Thursday, July 21, 2016

> আমি সম্পূর্না.. (তাসফিয়ার কথা) - প্রথম পর্ব।।।

> আমি সম্পূর্না.. (তাসফিয়ার কথা) - প্রথম পর্ব।।।
.
.
__বিয়ে করার কোনো ইচ্ছেই তখন আমার
নেই..কিন্তু আব্বু আম্মু এক প্রকার জোরই করে
চলছে। কারন এর আগেও কত গুলো
ছেলেকে ভাগিয়েছি..যখন তারা আমাকে
দেখতে এসেছে।
.
__যে ছেলেটার সাথে আমার বিয়ে তাকে ঠিকমত
চিনিওনা। আমার একই কথা আমি তাকে বিয়ে
করবোনা। কিন্তু মেয়েদেরই বোধ হয় বেশি
জ্বালা..পরিবার বোঝানো সহজ কাজ নয়।
.
__অনেকবার পালানোর চেষ্টাও করেছি। কিন্তু তা
সম্ভব হলোনা। আমার কোনো বয়ফ্রেন্ড
নেই...স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি তে প্রোপোজাল
পেয়েছিলাম কিন্তু আমি শুধুই লেখা পড়া টা কেই
প্রাধান্য দিতাম। বিয়ের আগে ফালতু জিনিসের প্রতি
কোনো আমার কোনো ইন্টারেস্ট ছিল না।
.
__বাধ্য হয়ে বিয়েতে রাজি হয়ে গেলাম। জানি
এরপর আমার জীবনটা পাল্টে যাবে... আমি আর
আগের মত নিজের স্বাধীনতায় সব কিছু করতে
পারবোনা। এখন অন্যের কথায় চলতে হবে
আমাকে।
.
__রাত ১ টার বেশি বাজে। আমার স্বামী কে
মাত্রই তার আপন জনেরা বাসর ঘরে দিয়ে গেল।
নিজের মনকে শক্ত করেছি..স্বামী যদি ভালবাসা
দেখাতে যায়..তাহলে বটি দিয়ে..তার মাথা আলাদা
করে দিবো। তাকে আমার কথা মত চলতে হবে।
আমি যা বলবো তাই।
.
__ছেলেটার কাজে আমি নিজেই হতবাক হয়ে
গেলাম ..এসেই আমাকে পা ছুয়ে সালাম করলো।
একি!!! স্বামী কে তো বউ সালাম করবে..এ
দেখি উল্টো!!! বান্ধবীরা এমন টাই তো
বলেছিল। কি বোকার বোকা ছেলে সালাম
করেই যাচ্ছে!!!
.
.
- এই যে কি করছেন এসব?
.
(আমিই বললাম)
.
- সালাম করতে বলেছিল...
- কে!!!
- আমার বন্ধুরা।
- এত বোকা আপনি?? হাদারাম কোথাকার। যান নিচে
গিয়ে ঘুমান..আমার পাশে ঘুমাতে পারবেন না।
.
.
সত্যি সত্যিই নিচে একটা বালিশ নিয়ে ঘুমিয়ে
গেলো। আমি আবার ফ্লাস ব্যাকে যেয়ে
বোঝার চেষ্টা করলাম। মাথাই
ঘুরতেছে..ছেলেটা করলো টা কি!!!! সাথে
সাথে ডাক দিলাম..
.
.
- এই ছেলে ওঠো?
.
চোখটি কচলে উঠলো ছেলেটা। ভাল ভাবে
দেখলাম তাকে...তারঁছেড়া নয়ত!!!
.
- তুমি কি পাগল???
.
__কথা টা বলতে দেরি..সাথে সাথে ছেলেটি
কেমন যেন হয়ে গেল..রেগে মেগে
বলতে লাগলো **আমি পাগল নাা.. আমি পাগল না**
অনেবার বললো...এই বলে বাসর ঘরের সব ফুল
ছিড়ে ফেলল.. ডেসিং টেবিলের আয়না ভেঙ্গে
ফেলল..এক প্রকার ভয় পেয়ে গেলাম। বাইরে
থেকে দড়জা খুলতে বলল কেউ খুলে দিলাম।
.
__ছেলেটিকে তার মা অর্থাৎ আমার শাশুড়ি আম্মা
জড়িয়ে ধরলেন.. ঘটনার কিছুই বুঝলাম না। কি যেন
একটা রহস্য হয়ে গেল এর মাঝে তা আমার
জানতেই হবে।
.
