে ও ক্ষতিগ্রস্ত করে।
.
কথাগুলো বলেই ম্যাডাম ক্লাস থেকে
বেড়িয়ে গেল। উদয় মুখটা মলিন করে বসে
রইলো। ইমু উদয়-কে বলল---
--চল আজ আর একটাও ক্লাস করবোনা। এই
ম্যাডামটা একটু বেশিই, চাইলেই কি
পারতো সেখান থেকে সব শুরু করতে। ছেলে-
মেয়েরা একটু আতটু করেই থাকে। তাই বলে
এভাবে বেড়িয়ে যেতে হবে! হাসব্যান্ডের
সাথে ঝগড়া করে পেইন নিয়ে ক্লাস নিতে
এসেছে। রাগটা এখন ছাত্র-ছাত্রীদের উপর
ঢেলে গেল। চল..... চল....
.
কথাটা বলেই ইমু ব্যাগ নিয়ে ক্লাস থেকে
চলে এলো। পিছন পিছন উদয়ও বেড় হয়ে
এলো। দুজনে মিলে ঝিলপারে গিয়ে
বালুগড়া বেঞ্চটার উপরে বসে রইলো।
সেখানে কিছু সময় থেকে দুজন দুজনের
বাসাতে চলে গেল। রাতের খাবার খেয়ে
ইমু এখন পড়ার টেবিলে বসে আছে। ভাবছে
কিভাবে নওশিন কে প্রপোজ করা যায়।
ভিন্ন এবং শেষ ভাবে একবার তাকে কি
স্টাইলে প্রপোজ করা যায়। হাতে একটা
প্যাড আর ড্রয়ারে পরে থাকা তিন টাকা
দামের সেই ইকোনো কমটা নিলো। উপরে
বড় করে লিখে শুরু করলো---
.
নীল খামের ভেতরে দিয়েছি বলে এইটাকে
চিঠি মনে করোনা। আমি চাইলে এইটা
তোমাকে পোষ্ট অফিসের মধ্যেমেও
পাঠাতে পারতাম। কিন্তু সেটা করলে
চিঠিটা আমার শ্বশুর আব্বাজানের হাতে
গিয়ে পরতে পারে। তাই স্নিগ্ধাকে দিয়েই
পাঠালাম। এইটা আমার বায়োডাটা! যোগ্য
মনে হলে এপয়েন্টমেন্ট লেটার'টা আমার
ঠিকানায় পাঠিয়ে দিও। না হয় তো
প্রয়োজন নেই।
________জীবন বৃত্তান্ত_________
.
নামঃ ইমরান খান। (ডাকনামঃ ইমু)
.
পিতার নামঃ নাম যাই হোকনা কেন, তুমি
তাকে আব্বাজান নামেই ডাকবে!
.
মাথার নামঃ ঐ যে বাবার বিপরীতে যেটা
হয়, ঐ নামেই ডাকবে!
.
স্থায়ী ঠিকানাঃ ভাবছি তোমার মনের
কোনেই ঘর বান্ধিবো! যদি সুযোগ দাও...
.
বর্তমান ঠিকানাঃ চেষ্টার পথে!
.
জন্মতারিখঃ ১৮ ই এপ্রিল (সনটা নাই
বললাম, যদি তোমার ছোট হই)
.
বয়সঃ যুবকের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আছি!
.
রিলেশনশিপ: তোমার হবু বর,
.
জাতীয়তাঃ ভিনদেশী নই!
.
ধর্মঃ 'ইসলাম' (জন্মসূত্রে)
.
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ ব কলম, একদমই
লেখাপড়া নেই, যে কারনেই ফেসবুক,
হোয়াটসয়াপ, টুইটারে কোন মেয়ের রিপ্লাই
দিতে পারিনা! তবে সখের ডাইরীটায়
আবোলতাবোল দাগাদাগি করতে পারি।
.
প্রশিক্ষণঃ ভালবাসতে আবার প্রশিক্ষণ
লাগে নাকি!
.
অভিজ্ঞতাঃ তুমিই প্রথম তাই অভিজ্ঞতা
অর্জন করার সুযোগ পাইনি। তবে তুমি বললে
একটু অভিজ্ঞ হতে পারি! তাহলে আবার
অপির ডাকে সারা দিতে হবে। যদিও ও ৩
মাস আগে প্রপোজ করেছিলো।
.