কিছুদিন যেতেই জানতে পারলাম ছেলেটা পাগল!!!
একটা পাগলের সাথে আমার বিয়ে দিলো আমার
পরিবার!!! কিন্তু কেন!!! সেই প্রশ্নের উত্তর বাবা
মা দিলো না। কারন তারা জানতো না ছেলেটা পাগল।
.
__তারা যখন দেখেছিল তখন...ছেলেটি এমন
করেনি বরং স্বাভাবিক ছিল। তার মানে ওই বাড়ির লোক
আমাদের বোকা বানিয়েছে...!!! না কিছুতেই একটা
পাগলের সাথে সংস্যার করতে পারবোনা আমি। তাই
নিজের বাবার বাড়িতেই রয়ে গেলাম। তারা
অনেকবার নিতে এসেছে যাইনি।
.
__একদিন ছেলেটার মা অর্থাৎ শাশুড়ি আম্মা এসে
কথা বললেন আমার সাথে..অনেক বোঝালেন
কিন্তু তখনো আমি রাজি নই। যাবোনা মানে
যাবোনা।
.
- আমার ছেলেটা এমন ছিলো না মা।
- আপনারা আমাকে ঠকিয়েছেন।
- ক্ষমা করো মা..ফিরে চলো।
- আপনার পাগল ছেলের সাথে কিছুতেই একসাথে
সারা টা জীবন কাটানো সম্ভব না আমার।
- ও জন্মগত ওরকম নয় মা...এর একটা রহস্য আছে।
- আমি জানতে চাইনা।(জেদ ধরলাম)
- ঠিক আছে ..তবে তোমার জন্য সারাজীবন
আমার দরজা খোলা থাকবে ..
.
.
__শাশুড়ি আম্মা কথাটা বলেই চলে গেলেন। বাবা মা
ও আমাকে বোঝালেন যা হয়ে যাওয়ার হয়েছে
তা মেনে নিয়ে সেখানেই যেন ফিরে যাই
কিন্তু আমিও কম যাই না হুহ। একবার বলেছি যখন
যাবোইনা।
.
__একদিন অপরিচিনত নাম্বার থেকে ফোন এলো
রিসিভ করলাম।
.
- কে বলছেন?
- ভাবী আমি ...নিশু।
.
আলভি ছোট বোনের নাম নিশু..আমাকে প্রথম
থেকেই ভাবী বলে ডাকে..আমি বারন
করেছিলাম তাও।
.
- তুমি কেন ফোন দিয়েছো?(রেগে বললাম)
- ভাবী জানি আপনি অাসবেন না..তবুও সত্যিই টা
আপনাকে জানতেই হবে।
- ঠিক আছে বলো ...
.
.
অতপর শুরু হলো সেই রহস্য..."আমার ভাইয়া এমন
টা ছিল না। নীলা নামে একটা মেয়েকে খুব
ভালবাসতো...মেয়েটাও ভাইয়াকে খুব
ভালবাসতো.. একসময় ভাইয়া বলে মেয়েটিকে
বিয়ে করবে ..কিন্তু নীলা আপুর পরিবার ভালবাসা টা
কে ঠিক চোখে দেখে না ..তাই তারা শর্ত
দিয়েছিল যদি তাদের পছন্দের ছেলেকে বিয়ে
না করে তবে তার বাবা মা অাত্মহত্যা করবে ...এক
প্রকার বাধ্য হয়েই নীলা আপু বিয়ে
করেছিল..কিন্তু সে ভালবাসতো আলভি ভাইয়াকে
তাই সে অন্য কাউকে মেনে নিতে পারেনি...তাই
বাসর রাতে বিষ খেয়ে মারা যায়..আর অতঃপর সেই
ঘটনার পর ভাইয়া শক খায়..এবং যখন নীলা আপুর লাশ
দেখলো তারপরই কেমন যেন পাগলের মত
হয়ে গেল.. এই তো আপনিও চলে যাবার পর
ভাইয়াও এমন শুরু করেছে..কারন সে ভেবেছে
আপনিই নীলা আপু..আর কিছু বলবোনা..আপনাকে
জোরও করবোনা..আসার জন্য..সিদ্ধান্ত আপনার
ভাল থাকবেন"
.
.