অভ্যাসঃ মাঝে মাঝে একলা রাতে চাঁদ
দেখতে রুম থেকে বেড়িয়ে যাই, তবে তুমি
থাকলে তোমায় সাথে নিয়েই বের হবো।
আরেকটা আছে বন্ধুদের আড্ডায় পরলে দু এক
টান সিগারেট খাই। তুমি এসে ওদের সাথে
একদম মিশতে দিবেনা কেমন!! (বিয়ের
আগে গার্লফ্রেন্ডের সাথে এরকম মিষ্টি
মিষ্টি কথা বলতে হয় বলে বলছি)
.
ইচ্ছেঃ বাজার থেকে তাজা একটা ইলিশ
মাছ কিনে এনে পুকুরে পুষব! অবাক হবার
কিছুই নেই, আমার ইচ্ছে গুলো এমনিই।
.
পার্সোনাল স্কিলসঃ মানুষ-কে যেমন
হাঁসাতে পারি, তেমনি কাঁদাতেও পারি।
নিজে মেয়েদের মতো চেঁচিয়ে কান্না
করতে পারি। তবে হাঁসিটা মিটিমিটি হয়।
আর হ্যা সাতার কাটতে জানি হাটু
পানিতে।
.
দৈহিক গঠনঃ
উচ্চতা: ৯১ ফুট,
ওজন: ১৫৬ কেজি,
বডি: ৯৬" ইঞ্চি
কোমর: ৬৬" ইঞ্চি
গায়ের রঙঃ একদম যমুনার জল।
মুখের আকৃতিঃ কিছুটা ফকিরা পুলের
পানির টাংকির মতো।
দাঁতঃ কিছুটা ইদুরের মতো।
সব মিলিয়ে চাইলে কোন পার্কে বা
লেকের পারে ডেকে ভালো করে দেখে
নিতে পারো।

মোবাইলঃ ০১৭১৬৫ ওহ্! আমার নাম্বারটাতো
তোমার ব্লকলিষ্টেই আছে।
.
ইমেলঃ গেইটের সামনে ঝোলানো @
লেটারবক্স. কম
(থুক্কু ডট কম না. ডট বেশি)
.
সখঃ ঘুরে উড়াতে, আর সখের ডাইরীটা কিছু
'কবিতা, গল্প লিখতে'
.
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: ২৭ জন ছেলে মেয়ের
বাবা হওয়ার। তোমার বাবার বাড়িতে ১০
জন রাখবো। আমার বাবার বাড়িতে ১০ জন।
আর বাকি ৭ জন তোমার আর আমাকেই
দেখাশোনা করতে হবে। ঠিকাছে!
.
খেলাধুলা: একদম কুতকুত খেলা থেকে শুরু
করে ৪ গুটি, ৫ গুটি, ১০ গুটি, বৌ-ছি,
কানামাছি, গোল্লাছুট, মাংসচোর,
চ্যান্ডেলচোর, বেত, হাড়িভাঙ্গা,
দীর্ঘলম্ফন, উচ্চলম্ফন, দৌড়, হা-ডু-ডু,
ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, ভলিবল,
দাবা,সাপলুডু, ক্রামবোর্ড। চলবে এতে? ওহ্!
ত্রাস খেলা ৫৩ টার মাঝে ১৩ টা পারি।
এইবার নিশ্চয় চলবে!
.
মন্তব্যঃ সর্বোপরি আমার সবকিছু
দেখেশুনে অবশ্যই এপয়েন্টমেন্ট লেটার'টা
দিয়ে ব্যাধিত রাখিবে। অন্যথায় কোন
খারাপ কিছুও ঘটাতে পারি। কারণ আমি
তোমাকে ভালবাসি।
.
ইমু লেখাটা শেষ করে নীল খামে ভরে
নিলো। কাল সকালে এই খামটা স্নিগ্ধাকে
দিয়ে পাঠাবে। খামটার উপরে লিখলো This
is my last propose, so, i went you say. you told
me that 'just you, for me'
ইমু বালিশের নীচে খামটি রেখে ঘুমিয়ে
পরলো। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে গোসল
সেরে নাস্তা করে ইমু ভার্সিটিতে যাবার
উদ্দ্যেশে রওনা হলো। স্নিগ্ধাকে
নীলখামটি দিবে বলে ফোন কল দিলো---
--হ্যালো স্নিগ্ধা কই তুই?