__গল্পটা শোনার পর ছেলেটা প্রতি একটু একটু
মায়া লাগছিল..আচ্ছা আমি কি একবার চেষ্টা করে
দেখতে পারিনা ছেলেটাকে সুস্থ করে
তুলতে? এরপর না হয় তাকে বুঝিয়ে
বললে...আমাদের ডিভোর্স টা হয়ে যাবে।
.
.
__পরদিন শশুড় বাড়িতে গিয়ে উঠলাম দেখা যাক ভাগ্য
আমার সহায় হয় কিনা? স্বামী কে ঠিক করতে পারি
কিনা। আমার শশুড় বাড়ির লোক খুব ভাল নিজের
মেয়ের মতই ভালবাসে আমাকে...সমস্যাটা হল
আমার বর আলভি কে নিয়ে তারঁছেড়া মার্কা ছেলে
একটা। ওকে ঔষুধ খাওয়াতে গেলে আমার চৌদ্দটা
বেজে যায়। সারাদিন বাচ্চাদের মত
করে..ওরপেছনে ছুটতে ছুটতে ক্লান্ত হয়ে
যাই।
.
.
- নীলা আমাকে একটা গল্প শোনাবে?
.
.
ও ভাবছে আমিই বোধহয় নীলা। এমনই করে সব
সময়। তাই একদিন বললাম..আমার নাম শুধু নীলা নয়।
তাসফিয়াও। তাই আমাকে এই নামেও ডাকতে। আমি যা
বলি তাই ই করে সে।
.
.
একদিন দুজন ছাদে দাড়িয়ে আছি। আসলে ওকে
ঔষুধ খাওয়াতে গেলে অনেক কিছুই করতে হয়।
এদিকে প্রচুর বৃষ্টি নামছে..তাই সিড়ি কোঠায় বসে
আছি দুজন।
.
.
- আলভি প্লিজ একবার ঔষুধ টা খেয়ে নাও?
- না খাবোনা।
- তোমাকে চকলেট দিবো কিন্তু।
- না আমি তোমাকে একটা উম্মা দিবো।
- থাপ্পড় দিবো তাহলে..
.
.
ভ্যা ভ্যা করে কেদে দিল ছেলেটা আমি হাত
দিয়ে ওর মুখটা চেপে ধরলাম। কেউ শুনলে
ভাব্বে আমি ওকে মেরেছি। কান্না বন্ধ করলে
হাত সরিয়ে নিলাম কিন্তু আবার শুরু করলো।
.
.
- আচ্ছা ঠিক আছে উম্মা দিবো চুপ থাকো এবার?
- আচ্ছা দাও।
.
__একটু পর আমার হাত ধরে টেনে বৃষ্টিতে
..টেনে নিয়ে গেল। ভিজে গেলাম। ছুটে
আসতে চাইলাম..সে দিলোনা। বরং আমাকে
ভিজিয়েই ছাড়বে। খুব ভিজে ছিলাম
সেদিন..বৃষ্টিকে একবার তো জড়িয়েও
ধরেছে.. কিন্তু আমি নিজেই ছাড়িয়ে নিয়েছি।
.
__পাগল হলে কি হবে? ভালবাসা আছে ছেলেটার
মাঝে। স্বাভাবিক থাকে মাঝে মাঝে আবার অনেক
সময় ছোট দের মত করে..মানে যে যা বলবে
তাই করবে। যদি বলি দাড়িয়ে থাকো..সারাদিন
কেটে যাবে সে এমনই থাকবে।
.
__সেদিন অতিরিক্ত ভেজার ফলে..খুব জ্বর
এলো আমার..ছেলেটা আমার মাথায় জ্বর পট্টি
দিয়েছিল.. শাশুড়ি আম্মা ঔষুধ দিয়ে গিয়েছিল..তা
আমাকে খাইয়ে দিয়ে..নিচে গিয়ে ঘুমিয়ে
পড়েছে।
.
.
__জানিনা ওর ছেলে মানুষী অর্থাৎ পাগলামী আমার
কাছে পাগলামোর মতই লাগতো..তাই খুব বকতামও
মাঝে মাঝে..একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখি
নিচে সে নেই.. খুজতে লাগলাম.. গিয়ে দেখি
শাশুড়ি আম্মার ঘরে দাড়িয়ে আছে..আর শাশুড়ি
আম্মা একটা ব্যাগে কিছু কাপড় গুছিয়ে দিচ্ছে
...সেগুলো আলভির। বোকা টা আমাকে দেখে
একটু হাসি দিলো আমি মুখ ভেংচি কাটলাম। মা ছেলে
দুজনে কথা বলছে ..শাশুড়ি আম্মার কথা শুনতে
পেলাম.. **ওখানে গিয়ে..একদমই দুৃষ্টুমি
করবিনা..ঠিকমত থাকবি..আমি সময় হলেই দেখে
আসবো কেমন???** অবাক হয়ে গেলাম..আলভি
কে সে কোথায় পাঠাচ্ছে!!!!???? তাই বলে
উঠলাম..
.
.
- মা..? আলভি কে কোথায় পাঠাচ্ছেন?
- তোমাকে বলা হয়নি..ওকে ওর ট্রিটমেন্টের
জন্য ..পাঠাবো।
- কিন্তু কোথায়?
- মেনটাল হসপিটালে..একটু পরই তারা আসবে ওকে
নিতে।
- (অবাক হয়ে গেলাম) সেকি মা আমাকে বলেন নি
তো?
- আমি জানি আমার ছেলেটা খুব বিরক্ত করে
তোমায়...তুমিও তো একটা মানুষ..একটা পাগল কে
কত সহ্য করবে তুমি?
- কিন্তু মা..?
- আমারই ভুল হয়েছে..ভেবেছিলাম বিয়ের পর
ঠিক হবে...কিন্তু উল্টো তোমাকেই পাগল করে
ফেলবে ও।
.
.
বোকা টা হাসতেছে..কিছু বলছেনা। পাগল
কোথাকার যে যা বলে তাই শোনে..যেতে
বললেই কি শুনতে হবে নাকি?
.
.
- মা আপনি এ কিছুতেই পারেন না। আমি ওর দায়িত্ব
নিয়েছি..আপনি কি আমাকে বিশ্বাস করেন না?
- তা নয়..কিন্তু এখনো সব শেষ হয়নি..আগে যা
করেছি ভুল..ভুলে গিয়েছিলাম তোমার একটি সুন্দর
জীবনের কথা।
- কিন্তু মা আমি ওকে যেতে দিবো না।
- তুমি ..মেনে নাও বউমা..ওকে যেতে হবে।
.
.
__পাগল টা তখনও দাড়িয়ে আছে..কিছু তো বলবি??
গাধা কোথাকার।
.
- আলভি তুমি তোমার নীলাকে ছেড়ে যেতে
পারবে?
.
__মুহুর্তেই ওর মন বদলে সে কিছুতেই
যাবেনা...বলছে..বার বার বলছে.."আমি ওকে
ছেড়ে যাবোনা মা"। শাশুড়ি মা ওর দু গালে চড়
বসিয়ে দিল। অথচ ছেলেকে মেরে সে
নিজেই কেদে দিলো আর বলল.."মরে
যেতে পারিস না?? আর কত জ্বালাবি? এবার তো
আমাদের শান্তি দে আর মেয়েটাকে।
.
.
- মা আমি ওকে যেতে দিবো না আমি ওকে সুস্থ
করে তুলবো..আপনি প্লিজ আমাকে বিশ্বাস করুন..
(আমি বললাম)
.
__এই বলে আলভি কে টানতে টানতে আমাদের
ঘরে নিয়ে এসে দড়জা লাগিয়ে দিলাম আমি
কিছুতেই ওকে যেতে দিবো না।
.
__একটু পর শাশুড়ি মা আসলো..এবং বলল "ঠিকআছে
তুমি যা চাও তাই হবে"।
.
.
__কেটে গেল বছর খানিক.. ওর পাগলামো
গুলো মোটেও খারাপ লাগেনা। ঔষুধ খাওয়াতে
গেলে তাকে..উম্মা দিতে হবে..খাবার খাওয়াতে
গেলে তার পেছন পেছন ছুটে যেতে হবে।
মনে হয় যেন..একটা বাচ্চা পেলে চলেছি আমি
কিন্তু বাচ্চা টা বড় বাচ্চা ...(হাসির ইমু)
.
__অনেকবার আলভি কে নিয়ে হসপিটালে
গিয়েছি...ডাক্তার বলেছে..ওর অবস্থা ধীরে
ধীরে খুব উন্নতি হচ্ছে...তা শুনে পরিবারের
সবাই আমাকে আরে ভালবাসতে লাগলো।
.