--এইতো বাসা থেকে বের হলাম,
ভার্সিটিতে আসছি। তুই?
--আমিও, আচ্ছা আয়।
.
ইমু স্নিগ্ধা কে আসতে বলেই ফোনটা
রেখেদিলো। বেশকিছুক্ষণ সময় পরে ইমু
ভার্সিটিতে গিয়ে পৌছালো। স্নিগ্ধাকে
দেখে ইমু সামনে গিয়ে নীলখামটি তার
হাতে দিয়ে বলল---
--এইটা নে, তোর ঐ অদ্ভুত বান্ধবীকে দিস,
--কি আছে এইটাতে? ও মা, This is my last
propose, so, i went you say. you told me that
'just you, for me' হা হা হা, এইটা তোর কত
নাম্বার প্রপোজ হলোরে ইমু!!
-- ৬৮ নাম্বার!
--হুম, তোকে কিছুদিন আগে বললাম না
নওশিনের প্রপোজ করার স্টাইল পছন্দ হলে
ভালবাসি বলবে। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত
এই ৬৮ স্টাইল পূর্ন হবে!
--তোর মতো বোকা আর জীবনে একটা
দেখিনি। যেমন পাগল, তেমনি পাগলী।
যাইহোক, এটাতো চিঠি, এই স্টাইল তো
অনেক পুরনো। এইটাই কি কাজ হবে রে...?
--হলে হবে না হলে নাই!
--খুব হাপিয়ে গেছিস, তাইনা রে..!
--হ্যা গেছি, এইবার দয়া করে এইটা ওর
হাতে একটু পৌছে দে.....
--হুম, যাচ্ছি। তবে তুই পরের প্রপোজটা
কিভাবে করবি ভাবতে থাক!!
--তুইও....! আল্লাহ যে কেন তোদের মতো
বন্ধুদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিছিলো তাই
এখন ভাববো! হারামি যা...
--আমার মতো বন্ধু পাওয়ানা তোদের মতো
ছেলেদের ভাগ্যের ব্যাপার!
--হুম, হয়েছে হয়েছে এইবার দয়া করে যা..
.
স্নিগ্ধা নীলখামটা নিয়ে নওশিনের
খোঁজে চলে গেল। ইমু পেছন থেকে
স্নিগ্ধাকে বলল---
--উত্তরটা দিলে নিয়ে আসিস,
.
ইমু ক্যান্টিনে গিয়ে চায়ের কাঁপে চুমুক
দিলো। সঙ্গে একরাঁশ ভাবনা, "লেখাটার
মানে ও বুঝতে পারবে তো" স্নিগ্ধা
নওশিন-কে নিয়ে নীলখামটা দিলো।
নওশিন একটু মুচকি হেঁসে স্নিগ্ধাকে
জিজ্ঞাস। করলো---
--কি এইটা?
--ঐ যে পাগলটা পাঠিয়েছে,
.
নওশিন হাতে নিয়ে জানালার পাশে গেল।
স্নিগ্ধা বলল---
--কিরে কি লিখেছে আমরা দেখবো না?
--আমি আগে দেখে নেই, তারপর দেখিস।
.
নওশিন চিঠিটা পরে হাঁসতে হাঁসতে পুরো
ক্লাস মুখরিত করে ফেলল। সবার একই
প্রশ্ন---
এই তোর কি হয়েছে? কিরে এভাবে হাঁসছিস
কেন? দেখি দেখি হাতে কি?
নওশিন পাগলীর মতো হেঁসেই চলেছে। একটা
সময় হাঁসতে হাঁসতে হাঁপিয়ে উঠলো।
বেঞ্চটার উপর হাঁসতে হাঁসতে বসে পরলো
নওশিন। অতঃপর নওশিন ব্যাগ থেকে একটা
প্যাড বের করে লিখলো---
"To submit an appointment request letter, today
night 12:00pm come my facebook messenger.
Really You are very mad, but i am so satisfy
your love bio-Data.
i went you imu, i love you imu, i love you so
much..

এই যে শুনুন আপনাকে বলছি, হ্যা হ্যা
আপনিই, গল্পের ফাঁকেফাঁকে আমাকে এতো
ভালবাসি বলতে হবেনা!!

No comments:

Post a Comment