__ছেলেটাকে এখন আর নিচে শুতে
বলিনা..আমার পাশেই ঘুমায়..একটু পাগলামো
করেনা..বিছানায় শুয়ে পড়া মাত্রই ঘুমিয়ে যায়।
.
__মােঝ মাঝে ভাবি..ও যদি সুস্থ হয়ে যায়..আমাকে
চিনবে তো??? নাকি ওর পাশে এমন ভাবে আমার
জায়গা টাই থাকবেনা? সে সুস্থ হয়ে আমাকে হয়ত
চিনবেই না..খুব কষ্ট পাবে তখন.. ওর সাথে
কাটানো এই একটা বছর কেন যেন ওর প্রতি ভালবাসা
জাগিয়ে তুলেছে আমার। কেন যেন সেলফিস
হতে ইচ্ছে করছে..মনে মনে চাইতেও লাগি
মাঝে মাঝে যেন ও সব সময় যেন এমনি
থাকে..আবার ভাবি না ঠিক হয়ে যাক সবাই তো
তাই..চায়। কেন যেন ওর প্রতি দুর্বলতা টা বেড়েই
চলছে..ছেলেটা ঘুমোচ্ছে এখন..ওর হাতটা
টেনে..নিজের মাথার নিচে নিয়ে ঘুমিয়ে
গেলাম।
.
.
__আগের থেকে ওর পাগলামো টা যেন কমেই
চলছে..মনে আমার শুধু ভয় এই বুঝি কখনো
আলভি বলে উঠবে..সে আমাকে চিনতেই
পাারছেনা.. সেলফিস হতে বড়ো ইচ্ছে করছে
আজ.. আমি আমার নিজের স্বার্থে চাই ও যেন
সুস্থ না হওক। দুজনে ছাদের ওপরে দাড়িয়ে আছি।
.
.
- কই ঔষুধ দাও? খাওয়াবানা?
- তুমিই তো খেতে চাওনা..আলভি।
- না আজ খেয়ে নিবো দাও আমার হাতে।
- সব সময় তো আমার হাতেই খাও।
- আমি নিজেই খেয়ে নিবো দাও??
- তাহলে তো কিস দিবো না তোমাকে...
- লাগবেনা ..এমনিতেই খাবো দেখো।
.
.
খুব কান্না পেলো আমার.. এতটা পরিবর্তন হচ্ছে
ওর ব্যবহারে? ঔষুধ খাওয়ার সময় কিস ওর
চাই..সেধে খাওয়াতে হত.. নিজের হাতে
খাওয়াতাম..আজ তার ওইসব কিছুই চাইনা.. ঔষুধ টা তার
হাতে দিয়ে.. কাদতে কাদতে নিচে নেমে
গিয়ে বালিশে মুখ লুকিয়ে কাদতে লাগলাম।
.
সে আমার পাশে এসে বসলো... এবং বলতে
লাগলো..
.
- আমি আর কখনো এমন করবোনা..তুমি
কেদোনা..প্লিজ? এই যে আমি কানে ধরছি ...তুমি
খাইয়ে দাও ঔষুধ..আর উম্মা না দিলে খাবোনা
কিন্তু...
.
.
নিজেকে আটকাতে পারলাম না..উঠে গিয়ে
জড়িয়ে ধরলাম..এটাই প্রথম তাকে জড়িয়ে ধরা..নয়ত
আগে সে চাইলেও এমন করিনি..আমার কাছে
মনে হচ্ছিলো ও আমার থেকে দুরে সরে
যাচ্ছিল..খুব খারাপ লাগছিল "কখন যে তাকে ভালবাসি
বলে ফেলেছি নিজেই বুঝতে পারিনি.. আমি যেন
নিজেই পাগলী হয়ে গিয়েছিলাম তার প্রেমে।
.
.
আর সেটাই আমি চাই.. শুধু ঔষুধ খাবার জন্য নয়..সব
সময় তাকে উম্মা দেই..রাতে তার বুকে মাথা
রেখে জড়িয়ে না ধরলে.. আমার ঘুম আসে..না।
হইনা তার প্রেমে আমি তার পাগলী সমস্যা???
কিহ??? ...(চলবে শেষ পর্বের অপেক্ষা করুন)
~
~
Writter : Alvi Ahmed Shawon (LoverBoY)

No comments:

Post a Comment